অতীত থেকে বর্তমানের ইন্টেল মাইক্রো-প্রসেসরের পরিচয়।


ইন্টেল ৪০০৪
১৯৬৯ সালে শুরুর সময়ে ইন্টেল ছিল খুব ছোট একটি কোম্পানি। ইন্টেলের প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ৪০০৪ এর আবিস্কারক টেড হফ ছিলেন কোম্পানির দ্বাদশ কর্মচারী। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা ১৯৭১ সালে ইন্টেল ৪০০৪ মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন করেন যেটি ছিল বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক মাইক্রোপ্রসেসর। এটি ছিল ৪ বিট মাইক্রোপ্রসেসর এবং এর ক্লক স্পিড ছিল ১০৮ K.Hz। .এটি প্রতি সেকেন্ডে ষাট হাজার ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত।

ইন্টেলের প্রথম 4004 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০০৮
১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে ইন্টেল ৮০০৮ নামে ৮ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর বাজারে আসে যা ২০০ K.Hz ক্লক স্পিডে কাজ করতে সক্ষম ছিল। এটি মূলত তৈরি করা করা হয়েছিল টেক্সাসের কম্পিউটার টার্মিনালস কর্পোরেশনের জন্য।

ইন্টেল 8008 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮০
ইন্টেল ৮০০৮ কে আপডেট করে তৈরি করা হয় ইন্টেল ৮০৮০, যেটি প্রতি সেকেন্ডে ২,৯০,০০০ ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত এবং এর ক্লক স্পিড ছিল ২ M.Hz। .এটা ৮০০৮ এর চেয়ে ১০ গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল।

ইন্টেল 8080 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৫
১৯৭৬ সালে ইন্টেল ৮০৮৫ মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার করে যা ৩.৫ M.Hz গতিতে কাজ করতে পারত। এটা ৮০৮০ এর চেয়ে অনেক বেশ দ্রুত কাজ করতে পারত এবং এতে প্রথম ক্লক জেনারেটর সার্কিট ও বাস কন্ট্রোলার সার্কিট যোগ করা হয়।

ইন্টেল 8085 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৬ 
১৯৭৬ সালে প্রসেসরের মাইল ফলক হিসাবে আবিষ্কৃত হয় ইন্টেল ৮০৮৬, এটি ১৬ বিট মাইক্রোপ্রসেসর যেটি ১০ M.Hz পর্যন্ত গতিতে কাজ করতে সক্ষম ছিল। ৮০৮৬ প্রসেসরে একটি ৬ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ যুক্ত করা হয় যেটি প্রথম পাইপ লাইনিং ধারনার প্রচলন ঘটায়।

ইন্টেল 8086 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৮
১৯৭৯ সালে ইন্টেল ৮০৮৮ প্রসেসরের প্রচলন শুরু করে যেটির ডাটা বাদ ছিল ৮ বিট ওয়াইড। এতে ৪ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ ছিল এবং ৯ M.Hz ক্লক স্পিড সাপোর্ট করতো। এটি IBM এর প্রথম কম্পিউটারে ব্যবহিত হয়।

ইন্টেল 8088 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০১৮৬
এই প্রসেসর ফাস্ট জেনারেশন প্রসেসর নামে পরিচিত। ১৯৮২ সালে আবিষ্কৃত হয় এটি, যা মূলত ৮০৮৬ এর মতই ৬ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ, ২০ বিট অ্যাড্রেস বাস এবং ১৬ বিট ডাটা বাস নিয়ে গঠিত। এর ক্লক স্পিড ছিল ৪-৬ মে.হা.

ইন্টেল 80186 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০২৮৬
এই প্রসেসর Protected Mode এবং Real Mode নামে দুই মোডে কাজ করতে পারত। এর বড় সুবিধা হল, ইউজার ইনস্ট্রাকশন এবং অপারেটিং সিস্টেম ইনস্ট্রাকশন আলাদা করতে পারা যেটি মেমরিকে সুরক্ষিত রাখতে সহয়তা করতো। এই প্রসেসর ৬ থেকে ২৫ M.Hz গতিতে কাজ করতে সক্ষম ছিল।

ইন্টেল 80286 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৩৮৬
১৯৮৫ সালে ইন্টেল ৮০৩৮৬ বাজারে আসে, এটি সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করতো। এই প্রসেসর সেকেন্ডে প্রায় ৫ মিলিয়ন ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত এর ইনস্ট্রাকশন কিউ সাইজ ছিল ছিল ১৬ বাইট। এই প্রসেসর ৩৩ M.Hz গতি পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এর দুটি ভার্সন ছিল, একটি 80386 D.X অপরটি 80386 S.X

ইন্টেল 80386 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৪৮৬
১৯৮৯ সালে এটি বাজারে আসে এবং এতে ৮ কিলোবাইট ক্যাশ মেমরি এবং বিল্ডি ইন ম্যাথ কো প্রসেসর ছিল। এই ম্যাথ কো প্রসেসর এর কারণে এটি পূর্ববর্তী প্রসেসর এর চেয়ে ৩ গুন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারত।

ইন্টেল 80486 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল পেন্টিয়াম
পেন্টিয়াম প্রসেসর দুটো ডাটা পাইপলাইনের সাহায্যে একই সাথে দুটি ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত। এটি ৫০-৬৬ M.Hz পর্যন্ত ক্লক স্পিডে কাজ করে। এটি ২৫৬ কে.বি. থেকে ১ এম.বি. পর্যন্ত ক্যাশ মেমরি সাপোর্ট করতে পারত।

ইন্টেল পেন্টিয়াম মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম প্রো
১৯৯৫ সালের শেষের দিকে ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রো প্রসেসর ডেভেলপ করে যেটি প্রতি সাইকেলে মাল্টিপাল ইনস্টাকশন রান করতে সক্ষম। এই প্রসেসর ৩২ বিট সার্ভার এবং ওয়াকস্টেশন অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য মূলত ডিজাইন করা হয় (যেমনঃ উইন্ডোজ এন.টি.) যা ২০০ M.Hz পর্যন্ত গতিতে কাজ করতে পারে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-প্রো মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম টু 
এই প্রসেসর ৫৭ টা মাল্টিমিডিয়া এক্সটেনশন সাপোর্টটিং ইনস্টাকাশন যুক্ত করা হয় যার ফলে এই প্রসেসর ভালো অডিও ভিডিও সাপোর্ট দিতে পারে। এর ক্লক স্পিড ছিল ৩০০ M.Hz পর্যন্ত।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-টু মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম টু জেনন
পেন্টিয়াম টু জেনন প্রসেসর সার্ভার এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয় যেটি মূলত কিছু বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয়। এসব কাজ হলঃ ইন্টারনেট সার্ভিসেস, কর্পোরেট ডাটা ট্র্যান্সফার, ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও মেকানিক্যাল ডিজাইন অটোমেশন ইত্যাদি।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-টু জেনন মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল সেলেরন
১৯৯৮ সালে ইন্টেল তুলনামূলক কম দামে প্রসেসর বাজারে আনে সেটি হল সেলেরন। কম দাম বলে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বর্তমানে সেলেরন প্রসেসর ৩.৬ G.Hz স্পিডে অপারেট করতে সক্ষম।

ইন্টেল সেলেরন মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম থ্রি
পেন্টিয়াম থ্রি প্রসেসর ইমেজিং, থ্রিডি স্টীমিং অডিও ভিডিও, গেমস এর জন্য খুব জনপ্রিয়তে অর্জন করে। এটি ১.৪ G.Hz. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-থ্রি মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম থ্রি জেনন
১৯৯৯ সালে পেন্টিয়াম থ্রি জেনন বাজারে আসে যা মূলত ই-কমার্স এবং অ্যাডভান্সড বিজনেস অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য। পেন্টিয়াম টু জেনন এর মত ২ এম.বি. পর্যন্ত L2 ক্যাশ সাপোর্ট করে। ৭০০ মে.হা. পর্যন্ত ক্লক স্পিড প্রদান করে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-থ্রি জেনন মাইক্রো-প্রসেসর

পেন্টিয়াম ফোর
২০০০ সালের শেষের দিকে ইন্টেল নেট বাস্ট টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তাদের সপ্তম প্রজন্মের মাইক্রোপ্রসেসর পেন্টিয়াম ফোর বাজারে ছাড়ে যা ৩.৮ G.Hz. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে। বিভিন্ন সুবিধার কারণে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-ফোর মাইক্রো-প্রসেসর


ইটানিয়াম ও ইটানিয়াম টু
ইন্টেল ও এইচপি (HP) মিলিত ভাবে এই প্রসেসর তৈরি করে। ৬৪ বিট এই প্রসেসরগুলো মূলত প্যারালাল প্রসেসিং সাপোর্ট করে যা প্রতি সাইকেলে ৬ টা ইনস্টাকশন পারফর্ম করতে পারে। এতে মোট ২৫৬ টা অ্যাপ্লিকেশান রেজিস্টার আছে। ইটানিয়াম ৮০০ মে.হা. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে যেখানে ইটানিয়াম টু ১.৬ G.Hz. পর্যন্ত সাপোর্ট করতো। এই পরচেসসর বাজারে তেমন একটা চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে নি।

ইন্টেল ইটানিয়াম-টু মাইক্রো-প্রসেসর


ডুয়াল কোর প্রসেসর
ইন্টেল ২০০৫ সালে পেন্টিয়াম ডি প্রসেসর বাজারে আনে যা আসলে দুটি পি-ফোর প্রসেসরের সমন্বয়ে। পরবর্তীতে তারা মুলত ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য ডুয়াল কোর প্রসেসর তৈরি করে যা ১.২০ G.Hz. স্পিডে কাজ করতে সক্ষম। ডুয়াল কোর প্রসেসর এর পরবর্তী ভার্সন কোর টু ডুয়ো। কোর ডুয়ো এবং কোর টু ডুয়ো উভয়েরই দুটো করে আলাদা প্রসেসর আছে। চারটা প্রসেসর কোর নিয়ে ইন্টেল যে প্রসেসর বাজারে এনেছে সেটা হল কোয়াড কোর। এটা অনেক বেশি গতি সম্পন্ন।

ইন্টেল ডুয়াল কোর মাইক্রো-প্রসেসর
ইন্টেল কোর টু ডুয়ো মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল কোর আই
ইন্টেল কোর আই সিরিজে ৩ ধরনের প্রসেসর আছে Core i3, Core i5, Core i7.  ইন্টেলের Core i7 ইন্টেলের সর্বশেষ আধুনি প্রসেসর। এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে বানানো হয়েছে Core i5 ও Core i3.
ইন্টেল কোর আই সেভেন হচ্ছে নেহালেম মাইক্রোআর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি তিনটি ইন্টেল ডেস্কটপ X86-64 প্রসেসরের একটি ফ্যামিলি। এ ফ্যামিলিতে আছে তিনটি প্রসেসরঃ ২.৬৬ গি.হা. এ চলা Core i7-920, ২.৯৩ গি.হা গতিতে Core i7-940 এবং ৩.২ গি.হা. গতিতে চলা Core i7-965 Extreme. এগুলো অনেক বেশি কার্যকর, অনেক বেশি শক্তিশালী প্রসেসর।

ইন্টেল কোর আই-৫ এবং আই-৭ মাইক্রো-প্রসেসর

AMD প্রসেসর সম্পর্কে কিছু তথ্য

ইন্টেল প্রসেসর মতো এ.এম.ডি. প্রসেসর বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এ.এম.ডি প্রসেসর কাজ করার দক্ষতা অন্যদের থেকে কোন অংশে কম নয়। বরং  কাজের দিক থেকে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে। যারা এ.এম.ডি. প্রসেসর যারা ব্যবহার করেন তারা এ বিষয়ে ওয়াকিবহল । কিন্তু যারা এ.আম.ডি. প্রসেসর যারা ব্যবহার করেননি তাদের জন্য সম্পর্কে এ.আম.ডি. প্রসেসর কিছু কথা
Advanced Micro Devices সংক্ষেপে AMD বিশ্বের অন্যতম কম্পিউটার প্রসেসর, মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড চিপসেট তৈরীর একটি বিশেষজ্ঞ কোম্পানি। ১৯৬৯ সালের ১ মে ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর (Fairchild semiconductor) কোম্পানির একদল সদস্য এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেন। এই প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সানিভেল শহরে।


প্রথম দিকে কোম্পানিটি লজিক চিপ তৈরির মাধ্যমে কাজ শুরু করে, পড়ে ১৯৭৫ RAM Chip তৈরি করা শুরু করে। ঐ বছরই ইন্টেল ৮০৮০ মাইক্রোপ্রসেসরের একটি Reverse-engineered ক্লোন তৈরি করে AMD.  এরপর তারা তাদের নিজেস্ব AMD 29K Processor এর মাধ্যমে RISC প্রসেসর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। AMD র সাফল্য শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ১৯৯১ সালে তারা S386 প্রসেসর বাজারে আনে যেটি ছিল ইন্টেল ৮০৩৮৬ এর ক্লোন। এই প্রসেসর টি খুবই জনপ্রিয়তা লাভকরে, এক বছরের কম সময়ে প্রায় ১ মিলিয়ন প্রসেসর বিক্রি হয়। এই থেকে AMD র প্রসেসরের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড চিপসেট, পার্সোনাল কম্পিউটার, ওয়ার্কস্টেশন ও সার্ভারের জন্য এমবেডেড প্রসেসর ও গ্রাফিক্স প্রসেসর, হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস, গেম কন্ট্রোল, এবং অন্যান্য এমবেডেড সিস্টেম তৈরী করে এই কোম্পানি টি।


AMD প্রসেসরঃ

K5
AMD র সর্বপ্রথম প্রসেসর বাজারে ছাড়া হয় ১৯৯৬ সালে। যার নাম ছিল K5. এখানে কে(K) শব্দটি নেওয়া হয়েছে ক্রিপটোনাইট (kryptonite) শব্দ থেকে। K নাম নেবারও একটি কারন আছে সেটি হলঃ সুপারম্যান ছবিতে সুপারম্যানকে বস বা কাবু করতে পারে একমাত্র একটি সবুজ রঙের পাথর। ওই পাথরটিই হল ক্রিপটোনাইট (kryptonite)। এই ক্রিপটোনাইট (kryptonite) বা K নাম দিয়ে তারা এটাই বোঝাতে চেয়েছে এই সুপারম্যানকে (ইন্টেল) তারই একমাত্র কাবু করতে পারে। K5 এর ক্ষমতা অনেকটা ইন্টেল পেন্টিয়াম এর মত ছিল।


K6
১৯৯৬ সালে AMD কোম্পানি NexGen নামে একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। তখন NexGen কোম্পানির ডিজাইন টিম ও AMD মিলে ১৯৯৭ সালে  K6 প্রসেসর তৈরি করে। এটি K5 প্রসেসর কে কিছুটা  পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়। K5 আর K6 এর মধ্যে পাথক্য খুব কম। 




K7 (Athlon)
১৯৯৯ সালের মাজামাঝি সময়ে AMD নিয়ে আসে তাদের ৭ম প্রজন্মের X86 প্রসেসর K7 । এই K7 ব্যান্ডের নাম দেওয়া হয় Athlon. ২০০১ সালে রিলিজ করা হয় Athlon XP প্রসেসর।


Athlon 64
Athlon 64 হল K8 প্রসেসরের নাম। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল X86 ইনস্ট্রাকশন সেটের সঙ্গে ৬৪ বিটের আর্কিটেকচারের সমন্বয়, অন-চিপ মেমরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং “হাইপারকানেক্ট” নামে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পয়েন্ট টু পয়েন্ট ইন্টারকানেক্ট যোগ করা।


Athlon X2
Athlon 64 এর ঠিক পরেই AMD রিলিজ করে ডেস্কটপ ভিত্তিক সর্বপ্রথম ডুয়াল কোর প্রসেসর Athlon 64 X2. ২০০৭ সালের মে মাস থেকে ডুয়াল কোর প্রসেসরের নাম থেকে “64” কথাটি বাদ দিয়ে দেয় কোম্পানি। তখন শুধু নাম হয়  Athlon X2. এটি K9 সিরিজের প্রসেসর।


Sempron


ইন্টেলের খ্যাত সুলভ মূল্যের Celeron D প্রসেসরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি করা হয় Sempron প্রসেসর। Sempron শব্দটির নেওয়া হয়েছে ল্যাটিন “সেম্পার” থেকে, যার মানে “সবসময়”। অর্থাৎ এ প্রসেসর সব সময় সাধারণ ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।


Opteron
AMD র সাম্প্রতিক মাইক্রোপ্রসেসর স্থাপত্যের নাম হচ্ছে K10. এই স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সর্বপ্রথম প্রসেসর বাজারে আসে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। এতে আছে নয়টি কোয়াড কোর থার্ড জেনারেশন অপটেরন প্রসেসর।



Phenom


K10 স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করেই অপটেরন প্রসেসরকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করে তৈরি করা হয় Phenom প্রসেসর। 



বর্তমানে এই K10 নির্মানকৌশলের ওপর ভিত্তি তৈরি Phenom প্রসেসর প্রতি ধাপে ধাপে উন্নত করে  এবং অনেক বেশি শক্তিশালী করে বিভিন্ন ভার্সনে প্রসেসর রিলিজ করছে যেমন Fusion, Bobcat and Bulldozer ইত্যাদি ।

গুগল সার্চিং-এর কিছু কৌশল।

আমরা অনেকেই Google-কে সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা আনেকেই জানিনা গুগল  সার্চিং-এর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করলে খুব সহজেই আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারি ।





১) ওয়েব সাইট সমন্ধিয় এর তথ্য খুঁজবেন যেভাবে ।

যে কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন খুব সহজে।  ওয়েব সাইট সম্পর্কিত তথ্য বলতে ঐ ওয়েব সাইটের এর বর্ণনা, ক্যাশড পেজ, সমজাতিয় পেজ, ঐ সাইট এর বিভিন্ন Link, যে যে Web Site এ ঐ সাইট এর লিঙ্ক আছে ইত্যাদি।
এজন্য info: লিখে ওয়েব অ্যাড্রেস টি লিখতে হবে।


২) প্রধান প্রধান শহরের আবহাওয়া সমন্ধিয় তথ্য খুঁজবেন যেভাবে । 
বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরের আবহাওয়া তধ্য পাওয়ার জন্য Google এর Search Box এ “Weather” কথাটি লিখে তারপর শহরের নাম লিখতে হবে।


৩) আভিধানিক অর্থ খুঁজবেন যেভাবে ।

কোন কিছুর অর্থ জানার জন্য Search বক্সে define লিখে একটি স্পেস দিন তারপর যে শব্দটির সংজ্ঞা বা অর্থ জানতে চান তা লিখে Enter দিন তাহলে সেই শব্দের অর্থ পায়ে যাবেন।



৪) কোন শহর বা দেশের স্থানীয় সময় জানবেন যেভাবে

কোন শহর বা দেশের স্থানীয় সময় জানার জন্য Google-এর Search বক্সে লিখুন time তারপর স্পেস দিয়ে শহরের বা দেশের নাম লিখে Enter দিন। তাহলেই আপনাকে ঐ দেশের বা শহরের স্থানীয় সময় দেখিয়ে দিবে।


৫) কোন দেশ বা শহরের মানচিত্র পাবেন যেভাবে


যেকোনো দেশ বা শহরের মানচিত্র পেতে আপনাকে Google-এর Search বক্সে ঐ শহর বা দেশের নাম লিখে  একটি স্পেস দিন তারপর map কথাটি লিখুন। তাহলে Search Result এর শুরুতেই ঐ দেশ বা শহরের একটি প্রমাণ সাইজ এর মানচিত্র দেখানো হবে। আবার ঐ মানচিত্রে ক্লিক করলেই গুগল ম্যাপ থেকে সেটি বড় করে দেখেনিতে পারবেন।


৬) ইকুয়েশনের উত্তর বের করবেন যেভাবে

সহজ থেকে জটিল ইকুয়েশনের উত্তর পেতে পারেন Google-এ.  যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ যাই হোক না কেন যত জটিলই হোক না কেন খুব সহজে Google এর মাধ্যমে উত্তর পাওয়া যাবে। এজন্য Google এর Search Box এ শুধু ইকুয়েশন টি লেখলেই হবে। ইকুয়েশন এর জন্য গানিতিক চিহ্ন গুলি –
+ যোগফলের জন্য
-বিয়োগ করার জন্য
* গুন করার জন্য
/ ভাগ করার জন্য
% ভাগশেষ বের করার জন্য
^ এক্সপোনেন্সিয়াল এর জন্য (X to the power of Y)
বর্গমূল বের করার জন্য sqrt লিখে তার পেছনে সংখ্যাটি লিখতে হবে।


৭) এক মুদ্রাকে অন্য মুদ্রায় রুপান্তর করবেন যেভাবে

খুব সহজে এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রায় কত হবে তা জানা যায়। একটি উদাহরনের মাধ্যমে জেনে নিন কিভাবে করা যায় এই কাজ। যেমনঃ ১০০ US Dollar কে আপনি ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করার এজন্য Google এর Search Box এ লিখুন 100 usd in inr  লিখলেই দেখবেন ১০০ US Dollar ভারতীয় মুদ্রায় কত হয় তা দেখাবে।


৮) ওজন, আয়তন রুপান্তর করবেন যেভাবে

ওজন, আয়তন ইত্যাদি-কে বিভিন্ন পদ্ধতিতে Google -এর সাহায্যে খুব সহজে রুপান্তর করতে পারবেন। Google-এর Search বক্সে যে ইউনিট কে রুপান্তর করতে চান সেটির নাম লিখে তারপর in লিখে পরবর্তী ইউনিট এর নাম লিখে Enter দিন । যেমনঃ 1 kg in pound


৯) বিমানের ফ্লাইটের সময়সূচী যানবেন যেভাবে

বিমান বন্দরে আসা বা ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইট এর সময়সূচি জানতে পারবেন Google এর মাধ্যমে। এজন্য Google এর Search বক্সে – এয়ারলাইন এবং ফ্লাইট নম্বর লিখুন এবং Enter দিন। একটি নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে বিভিন্ন ফ্লাইটের বিলম্ব সম্বন্ধেও জানতে পারবেন। এজন্য শহরের নাম অথবা বিমানবন্দরের তিন অক্ষরের কোড নাম লিখে তারপর লিখে দিন airport নাম।





facebook একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড হারালেও

ফেসবুকের ই-মেইল, পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনেও  যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না।




এ জন্য প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সেটিং করবেন যে ভাবে

এ জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Login Notifications-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। Email-এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করে Require me to enter a security code sent to my phone বক্সে টিক চিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন message এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number : বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। তারপর Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন, Name New Computer নামের একটি পেজ এসেছে। সেখানে Computer name বক্সে কোনো নাম লিখে Add to your list of recognized devices বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue-তে ক্লিক করুন।

এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করলে তবেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার মোবাইলে আসা কোড নম্বরটি দেওয়া হচ্ছে। আপনার মেইলে অ্যাড্রেসেও একটি মেইল যাবে, যেটাতে লেখা থাকবে কে, কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি থেকে আপনার ফেসবুকে লগইন করা হয়েছিল ।

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu