ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টস এর অবস্থান পরিবর্তন করে তথ্য সুরক্ষিত রাখুন

আমরা যারা কমপিউটার ব্যবহার করি, তাদের সকলেরই কোন না কোন ভাবে অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, উইন্ডোজ কে পুনরায় ইনস্টল করতে হয়েছে । পুনরায় উইন্ডোজ ইনস্টল করলে সমস্যার কিছু নেই , কিন্তু সমস্যা টি হল অন্য যায়গায়। আমরা সাধারনত কমপিউটারে কাজ করে  যখন কোন ফাইল সেভ কারি, সেই ফাইল গুলো বাই-ডিফল্ট মাই-ডকুমেন্টে সেভ হয়ে থাকে এবং অভ্যাস বসত কিছু কিছু ফাইল ডেক্সটপে সেভ করে থাকি, এর ফলে ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টসের যাবতীয় ফাইল গুলো ( উইন্ডোজ কে পুনরায় ইনস্টল করার ফলে ) ফিরে পাওয়া আর সম্ভব হয় না।
তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে নিলেই এরকম সমস্যায় আর পরতে হবে না। এর জন্য আপনাকে ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টস ফোল্ডারের অবস্থানের পরিবর্তন করে নিলেই হবে । আমরা সাধারনত হার্ড-ডিক্সের সি ড্রাইবেই উইন্ডোজ কে  ইনস্টল করে থাকি, ফলে ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টস এর অবস্থানও 'C' ড্রাইবেই থাকে।  এই 'C' ড্রাইব থেকে ডেক্সটপ এবং মাই- ডকুমেন্টস এর অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে।  কিভাবে করবেন ?

  


ডেক্সটপ (Desktop) ফোল্ডার কে যেভাবে অন্য ড্রাইবে সরাবেন 


১) প্রথমে C ড্রাইব ওপেন করুন।

২) এরপর ডকুমেন্টস এন্ড সেটিংস ফোল্ডারে যান।

৩) আপনার একাউন্টের নামে ফোল্ডার টি ওপেন করুন।

৪) এখান থেকে ডেক্সটপ নামের ফোল্ডার টিকে কাট (Cut) করে হার্ড-ডিক্সের অন্য ড্রাইভে  পেস্ট (Paste) করে দিন।


এরপর  আপনি ডেক্সটপে যাকিছুই রাখুন না কেন, উইন্ডোজ কে কোন কারনে রি-ইনস্টল করতে হলেও, আপনার ডেক্সটপ এর সমস্ত ফাইল সুরক্ষিত থাকবে। তবে উইন্ডোজ কে পুনরায় ইন্সটলের পরেই, আপনার নতুন একাউন্ট এর ডেক্সটপ ফোল্ডার টিকে (C ড্রাইভ থেকে) ডিলিট করে দিন। এবং কমপিউটার রিস্টার্ট করেনিলেই দেখবেন আপনার আগের ডেক্সটপের সব ফাইল গুলো ফিরে এসেছে।




মাই- ডকুমেন্টস ফোল্ডার কে যেভাবে অন্য ড্রাইবে সরাবেন 

প্রথমে অন্য কোন ড্রাইবে (C ড্রাইর বাদে ) যেখানে মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডারকে মুভ করতে চান সেখানে Shift_MyDocument বা অনা কোন নামে একটি ফোল্ডার তৈরী করে নিন ।

১) মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডার টির উপর রাইট ক্নিক করে প্রোপার্টিজে ক্নিক করুন।

২) এরপর মুভ বাটনে ক্লিক করুন।

৩) এরপর আপনি যেখানে আপনার “মাই ডকুমেন্ট” ফোল্ডার টিকে সরিয়ে রাখতে চান, সেই ফোল্ডার টিকে সিলেক্ট করুন।

৪) এরপর অ্যাপ্লাই বাটানে ক্নিক করলে একটি মেসেজ দেখাবে যে, আপনি কি আপনার মাই-ডকুমেন্টস ফোল্ডারের কন্টেন্ট গুলোকে কপি করবেন কি না? এখানে ইয়েসে ক্লিক করুন, তাহলেই অপনার কাজ শেয।

এরপর  আপনি মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডারে যাকিছুই রাখুন না কেন, উইন্ডোজ কে কোন কারনে রি-ইনস্টল করতে হলেও, আপনার মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডারের সমস্ত ফাইল সুরক্ষিত থাকবে। তবে উইন্ডোজ কে পুনরায় ইন্সটলের পরেই, মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডার টি কে আগের মতোকরে ( ১নং থেকে ৪নং ধাপ অনুসরন করে ) মুভ করুন ( মুভ করার সময় আগের সিফ্ট করে রাখা ফোল্ডার টি সিলেক্ট করবেন)। তাহলেই দেখবেন আপনার আগের মাই-ডকুমেন্টসের  সব ফাইল গুলো ফিরে এসেছে।


RAM এর নাম করণের কারন

বর্তমানে কমপিউটারে যে সব RAM ব্যবহার হয় সেগুলি হয় DDR1, DDR2 না হয় DDR3 কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে RAM এর এরকম নামের কারন কি।




DDR এর পুরো নাম হল  Double Data Rate।

SDRAM-- Synchronous Dynamic Random Access Memory।  আর এই SDRAM এর Single Data Rate (SDR) এর উন্নততর রূপ হচ্ছে DDR ।

RAM এর Frequency এবং Voltage বিচারে Data Rate এর Update Face বা উন্নত রূপকে DDR, DDR2, DDR3- এভাবে নামকরণ করা হয়।
যেমন : DDR/DDR1 RAM এর Frequency ১০০-৪০০ MHz এবং Voltage : ২.৫-২.৬ ,

DDR2 RAM এর Frequency ৫৩৩-৮০০ MHz এবং Voltage : ১.৮ এবং

DDR3 RAM এর Frequency ১০৬৬-১৩৩৩ or higher MHz এবং Voltage : ১.৫ ।

একই ধারাবাহিকতায় RAM এর নাম করণ করা হয়।

কমপিউটারের USB Port লক করে রাখুন

আপনি চাইলে আপনার কমপিউটারের USB Port লক করে রাখতে পারেন। সে সময় কোন পেনড্রাই বা USB ড্রাইভ সাপোট করবে না। প্রয়োজন হলে আবার আনলক করে নিতে পারবেন। সে জন্য যা যা করতে হবে।








USB Port ডিসএবল করার নিয়ম:


1. Start মেনু থেকে Run এ ক্লিক করুন।

2. রান বক্সে regedit টাইপ করে OK করুন।

3. এই ঠিকানায় প্রবেশ করুন:
 
HKEY_LOCAL_MACHINE\SYSTEM\CurrentControlSet\Services\UsbStor

4. রাইট প্যান থেকে Start এ ডাবল ক্লিক করুন।

5. ভ্যালু ডাটা বক্সে 4 টাইপ করুন, Hexadecimal এ ক্লিক করুন (যদি এটা সিলেক্ট করা না থাকে), ওকে প্রেস করুন।

6. কাজ শেষ Registry Editor ক্যানসেল করুন।



 
USB Port এনাবল করার নিয়ম:


1. Start মেনু থেকে Run এ ক্লিক করুন।

2. রান বক্সে regedit টাইপ করে OK করুন।

3. এই ঠিকানায় প্রবেশ করুন:
HKEY_LOCAL_MACHINE\SYSTEM\CurrentControlSet\Services\UsbStor

4. রাইট প্যান থেকে Start এ ডাবল ক্লিক করুন।

5. ভ্যালু ডাটা বক্সে 3 টাইপ করুন, Hexadecimal এ ক্লিক করুন (যদি এটা সিলেক্ট করা না থাকে), ওকে প্রেস করুন।

6. কাজ শেষ Registry Editor বন্ধ করুন।


নির্দিষ্ট সময় পর কম্পিউটার নিজে থেকে বন্ধ হবে

Auto Shutdown
অনেক সময় আমাদের কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট সময়ে পর বন্ধ করার প্রয়োজন হয়ে উঠে। যেমন ধরুন আপনি ইন্টারনেট থেকে কিছু ডাউনলোড দিয়েছেন অথবা কম্পিউটার ভাইরাস স্ক্যান দিয়েছেন, যা ডাউনলোড বা স্ক্যান করতে ৩০ মিনিট সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু ২০ মিনিট সময় প্রর্যন্ত কম্পিউটারের কাছে থাকা আপনার পক্ষে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। অথবা আপনাকে জরুরী কোন কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে। এমতবস্থায় আপনি ইচ্ছে করলে আপনার কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ করার জন্য  সময় নির্ধারন করে চলে যেতে পারেন, যাতে করে কম্পিউটারটি  নিজে থেকে নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ হয়ে যায়।





এই কাজটি করার জন্য অনেকেই নানান ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই ট্রিকসটির মাধ্যমে কোন সফটওয়্যার ছাড়াই খুব সহজেই কম্পিউটার Shutdown অথবা Restart করতে পারবেন।


সেটিংসটি করার জন্য নিচের ধাপগুলো লক্ষ্য করুন।

১) Desktop এর খালি যায়গায Right click 

২) New থেকে Shortcut click করুন।

৩) Text box এ SHUTDOWN.EXE -s -t  20 করুন।

৪) Next>Finish click করুন।


Desktop এ দেখুন Shutdown.exe নামে একটি আইকন তৈরী হয়েছে। আইকনটিতে ডাবল ক্লিক করে দেখুন System Shutdown নামে একটি Box দেখা যাচ্ছে এবং ২০ সেকেন্ড পর সাথে সাথে আপনার কম্পিউটারটি Shutdown হয়ে যাবে। উলেখ্য যে, আপনি ২০ সেকেন্ড এর বেশি সময় নির্ধারন করতে চাইলে SHUTDOWN -s –t এর পরে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টাইম সেট করতে পারবেন। যেমন 30 মিনিটের জন্য 1800 second টাইপ করে দিতে পারেন।

Restart করার জন্য SHUTDOWN.EXE -r -t 30   টাইপ করে দিলেই নির্দিষ্ট সময়েকম্পিউটার Restart হবে।


কম্পিউটার কুলিং সিস্টেম

কম্পিউটার কে তার কার্যকার তাপমাত্রায় রাখতে হলে, কম্পিউটার চলার সময় যে অতিরিক্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হয় তা বের করে দেয়া খুবই জরুরি। এতে  কম্পিউটারের আয়ুস্কাল যেমন বাড়বে, তেমনি ভাবে কম্পিউটার এর কাজ করার ক্ষমতাও বাড়বে। কম্পিউটারের মধ্যে যে তাপ উৎপন্ন হয়, তা বের করে দেয়ার জন্য কম্পিউটারের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম আছে, যাকে স্টক কুলিং সিস্টেম বলা হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, আমরা আমাদের কম্পিউটার কে যখন খুব বেশি লোড দেই, তখন কম্পিউটার এর নিজস্ব স্টক কুলিং সিস্টেম কম্পিউটার কে সম্পূর্ন ভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। এর জন্য স্টক কুলিং সিস্টেম এর বাহিরেও আরো বিভিন্ন ধরনের কুলিং সিস্টেমের দরকার হয়।

কম্পিউটারের মধ্যে সাধারনত, প্রসেসর, চিপসেট, গ্রাফিক্স কার্ড, RAM ও  হার্ড ডিস্ক, এগুলোই তাপ উৎপন্ন করে থাকে। বর্তমানে বেশির ভাগ কম্পিউটারের বায়োসে এমন একটি প্রোগ্রাম দেওয়া থাকে, যার কাজ হচ্ছে, কম্পিউটার এর তাপমাত্রা বেড়ে যেতে লাগলেই তা কম্পিউটার ইউজার কে অ্যালার্ম দিয়ে জানিয়ে দেয়।

কম্পিউটারে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয় যে যে কারনে

১) আমাদের কম্পিউটার এ যে সমস্ত কম্পনেন্ট গুলো তাপ উৎপন্ন করে, সেগুলোর সাথে সাধারনত হিট সিঙ্ক লাগানো থাকে।আবার যে সমস্ত হার্ডওয়্যার গুলো খুব বেশি তাপ উৎপন্ন করে, তাদের হিট সিঙ্ক এর সাথে ফ্যানও লাগানো থাকে। এখন, কোন কারনে যদি হিট সিঙ্ক এ ধুলো বালি জমে যায়, অথবা ধুলো-বালির জন্য হিট সিঙ্ক এ লাগানো ফ্যান টি ভালো ভাবে না ঘুরতে পারে, তবে কম্পনেন্ট গুলো থেকে তাপ সম্পূর্ন ভাবে বের হয়ে যেতে পারে না। এর ফলে অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন।

২) অনেক সময়, আমরা আমাদের কম্পিউটার এর কেস টাকে এমন জায়গায় রাখি, যেখানে সঠিক পরিমান ঠান্ডা বাতাস চলাচল করতে পারে না। আবার অনেক সময় কম দামি কম্পিউটার কেস এর জন্যও বাতাস চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৩) আবার অনেক সময় আমরা, আমাদের কম্পিউটার এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার কে ওভারক্লকিং করে থাকি। ওভারক্লকিং এর জন্যও কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।
৪) এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারনে কম্পিউটার গরম হতে পারে।


ক্ষতিরোধকঃ

মাত্রাতিরিক্ত গরমের জন্য যেন কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার এর কোন ধরনের ক্ষতি না হয়, এ জন্য বিভিন্ন কম্পনেন্টের সাথে কিছু বিশেষ ধরনের যন্ত্র লাগানো থাকে, যাকে বলা হয়ে থাকে, থার্মাল সেন্সর। এদের কাজ হল, যখন কম্পিউটার এর কোন হার্ডওয়্যার তার কার্যকর তাপমাত্রার থেকে বেশি গরম হয়ে যায়, তখনই সেই হার্ডওয়্যার টিকে বন্ধ করে দেয়া, অথবা ইউজার কে জানানো যে, এই হার্ডওয়্যার টি গরম হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান কম্পিউটার প্রসেসর গুলোতে এই ধরনের থার্মাল সেন্সর লাগানো থাকে।


কম্পিউটার কুলিং এর কিছু পদ্ধতিঃ


এয়ার কুলিং

এই পদ্ধতিতে বাতাসের মাধ্যমে কম্পিউটার কে ঠান্ডা করা হয়ে থাকে। সাধারনত আমরা কম্পিউটারে যে ফ্যান গুলো ব্যাবহার করি সে গুলো বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস কম্পিউটার এর কেস এর মধ্যে প্রবেশ করায় এবং কেস থেকে গরম বাতাস গুলো কম্পিউটার কেস এর এয়ার চ্যানেল দিয়ে বাইরে বের করে দেয়।
এয়ার কুলিং পদ্ধতির জন্য আমরা বিভিন্ন সাইজের ফ্যান ব্যবহার করে থাকি যেমন; ৪০, ৬০, ৮০, ৯২, ১২০ এবং ১৪০ মিলিমিটার। তবে বর্তমানে, কিছু কিছু কম্পিউটার কেস এ ২০০ মিলিমিটার এর ফ্যান ব্যবহৃত হচ্ছে।





ডেক্সটপ এর ক্ষেত্রেঃ 


আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এ সাধারনত দুইটি ফ্যান থাকে, এর একটি পাওয়ার সাপ্লাই এর সাথে এবং একটি থাকে কম্পিউটার কেস এর পেছন দিকে। সাধারনত প্রায় সকল নির্মাতারা (হার্ডওয়্যার নির্মাতা) যেটা রেকমেন্ড করেন, তা হচ্ছে, কম্পিউটার কেস এর সামনের নিচের দিকে একটি যথেষ্ট বড় কুলিং ফ্যান। এবং কেস এর উপর দিকে এয়ার ভেন্টিলেশন সিস্টেম, যার মাধ্যমে, সামনে ফ্যান টি ঠান্ডা বাতাস নিয়ে ভেতর থেকে গরম বাতাস কে কেস এর উপর দিয়ে বের করে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। কিছু কিছু কম্পিউটার কেস এ দুটি ফ্যান থাকে। যার একটি কেস এর সামনে এবং একটি পেছনে। এখন যদি সামনের ফ্যান টি যেই ভলিউম এর ঠান্ডা বাতাস কেস এর মধ্যে প্রবেশ করাচ্ছে, সেই হারে পেছনের ফ্যান টি যদি ভেতরের গরম বাতাস না বের করে দিতে পারে, তবে কম্পিউটার কেস এর মধ্যে বাতাসের চাপের তারতম্য ঘটতে পারে। একে বলা হয়ে থাকে পজিটিভ এয়ার ফ্লো। কিছু কিছু সময় সামান্য পরিমানের পজিটিভ এয়ার ফ্লো কম্পিউটার কেস এ বাইরে থেকে ধুলো বালি ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু যদি এর বিপরীত ঘটনা ঘটে, যাদি নেগেটিভ এয়ার ফ্লো (যদি পেছনের ফ্যান টি যেই ভলিউম এ গরম বাতাস কেস এর মধ্যে থেকে বের করাচ্ছে, সেই হারে সামনের ফ্যান টি যদি ভেতরে ঠান্ডা বাতাস না প্রবেশ করাতে পারে) হয়ে যায়, তবে কম্পিউটার এর অপটিক্যাল ড্রাইভ গুলো তে বেশ কিছু সমস্যা সহ ধুলো বালি কম্পিউটার কেস এ ঢুকতে পারে।



সার্ভার এর ক্ষেত্রেঃ


আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এর কুলিং সিস্টেম আর একটি সার্ভারের কুলিং সিস্টেম এর মধ্যে এক বিশাল পার্থক্য দেখা যায়। ধরুন,  ডেক্সটপ টি অতিরিক্ত গরমে বন্ধ হয়ে গেল। কোন ঝামেলা নেই, কিন্তু হঠাৎ করে কথা নেই বার্তা নেই, আপনার সার্ভার টি যদি বন্ধ হয়ে যায় ? অথবা আপনার সার্ভারটির যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায় ? এ সমস্ত বিষয় কে মাথা তে রেখে, সার্ভার এর কুলিং সিস্টেম টিকে তৈরী করা হয়েছে।
সার্ভার কে ঠান্ডা রাখার জন্য বাতাস কে সামনে থেকে টেনে এনে সার্ভার এর পেছন দিয়ে বের করে দেয়া হয়। আবার অনেক সময় সার্ভারের জন্য ব্লেড কেস ও ব্যবহৃত হয়। এর পেছনে মূল কারন থাকে, যখন সার্ভারের বিভিন্ন কম্পনেন্ট এর মাধ্যমে সার্ভার ভেতরে গরম হয়ে যায়, সে সময় গরম বাতাস উপরের দিকে উঠে যায়, এবং বাহির থেকে ঠান্ডা বাতাস সার্ভারের ভেতরে প্রবেশ করে। এটা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এবং এভাবে কাঙ্ক্ষিত এয়ার ফ্লো পাওয়া সম্ভব। এবং বর্তমানের প্রায় সকল সার্ভার নির্মাতারাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।



ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রেঃ


কুলিং সিস্টেম কে সবচাইতে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ল্যাপটপ কুলিং সিস্টেম। কেননা ল্যাপটপ যতবেশি ক্ষমতা সমপন্ন করা হবে, তাতে হিট জেনারেশন ততটাই বেশি হবে। কিন্তু এখানে আবার দুটো সমস্যা আছে। ল্যাপটপ এর আকার এবং এক ওজন। কম্পিউটার থেকে হিট বের করে দিতে হলে, তাতে যেমন ফ্যান এবং হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে সে পরিমান (সেই সাইজের) ফ্যান এবং হিট সিঙ্ক ব্যবহার করার জায়গা থাকে না। আবার যদি বড় মাপের হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, তবে ল্যাপটপ এর ওজন ও আকার বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে বর্তমান  প্রসেসর গুলো লো পাওয়ার কম্পোনেন্ট। এই হার্ডওয়্যার গুলো তাদের সকল ক্ষমতা অপরিবর্তিত রেখেই খুব কম পাওয়ার এ চলার উপযোগী করে তৈরি করা। বর্তমানে ল্যাপটপ গুলিতে এক্সটারনাল কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।



BIOS Password ভুলে গেলে আপনার করণীয়

বায়োস পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে অনাক্ষাংখীত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারি। বায়োসে দুই ধরনের পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এক ধরনের পাসওয়ার্ড হল পাওয়ার অন করার পর পাসওয়ার্ড চাইবে, সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে ব্যার্থ হলে কম্পিউটার চালু হবে না। এবং অন্য ধরনের পাসওয়ার্ড হল কম্পিউটার অন হবে কিন্তু বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারী বায়োস পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাই কম্পিউটার অন করতে পারছেন না। অথবা কারো কাছ থেকে ব্যবহৃত কম্পিউটার কিনেছেন বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড চাইছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করার প্রয়োজন হয়। নিচের তিন পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১) বায়োস ব্যাটারী খুলে:

মাদারবোর্ডে একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন একটা চ্যাপ্টা ব্যাটারী লাগানো আছে। সাবধানে ব্যাটারীটি খুলে ফেলুন(অবশ্যই কম্পিউটার বন্ধ অবস্থায়)। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ব্যাটারীটি লাগিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাওয়ার কথা। তবে কিছু মাদারবোর্ডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় পাওয়ার ব্যাকআপ রাখার জন্য। এই ধরনের মাদারবোর্ডে ১০/১৫ মিনিটে কাজ হবে না। অন্তত ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যাটারীটি খুলে রাখুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। কিছু কিছু মাদারবোর্ডে ব্যাটারীটি সোল্ডার করা থাকে। এক্ষেত্রে সোল্ডারিংয়ের অভীজ্ঞতা না থাকলে অভীজ্ঞ কাউকে দিয়ে ব্যাটারীটি খুলিয়ে নিন। শেষ কথা হল, আধুনিক কিছু কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ করে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ব্যাটারী খুলে কাজ হয় না। এই ধরনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন।

২) জাম্পার অথবা DIP সুইচ এর মাধ্যমে:

অনেক মাদারবোর্ডে জাম্পার অথবা ডিপ সুইচের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করার ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে জাম্পার বা ডিপ সুইচের পাশে লেখা থাকে কোন ধরনের সেটিংস দিতে হবে। মাদারবোর্ডে লেখা না থাকলে মাদারবোর্ডের সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়ে অথবা মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে ও জেনে নিতে পারেন। অধিকাংশ ম্যানুফেকচারার এরই CLR, CLEAR, CLEAR CMOS, ইত্যাদি দ্বারা লেভেল করে থাকে। জাম্পার খুজে পেলে সাবধানে এবং ভাল ভাবে খেয়াল করে দেখুন জাম্পারটি  ৩ পিন বিশিষ্ট একটা সেটের মাঝের পিনের সাথে অন্য ডানের বা বামের পিনের সাথে কানেক্ট করা। আপনাকে যা করতে হবে জাম্পারটি খুলে নিয়ে ঠিক মাঝের পিনের সাথে বিপরীত পিন কানেক্ট করিয়ে দিন।যেমন ১ ২ ৩ টি পিন হয়, এবং প্রথমে যদি ১ ২ কানেক্টেড থাকে পরে খুলে আপনাকে ২ ৩ কানেক্ট করিয়ে দিতে হবে। এখন কিচুক্ষন(মিনিট খানেক) অপেক্ষা করুন। তারপর  আবার আগের মত লাগিয়ে দিন। তবে অবশ্যই খেয়াল করবেন যে কম্পিউটার খোলার পুর্বে এবং জাম্পার পরিবর্তনের সময় যেন কম্পিউটারের পাওয়ায় সাপ্লাই ইউনিট বন্ধ থাকে।


৩) MS DOS কমান্ড ব্যবাহার করেঃ

 এই পদ্ধতি কাজ করবে তখনই যখন আপনার সিষ্টেম চালু থাকবে, কারন এটা কাজ করতে হয় MS DOS এ। কমান্ড প্রম্পট ওপেন করুন ষ্টার্ট করুন START>>RUN>>cmd>>Enter। তারপর একে একে নিচের কমান্ড গুলো দিন।

debug
o 70 2E
o 71 FF
quit
 


লক্ষ্য করুনঃ এখানে প্রথম লেটারটি ইংরেজি o (ও) কেউ ভুলেও এটাকে অংক শূন্য মনে করবেন না। উপরের কমান্ড গুলো দেবার পরে আপনার সিষ্টেম রিষ্টার্ট করুন। কারন এই কমান্ডগুলো আপনার সিমোস সেটিং রিসেট করবে, সাথে পাশওয়ার্ড ও।

৪) গোপন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে:

অনেক বায়োস প্রস্তুতকারী কোম্পানী তাদের বায়োসে কিছু গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে বাইপাস করে চলে যাওয়া যায়। নিচে এধরনের একটা তালিকা দেওয়া হল।

Award BIOS এর জন্য:

ALFAROME, BIOSTAR, KDD, ZAAADA, ALLy, CONCAT, Lkwpeter, ZBAAACA, aLLy, CONDO, LKWPETER, ZJAAADC, aLLY, Condo, PINT, 01322222, ALLY, d8on, pint, 589589, aPAf, djonet, SER, 589721, _award, HLT, SKY_FOX, 595595, AWARD_SW, J64, SYXZ, 598598, AWARD?SW, J256, syxz, AWARD SW, J262, shift + syxz, AWARD PW, j332, TTPTHA, AWKWARD, j322, awkward ইত্যাদি।

AMI BIOS এর জন্য:

AMI, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI_SW, LKWPETER, CONDO ইত্যাদি।


Phoenix BIOS এর জন্য:

phoenix, PHOENIX, CMOS, BIOS ইত্যাদি।


কিছু কমন পাসওয়ার্ড:

ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj ইত্যাদি।


অন্যান্য কোম্পানীর BIOS Password:

কোম্পানী = = পাসওয়ার্ড
VOBIS & IBM = = merlin
Dell = = Dell
Biostar = = Biostar
Compaq = = Compaq
Enox = = xo11nE
Epox = = central
Freetech = = Posterie
IWill = = iwill
Jetway = = spooml
Packard Bell = = bell9
QDI = = QDI
Siemens = = SKY_FOX
TMC = = BIGO
Toshiba = = Toshiba
Toshiba = = BIOS

বেশিরভাগ Toshiba Laptop এবং কিছু Desktop এ বুট হওয়ার সময় কিবোর্ডের বাম পাশের Shift কী চেপে ধরে রাখলে ও বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।
কম্পিউটার বুট হবার সময় খুব দ্রুত মাউসের বাটন দুটি চাপতে থাকলে IBM Aptiva BIOS এর পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।

কম্পিউটার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট

সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই বা SMPS
কম্পিউটার এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই বা SMPS.
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর মূল কাজ হচ্ছে আমাদের ইলেট্রিক লাইন থেকে ইলেক্ট্রিসিটি সংগ্রহ করে তাকে কনভার্ট করা। আমাদের ইলেট্রিক এর লাইনে থাকে ২২০ থেকে ২৪০ ভোল্ট  এবং তা AC মোডে থাকে। আমাদের কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি এই ইলেট্রিকে ১২, ৬ এবং ৩.৩ ভোল্ট- DC, তে কনভার্ট করে।





 
ওয়াট = ভোল্টেজ x এম্পেয়ার (W= V x A)

সাধারনত সব ধরনের কম্পিউটার এর কাজের জন্য সব ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর দরকার হয় না। যেমন;
  • যে সমস্ত কম্পিউটার এ শুধু মাত্র টুক টাক কাজ করা হয়, (ইন্টারনেট সার্ফিং, মুভি দেখা, খুবি ছোট গেম খেলা, মাইক্রোসফট অফিস এ কাজ করা) তাদের জন্য ৩০০ ওয়াট এর একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট যথেষ্ট।
  • মাঝারি ধরনের একটি গেমিং কম্পিউটারের জন্য পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট হওয়া উচিত, ৫০০ থেকে ৮০০ ওয়াট এর।
  • হাই এন্ড কম্পিউটারের জন্য দরকার ৮০০ থেকে ১৪০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।
  • খুবি শক্তিশালি সার্ভার (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গেমিং সার্ভার) এর জন্য ২ কিলো ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট লাগতে পারে।

কার জন্য কত ওয়াট দরকারঃ
  • নরমাল এজিপি কার্ডঃ ২০ থেকে ৩০ ওয়াট।
  • পিসিআই কার্ডঃ ৫ ওয়াট
  • SCSI পিসিআই কার্ডঃ ২০ থেকে ২৫ ওয়াট।
  • ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভঃ ৫ ওয়াট
  • নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ডঃ ৪ ওয়াট
  • সিডি রম ড্রাইভঃ ১০ থেকে ২৫ ওয়াট।
  • র‍্যামঃ ১০ ওয়াট (প্রতি ১২৮ মেগাবাইটের জন্য)
  • ৫৪০০ আর পি এম হার্ড ড্রাইভঃ ৫ থেকে ১১ ওয়াট
  • ৭২০০ আর পি এম হার্ড ড্রাইভঃ ৫ থেকে ১৫ ওয়াট
  • মাদারবোর্ড (সিপিউ, র‍্যাম ছাড়া)ঃ ২০ থেকে ৩০ ওয়াট।

গঠনঃ

বেশির ভাগ এস.এম.পি.এস স্কোয়ার শেপ, মেটাল বক্সের মধ্যে থাকে। সাধারনত দৈর্ঘ ৮৬ মিলিমিটার; প্রস্থ ১৫০ মিলিমিটার; এবং উচ্চতা ১৪০ মিলিমিটার;

 কমবেশি সাত ধরনের কানেক্টর দেখাযায় এখনকার দিনের এ টি এক্স পাওয়ার সাপ্লাই এ। এগুলো হচ্ছে,

২৪ পিন এ টি এক্স (P1)  মাদারবোর্ড এ পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে। সবচাইতে বড় এই কানেক্টরটি তে মোট ২৪ টি পিন থাকে, আসুন দেখে নেই এই ২৪ টি পিনের কোনটি কি কাজ করে,

২৪ পিন কানেক্টর

টিপসঃ এস.এম.পি.এস কাজ করছে কি না, তা জানার জন্য, ২৪ পিন এ টি এক্স কানেক্টর টির সবুজ এবং কালো রঙ এর পিন দুটি কে সর্ট করে দিন। এবার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি চালু করে দেখুন, ফ্যান ঘুরছে ? ঘুরলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি কাজ করছে।

কানেক্টর


৪ পিন মোলেক্স (4 pin molex): কম্পিউটার এর বিভিন্ন পেরিফেরাল কে চালাবার জন্য এই ৪ পিন এর কানেক্টর টি ব্যবহার করা হয়। যেমন, হার্ড ড্রাইভ, সিডি / ডিভিডি রম ইত্যাদি। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, হলুদ রঙ এর তারে +১২ ভোল্ট, লালে +৫ ভোল্ট, এবং কালো হচ্ছে গ্রাউন্ড।

পিন এফ ডি ডি কানেক্টরঃ এই কানেক্টর টী শুধু মাত্র ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ এ পাওয়ার সাপ্লাই দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।একে অনেক সময়, মিনি মোলেক্স বলেও ডাকা হয়। এখানেও লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, হলুদ রঙ এর তারে +১২ ভোল্ট, লালে +৫ ভোল্ট, এবং কালো হচ্ছে গ্রাউন্ড।

৪ পিন, পি৪_১২ভোল্টঃ এই পিন্ টি এ টি এক্স পি এস ইউ এর নতুন সংযোজন।একে পি৪ পাওয়ার কানেক্টর বলেও ডাকা হয়। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর থেকে এর যাত্রা শুরু। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর এর জন্য আলাদা ভাবে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রদান করাই এর কাজ।

সিরিয়াল এ টি এ পাওয়ার কানেক্টরসঃ আমাদের কম্পিউটার এর সাটা হার্ড ড্রাইভ এবং সাতা সিডি/ ডিভিডি রমের জন্য একটি স্পেশাল ধরনের ১৫ পিনের পাওয়ার কানেক্টর। এই ১৫ পিনের মধ্যে, ৩.৩ , ৫ এবং ১২ ভোল্ট সাপ্লাই হয়।

৬ পিন পিসিআই এক্সপ্রেস পাওয়ার কানেক্টরঃ আধুনিক যুগের গ্রাফিক্স কার্ড গুলো যে অনেক বেশি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তাতো আমরা আগেই জেনে গেছি।আধুনিক বেশ কিছু গ্রাফিক্স কার্ড এর জন্য এই  ৬ পিন পিসিআই এক্সপ্রেস পাওয়ার কানেক্টর, যা গ্রাফিক্স কার্ড কে আলাদা ৭৫ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার দিতে সক্ষম।

৬ পিন আউক্স পাওয়ার কানেক্টরঃ এই পাওয়ার কানেক্টর টির, সাধারন কম্পিউটার এ তেমন একটা কাজে না লাগলেও বিভিন্ন ধরনের এক্সপেনশন কার্ড এ এই ধরনের পাওয়ার কানেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।



কিছু তথ্যঃ
  • আপনি জানেন কি, একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর গড় আয়ু কত ? খুব বেশি না, মাত্র ১ লক্ষ্য ঘন্টা বা ১১ বছর (প্রায়)। তবে এটা নির্ভর করে, আপনি আপনার কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর কিভাবে যত্ন নিচ্ছেন। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি কি বেশি গরম করে ফেলছেন ? ঠিক মতন এর গরম বাতাস যেন বের হয়ে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখছেন ? এর ফ্যানে যেন ধুলা বালি না জমে তা দেখছেন তো ? ইত্যাদি।
  • যে কম্পিউটার সিস্টেম এ ঠান্ডা বাতাস চলাচলের সব রকমের ব্যবস্থা আছে, সেই কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি ততো ভালো থাকে।
  • আধুনিক পাওয়ার সাপ্লাই গুলো এমন ভাবে তৈরী যে, আপনার কম্পিউটার কে সাট ডাউন করে রাখলেও আপনার কী বোর্ড এর কী বোর্ড পাওয়ার অন (Key Board Power ON – KBPO), Wake- On- LAN, Wake-On- Ring , পদ্ধতিতে চালু করে ফেলতে পারবেন।

 

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সম্পর্কে কিছু ধারনা

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
অফিস, কল-কারখানা, এমনকি বাড়ি প্রায় সব জায়গাতেই ইদানিং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দেখা যায়। সিসিটিভি স্থাপন করা এখন আর আগের মত ব্যয়বহুল এবং ঝামেলাপূর্ন নয়। চলুন এ সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক।









একটা সিসিটিভি সিস্টেম বসাতে মূলত যা যা প্রয়োজন হয় তা হল

 ১) একটি হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার

২)  কম্পিউটারে ক্যামেরা সংযোগের জন্য DVR কার্ড

৩)  প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যামেরা এবং কোএক্সিয়াল ক্যাবল।


কয়েক ধরনের ক্যামেরা পাওয়া যায় তবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন। যেমন:- কিছু ক্যামেরা শুধু ভিডিও রেকর্ড করতে পারে এবং কিছু ক্যামেরা ভিডিওর সাথে সাথে শব্দ ও রেকর্ড করতে পারে (এক্ষেত্রে DVR কার্ড ও সাউন্ড রেকর্ড করার উপযোগী হতে হবে) আবার কিছু ক্যামেরা আছে যা রাতের অন্ধকারে ও কাজ করে। এছাড়া ক্যামেরায় বিভিন্ন ধরনের লেন্স ও ব্যবহার করা যায়।

DVR কার্ড

কম্পিউটার কেনার সময় যে সমস্ত ডিভাইসগুলো দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে তা হল, প্রসেসর, RAM এবং হার্ডডিস্কের ক্যাপাসিটি। প্রসেসসর ডুয়াল কোর বা বেশি হলে ভাল হয়,  RAM কমপক্ষে ১ গিগাবাইট হতে হবে তবে ২ গিগাবাইট হলে ভাল আর যত বেশী ক্যাপাসিটির হার্ডডিস্ক লাগাবেন তত বেশী ভিডিও সার্ভারে ব্যাকআপ থাকবে। সাধারন ৫০০ গিগাবাইট থেকে ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক লাগানো হয়। সিসিটিভি সিস্টেম কনফিগার করা খুব জটিল কোন কাজ না। DVR কার্ড ড্রাইভার ইনষ্টল করা অন্যসব ডিভাইসের মতই। আর সিসিটিভি সফটওয়্যারটার সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়লেই এটা কনফিগারের ধারনা পেয়ে যাবেন। প্রোগ্রাম সেটাপের সময় অবশ্যই মনিটরের রেজ্যুলেশনের বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। রেজ্যুলেশন ১০২৪X৭৬৮ হলে ভাল হয় অন্যথায় অনেক সময় ডিসপ্লে করবে না। মজার ব্যাপার হল, যে কম্পিউটারটি  সার্ভার হিসাবে ব্যবহার করবেন তা থেকে ঐ নেটওয়ার্কে অবস্থিত সবাই এটি দেখতে পারবে। আর আপনার সার্ভার মেশিন এর আইপি যদি রিয়েল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে আপনি দেখতে পারবেন আপনার বাড়ি বা অফিসের কার্যক্রম।


ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেটওয়ার্ক


মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে ভালো মানের ছবি তুলবেন

অনেকেরই ধারণা যে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি তোলা সম্ভব না, কিন্তু আসলে ধারণাটি ভুল। ছবি তুলতে হলে যে শুধু ৮-১০ মেগাপিক্সেল ক্যমেরা লাগবে এই ধারণাটিও ভুল। মোটামুটি ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাই যথেষ্ট আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য । আজ কাল প্রত্যেক মোবাইলেই ক্যামেরা থাকে, এই ক্যামেরা ব্যবহার করেও ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব, তবে তার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চল্লেই হল. 

১.লাইটঃ

ছবির ক্ষেত্রে লাইটটাই বেশি দরকারি। ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আলোর যথাযথ প্রভাব থাকে, মোবাইলে ভালো ফ্ল্যাশ থাকলে আর এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। যদি ফ্ল্যাশ না থাকে তবে অবশ্যই আলোর দিকে বেশি খেয়াল করতে হবে। আলোটাই মুলতঃ ছবির প্রাণ। তাই বলে অন্ধকারের ছবি তুলতে গিয়েও কিন্তু আলো ব্যবহার করবেন না!!


২.জুমের ব্যবহারঃ

জুম যত কম ব্যবহার করা যায় ততই কম ব্যবহার করুন। জুম করলে ছবির কোয়ালিটি নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে যদি তা হয় ডিজিটাল জুম। যদি জুম করার প্রয়োজন হয় তবে কাছে গিয়ে ছবি তুলুন, আর যদি কাছে যাওয়া সম্ভবপর না হয় তবে জুম ছাড়া ছবি যেমন উঠে তাই ভাল। তবে যাদের অপটিকাল জুম আছে তাদের কথা আলাদা, অপটিকাল জুম যত এক্স পর্যন্ত আছে সর্বোচ্চ ততই ব্যবহার করুন, অবশ্যই খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।

৩.ক্যমেরা ভাল করে ধরাঃ

ছবি তোলার সময় অবশ্যই ক্যামেরাটিকে (বা ক্যামেরা মোবাইলটিকে) ভালো করে ধরতে হবে যাতে ছবি ব্লারি বা ঘোলা না অঠে, আর এজন্য মোবাইলকে নাড়াচাড়া করানো যাবেনা। ভালো করে ধরে ছবি তুলতে হবে। আর নিজের নড়াচড়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৪.ক্যামেরার লেন্সঃ

লেন্সের প্রতি যত্নবান হতে হবে। লেন্সে ঘোলা হয়ে গেলে ব্লারি বা ঘোলা ছবি ওঠা সাধারণ ব্যাপার। লেন্সকে সবসময় পাতলা শুকনো কাপড় বা পাতলা টিস্যু দিয়ে আস্তে করে মোছা উচিত, তাই বলে কেউ জোরে ঘসবেন না, এতে লেন্স ভালো হঊয়া তো দূর নষ্টও হয়ে যেতে পারে। লেন্সে যাতে কখোনোই জল না লাগে।

৫.লক্ষ্যবস্তুর কাছে যানঃ

জুম থাক বা না থাক ভালো ছবি তুলতে হলে যতটুকু পারা যায় লক্ষ্যবস্তুর কাছে থাকুন, এতে ভালো কোয়ালিটির ছবি পাবেন। তাই বলে কেউ বিপদজনক কোন কিছুর ছবি তুলতে কাছে যাবে না!

৬.ছবিতে ইফেক্ট ব্যবহারঃ

প্রায় সব মোবাইলেই বিল্ট-ইন ইফেক্ট রয়েছে, তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন যদি মোটামুটি জানেন তবে মোবাইলেরর বিল্ট ইন ইফেক্ট না দেয়াই ভালো। নরমাল ভাবে ছবি তুলে পরে সেটা কম্পিউটারে এডিট করে নিলেই হবে।

৭.অভিজ্ঞ হয়ে উঠুনঃ

মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে যেহেতু খরচ হয় না তাই যত পারবেন ছবি তুলুন, বেশি বেশি ছবি তুলে নিজেকে অভিজ্ঞ বানিয়ে তুলুন। তবে যেভাবে মন চায় সেভাবে না, সকল নিয়ম মেনে ছবি তুলুন।

৮.রেজুলূশনঃ

অনেক মোবাইলেই আপনাকে রেজুলূশন চয়েজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইলে থাকা সর্বোচ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করাই ভালো। রেজুলেশন ভালো থাকলে ছবি ভালো হয় এবং হাই কোয়ালিটির হয়, বিশেষ করে যদি আপনি পরে ছবি প্রিন্ট করতে চান তাহলে ভালো রেজুলূশনের ছবি না হলে চলবে না। যদিও রেজুলূশনের ওপর ভিত্তি করে ছবির সাইজ বড় হয় তবুও রেজুলূশন বেশি দিয়ে ছবি তোলাই ভালো, সাইজের বা মেমরির চিন্তা করলে আর ভালো ছবি তোলা লাগবে না!

৯.পিকচার ফ্রেম ব্যবহারঃ

মোবাইলে পিকচার ফ্রেম একটি সাধারণ ফিচার, প্রায় সব মোবাইলেই এই ফিচার আছে। কিন্তু মোবাইলের পিকচার ফ্রেম আপনার ছবির কোয়ালিটি ১০০% থেকে কমিয়ে ২০% এ নিয়ে আসবে, সুতরাং পিকচার ফ্রেম ব্যবহার বাদ দিতে হবে।

১০.ছবি তোলার বিষয় নির্বাচনঃ

বিষয় নির্বাচন ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ছবি তোলার বিষয় বস্তু ভালো হতে হবে। নিজেই নিজের ছবি তোলা ভালো বিষয় বস্তু না। চেষ্টা করবেন প্রকৃ্তির ছবি তুলতে বা বৈচিত্রময় কিছুর ছবি তুলতে, এতে ছবি তোলার প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং একই সাথে ছবি তুলে মজাও পাবেন আপনি। নিজের ছবি যদি তুলতে চান তবে নিজে না তুলে অন্য কাউকে দিয়ে তোলান, যদি সম্ভব না হয় তবে সতর্কতার সাথে নিজেই তুলুন। কোন বিষয়ের শুধু একটি ছবি না তুলে একাধিক ছবি তুলুন, এতে ভালো শট পাবার সম্ভাবনা থাকে।



পেন ড্রাইভ থেকে ইন্সটল করুন উইন্ডোজ সেভেন অথবা এক্সপি

যাদের CD ROM নষ্ট কিংবা যারা নোটবুক ব্যাবহার করেন তারা উইন্ডোজ ইন্সটল করতে সমস্যায় পড়েন । অনেক সময় এক্সট্রারনাল CD ROM ব্যাবহার করে এই কাজটি করতে হয়, কিন্তু এক্সটারনাল CD ROM তেমন বেশি সহজলভ্য না ,তাই অনেকের জন্য পেনড্রাইভ শেষ ভরসা। তাহলে, আসুন জেনেনি কিভাবে পেনড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ইন্সটল করতে হয়।





ইন্সটল করতে যা যা লাগবেঃ

১.উইন্ডোজ সেভেন অথবা উইন্ডোজ এক্সপির CD/DVD.
২. কমপক্ষে ৪ জিবি পেনড্রাইভ।


এবার নিচের ধাপগুলো হুবহু অনুসরণ করুনঃ

১.প্রথমে আপনার পেনড্রাইভটি ফরম্যাট করে নিন।

২. তারপর, নিচের লিঙ্ক থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
http://wintoflash.com/download/en/

৩. এরপর ফোল্ডারটি টি unzip করে ফোল্ডারটি ওপেন করুন। তারপর, WinToFlash.exe নামক ফাইলটি ডাবল ক্লিক করে সফটওয়্যারটি রান করুন এবং Advanced mode টি সিলেক্ট করুন।

৪. এরপর Task অপশন থেকে যদি windows XP ইন্সটল করতে চান তাহলে, Transfer Windows XP/2003 setup to USB drive, আর যদি Windows 7 কিংবা windows vista ইন্সটল করতে চান, Transfer Windows vista/2008/7/8 setup to USB drive সিলেক্ট করে Run এ ক্লিক করুন ।

৫. এরপর Windows source path আর ঘরে, আপনার CD/DVD ড্রাইভটি এবং
USB drive আর ঘরে, আপনার পেনড্রাইভটি দেখিয়ে দিন।


৬. Run এ ক্লিক করুন ।

৭..I Accepted the terms of the license agreement, সিলেক্ট করে Continue ক্লিক করুন।

৮. একটা warning উইন্ডো আসবে, এরপর ok করুন, এরপর ট্রান্সফার শেষে হলে finished বাটনে ok করুন।
ব্যাস , আপনার কাজ শেষ, এখন এই পেন ড্রাইভ দিয়ে ইন্সটল করুন উইন্ডোজ /এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম।

হার্ডড্রাইভ থেকে পুরোপুরি মুছে যাওয়া ফাইলকে রিকভার করুন

কি ভাবে ফাইল রিকভার করবেন

১. যখনি দেখবেন আপনার ড্রাইভ  থেকে কোন ফাইল পারমানেন্টলি ডিলেট হয়ে গেছে, তবে সেই পার্টিশনটির সামান্যতম মডিফাই করবেন না. সেই পার্টিশনটি থেকে কোন অন্য ফাইল ডিলেট অথবা কপি করবেননা. এতে করে আপনার ডিলেট হয়ে যাওয়া ফাইল গুলো overwrite হয়ে যেতে পারে, যার ফলে আপনার ফাইল ফিরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

২. এবার Cnet থেকে Pandora recovery ডাউনলোড করে নিন. তারপর  ডাউনলোড হওয়া ফাইলটি রান করুন. এটিই ৩.৪ মেগাবাইটের মেইন ফাইলটি ডাউনলোড করে নিবে।

৩. Pandora Recovery launch করুন।

৪. Next বাটন ক্লিক করুন।

৫. যেহেতু ফাইলটি পুরোপুরি ডিলিট হয়ে গেছে, তাই “No, I did not find my files” click করুন।

৬. যেই পার্টিশন থেকে ফাইলগুলো ডিলিট হয়েছে, সেই পার্টিশনটি সিলেক্ট করে Next ক্লিক করুন।

৭. “Browse” সিলেক্ট করে Next button click করুন।

৮. বাম দিকের প্যানেল  থেকে যেই ড্রাইভ থেকে ফাইল ডিলেট হয়েছে, তা ক্লিক করুন। স্ক্যান করার পরে দেখতে পারবেন আপনার ডিলিট হয়ে যাওয়া ফাইল-ফোল্ডার গুলো। এবার ব্রাউজ করে আপনার মুছে যাওয়া ফাইলটি বের করুন।

৯. এবার আপনার মুছে যাওয়া ফাইলের উপর Right Click করে Recover to তে ক্লিক করুন।

১০. এবার “To this folder (click Browse to choose existing folder of choose folder from the list):” এ ক্লিক করে অন্য পার্টিশন বা USB Drive এর লোকেশন সিলেক্ট করুন। ভুলেও যেই পার্টিশন থেকে ফাইল ডিলেট হয়েছে, সেই পার্টিশনের লোকেশন সিলেক্ট করবেননা। এতে আপনার বাকি unrecovered ডাটা ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এবার close ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন আপনার recovered ডাটা।


যদি ড্রাইভের কোন পরিবর্তন না করেন, তাহলে “% overwritten” এ সবই 0% শো করবে। কিন্তু মডিফাই করলে অনেক ডাটাই 100% overwritten হয়ে যেতে পারে।

পেন ড্রাইভের এর আইকন পরিবর্তন করুন

 যদি আপনি আপনার রিমুভেবল ডিস্ক যেমনঃ পেন ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি এর আইকন পরিবর্তন করতে চান অর্থাত ইউ. এস. বি.  পোর্টে, পেন ড্রাইভ ঢোকানোর পর My Computer খুললে, পেন ড্রাইভের যে আইকন টি দেখা যায়। চলুন এবার  দেখা যাক কিভাবে রিমুভেবল ডিস্ক এর আইকন( পেন ড্রাইভের আইকন ) পরিবর্তন করা যায়।

সাধারনত আমরা যখন রিমুভেবল ডিস্ক (পেন ড্রাইভ , ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি) আমাদের কম্পিউটার এর ইউ.এস.বি পোর্ট এ সংযুক্ত করি তখন এরকম আইকন টি দেখি;

আপনি ছোট্ট দুটি ধাপে আপনার রিমুভেবল ডিস্ক এর আইকন পরিবর্তন করে দিতে পারবেন।

ধাপ গুল :

১। প্রথমেই একটি আইকন নির্বাচন করুন (ডাউনলোড করে নিতে পারেন আবার আপনার ছবি কে ১২৮x১২৮ পিক্সেল এ সাইজ করে নিতে পারেন। তবে লক্ষ রাখতে হবে, তা যেন অবশ্যই .ico ফরম্যাট এ থাকে। ধরুন আইকন ফাইল টির নাম, PIC.ICO),

এবার নোট প্যাড খুলে নিচের কমান্ড গুলো লিখে ফেলুন;

[autorun]
label= YourName
Icon=PIC.ICO

২। কমান্ড লেখা টেক্সট ফাইল টিকে সেভ করুন, autorun.inf  নামে। এবার, আইকন ফাইল (এ ক্ষেত্রে PIC.ICO) এবং autorun.inf ফাইল, এই দুটি কপি করে পেস্ট করে দিন আপনার রিমুভেবল ডিস্কএর মধ্যে।
কি কিছুই হয় নি ? একবার আপনার রিমুভেবল ডিস্কটিকে কম্পিউটার থেকে আনপ্লাগ করে আবার প্লাগ ইন করুন.

গুগল ট্রান্সলেটরের সাহায্যে বাংলায় অনুবাদ করুন

এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কোন লেখা অনুবাদ করার জন্য অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোগ্রাম হলো গুগল ট্রান্সলেটর। বিশ্বের ৫৮ ভাষায় এতদিন এই  ট্রান্সলেশন সুবিধাটি উপভোগ করা যেত। এখন তালিকায় আরোও পাঁচটি ভাষা যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো বাংলা, গুজরাটি, কান্নাডা, তামিল এবং তেলুগু। গুগলের রিসার্স সায়িন্টিস্ট আশিস ভেনুগোপাল এই তথ্য জানিয়েছেন।
অনলাইনের সবচেয়ে বড় এ অনুবাদ প্রোগ্রামটিতে বাংলা যুক্ত হওয়ায় আমরাও এখন যেকোন ভাষা (যেগুলোতে গুগল ট্রান্সলেটর সাপোর্ট করে) থেকে বাংলায় যেমন অনুবাদ করা যাবে তেমনি বাংলা থেকেও অন্যান্য ভাষায় যেকোন লেখা অনুবাদ করা যাবে।
ইংরেজি থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের এ পাঁচটি ভাষার নানা দিক থেকে পার্থ্যক্য রয়েছে। এগুলোতে সাবজেক্ট, ভার্ব এবং অবজেক্টের নিয়ম মেনে খুব কমই বাক্য গঠিত হয়। কিন্তু ইংরেজি বাক্য গঠনে অবশ্যই সাবজেক্ট-ভার্ব এবং অবজেক্ট সূত্র মানা হয়। অর্থ্যাৎ ইংরেজি বাক্য যেভাবে গঠিত হয় বাংলা ভাষার বাক্য গঠন কোনভাবেই তার ধার ধারেনা, এর নিজস্ব বাক্য গঠন রীতি রয়েছে। দুটি ভাষার এই পার্থ্যক্যের কারণে এর অনুবাদ প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। শব্দার্থকে আমরা বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করে দেখছি কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত হয়।


গুগলের বর্তমান অনুবাদ প্রোগ্রামটিতে  বাংলায় বেশকিছু সমস্যা রয়েছে, ইংরেজি বা অন্য ভাষা থেকে বাক্যের সঠিক অনুবাদ করতে পারছে না প্রোগ্রামটি।  বেশকিছু আর্টিকেল ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদের চেষ্টা করলাম, অধিকাংশ লাইন ই এখনও সঠিকভাবে আসছে না। সাবজেক্ট-ভার্ব-অবজেক্ট হিসাবে শাব্দিক বাংলা বাক্য আসছে অনুবাদে। তবে এগুলোতে এখই আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে সঠিক অনুবাদটি। আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানেই আসবে বাংলা অনুবাদের চূড়ান্ত সংস্করণ। গুগলও অবশ্য তেমনটিই জানিয়েছে, ‘আমরা ভুল থেকে শিখতে চাই। আমাদের ভুলগুলো ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে জানতে চাই এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ীই শুধরে নিতে চাই।

যেভাবে অনুবাদ করবেন
 প্রথমে গুগল ট্রান্সলেটরের হোমপেইজে যেতে হবে। যে ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে চান সে ভাষাটি এবার হোমপেইজের গুগল ট্রান্সলেটর লগোর নিচে From লেখা বক্স থেকে নির্বাচন করে নিন। আমি English নির্বাচন করুন।
এবার To লেখা বক্স থেকে বাংলা নির্বাচন করুন।

এবার যে লেখাটি অনুবাদ করতে চান সেটি নিচের বক্সে লিখুন। এবং Translate বাটনটি ক্লিক করুন। পার্শ্বেই বাংলা অনুবাদটি চলে আসবে।
 

ইন্টেল তৈরী করলো সৌরশক্তি চালিত প্রসেসর

অতি সাম্প্রতিক বিশ্বের অন্যতম মাইক্রোপ্রসেসর নির্মাতা ইন্টেল তাদের নতুন রিসার্চ এর ফলাফল ঘোষণা করেছে। আর বরাবরের মতনই বিশ্ব কাপিয়ে দিয়েছেন তারা। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০১১ এ অনুষ্ঠিত, ইন্টেল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এ তারা একটি বিশেষ ধরনের প্রসেসর কথা বলে যা সৌরশক্তি দ্বারা চালিত, যা চলার জন্য মাত্র ১০ মিলিওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে এবং যা সোলার প্যানেল দিয়ে চলবে।

ইন্টেল এর এই আল্ট্রা লো পাওয়ারড প্রসেসর টির নাম দিয়েছেন, Claremont। প্রসেসর টি আগে কার দিনের সকেট ৭ এর পেন্টিয়াম ডিজাইন এ করা। আসলে এটাকে সকেট ৭ এ করা হলেও এঁকে এমন ভাবে মডিফাই করা হয়েছে যে প্রসেসর টির সর্বোচ্চ ক্ষমতায় থাকবার সময় এটা কোন ভাবেই ১০ মিলিওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে না।

এখন কার দিনের আল্ট্রা লো ভোল্টেজ সিপিইউ (ইন্টেল অ্যাটম Z550, ২ গিগাহার্জ) এর কথা যদি বলা হয় তবা সেটাও কিন্তু প্রায় ৩ ওয়াট এর মতন বিদ্যুৎ খরচ করে।

কম বিদ্যুৎ খরচের কারণ হচ্ছে নতুন একটি টেকনোলজি। টেকনোলজি টি হচ্ছে, Near Threshold Voltage. বর্তমানের প্রসেসর গুলোতে প্রয়োজনের তুলানায় অনেক অনেক বেশি পরিমাণের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে (দেখা গেছে, একটি প্রসেসর থেকে প্রায় দশ গুন পারফর্মেন্স পাওয়া যায় যখন প্রসেসর টি তার নমিনাল ভোল্টেজ এ অপারেট করে) শুধু মাত্র এটা নিশ্চিত করতে যে প্রসেসর এর Transistor গুলো তাদের সুইচিং এর সময় যেন কোন সমস্যা না হয়। Near Threshold Voltage টেকনোলজি তে প্রসেসর এ যে ভোল্টেজ টি দেয়া হবে তার পরিমাণ টি হবে, যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন তার Transistor গুলোর জন্য, তার থেকে সামান্য পরিমাণের বেশি।


আগের দিনের সকেট ৭, পেন্টিয়াম প্রসেসর গুলোর থার্মাল ডিজাইন পাওয়ার (Thermal design power – TDP) ছিল, ১৫.৬ থেকে ২০.৬ ওয়াট, কারেন্ট লাগত২.৮৫ থেকে ৩.৬ ভোল্ট এবং ৪.৭ থেকে ৭.১ অ্যাম্পেয়ার যেখানে, Claremont প্রসেসর টির জন্য দরকার হবে, ০.০৮ ওয়াট, কারেন্ট লাগত ০.০১১ থেকে ০.০১৭ ভোল্ট ।

আজকের দিনের সার্ভার গুলোর প্রতি ১০০ গিগাফ্লপস (FLOPS: Floating-Point Operations Per Second) পারফর্মেন্স এর জন্য ২০০ ওয়াট করে খরচ হচ্ছে, ইন্টেল চাচ্ছে এই খরচ কে মাত্র ২ ওয়াট এ নিয়ে আসতে।তবে, দক্ষ ম্যানেজমেন্ট এবং এফিশিয়েন্ট হার্ডওয়্যার ই নয় এই Claremont ধরনের প্রসেসর গুলোর জন্য দক্ষ প্রোগ্রামিং এবং সফটওয়্যার এর প্রয়োজন, এই লক্ষ্যেই ইন্টেল তাদের আগামীর রিসার্চ গুলো চালিয়ে যাবে বলে নিশ্চয়তাও দিয়েছে।

ডিজিটাল ক্যামেরা ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে


সাধারণ মানের একটি ডিজিটাল ক্যামেরা এখন আর বিলাসদ্রব্য নয় বরং প্রাত্যহিক জীবনের অত্যাবশ্যকীয় একটি বস্তু। ডিজিটাল ক্যামেরা দিন দিন সুলভ হয়ে আসছে। হাজার দশেক টাকায় এখন বেশ ভালো ক্যামেরা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্রান্ডের ক্যামেরা দিনদিন সুলভ হচ্ছে এবং এর সাথে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ফীচার ও ফাংশন। তাই প্রতিদিন ডিজিক্যামের ব্যবহারকারীও বাড়ছে। নতুন/সাধারণ ব্যবহারকারী ও যারা নতুন ডিজিটাল ক্যামেরা কিনতে চান তাদের জন্য কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরার বেসিক ফাংশন ও ফিচার নিয়ে এই লেখা।


ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে

কনভেনশনাল ক্যামেরা মেকানিক্যাল ও ক্যামিকেল প্রসেসের উপর নির্ভর এবং আলো লেন্সের মাধ্যমে শার্টারের মধ্য দিয়ে এসে ফিল্মের উপর পড়ে। বিভিন্ন ধাপে রাসায়নিক প্রসেসের মাধ্যমে এই ফিল্ম থেকে ছবি প্রিন্ট হয়। ডিজিটাল ক্যামেরার প্রসেস হয় ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রথমে আলো এসে পড়ে CCD (Charge-Coupled Device) সেনসরের উপর। এরপর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রসেসের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ছবি তৈরী হয়, তারপরে প্রিন্ট কপি। CCD/CMOS -র এই ডিজিটাল তথ্য (ছবি) সব ধরনের ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহার সম্ভব।

Compact vs SLR
 
ডিজিটাল ক্যামেরাকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। Shoot and Point (Compact) ও SLR (Single Lens Reflex)। কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় বেশিরভাগ ফাংশন অটোমেটিক যা ক্যামেরা নিজেই নিজস্ব প্রোগ্রামের আলোকে সেটিং করে। এসএলআরে এসব ফাংশন ব্যবহারকারী নিজেই সেটিং করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অবশ্যই ক্যামেরা ও ফটোগ্রাফী সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। SLR ক্যামেরার আকার, ওজন এবং দাম কমপ্যাক্ট ক্যামেরা থেকে বেশি হয়, এছাড়া আলাদা লেন্স ও ফ্লাস ব্যবহারের অপশন থাকে। এক কথায় এসএলআর ক্যামেরা হচ্চে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের জন্য। এই লেখাটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য তাই এখানে শুধু কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা নিয়েই আলোচনা করা হল।

ডিজিটাল ক্যামেরার গুরুত্বপূর্ণ ফিচার/ফাংশন সমূহ

১। CCD (Charge-Coupled Device): সিসিডি ডিজিটাল ক্যমেরার একটি সিলিকন চীপ যেখানে ছবি রেকর্ড হয়। CCD বা CMOS সেনসর হচ্ছে ডিজিটাল ক্যমেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও দামী ডিভাইস। এটি মিলিয়ন পিক্সেলের সমন্বয়ে গঠিত। আলো যখন লেন্সের মধ্য দিয়ে এসে এই সেনসরের ফটোএকটিভ লেয়ারে আঘাত করে তখন ঐ লেয়ারের নিচের পিক্সেলে একটি বৈদ্যুত্যিক চার্জ উৎপন্ন হয়। আলোর পরিমাণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পিক্সেলের বৈদ্যুত্যিক চার্জ বিভিন্ন রকমের হয়। মিলিয়ন পিক্সেলের বৈদ্যুত্যিক চার্জগুলোর সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় একটি ডিজিটাল ছবি।
কোন ডিজিটাল ক্যমেরার রেসুলেশন কত মেগাপিক্সেল তা দিয়ে ঐ ক্যামেরার সেনসরের ক্ষমতাকেই বুঝায়। যত বেশি মেগাপিক্সেল তত বড় প্রিন্ট আউট নেয়া যাবে ছবির মান অক্ষুন্ন রেখেই। ইদানীং অনেকে এই মেগাপিক্সেলকে ক্যামেরার স্ট্যাটাস সিম্বল মনে করে ! পোস্টকার্ড সাইজ ফটো হচ্ছে 6″x4″। ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়োজন ছাড়া এর থেকে বড় প্রিন্ট কেউ করে না। 7″x5″ ফটো কোয়ালিটি প্রিন্টের জন্য ৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরাই যথেষ্ট!

 ২। Lens: লেনস ডিজিটাল ক্যামেরার ২য় গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। Nikkon, Canon, Olympus কোম্পানীগুলো নিজেরাই লেন্স প্রস্তুত করে, আবার Sony, Casio, Panasonic কোম্পানীগুলো থার্ড পার্টির লেন্স ব্যবহার করে।

৩। Zoom: লেন্সের Zoom ক্ষমতা ক্যমেরার গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। ‘জুম ইন’ করার অর্থ হচ্ছে দুরের বস্তুকে লেন্সের সাহায্যে দৃশ্যত কাছে টেনে আনা, আর ‘জুম আউট’ করার অর্থ হচ্ছে কাছের বস্তুকে লেন্সের সাহায্যে দৃশ্যত দুরে ঠেলে দেয়া। জুম দুই প্রকারের: অপটিক্যাল জুম ও ডিজিটাল জুম। অপটিক্যাল জুম করার ক্ষেত্রে ক্যামেরা ব্যবহার করে লেন্স। অর্থাৎ লেন্সের সাহায্যে বস্তুকে ছোটবড় করবে যেখানে ছবির কোয়ালিটি একই থাকবে। ডিজিটাল জুমের সাথে বস্তু বা লেন্সের কোন সম্পর্ক নেই। এখানে ডিজিটাল প্রসেসে ছবির কোন অংশকে বড় করে দেখানো হয় এবং ছবির কোয়ালিটি হ্রাস পায়। উদাহরণ: গ্রাফিক প্রোগ্রামে ছবিকে যত বেশি জুম ইন করা হয়, ছবি ততবেশি ঝাপসা হয়ে যায়। সুতরাং সাবধান, ক্যমেরার ডিজিটাল জুম দেখে প্ররোচিত হবেন না, লক্ষ্য করবেন অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা কত। যত বেশি জুম থাকবে তত বেশি দুরত্বের ছবি তোলা যাবে। অপটিক্যাল জুম ক্ষমতাকে অনেক সময় ফোকাল লেনথ্‌ দিয়েও প্রকাশ করা হয়। যেমন: 5.8-17.4mm, 35-105mm ইত্যাদি। শেষের সংখ্যাকে প্রথম সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে অপটিক্যাল জুম ক্ষমতা বের হয়। 105/35=3। অর্থাৎ 3X Optical Zoom। শাব্দিক অর্থে ফোকাল লেনথ্‌ হচ্ছে লেন্স থেকে সেনসরের দুরত্ব।

 ৪। Focusing Range: লেন্স কতদুরের এবং কত কাছের বস্তুর ছবি তুলতে পারে তা Focusing Range দিয়ে প্রকাশ করা হয়। বেশির ভাগ ক্যামেরা অসীম (infinity) দুরত্বের বস্তুর ছবি তুলতে পারে, সুতরাং কত কাছের বস্তুর ছবি (Macro) তুলতে পারে সেটাই উল্লেখযোগ্য। যেমন: 1.6 ft (0.5 m) to infinity (wide), 3.28 ft (1.0 m) to infinity (telephoto), 8 in. (0.2 m) (close-up) ইত্যাদি।


৫। Aperture: লেন্সের Iris Diaphragm কে কতটুকু খোলা যায় উল্লেখ করার জন্য Aperture শব্দটি ব্যবহার হয়। লেন্সের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশের নিয়ন্ত্রণের জন্য Iris Diaphragm বা গোল আকৃতির ছিদ্রকে Aperture ছোট/বড় করে। এর মাধ্যমে লেন্সে প্রবেশকৃত আলোর পরিমান বাড়ানো কমানো হয়। f/# সংখ্যা দিয়ে বিভিন্ন সাইজের এপারচার বোঝানো হয়। সংখ্যা যত বড় হবে আলো প্রবেশের পথ তত ছোট হবে।

৬। Shutter Speed: লেন্স ও সেনসরের মাঝখানে আলো ঠেকানোর আবরণকে বলে শাটার। এটি আলো আটকে রাখার কাজ করে। লেন্সের মধ্য দিয়ে আসা আলো সেনসরে প্রবেশের জন্য এটি খুলে দিতে হয়। ছবি তোলার সময় অর্থাৎ Shutter release button চাপার সাথে সাথে এই শাটার অল্পক্ষণের জন্য খুলে আবার বন্ধ হয়ে যায়। শাটার স্পিড হচ্ছে লেন্স ও সেনসরের মাঝখানে আলো ঠেকানোর আবরণটি (শাটার) খুলে যাওয়া এবং বন্ধ হয়ে যাওয়ার টাইম গ্যাপ। অর্থাৎ আবরণটি কতক্ষণ খোলা থাকবে তা নিয়ন্ত্রণ করা। সাধারনত এই সময়টি এক সেকেন্ডেরও কম হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। শাটার স্পিডকে 1/90, 1/125, 1/250, 1/500, 1/1000, 1/1500 সেকেন্ড হিসেবে প্রকাশ করা হয়। রাতের ও দিনের ছবির জন্য Aperture ও Shutter Speed ভিন্ন রকমের হয়।


৭। Exposure কন্ট্রোল: Aperture ও Shutter Speed এর যথার্থ সমন্বয়েই সম্ভব সুন্দর ছবি তোলা। শাটার স্পিড এবং এপারচারের সঠিক সমন্বয় না হলে ছবি “ওভার এক্সপোজ” (বেশি উজ্জ্বল) কিম্বা “আন্ডার এক্সপোজ” (বেশি কালো) হয়ে যাবে। সাধারণত প্রফেশনাল ফটোগ্রাফাররা Aperture ও Shutter Speed ম্যানুয়েলি নিয়ন্ত্রণ করে ছবি তোলেন। কমপ্যাক্ট ক্যামেরা অটোমেটিক মোডে এগুলো নিজে নিজেই নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তা সবসময় পুরোপুরি সঠিক নাও হতে পারে।

ইদানীং বেশিরভাগ ক্যামরায় Pre-programmed Exposure Mode সেটিং করা থাকে, সেখান থাকে সিলেক্ট করেও কাজ চালানো যায়। যেমন: Landscape, Portrait, Sunset, Beach/Snow, Backlight, Macro, Night Scene, Fireworks, Panorama, Sports ইত্যাদি। যত বেশি মুড থাকবে তত বেশি সুবিধা।

৮। ISO (Sensitivity): এটি হচ্ছে একটি মাপ, যা বলে দেয় CCD বা CMOS সেনসর কতখানি সংবেদনশীল বা আলোর স্পর্শে কত তাড়াতাড়ি রিয়্যাক্ট করবে। Low ISO Rating -এর অর্থ এটা কম সংবেদনশীল অর্থাৎ যথার্থ এক্সপোজারের জন্য বেশি আলোর প্রয়োজন হবে। High ISO Rating -এর বেলায় হবে ঠিক উল্টো। সাধারণত ISO 100 – ISO 400 ব্যবহার হয় বেশি। ISO Rating যত বেশি হবে ক্যামেরা কম আলোর ছবি তত বেশি ভালো তুলতে পারবে।

৯। Imaze Stabilazator: খুবই প্রয়োজনীয় একটি ফিচার। এক্সপোজারের সময় ক্যামেরা কাঁপলে ছবি ঝাপসা হয়। এই সমস্যাকে কমিয়ে আনার জন্য image stabilization অথবা vibration reduction systems। এক্সপোজারের সময় ক্যামেরা কাঁপলে সেনসর নিজেই সামান্য স্থান পরিবর্তন করে সেটা ব্যালেন্স করে নেয়। জুমের মত এখানেও Optical Stabilazator গুরুত্বপূর্ণ, ডিজিটাল নয়।

১০। Viewfinder/LCD Display: যে ব্স্তু বা ব্যক্তির ছবি তুলব তা আমরা ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমেই দেখি। আমরা যে দৃশ্যের ছবি তুলবো সেটা ফ্রেমের মধ্যে কেমন দেখাচ্ছে তা ভিউফাইন্ডারের মাধ্যমে অথবা এলসিডি ডিসপ্লেতে দেখে সন্তুষ্ট হলেই শাটার বাটন চাপ দিয়ে ছবি তুলি। এছাড়া ছবি তোলার পর ডিসপ্লেতে দেখতে পারি ছবিটি ভালো হয়েছে কিনা, নাহলে ডিলিট করতে পারি। সুর্যের প্রকট আলোতে ডিসপ্লের পরিবর্তে ভিউফাইন্ডার ভালো। সুতরাং ভিউফাইন্ডার ও ডিসপ্লে দুটিই প্রয়োজনীয়। ডিসপ্লের ব্যবহারে ব্যাটারী তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ডিসপ্লে কমপক্ষে ৩ ইঞ্চি (কোনাকুনি দৈর্ঘ্য) হওয়া উচিত।

১১। Autofocus: ছবি তোলার সময় আমরা লেন্সকে জুম ইন বা জুম আউট করে অথবা নিজে ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন দিকে মুভ করে ভিউফাইন্ডার/ডিসপ্লেতে দেখি কোন পজিশনে ছবিটি ফোকাস পয়েন্টে আসে। এই কাজটি লেন্সকে আগে পিছে মুভ করে ক্যামেরা নিজে নিজে করাকেই বলে অটোফোকাস।

১২। White Balance: ছবি থেকে অবাস্তব রঙের প্রভাব দুর করে বাস্তবসম্মত সাদা করার প্রসেসকে বলে হোয়াইট ব্যাল্যান্স। বিশেষ করে যেখানে সাদার প্রধান্য বেশি সেসব ক্ষেত্রে যদি ফ্লোরোসেন্ট বাতি জালানো হয় তখন সাদার মধ্যে একটি নীলাভ আভা প্রতিপলিত হয় যা ছবির কালারকে অবাস্তব করে তোলে।

১৩। Flash: সাধারণত কমপ্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরার built-in flash ৩-৫ মিটার দুরত্ব কভার করে। অন, অফ, অটো ছাড়াও ফ্লাশ লাইটেরও আবার বিভিন্ন মোড থাকে যা ক্যামেরার ইউজার ম্যানুয়েল দেখে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। কিছু ক্যামেরায় Infrared sensor থাকে যার মাধ্যমে ক্যামেরা ও ছবির টার্গেটের দুরত্ব নির্ণয় করে ফ্লাশ এডজাস্ট হয়ে যায়। অনেক ক্যামেরায় আবার External Flash Unit ব্যবহারের সুযোগ থাকে, তবে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসএলআর ক্যামেরার বেলায়।

১৪। Red Eye Reduction: মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবিতে অনেকসময় দেখা যায় চোখের রেটিনা লাল বর্ণের হয়ে গেছে। শটের সময় ফ্লাশের আলো সামান্য কোণ সৃষ্টি করে লেন্সে ফিরে আসে। চোখের রেটিনা হল আয়নার মত। কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় ফ্লাশ লাইট ও লেন্সের অবস্থান খুবই কাছাকাছি। পোট্রেইট বা ক্লোজ আপ শট নেওয়ার সময় ফ্লাশ লাইটের আলো যখন রেটিনা থেকে প্রতিপলিত হয়ে সোজাসুজি লেন্সে চলে আসে তখনই রেটিনার ছবি লাল হয়। এই সমস্যাকে এড়ানোর জন্য Red-Eye Reduction Flash Mode।

১৫। Continuous Shot Function: দ্রুত গতিতে চলমান কোন বস্তু (গাড়ি) বা ব্যক্তির (খেলোয়াড়) ছবি তোলার জন্য Continuous Shooting বা Burst Mode। এই মোডে শাটার বাটন পুরো চাপ দিলে ক্যামেরা পরপর অনেকগুলো ছবির (সিরিজ) শট নেবে এবং সাথে সাথে মেমরিতে সেভ করবে। সেখান থেকে দেখে সবচেয়ে ভালো ছবিটি রেখে বাকীগুলো ডিলিট করতে পারেন। ভালো ক্যামেরায় সিরিজে ছবির সংখ্যা বেশি হয় ও ছবি রেকর্ডের গতি দ্রুত হয়।

১৬। Video with sound: সাউন্ডসহ ভিডিও করার ফিচার। এটা কখনও ভিডিও ক্যামেরার সমতুল্য নয়, শুধু কয়েক মিনিটের ভিডিও ক্লিপ। কোন বিশেষ মুহুর্তকে রেকর্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি ফিচার।

১৭। File Format: প্রায় সব ক্যামেরাই তিন ধরনের ফাইল ফরমাট সাপোর্ট করে: JFEG, TIFF এবং RAW। JFEG (ডিফল্ট ফরমাট) কমপ্রেশন ফরমাট অর্থাৎ ফাইলের সাইজ ছোট করার জন্য ছবির অপ্রয়োজনীয় ও কম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাদ দেয়া হয়। TIFF ফরমাটেও কমপ্রেস হয় তবে ছবির কোন তথ্য বাদ দেয় না। ফাইল সাইজ বড় হয়।

১৮। Storage Media: ডিজিটাল ক্যামেরার সাথে যে মামোরি (12 MB – 32 MB) দেয়া হয় তা খুবই অল্প। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলাদাভাবে মেমোরি কিনতে হয়। সুতরাং ক্যামেরা কেনার আগে দেখা উচিত কোন ধরনের মেমোরি কার্ড কিনতে হবে। তার দাম কেমন ও সহজলভ্য কিনা। উল্লেখযোগ্য মেমোরি কার্ড CompactFlash, Secure Digital, SDHC, xD Picture, Memory Stick, MicroDrive, and SmartMedia. তবে SD ও SDHC কার্ড হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও সহজলভ্য কার্ড। সাধারণত 2GB – 4GB মেমোরি যথেষ্ট। ছবি পেন ড্রাইভ বা সিডিতে কপি করে মেমোরি খালি করলেই হয়ে যায়। সাধারণত 4GB মেমোরিতে 10 MP ক্যামেরায় JFEG ফরমাটের প্রায় ১১৫০ টি ছবি ও 8 MP ক্যামেরায় ১৪৫০টি ছবি সেভ করা যায়।

১৯। Power Sources: ডিজিটাল ক্যামেরার বহুমুখী ফাংশন ও এলসিডি ডিসপ্রের জন্য যথেষ্ট বিদুৎ প্রয়োজন। সুতরাং রিসার্জেবল ব্যাটারীর কোন বিকল্প নেই। সাধারণত ব্যাটারীর অপশন তিন রকমের হয়ে থাকে।

ক) Lithium Ion ব্যাটারী, এটি ক্যামেরার সাথেই থাকে এবং ক্যামেরাসহ চার্জ করতে হয়। অবিকল মোবাইল ফোনের মত। নতুন ব্যাটারীকে প্রথমবার ৮-১২ ঘন্টা চার্জে রেখে পূর্ণ চার্জ করা ভালো (ম্যানুয়েল দ্রষ্টব্য)। বিভিন্ন ক্যামেরার ব্যাটারীর সাইজ ও মডেল বিভিন্ন রকমের হয়। অনেকদিন ব্যবহারের পর ব্যাটারীর চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। যারা ক্যামেরা নিয়মিত ব্যবহার করেন সম্ভব হলে তাদের একটা রিজার্ভ ব্যাটারী কিনে নেয়া ভালো।

খ) সার্জারসহ Lithium Ion ব্যাটারী, সবকিছু উপরের মতই, শুধু পার্থক্য হচ্ছে আলাদা একটি চার্জার থাকে, ব্যাটারী ক্যামেরা থেকে বের করে এই চার্জারে রেখে চার্জ করতে হয়। সুবিধা হল, একটা এক্সট্রা ব্যাটারী কিনলে একটা স্ট্যান্ড বাই চার্জে রেখে আরেকটা দিয়ে ক্যামেরার কাজ চালানো যায়।

গ) Rechargeble AA NiMh (পেন্সিল ব্যাটারী)। এ অপশনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাটারী ও চার্জার আলাদাভাবে নিজেকে কিনতে হয়। ব্যাটারীর চার্জের ক্ষমতা mAh বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।


২০। Interfaces: সব ক্যামেরার সাথে USB ক্যাবল থাকে। অনেক ক্যামেরার সাথে টিভি কানেকটিং কেবল থাকে যাতে ক্যামেরার ছবি সরাসরি টিভিতে দেখা যায়।

২১। Self-timer option: কোন বিশেষ দৃশ্যে বা কোন গ্রুপের সাথে নিজের ছবি তুলতে এই অপশন। ক্যামেরাকে ট্রাইপড বা কোন কিছুর উপরে রেখে দৃশ্য নির্বাচন করে এই অপশনটি নির্বাচন করে আপনি সেখানে গিয়ে দাড়াঁন। ৫-১০ সেকেন্ড পর ক্যামেরা নিজেই শট নেবে।

২২। Photo Editing Software: সব ক্যামরার সাথে একটি ফ্রি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার দেয়া হয়। কোনটা পাওয়ারফুল আবার কোনটা সিম্পল। এই প্রোগ্রাম কমপিউটারে ইনস্টল করে ফটো এডিটের কাজ করা যায়।

২৩। In-Camera Photo Editing: ইদানিং লেটেস্ট মডেলের ক্যামেরায় In-Camera Photo Editing টুলস থাকে। এই টুলস দিয়ে ক্যামেরার ডিসপ্লেতে ছবির বেসিক এডিটিং করা যায়। যেমন: ছবির আলো/কনট্রাস্ট কমানো-বাড়ানো, সাইজ ছোট করা, অপ্রয়োজনীয় অংশ বাদ দেয়া, ক্লোজ আপ করা ইত্যাদি।

২৪। Color Accent/Color Swap : ইদানিং লেটেস্ট মডেলের ক্যামেরায় বিশেষ করে CANON মডেলে এই ফিচারটি থাকে। কোন ছবির নির্বাচিত অংশের কালার রেখে অবশিষ্ট অংশকে সাদা-কালো করার নাম Color Accent।
Color Swap হচ্ছে কোন ছবির সবকিছু ঠিক রেখে নির্বাচিত কোন কালারকে অন্য কালারে পরিবর্তন করা। যেমন একটি ছবির সবকিছু ঠিক থাকবে শুধু ঘাসের বং সবুজের পরিবর্তে লাল হবে!


ক্যামেরা কেনার আগে

এক জনের পছন্দ ও প্রায়োরিটির সাথে আরেক জনের মিল নেই। উল্লেখিত ফিচার/ফাংশন দেখে এখন আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন কোন ধরণের ক্যামেরা আপনার দরকার, সে ক্যামেরাতে কি কি ফিচার অবশ্যই থাকা চাই এবং কোন ফিচার থাকলে ভালো, না থাকলেও চলে ইত্যাদি। যারা অনেকদিন ধরে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে তাদের থেকেও পরামর্শ নিতে পারেন। প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন: মেগাপিক্সেল কত হবে, অপটিক্যাল জুম কত, ডিসপ্লের সাইজ এবং আপনার বাজেট। এরপর পছন্দনীয় ফিচার/ফাংশনগুলোর একটি তালিকা করুন। শুধুমাত্র ব্রান্ডের নাম দেখে পছন্দ করবেন না, ইদানিং লিডিং সব কোম্পানীর ক্যামেরার মানই ভালো।
বিভিন্ন ক্যামেরা নির্মাতা কোম্পানীর ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে  দেখে নিতে পারেন আপনার পছন্দের ক্যামেরা টি। একেবারে ১০০% আপনার মনের মত পাবেন তেমন কোন নিশ্চয়তা নেই, সেক্ষেত্রে আপনাকে হয়তো কিছুটা আপোষ করতে হবে। যদি কোন ক্যামেরা পছন্দ হয়, ব্রান্ড ও মডেলের পূর্ণনাম ও ফিচারগুলো নোট করুন। বিভিন্ন রিভিউ সাইটে গিয়ে দেখতে পারেন আপনার পছন্দের ক্যামেরা সম্পর্কে এক্সপার্টরা কী বলে। এবার দোকানে গিয়ে ক্যামেরাটি ভালোভাবে দেখে সবকিছু (দাম, সার্ভিস, গ্যারান্টি, প্যাকেজের অন্যান্য উপকরন) পছন্দ হলে কিনে নিন।


ক্যামেরা কেনার পরে

এক্ষেত্রে আমরা সবাই যে ভুলটা করি তা হচ্ছে অদম্য কিউরিসিটি! তাড়াতাড়ি প্যাকেট খুলে জেনে বা না-জেনে বিভিন্ন বাটন বা অপশন নিয়ে টিপাটিপি। তরতাজা নতুন ক্যামেরাটির এখন ল্যাবরেটরির অসহায় গিনিপিগের মত অবস্থা! প্রথমে ক্যামেরার সাথে যা যা থাকার কথা সবকিছু আছে কিনা দেখুন। তারপর ৩০টি মিনিট ধৈর্য ধরে প্যাকেটের ইউজার গাইড / ম্যানুয়েলটি পড়ুন। ইদানিং PDF ফরমাটে সিডিতে ম্যানুয়েল দেয়া হয় যা কমপিউটারে পড়তে হবে। সেখানকার নির্দেশ অনুসারে প্রাথমিক সংযোজন শেষ করে আপনার ক্যামেরার সাথে পরিচিত হউন। কোন বাটন কী কাজ করে ও কোন অপশনটি কোন মেনুতে গেলে পাবেন ইত্যাদি জেনে আপনার প্রিয়তম মানুষটির শট নিয়েই experiment শুরু করুন।

অটোমোডে ছবি তোলা কমপাক্ট ক্যামেরার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপশন।

১) ক্যামেরা অন করে অটো মুড নির্বাচন করুন।
২) দৃশ্যের গুরুত্বপূর্ণ বস্তু/ব্যক্তিকে ভিউফাইন্ডার/মনিটরের মাধ্যমে ফোকাস এরিয়াতে (সেন্টার পয়েন্ট) কম্পোজ করুন।
৩) শাটার বাটনকে অর্ধেক (উচ্চতার ৫০%) চাপ দিয়ে এ জায়গায় স্থির রাখুন। ক্যামেরা এখন আপনার নির্বাচিত দৃশ্যের ছবির জন্য প্রোগ্রাম সেটিং করবে। যখন দেখবেন কম্পোজ ফ্রেমের রং পরিবর্তন হয়েছে বা একটা বিপ দিয়েছে, তার অর্থ ক্যামেরা রেডি।
৪) এখন শাটার বাটনের বাকী অর্ধেক চাপ দিন। ক্যামেরা ছবিটি উঠিয়ে মেমোরিতে সেভ করবে। ঠিক এই মুহুর্তে ক্যামেরা একটি বিপ দিতে পারে।
৫) ভিউ/প্লে অপশন নির্বাচন করে ছবিটি মনিটরে দেখতে পারেন।



ক্যামেরা ধরার কৌশল 

ছবি তোলার সময় ক্যামেরা কাঁপা ও অসাবধানতায় হাত থেকে ক্যামেরা পড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। ক্যামেরা ধরার কিছু কৌশল জানা থাকলে এ সমস্যাগুলো আর থাকে না। আমরা সবাই জানি শার্টার বাটনে চাপ দেওয়ার মুহুর্তেই ছবি সেনসরে/ফিল্মে রেকর্ড হয়। আর ঠিক সেই মুহুর্তেই অনেকের হাত কেঁপে ছবি ঝাপসা হয়ে যায়।
আপনি দাড়িঁয়ে, বসে যেভাবেই ছবির শট নিন , ক্যামেরা ধরার সময় ক্যামেরার নিচে হাত বা আঙ্গুল দিয়ে সাপোর্ট দিতে ভুলবেন না। এরপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হাতের নিচে আরেকটি সাপোর্ট দিন। দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় হাতের বাহু শরীরের সাথে লাগিয়ে রাখুন। আশেপাশে কোন গাছ, দেয়াল বা এধরনের কিছু থাকলে তাও সাপোর্টের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। বসে ছবি তোলার সময় হাতের কনুই হাঁটুতে লাগিয়ে বা টেবিল-চেয়ারের উপরে হাতের বাহু রাখতে পারেন। নিচের উদাহরণগুলো দেখুন:


এসব কৌশল ব্যবহারে শুরুর দিকে একটু সমস্যা হলেও কিছুদিন অভ্যাস করলে ঠিক হয়ে যাবে। 

শেষ কথা

প্রযুক্তির বেলায় শেষ কথা বলতে কিছু নেই। Face Detection, Blink detection, Smart Auto scene selection ইত্যাদি নতুন নতুন ফিচার নিয়ে নতুন মডেলের ক্যামেরা বাজারে আসছে, আসবে। তবে ভালো ছবির ব্যাপারে শেষ কথা হচ্ছে, ভালো ছবি শুধু ক্যামেরার জন্য হয় না, এর জন্য প্রয়োজন ক্যামেরার পিছনে একজন দক্ষ মানুষ। চেষ্টা ও অনুশীলন একজন মানুষকে দক্ষ করতে পারে। এজন্য ডিজিটাল ক্যামেরা পারফেক্ট। বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করুন, ছবি ভালো না হলে ডিলিট করুন, অতিরিক্ত কোন খরচ নেই। আপনার ক্যামেরায় যেসব ফিচার/ফাংশন আছে সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।

ডিজিটাল ক্যামেরা আপনার জীবনের মধুরতম স্মৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলো স্বপ্নীল এলবামে সাজিয়ে রেখে আগামী দিনগুলোকে আরো অর্থময় ও আনন্দময় করুক।

উইন্ডোজে ডাবল ক্লিকে ড্রাইভ না খুললে

উইন্ডোজের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি হলো, ডাবল ক্লিক এ ড্রাইভ না খোলা। যখন আপনি ড্রাইভ এ ডাবল ক্লিক করেন, তখন এটি না খুলে একটি এক্সপ্লোরার ওপেন হয়। এটা সাধারনত autorun.inf ভাইরাস এর কারনে হয়ে থাকে। তবে এটি নিয়ে চিন্তার তেমন কোন কারন নেই। এন্টিভাইরাস ছাড়াই এটা খুবই সহজে সমাধান সম্ভব।
এর জন্য নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুন;

আপনার C: ড্রাইভ টিকে পরিস্কার করার জন্য;
১। স্টার্ট > রান এ গিয়ে, টাইপ করুন, cmd এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
২। টাইপ করুন, cd\ এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৩। টাইপ করুন, attrib –r –h –s autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৪। টাইপ করুন, del autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।

এবার আপনার D: ড্রাইভ টিকে পরিস্কার করার জন্য;
১। স্টার্ট > রান এ গিয়ে, টাইপ করুন, cmd এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
২। টাইপ করুন, cd\ এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৩। টাইপ করুন, D: এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৪। টাইপ করুন, attrib –r –h –s autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৫। টাইপ করুন, del autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।

আপনার প্রতি টি ড্রাইভ কে পরিস্কার করার জন্য উপরের ধাপ গুলো কে পর্যায় ক্রমে অনুসরন করতে হবে। আপনার কম্পিউটারে  যদি ৪ টি ড্রাইভ থাকে, আপনাকে তবে ৪ বার ধাপ গুলো অনুসরন করে আপনার ৪ টি ড্রাইভ কে পরিস্কার করে নিতে হবে। আপনার কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়নি, আপনার সব ড্রাইভ এ উপরে বর্নিত ধাপ অনুসারে পরিস্কার করার পরে আপনার কম্পিউটার টিকে একবার রি-স্টার্ট করে দেখুন, আপনার সমস্য সমাধান হয়ে গেছে।

প্রাকৃতিক সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনকে আনতে ভোট দিন

আমাদের সুন্দর সুন্দরবনকে নতুন প্রকৃতির সপ্ত আশ্চর্যের তালিকা আনতে ভোট দিন. লগইন করুন : www.new7wonders.com অথবা, কোন টেলিফোন ডায়াল: +447589001290 ও তারপর bip-শব্দ শুনলে প্রেস করুন: 7724. অথবা এসএমএস মাধ্যমে সুন্দরবনকে ভোট দিন. ভোট দিতে টাইপ করুন SB এবং 16333 নম্বরে পাঠিয়ে দিন. আপনার একটি ভোট সুন্দরবনকে  প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্যের তালিকায় এক নম্বরে আসতে সাহায্য করবে.


সুন্দরবন সম্পর্কে কিছু কথা 

নামকরণ
বাংলায় "সুন্দরবন"-এর আক্ষরিক অর্থ "সুন্দর জঙ্গল" বা "সুন্দর বনভূমি"। সুন্দরী গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়। অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে যে, এর নামকরণ হয়তো হয়েছে "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" (প্রাচীন আদিবাসী) থেকে। তবে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় যে সুন্দরী গাছ গাছ থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে।

ভৌগোলিক গঠন 

পুরো পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ তিনটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের একটি হিসেবে গঙ্গা অববাহিকায় অবস্থিত সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান যথেস্ট জটিল। দুই প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ এবং ভারত জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনের বৃহত্তর অংশটি ( ৬২% ) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে বালেশ্বর নদী আর উত্তরে বেশি চাষ ঘনত্বের জমি বরাবর সীমানা। উঁচু এলাকায় নদীর প্রধান শাখাগুলো ছাড়া অন্যান্য জলধারাগুলো সর্বত্রই বেড়িবাঁধ ও নিচু জমি দ্বারা বহুলাংশে বাঁধাপ্রাপ্ত। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের আয়তন হওয়ার কথা ছিলো প্রায় ১৬,৭০০ বর্গ কি.মি. (২০০ বছর আগের হিসাবে)। কমতে কমতে এর বর্তমান আয়তন হয়েছে পূর্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সমান। বর্তমানে মোট ভূমির আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. (বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. -এর আয়তনসহ) এবং নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারার আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি. । সুন্দরবনের নদীগুলো নোনা জল ও মিঠা জলের মিলন স্থান। সুতরাং গঙ্গা থেকে আসা নদীর মিঠা জলের, বঙ্গপোসাগরের নোনা জল হয়ে ওঠার মধ্যবর্তী স্থান হলো এ এলাকাটি।

হাজার বছর ধরে বঙ্গোপসাগর বরাবর আন্তঃস্রোতীয় প্রবাহের দরুন প্রাকৃতিকভাবে উপরিস্রোত থেকে পৃথক হওয়া পলি সঞ্চিত হয়ে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন। এর ভৌগোলিক গঠন ব-দ্বীপীয়, যার উপরিতলে রয়েছে অসংখ্য জলধারা এবং জলতলে ছড়িয়ে আছে মাটির দেয়াল ও কাদা চর। এতে আরো রয়েছে সমুদ্র সমতলের গড় উচ্চতার চেয়ে উঁচুতে থাকা প্রান্তীয় তৃণভূমি, বালুতট এবং দ্বীপ, যেগুলো জুড়ে জালের মত জড়িয়ে আছে খাল, জলতলের মাটির দেয়াল, আদি ব-দ্বীপীয় কাদা ও সঞ্চিত পলি। সমুদ্রসমতল থেকে সুন্দরবনের উচ্চতা স্থানভেদে ০.৯ মিটার থেকে ২.১১ মিটার।

জৈবিক উপাদানগুলো এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সামুদ্রিক বিষয়ের গঠন প্রক্রিয়া ও প্রাণী বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে। সৈকত, মোহনা, স্থায়ী ও ক্ষণস্থায়ী জলাভূমি, কাদা চর, খাঁড়ি, বালিয়াড়ি, মাটির স্তূপের মত বৈচিত্র্যময় অংশ গঠিত হয়েছে এখানে। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ জগৎ নিজেই নতুন ভূমি গঠনে ভূমিকা রাখে। আবার আন্ত:স্রোতীয় উদ্ভিদ জগৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জলে অঙ্গসংস্থান প্রক্রিয়ায়। ম্যানগ্রোভ প্রাণীজগৎ-এর উপস্থিতি আন্তঃস্রোতীয় কাদা চরে ব্যষ্টিক অঙ্গসংস্থানিক পরিবেশ তৈরি করে। এটি পলিকে ধরে রাখে বীজের জন্য আনুভূমিক উপশিলাস্তর সৃষ্টির জন্য। অনন্ত বালিয়াড়ির সংগঠন ও বিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় প্রচুর পরিমাণে থাকা xerophytic ও halophytic গাছ দ্বারা। লতা-পাতা, ঘাস ও হোগলা বালিয়াড়ি ও অসংগঠিত পলিস্তরের গঠনকে স্থিতিশীল করে।

সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় পার্ক নামে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলকে password protected করুন

অনেকেই যারা Office Word 2007 ব্যবহার করেন ।  তারা অনেকেই জানেন না যে কিভাবে Office 2007 এর ফাইলকে পাসওয়ার্ড দিতে হয় । কেননা আগের ভার্শন থেকে 2007 এ  পাসওয়ার্ড দেয়ার পদ্ধতি একটু অন্যরকম । আজ আপনাদের দেখাব কিভাবে MS Office Word 2007 এর ফাইলকে পাসওয়ার্ড দিতে হয় ।

  • যেকোন ওয়ার্ড ফাইল ওপেন করুন ।
  • উপরের রিবন থেকে Microsoft Office Button এ ক্লিক করুন । এরপর Save As এ ক্লিক করুন । একটি নতুন উইন্ডো আসবে । উইন্ডোটির সবার নিচে অবস্থিত Tools এ ক্লিক করুন । এরপর এখান থেকে General Options এ ক্লিক করুন ।



  • নতুন আরেকটি উইন্ডো আসবে। এখানে দুইটি অপশন পাবেন । একটি হল Password To Open , এটা শুধু ডকুমেন্ট ওপেন করার সময় পাসওয়ার্ড চাইবে
  • অপরটি হল Password To Modify এটাতেও পাসওয়ার্ড দিলে ডকুমেন্ট মডিফাই করার সময়ও পাসওয়ার্ড চাইবে
  • ১ম অপশনে পাসওয়ার্ড দিন ।( যদি ২য় টিতে দেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে দিতে পারেন ) । এবার  OK তে ক্লিক করুন ।
  • কাজ শেষ । এবার ডকুমেন্টটি খুললে পাসওয়ার্ড চাইবে ।
এটা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে আশা করি ।

জিমেইলে সয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইলের উত্তর দিন

ছুটিতে বা কোন কারনে নির্দিষ্ট কিছু দিন মেইল চেক করতে না পারলে সয়ংক্রিয়ভাবে মেইল প্রাপ্তির কথা জানানো যায় Vacation responder দ্বারা। ভ্যাকেশন রেস্পন্ড করার সুবিধা আছে প্রায় সকল মেইল প্রভাইডারে। তবে আলাদা আলাদা প্রেরককে আলাদা আলাদা উত্তর দেবার সুবিধা যুক্ত করলো জিমেইল। এই সুবিধাটির নাম হচ্ছে ক্যান্ড রেস্পন্স।

ক্যান্ড রেস্পন্স সক্রিয় করতে:
প্রথমে জিমেইলে লগইন করুন এরপর  Settings থেকে Labs ট্যাবে গিয়ে Canned Responses এর Enable রেডিও বাটন ক্লিক করে সেভ করুন। এবার কম্পোজ মেইলে গেলে Canned Response দেখা যাবে।

ক্যান্ডরেস্পন্স তৈরী করা:
কম্পোজ মেইলে Canned Response এর ড্রপ-ডাউন থেকে New canned response এ ক্লিক করে পছন্দের নাম দিয়ে Ok করে সেভ করুন। এবার কম্পোজ মেইলের বডিতে দরকারী কিছু লিখে Canned Response এর ড্রপ-ডাউন থেকে Save এর নিচের সেভ থাকা ক্যান্ডে ক্লিক করলে উক্ত ক্যান্ডে ম্যাসেজ সেভ হবে।

ফিল্টার তৈরী করে ক্যান্ড রিস্পন্স সেট করা:
এখন Search the Web বাটনের ডানে Create a filter এ ক্লিক করে বা Settings থেকে Filters ট্যাবে গিয়ে Create a new filter এ ক্লিক করে অথবা মেইলের উপরের ডানের ড্রপডাউনের Filter massages like this এ ক্লিক করে Create a Filter আনতে হবে। এখানে ফিল্টার তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে Next Step বাটনে ক্লিক করুন। এবার Send canned response: এ সেভ থাকা ক্যান্ড নির্বাচন করে অনান্য চেকবক্স প্রয়োজনে চেক করে Create Filter বাটনে ক্লিক করে ফিল্টার তৈরী করুন। এখন থেকে ফিল্টার করা মেইল ঠিকানা থেকে মেইল আসলে সয়ংক্রিয়ভাবে ক্যান্ডের মেইল রিপ্লাই হবে।
এভাবে ইচ্ছামত আরো Canned Response এবং ফিল্টার তৈরী করা যাবে।

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu