প্রযুক্তি পরিচয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রযুক্তি পরিচয় লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

এন্ড্রয়েড-৪.৪ কিটক্যাটে নতুন কয়েকটি বৈশিষ্ট্য

এন্ড্রয়েড কিটক্যাট ” -এ যে সব নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়েছে...
android kitkat

অপটিমাইজ মেমরি :

অসাধারণ আর্কিটেকচার ব্যবহার করে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে এই অপারেটিং সিস্টেমে। মেমরি অপটিমাইজ করার ফলে এন্ড্রয়েড কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম এখন ৫১২ র‍্যাম এর ডিভাইসেও অনায়েসে চলতে পারবে। আগে যে সব উতপাদকেরা তাদের লো-এন্ড ডিভাইসের জন্য এখনও অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ জিঞ্জার ব্রেড ব্যবহার করে যাচ্ছিল তারা এখন ইচ্ছে করলেই কিটক্যাটে অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারবেন।


গুগল এক্সপেরিয়েন্স লাঞ্চার :

গুগলের এই লাঞ্চারটি এন্ড্রয়েড ৪.৪ এর অংশ নয়, কিন্তু গুগলের নেক্সাস ৫ এ এন্ড্রয়েড ৪.৪ এর সাথে অফিসিয়ালি ইন্টিগ্রেটেড হয়েছে গুগলের এক্সপেরিয়েন্স লাঞ্চারটি। গুগলের সচ্ছ এই অ্যাপ লাঞ্চারটিতে স্ট্যাটাস বার সহ হোম স্ক্রিনে থাকছে নেভিগেশন বার, এই বারটি এখন পুরোপুরি স্বচ্ছ যা অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ কে করেছে আরো আকর্ষণীয়। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনার প্রিয় ওয়াল-পেপারটিকে দেখতে আর কোন অসুবিধে হবে না।


ডায়ালার সার্চ :

এন্ড্রয়েড ৪.৪  কিটক্যাট- এ যুক্ত হওয়া নতুন ডায়ালার এর মাধ্যমে আপনি ব্যবসায়িক উদ্যেশ্যে যে কোন প্রতিষ্ঠানকে কল করতে পারবেন ডায়ালার থেকেই। এই ডায়ালার এখন আপনাকে, আপনার কাছাকাছি আপনার পছন্দের বস্তুটি সম্পকৃত তথ্য যেমন ,ফোন নাম্বার লিস্ট আকারে দেখিয়ে দিতে থাকবে। অথবা এখান থেকে যদি আপনি কোন ফোন কল পান তবে অ্যান্ড্রয়েড স্বয়ংক্রিয় ভাবে গুগলে সার্চ করে আপনাকে ফোন দাতার যথা সম্ভব সঠীক তখ্য আপনাকে দেখানোর চেস্টা করবে। যেমন ধরুন আপনার কোন স্থানীয় দোকানের ফোন নাম্বার দরকার। ডায়ালের এ গিয়ে দোকানের নামটি লিখুন, নাম্বারটি খুজে বের করার কাজটি করবে গুগল।


আপডেটেড হ্যাংআউট এ্যাপস :

গুগল তাদের এন্ড্রয়েড ৪.৪  কিটক্যাট -এ হ্যাংআউট অ্যাপটিকে এসএমএস এর সাথে ইন্টিগ্রেটেড করে দিয়েছে। গুগল চায় যে আপনার সকল মেসেজ একটি স্থানে থাকুক। একারনে ডিফল্ট এ্যাপস কে বাদ দিয়ে এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে।


ক্লাউড প্রিন্টিং :

এই সংস্করণটিতে যুক্ত হয়েছে প্রিন্টিং ফ্রেমওয়ার্ক। এন্ড্রয়েড ৪.৪  কিটক্যাটে এই বিল্ট-ইন সিস্টেম ফিচারটি প্রাথমিক ভাবে শুধু মাত্র গুগলের ক্লাউড প্রিন্ট এবং এইচ-পি’র ইপ্রিন্ট সাপোর্ট করবে। কিন্তু ডেভেলপাররা চাইলে এপিআই ব্যবহার করে আরো অনেক প্রিন্টার জুড়ে নিতে পারেন ।

নতুন গ্রে ইন্টারফেস :

পূর্বের সব ভার্শনের জেলি বীনের মত নিওন-ব্লু হ’লো ইন্টারফেস এর পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হয়েছে ধুসর রঙ। যেমন ব্যাটারি, ওয়াই-ফাই, এন্ড্রয়েড ৪.৪  কিটক্যাটের স্টাটাস বারের সেলুলার আইকন গুলো এখন ধুসর। কুইক সেটিং’স প্যানেল সহ গুগলের কি-বোর্ড এর রং এখন ধুসর।

এছারা আরে কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য,  যেমন  নতুন কলার আইডি,  ক্রোম ওয়েবভিউ, স্টেপ (হাঁটাচলা) রেকর্ডার-কাউন্টার, উন্নততর কানেক্টিভিটি, স্ক্রিন রেকর্ডার, নতুন লক এবং হোম স্ক্রিন ইত্যাদি।

মাইক্রোসফট তৈরী করছে নতুন অপারেটিং সিস্টেম 'মিডোরি'

Microsoft Midori
মাইক্রোসফটের একটি Non-Windows ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার নাম মাইক্রোসফট  মিডোরি। আমরা মাইক্রোসফট Midori সম্পর্কে বেশী কিছু না শুনলেও এই প্রকল্পটি নিয়ে মাইক্রোসফট ২০০৮ সাল থেকে কাজ করে আসছে। এই প্রকল্পটি বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভিপি টেরি Myerson - এর নেতৃত্বে কাজ করছে। নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম টি তৈরীর জন্য একটি নতুন ভাষা (Computer Language) তৈরী করা হয়েছে। যার নাম M # (এম শার্প)। এই নতুন ভাষা টি প্রায় সি# মতো, সি# এর অনেক এক্সটেনশন নিয়ে এটি তৈরী। এই ভাষাটি সম্পূর্ণরূপে  তৈরী সম্পন্ন হলে ওপেন সোর্স এ পরিবর্তিত করা হতে পারে ।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে টিকে থাকতে নতুন প্লাটফর্মের এই অপারেটিং সিস্টেমটি  তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে মাইক্রোসফট।

আপনার কম্পিউটার কী ভাইরাসে আক্রান্ত ?

কম্পিউটার ভাইরাস কী ?

computer virus


কম্পিউটার ব্যবহার করছেন কিন্তু কম্পিউটার ভাইরাসের নাম শোনেনি এরকম কেউ হয়তো নেই, প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ভাইরাস সস্পর্কিত অভীগতা আছে, কিন্তু এই কম্পিউটার ভাইরাস আসলে কি ? কীভারে এরা কম্পিউটারের ক্ষতি করে থাকে।
কম্পিউটার ভাইরাস প্রাণীর শরীরে কাজ করে এরকম কোন ভাইরাসের মতো না, অর্থাৎ জীবন্ত কিছু না। কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই নিজে নিজেই কাজ করতে পারে। জীবন্ত ভাইরাসের মত এরা প্রকৃত ভাইরাসটি ফাইল টিকে পরিবর্তিত করতে পারে। যা কম্পিউটারের ম্বাভাবিক কাজ কে ব্যহত করে । 
এই ভাইরাসের সংক্রমন ঘটতে পারে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে। যেমন: পেন ড্রাইভ, ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং, ই-মেইল, এমনকি ইণ্টারনেটের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

একটি ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারে সাধারনত যে যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।

১। কম্পিউটার বিভিন্ন ম্বাভাবিক কাজ গুলো হতে বেশি সময় লাগা। যেমনঃ- কম্পিউটার চালু হতে বা নতুন কোন প্রোগ্রাম ইন্সটলের হতে বা কোন ফাইল ওপেন হতে সময় বেশি লাগা, এমনকি অনেক সময় হঠাৎ কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়া।

২। মাঝে মধ্যে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়া।

৩। কম্পিউটার চালু অবস্তায় কিছু মেসেজ দেখতে পাওয়া। যেমনঃ-File not Found, Out Of Memory ইত্যাদি।

৪। হার্ডডিস্কে ফ্রী স্পেস অম্বাভাবিক ভাবে কমে আসা, ডিস্কে ব্যাড সেক্টর তৈরী হওয়া এর ফলে কম্পিউটার এর গতি কমে যাওয়া।

৫। টাস্ক ম্যানেজার কাজ না করা।

৬। অনেক সময় বিভিন্ন ফোল্ডারের আইকন পরিবর্তন করতে না পারা।

৭। Exe, Com, bat ইত্যাদি ফাইল গুলো ডিলিট করে হয়ে যাওয়া, আনেক ফাইল হিডেন ফাইল তৈরী হওয়া ইত্যাদি।

৮। কম্পিউটারে ফাইল গুলো এমন নাম ধারণ করবে যা পড়তে না পারা, ও কিছু কিছু ফাইল নিজে থেকেই হিডেন(Hidden) হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি ।




মাদারবোর্ড কেনার আগে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন।

motherboard
কমপিউটিরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল, কমপিউটার মাদারবোর্ড। কমপিউটিরে ব্যবহৃত সবরকম যন্ত্রই এই বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

ইনটেল চিপসেট ব্যবহার করে মাদারবোর্ড তৈরী করে, এমন অনেক কোম্পানি আছে, কিন্তু  তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেমন আসুস, গিগাবাইট, এম.এস.আই, ইত্যাদি, তবে ইন্টেল নিজেও মাদারবোর্ড তৈরী করে। এগুলি যেকোন একটি ব্যবহার করে আপনি একটি ভালো মানের কমপিউটার তৈরী করতে পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরী ভালো মানের মাদারবোর্ড বাজারে পাওয়া গেলেও , যাদের সার্ভিস ভালো সে সব কোম্পানির বোর্ড-ই কেনা ভাল।

 একটি ভালো মানের মাদারবোর্ড কিনতে আপনি যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন। 

১. প্রথম যে বিষয় টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল আপনি কি প্রসেসর ব্যাবহার করেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন মাদারবোর্ড কিনবেন।

২. এরপর যা লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল, মাদারবোর্ডটিতে কি ধরনের মেমোরির ব্যবহারের সুবিধা আছে (ডি.ডি.আর-২, ডি.ডি.আর-৩, ইত্যাদি ) এবং যে পরিমান মেমরি আপনি চাইছেন তা এই মাদারবোর্ডটিতে ব্যাবহার করা যাবে কিনা।

৩. প্রসেসর ও মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত এবং এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কিনা তা দেখে নিবেন। স্পিড বেশি হলে কাজের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন।

৪. মাদারবোর্ডে কতগুলো ইউ.এস.বি পোর্ট আছে তা দেখে নিন। যত বেশি পোর্ট থাকবে তত বেশি ইউ.এস.বি ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এখনকার বেশীরভাগ মাদারবোর্ডে ইউ.এস.বি-৩ পোর্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৫. মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্ক লাগানোর জন্য কয়টি SATA পোর্ট আছে তা দেখে নিন। বেশি পোর্ট থাকলে সেটি অবশ্যই ভাল।

৬. আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বা ক্যাপচারিং জাতীয় কাজ করতে চান তাহলে মাদারবোর্ডে পি.সি.আই স্লট আছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। মাদারবোর্ডে কি কি ধরনের স্লট এবং কয়টি করে আছে তাও দেখে নিন।

৭. আপনার যদি সি.পি.ইউ -এর ওভারক্লকিং এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন, তবে খেয়াল রাখবেন মাদারবোর্ডটিতে সি.পি.ইউ ওভারক্লকিং এর সুবিধা আছে কিনা।



২০১৩ তেই আসছে গুগল গ্লাস !

google_glass1গুগল সম্প্রতি তাদের একটি নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে চলেছে, যার নাম গুগল গ্লাস (google glass) বা গুগল চশমা। এটি কোন সাধারন চশমা নয়, এটি  চশমা, স্মার্টফোন এবং একটি কমপিউটারের মিলিত রুপ, যার দ্বারা গুগল ম্যাপ, ভিডিও চ্যাট এবং ভয়েস কমান্ড ফিচার ব্যবহার করা যাবে।এটি এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কাজ করবে, যা আপনার চশমার মতই কাজ করবে এবং স্মার্টফোনের মত বিভিন্ন তথ্যাবলী ফুটিয়ে তুলবে চোখের সামনে । এছাড়াও এতে রয়েছে একটি ৭২০পি এর ক্যামেরা , যার দ্বারা ছবি তুলতে পারবেন শুধুমাত্র একটি মুখের আদেশ দিয়ে। এবং রয়েছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই এবং ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে থ্রিজি ও ফোর-জি ডাটা আদান-প্রদান এর সুবিধা, ও বিল্ট-ইন চিপ।


google_glass
গুগল গ্লাস



গুগল গ্লাসের স্পেসিফিকেশন :

১) ফিটিং: যে কোন ফেস এর মানানসই ফ্রেম এবং নোজ প্যাড
২) ডিসপ্লে: উচ্চ রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে। যা ২৫ ইঞ্চি উচ্চ রেজ্যুলেশনের স্ক্রিণের সমতুল্য।
৩) ক্যামেরা: স্থিরচিত্র- ৫ মেগাপিক্সেল এবং ভিডিও- ৭২০ পি।
৪) কানেক্টিভিটি: ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ।
৫) স্টোরেজ: ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ (১২ জিবি ব্যাবহারযোগ্য) এবং গুগলের ক্লাউড স্টোরেজ ব্যাবহারের সুবিধা ।
৬) ব্যাটারি: সাধারণত একদিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। চার্জিং এর জন্য মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল এবং চার্জার ।
৭) যে সব ডিভাইস সমর্থন করবে: যে কোনো ব্লুটুথ সংযোগ থাকা স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম  ৪.০.৩ (আইসক্রিম স্যান্ডউইচ) বা উচ্চতর সংস্করণ থাকতে হবে।

গুগল, ২০১৩ শেষের দিকে গ্লাসটির কনজিউমার ভার্সন বাজারে ছাড়তে পারে। যদিও গুগল গ্লাসটির ডেভেলপার ভার্সন বাজারে ছেড়েছে ১৫০০ মার্কিন ডলার দামে।



ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে !

বর্তমানে ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা বেশ জনপ্রিয়, এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় ফাইল ওয়েবের কোন একটি নিদিষ্ট সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা যেকোনো স্থান থেকে সেগুলো ব্যবহারও করতে পারে। তবে যে কমপিউটার থেকে ফাইল খুলবে, তাতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। বর্তমানে অনেক ব্যবহারকারীই তাদের পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভের পরিবর্তে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করছে।
এর প্রধান সুবিধা হলো, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ সঙ্গে রাখার পরিবর্তে, ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন কমপিউটার থেকে সরাসরি ক্লাউড স্টোরেজে থাকা ফাইল গুলো ব্যবহার করা সম্ভব।

ইন্টারনেট সংযোগ ও ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধা যুক্ত এমন একটি কমপিউটারের এক বা একাধিক ফোল্ডারের যাবতীয় ডেটা আপনা-আপনি ক্লাউড স্টোরেজের সঙ্গে সংযুক্ত সার্ভারে গিয়ে সংরক্ষণ ( সিংক্রোনাইজ ) হবে।

ফলে দুটি স্থানে আপনার তথ্য সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত থাকছে। কোনো কারণে হার্ডডিস্ক নষ্ট গেলেও তা নিয়ে আর চিন্তায় পড়তে হয় না।

বর্তমানে বেশ কয়েকটি ক্লাউড স্টোরেজ প্রদানকারী সংস্থা বিশেষ কিছু সুবিধা যুক্ত, বিনামূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লাউড স্টোরেজ, ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে।


ক্লাউড স্টোরেজের জন্য উবুন্টু-ওয়ানে আপনি যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন।


১) প্রথমে এখানে ক্লিক করুন।
 

Ubuntu Sign in



২) এরপর create account অপশনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট জায়গায় আপনার ইমেল অ্যাড্রেস ও উবুন্টু-ওয়ান অ্যাকাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড টি লিখে send instruction অপশনে ক্লিক করুন।


Ubuntu Account


৩) এরপর ইমেল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে, উবুন্টু-ওয়ান থেকে পাওয়া মেসেজ থেকে কোড টি টাইপ করে confirm বাটনে ক্লিক করুন।


Ubuntu Confirm



৪) আপনার অ্যাকাউন্ট টি তৈরী হয়ে যাবারপরে এখানে ক্লিক করে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে।Sign me in with my existing account  অপশনে ক্লিক করে নির্দেশ অনুসারে ইমেল অ্যাড্রেস ও উবুন্টু-ওয়ান অ্যাকাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড টি লিখে দেওয়ার পর, ইনস্টল হয়ে গেলে c ড্রাইভে Documents and Settings\user name\ ফোল্ডারে Ubuntu One নামে একটি ফোল্ডার তৈরী হবে। এখানে আপনার যাবতীয় ডেটা রাখলেই আপনা-আপনি ক্লাউড স্টোরেজের গিয়ে জমা হবে।


Ubuntu Instalation


উইন্ডোজ ৮ -এও স্টার্টমেনু ও স্টার্ট বাটন !

উইন্ডোজ ৮ ব্যাবহার করে যারা হতাশ হয়েছেন টাস্কবারে Start Menu এর অনুপস্থিতি দেখে। আবার যাদের প্রথম প্রথম কম্পিউটার Shutdown বাটনটি খুজে পেতে সমস্যা হয়েছে তাদের জন্য উইন্ডোজ ৮ এও আগের মতো  টাস্কবারে Start Menu কে ফিরে পেতে পারেন খুব সহজে।

start menu
উইন্ডোজ ৮ স্টার্টমেনু ও স্টার্ট বাটন



১. ক্লাসিক সেল (Classic Shell)
 ক্লাসিক সেল উইন্ডোজ ৮ এর জন্য তৈরী করা একটি ফ্রি ও ওপেনসোর্স Start Menu । এটিতে উইন্ডোজ-৭,  উইন্ডোজ-ভিস্তা, এক্সপি এর Start menu এর মত থিম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে কাস্টমাইজ করার সুবিধা।

start menu


ক্লাসিক সেল ডাউনলোড করুন এখান থেকে।

২. আইওবিট স্টার্টমেনু ৮ (IOBit StartMenu8)
IOBit এর StartMenu8 ও আপনাকে  Start Menu ফিরিয়ে দিতে পারবে। এটা আপনাকে আপনাকে Windows 7 এর Start Menu ব্যাবহারের অনুভূতি দেবে।

Start menu


আইওবিট ডাউনলোড করুন এখান থেকে।

এসএমএস-এর আবিষ্কারক

SMS
মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো  ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে ব্যবস্থা  বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (Short Message Service (SMS)।

১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২০ বছর পেরিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে এটি আজ খুবই জনপ্রিয় । ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের।

মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন ২০ বছর বয়সী নেইল পাপওয়ার্থ তার নিজের কমপিউটার থেকে  ভোডাফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ম্যাসেজটি রিচার্ড জারভিসের কাছে পাঠানো হয় 'Merry Christmas' লিখে।

২০১৩ তে আসছে গুগল টিভি

google tv
২০১৩ সালে বিশ্ব বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল আনতে চলেছে তাদের তৈরি গুগল টিভি। গুগল, টিভি আনবে এ খবরেই প্রযুক্তি বিশ্বে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আরো একটি নতুন কিছুর অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।

গুগল জানিছে, ২০১৩ সালেই ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা এলজি তৈরী দুটি গুগল টিভি বাজারে আনবে।

 টিভিগুলোতে থাকবে কোয়ার্টি রিমোট কন্ট্রোলসহ ন্যাচারাল স্পিচ রিকগনিশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছারাও আরো নানা রকমের বৈশিষ্ট্য। নানা রকমের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এ টিভিতে থাকছে কথা বলে নির্দেশ দেওয়ার (ভয়েস কমান্ড) দেওয়ার সুবিধা। এলইডি প্রযুক্তি এই টিভিগুলোতে প্যাসিভ অবস্থায় দেখা যাবে থ্রিডি সিনেমাও।

এলজি তৈরী নতুন টিভি দুটির মডেল হচ্ছে  '৪৭জি২ গুগল টিভি ' এবং  অন্য টি '৫৫জি২ গুগল টিভি'। যার মধ্যে প্রথমটি ৪৭ ইঞ্চি এবং দ্বিতীয়টি ৫৫ ইঞ্চি ।

এছারাও থাকছে অ্যান্ড্রয়েডের হানিকম্ব ৩.২ সংস্করণ, যার ফলে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটে ব্যবহারের উপযোগী যেকোনো অ্যাপ্লকেশন টিভিতেই ব্যবহার সম্ভব। স্লিম এবং আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত নতুন এই টিভির অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।


lg google tv
এলজি তৈরী গুগল টিভি


উইন্ডোজ ৮-এর নতুন কিছু ফিচার


windows 8
উইন্ডোজ ৮-এর মেট্রো ইউজার ইন্টারফেজ



১) নতুন মেট্রো ইউজার ইন্টারফেজ।
২) নতুন লক-স্ক্রিণ ।
৩) ছবি এবং পিন কোড ব্যবহার করে নতুন অথেনটিকেশন সিস্টেম।
৪) দ্রুত শাটডাউন এবং স্টার্ট-আপের জন্য হাইব্রিড বুট সিস্টেম।
৫) 'উইন্ডোজ টু গো' ব্যবহার করে ইউএসবি থেকে উইন্ডোজ বুট ও ইন্সটলের সুবিধা।
৬) এপ্লিকেশন স্টোর (এখান থেকে নানা রকমের এপ্লিকেশন ইন্সটল করা যাবে)।
৭) মাইক্রোসফট একাউন্ট (উইন্ডোজ লাইভ/হটমেইল) ব্যবহার করে লগ-ইন করে নানা ধরনের কাজ করার সুবিধা।
৮)  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ভার্সন ১০ এর সুবিধা ।
৯) ফাইল এক্সপ্লোরারে যুক্ত হয়েছে নতুন রিবন ইন্টারফেস।
১০) নতুনভাবে ডিজাইন করা টাস্ক ম্যানেজার।
১১) নেটিভ ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে।
১২) যুক্ত হয়েছে নতুন দুইটি রিকভারি সিস্টেম, রিফ্রেশ এবং রিসেট।
১৩) ফ্যামিলি সেফটি নামক সুবিধা।
১৪) বিল্ট ইন বাংলা ভাষা যা প্রি ইন্সটলড বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ এক্টিভ করতে পারবেন নতুন কন্ট্রোল প্যানেল মেনু থেকে। 
১৫) এবং বিল্ট ইন এন্টিভাইরাসের সুবিধা যা সিস্টেমে রিয়েল-টাইম মনিটরের মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে।


password authentication
ছবির সাহায্যে নতুন অথেনটিকেশন সিস্টেম



ফেসবুক আসক্তি

facebook
গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় ৭০ কোটির বেশি লোক ফেসবুকে ব্যবহার করে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ কোটি প্রতিদিন ফেসবুকে লগ-ইন করে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গড়পড়তা ১৩০ জন করে ‘বন্ধু’ আছে। প্রত্যেক মাসে ফেসবুকের সব ব্যবহারকারী মিলে এর পেছনে ৫০ হাজার কোটি মিনিট সময় ব্যয় করেন। বহুল আলোচিত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এই কথাগুলো নিজেই সদর্পে লিখে রেখেছে তার পরিসংখ্যান পাতায়।


ফেসবুকের দাবি করে, ব্যবহারকারীরা এক মাসে তার ফেসবুকের জন্য ৫০ হাজার কোটি মিনিট ব্যয় করে। এই বিপুল সময়কে ঘন্টা, দিন, বছর এভাবে হিসাব করলে আসে ৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৩ বছর। অর্থাৎ বিপুল জনগোষ্ঠীর এক মাসের মোট সময় থেকে সাড়ে ৯ লাখ বছর ফেসবুকের জন্য খরচ করাতে পারা ফেসবুকের কাছে দারুণ গর্বের বিষয়। ফেসবুকের নিজের এই গর্বের পেছনে যুক্তি আছে। কিন্তু যারা সেই সময়টা ফেসবুককে ‘উৎসর্গ’ করছে তারা কি পাচ্ছেন সেটা জানার জন্য ফেসবুক কি সে সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা দরকার।

যারা ফেসবুক নিয়ে সময় কাটান না তাদের জানা উচিত তারা জিতছেন নাকি ঠকছেন। আর মা-বাবাদের জানা উচিত তাদের সন্তানরা ফেসবুকে বুঁদ হয়ে আসলেই কতটা ‘সামাজিক’ হয়ে বেড়ে উঠছে। এতে তাদের ছাত্রজীবন কিংবা ক্যারিয়ার জীবন কতটুকু লাভবান হচ্ছে।


ফেসবুক কি ?

ফেসবুক নিয়ে এত আলোচনা দেখে যারা এটি সম্পর্কে জানেন না তাদের অনেকের ধারণা হতে পারে ফেসবুক হয়তো জাতিসংঘের মতো কোনো ‘বিশ্বপ্রতিষ্ঠান’ যা বিশ্ববাসীকে ‘সামাজিক’ বানানোর দায়িত্ব পালন করে থাকে। আসলে ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ফেসবুক ডটকম। ফেসবুকে আপনিও একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন যেমন হটমেইল, জি-মেইল, ইয়াহু ইত্যাদিতে ফ্রি ইমেইল অ্যাড্রেস খোলা হয়। এরপর আপনি ফেসবুকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে আপনার পরিচয় লিখতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত ছবি রাখতে পারেন। আপনার বর্তমান অবস্থা, অবস্থান ইত্যাদি লিখে রাখতে পারেন। অন্যরা আপনাকে ‘বন্ধু’ হিসেবে তাদের অ্যাকাউন্টে যোগ করলে আপনার অ্যাকাউন্টে যা লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি সেখানে দিয়ে রেখেছেন সেগুলো সবাই দেখতে পাবে। আপনার মন্তব্যের বিপরীতে কিংবা আপলোড করা ছবি নিয়ে অন্যরা মন্তব্য করতে পারে। একজনকে কিংবা একসাথে সর্বোচ্চ ২০ জনকে গ্রুপ মেসেজ পাঠাতে পারেন। দিন-রাত গেম খেলে সময় পার করে দিতে পারেন। অন্যদের প্রোফাইলে ঢুকে তারা যে মন্তব্য লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি দিয়ে রেখেছেন তার বিপরীতে মন্তব্য লিখতে পারেন। এভাবে মন্তব্য কিংবা পাল্টা-মন্তব্য চালিয়ে যেতে পারেন। মোটামুটি এই হলো ফেসবুক এবং তার ‘সামাজিক যোগাযোগ’। .


তরুণ প্রজন্ম সামাজিক হচ্ছে ?

 তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকের মাধ্যমে কি ধরনের সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করছে সেটা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এদের মধ্যে অনেকে স্কুলছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। এদের কমেন্ট লেখা গুলো  বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এদের মধ্যে কেউ কেউ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটের পেছনে সময় ব্যয় করেছে! তাদের ‘অ্যাকটিভিটি’ লিস্ট থেকে দেখা যায় সবাই এই সময়টুকু বিভিন্ন মেয়ের প্রোফাইলে মন্তব্য লিখে সময় কাটিয়েছে। একজন স্কুলছাত্র এক রাতে সর্বোচ্চ ৪১ জন মেয়ের প্রোফাইলের ওয়ালে কিংবা স্ট্যাটাসে মন্তব্য লিখেছে! মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়, এদের মধ্যে কেউই তাদের পরিচিত নয়। মোটামুটি মন্তব্যগুলোর ধরন এরকম, ‘আমি তোমার বন্ধু হতে চাই’, ‘তুমি এত সুন্দরী’, ‘বৃষ্টিতে ভিজলে তোমাকে দারুণ লাগবে’ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সব কথা। আর কেউ অন্যের ছবির অ্যালবামে ঢুকে সেখানে অশ্লীল মন্তব্য লিখেছে! তারা নিজের প্রোফাইলে হয়তো কোন কবিতার লাইন লিখে রেখেছে কিংবা ‘বন্ধুরা কেমন আছো’, কিংবা ‘পড়াশোনা ভালো হয়নি পরীক্ষায় ফেল করব’ ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশিরভাগ মেয়ের আপলোড করা ছবিতে ছেলেরা হয় সৌন্দর্য্যরে প্রশংসা করেছে কিংবা অশ্লীল মন্তব্য লিখে রেখেছে। এভাবে দিনের কিংবা রাতের মূল্যবান সময় খরচ করে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করছে তরুণ প্রজন্ম!



বাঙালীর ফেসবুক বিলাস

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে প্রায় ২০ লাখের বেশি। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ তরুণীর সংখ্যা প্রায় শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ, যে বয়সটার মূল ব্রত হওয়া উচিত শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গঠনে মনোনিবেশ। প্রতিটা ঘন্টাই যাদের জন্য অসীম গুরুত্বপূর্ণ তারা রাত জেগে এই ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করে চলেছে! ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী আছেন শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। অর্থাৎ, অপচয় করার মতো সময় যে বয়সী লোকদের থাকার কথা, কিংবা পুরানো বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কথা যাদের, ফেসবুকের প্রতি তাদের আগ্রহ সামান্যই। ফেসবুক টিকে অল্পবয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবান সময় গলধকরণ করে । ফেসবুক ছাত্রদের সাধনা? অধ্যয়নই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা- এই কথা বলে যুগে যুগে অভিভাবক ও শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশোনায় উজ্জীবিত করে আসছেন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশী কিছু ফ্যাশন হাউস বাজারে তরুণ-তরুণীদের জন্য টি-শার্ট ছেড়েছে যার বুকের ওপর লেখা ‘ফেসবুকই আধুনিক ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র তপস্যা!’ যে ফেসবুক ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবান সময় এভাবে গিলে খাচ্ছে, রাত জাগিয়ে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে সেই ফেসবুকের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে এভাবে আসক্ত করার চেষ্টা কতটা দেশপ্রেমের পরিচয় সে প্রশ্ন অভিভাবকদের মনে জাগাই স্বাভাবিক।


মিথ্যা আর ছলনার বেসাতি

সরাসরি কারো সঙ্গে দেখা হয় না বলে ফেসবুক মিথ্যা আর ছলনা চর্চার উৎকৃষ্ট এক স্থান। যে যা নয়, তাই সাজার চেষ্টা করে অগণিত ব্যবহারকারী। পুরুষরা নারীর পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খোলে। আবার অনেক পুরুষ নিজেদের অনেক জ্ঞানী, ধনী কিংবা বিদ্যান পরিচয় দিয়ে নারীদের মন জয় করার চেষ্টা করে। মিথ্যা কথা বলে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর টানার চেষ্টা চলে। কিংবা সুন্দরী মেয়ে সেজে ব্যর্থ কিংবা হিংসুটে প্রেমিক তার প্রেমিকার মোবাইল নাম্বার ফেসবুকে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর মধ্য ছেড়ে দেয়। কিংবা মেয়েদের ছবি কপি করে ফটোশপের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের শরীরে জুড়ে দিয়ে ‘গোপন ক্যামেরায় তোলা’ বলে মেয়েটিকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালায়।



উন্নত দেশগুলোর কি অবস্থা

বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে অনেক ছাত্রছাত্রী কিংবা অফিসে বসে অনেক কর্মচারী ফেসবুকে সময় ব্যয় করাকে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ বলে মনে করলেও তার সাথে একমত নয় উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একং বড় বড় করপোরেট অফিস ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানী, ইটালিসহ উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ নামকরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবুক ব্লক করা। এছাড়া বিখ্যাত আইটি ফার্ম রবার্ট হাফ টেকনোলজির পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ করপোরেট অফিসে ফেসবুক নিষিদ্ধ। এই হার ব্রিটেনে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ৫৫ শতাংশ। ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, জার্মানী, জাপানসহ বহু দেশের অগণিত প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হয়। অনেক অফিসে ফেসবুক ব্যবহার ‘ছাঁটাইযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে নিয়োগপত্রে শর্ত দিয়ে থাকে। ব্রিটেনে স্মার্ট আইটি পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ অফিস কর্মচারী স্বীকার করেছেন, বাড়ির পরিবারের লোকজনকে সময় দিতে হয়, তাই ফেসবুকে ব্যয় করার সময় তারা বের করেন অফিসে গিয়ে! ভারতেও বহু শিক্ষা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বন্ধ করে রেখেছে। এশিয়াতে জাপানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ লাখ আর চীনে মাত্র ৩৬ হাজার।


ফেসবুক আঙুল ফুলে কলাগাছ

বসে বসে বন্ধু খোঁজা এবং শত শত ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে মন্তব্য লেখাকে আপনি সামাজিকতা মনে করেন? তাহলে আপনাকেই দরকার ফেসবুকের। কারণ আপনি যত বেশি ‘সামাজিক’ হবেন ফেসবুকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তত টাকা জমা হবে। ফেসবুক ওয়েবসাইটে ঢুকে যত বার যেকোন লিংকে ক্লিক করবেন ততবার নতুন করে বিজ্ঞাপন লোড হবে (ডান পাশের সাইডবারে)। একবার লোড হলে তাকে ১ ইম্প্রেশন বলে। প্রতি ১ হাজার ইম্প্রেশনের জন্য ওই বিজ্ঞাপনদাতার নিকট থেকে ফেসবুক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে। আর ক্লিক করলে তো আরো ভাল। দারুণ ব্যবসা! এই ব্যবসায়ে মূলধন হচ্ছে আপনার মতো ‘সামাজিক’ মানুষের অপচয় করা সময়। আপনি যত ক্লিক করবেন তত ইম্প্রেশন। দিন শেষে কয়েক কোটি ইম্প্রেশন দেখে ফেসবুক মালিকদের চোখে খুশির ঝিলিক ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ কয়েক কোটি ইম্প্রেশন মানে নিদেনপক্ষে কয়েক লাখ ডলার! ব্যবহারকারীরা ঘুর্নাক্ষরেও বুঝতে পারছেন না তাদের ব্যবহার করে কিভাবে কোটি কোটি ডলার আয় করছেন ফেসবুকের কর্ণধারেরা। ২০০৯ সালে ফেসবুকের আয় ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১০ সালে আয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে তারা। একজন ব্যবহারকারীর দ্বারা সিপিএম অ্যাড থেকে ২ ডলার আয়ের টার্গেট থাকে ফেসবুকের।


ফেসবুক পক্ষাবলম্বনকারীদের যুক্তি

ফেসবুকে ছেলেবেলার বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যদি হয় তাহলে স্কুল বা কলেজে যাদের একসঙ্গে পড়েছেন তাদের খুঁজে বের করা কি জীবনের বড় ব্রত? একজন মানুষের জীবনকালে এই বন্ধু খুঁজে বের করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন, ক্যারিয়ার জীবনের চেয়েও ? ছাত্র জীবন ধ্বংস হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে অশান্তি আসছে, ক্যারিয়ার জীবনে মনোনিবেশ কমছে। ক্যারিয়ার জীবনে এসে যাদের সঙ্গে সরাসরি কিংবা ফোনে যোগাযোগ আছে সামাজিকতার জন্য তারাই কি যথেষ্ট নয়? সবার প্রোফাইলে ঢুকে ‘কমেন্ট’ লেখাই কি সামাজিকতা? একজন মানুষ কি দৈনিক ৩-৪ ঘন্টা এই ওয়েবসাইটে ব্যয় করছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজতে?


চোরাবালি

বুদ্ধি আছে বটে ফেসবুকের নির্মাতাদের। কেউ যদি মনে করে থাকেন ফেসবুকে ঢুকে ‘মাত্র’ দুই/এক ঘন্টা ব্যয় করে বের হব, তবে সে গুড়ে বালি! কারণ ফেসবুক চোরাবালি বিছিয়ে রেখেছে এর নির্মাণশৈলীতে। এই চোরাবালির কাজ করছে কোটি কোটি সুন্দরী তরুণীর ছবি। কিশোর, তরুণ, যুবক, প্রৌঢ় পর্যন্ত ছুটছে এসব নাম ঠিকানা না জানা ‘সুন্দরী’ দের পিছে। এসব সুন্দরীদের প্রায় অর্ধেকই ভুয়া। তবুও ছায়ার পেছনে ছুটছে তারা। একবার বন্ধু তালিকায় যোগ করে শুরু হয় তার মন যোগানোর পালা। বিভিন্নভাবে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা। দুই-এক দিন না যেতেই এবার মোবাইল নাম্বার চাওয়া শুরু। প্রেম নিবেদন শুরু। এক মেয়ের ছবির নিচে প্রশংসা বাণী লিখছে শত শত পুরুষ।


জীবনে কত বন্ধুর প্রয়োজন

ফেসবুকে একজন পুরুষের গড়ে আড়াইশ’ বন্ধু আছে। আর একজন মেয়ের গড়ে ১ হাজার বন্ধু আছে! কোনো কোনো মেয়ের বন্ধুসংখ্যা ৫ হাজার! পুরুষের বন্ধু তালিকায় যারা থাকে তার অল্প কয়েকজন তার চেনাজানা পুরুষ কিংবা নারী বন্ধু আর বাকিরা হয় অপরিচিত নারী কিংবা নারীর ছদ্মবেশী পুরুষ। তরুণরা ফেসবুকে ঢুকে মেয়ে ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে।



রুচি বিকৃতদের স্বর্গরাজ্য

মানুষ কিভাবে তাদের মেধার অপচয় করতে পারে ফেসবুক তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ফেসবুকে লাখ লাখ ছবি, কার্টুন ও ভিডিও যোগ করে ব্যবহারকারীরা। এসব ছবির মধ্যে আছে দেশ, জাতি কিংবা ব্যক্তির প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর উপকরণ। কিংবা বীভৎস দৃশ্যের ছবি। বিশ্বের বিখ্যাত মনীষী, রাজনীতিক, কিংবা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ ও আপত্তিকর ছবি শেয়ার করে মজা পায় এক শ্রেণীর কুরুচিপূর্ণ মানুষ। যতই সম্মানিত ব্যক্তি হোক না কেন, তার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি যখন মানুষের হাসির খোরাক যোগায় তখন সেটাকে নিছক গণতান্ত্রিক অধিকার বলার সুযোগ নেই। সংবাদপত্রের পাতায় রাজনীতিবিদদের কার্টুন আর ভিন্নমত পোষণকারী সাধারণ মানুষের বিদ্বেষমূলক কার্টুন এক হতে পারে না। এরা নিজের প্রোফাইলে এসব ছবি ঢুকিয়ে অন্যের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দেয়। যার প্রোফাইলে ছবি ট্যাগ করা হয় সে নিজে তো দেখতে পায়, তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্য সবাইও তা দেখতে পাবে। সেখান থেকে সমমনা কুরুচির কয়েক ডজন ‘বন্ধু’ হয়তো তাদেরও বন্ধুদের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দিল সেখান থেকে প্রত্যেকের কয়েক ডজন করে বন্ধু তাদের বন্ধুদের ‘ট্যাগ’ করে দিল যাকে বলে চেইন রিয়েকশন! মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে। চলে হাসাহাসি, ঠাট্টা ,বিদ্রুপ, বিকৃত আনন্দ ভোগ। অনেকে আবার মেয়েদের ফটো অ্যালবাম থেকে ছবি নিয়ে সেই ছবির মাথা কম্পিউটারের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের দেহে জুড়ে দিয়ে তার প্রোফাইলেই আবার ট্যাগ করে দেয়! পৃথিবীর কোটি কোটি পুরুষের কম্পিউটারে একজন মেয়ের ছবি থাকা অবশ্যই নিরাপদ নয়; কিন্তু ফেসবুকের কল্যাণে তাই ঘটছে। নিজেও জানেন না, আপনি সামাজিকতা পালন করতে গিয়ে যে ছবি শেয়ার করেছেন তা কত কোটি বখাটে পুরুষের কম্পিউটারে সেভ করা হয়েছে।




ফেসবুকের সবটাই খারাপ ?

 না। খুব কম জিনিসই আছে যার সবটুকু খারাপ। ফেসবুকও তেমনি। ফেসবুকে একটি মন্তব্য লিখে আপনি সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার অবস্থা কিংবা অবস্থান। সেলিব্রেটিরা তাদের ভক্তদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ রাখতে পারে ক্লায়েন্টদের সাথে। বিভিন্ন গ্রুপ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে পরস্পরের সাথে। নিজের অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে। এছাড়ও ইমেইল কিংবা ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জারের মতো বিকল্প অনেক রাস্তা আছে, যেগুলোকে বিকল্প যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

facebook user


এই লেখাটি  Shohan ahamed লেখা থেকে ও  কিছু নিজের অভিগতা থেকে লেখা ।

থ্রিজি প্রযুক্তি কি ?

থ্রিজি প্রযুক্তিকে বলা হয় তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন প্রযুক্তি(Third Generation of Wireless Technologies)। ডব্লিউ-সি. ডি.এম.এ. (W-CDMA), ডব্লিউ.এল. এ.এন (WLAN) এবং সেলুলার রেডিও এরকম অন্যান্য আরো প্রযুক্তির সম্মিলিত সংস্করণ হলো থ্রিজি প্রযুক্তি।  এটি পূর্বের ওয়ারলেস প্রযুক্তি গুলোর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত একটি প্রযুক্তি। এটি যেমন দ্রুত গতিতে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে, তেমনি উন্নত মাল্টিমিডিয়া ও বিশ্বব্যপী রোমিং সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম। থ্রিজি প্রযুক্তিটি মূলত ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনের জন্য।



থ্রিজি প্রযুক্তি কেন উন্নত ?

১। অনেক দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান ক্ষমতা ।
২। অডিও এবং ভিডিও হিসেবে তথ্য আদান প্রদান সুবিধা ।
৩। ভিডিও কনফারেন্স সামর্থন ।
৪। উচ্চগতি সম্পন্ন ওয়েব এবং ওয়াপ ইন্টারনেট ব্রাউজিং  ।
৫। আই.পি.টিভি ( ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা সম্ভব ) ।



থ্রিজি প্রাযুক্তিতে তথ্য আদান প্রদান গতি :

দ্রুত গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদানের  গতি ১২৮ থেকে ১৪৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
কম গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান  ৩৮৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
স্থির অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান গতি ২ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।

404 Error কি ?

আমরা অনেক সময় ওয়েব সাইটের অ্যাড্রেস লিখলে 404 এরর বা পেজ টি খুঁজে পাওয়া গেলো না, এরকম মেসেজ পেয়ে থাকি, এই 404 এরর হল একটি ওয়েবসাইটের কমন মেসেজ, যার দ্বরা বোঝাযায় ওয়েবপেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার এটিও হতে পারে  ইউজার যদি কোন ভুল লিঙ্কে ক্লিক করে, তাহলে এই মেসেজটি দেখাতে পারে। " 404 এরর বলতে বোঝায় যে, সার্ভারটি চলমান(valid), কিন্তু ওয়েবপেজটি কিংবা ওয়েবপেজে যাওয়ার পথটি(path) বৈধ(valid) নয়"
প্রশ্ন জাগতে পারে কেন একে "মিসিং ওয়েবপেজ এরর ? "  না বলে  "404 এরর" বলা হয় ?  যখন ওয়েব সার্ভার একটি পেজ খুঁজে পায় না, তখন ওয়েবসার্ভার থেকে 404 এরর তৈরী হয় । আর এই এরর কোড সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে।ফলে সার্চ ইঞ্জিন, সার্চ রেজাল্ট থেকে এই পেজটিকে সরিয়ে রাখে। এমনকি 404 এররকে ওয়েবস্ক্রীপ্ট এবং ওয়েব মাস্টার টুলগুলো সনাক্ত করতে পারে। ফলে ওয়েবমাস্টাররা ঐ পেজটিকে সনাক্ত করে ঠিক করার চেষ্টা করে।

404 নাম করনের কারন :  WWW এর প্রথম ডাটাবেজ ছিল সুইজারল্যান্ডের একটি অফিসের চারতালার 404 নাম্বার ঘরে। সেখানে ফাইল আদান প্রদান করার সময় কোন ভুল হলে  “404: পাওয়া যায়নি” মেসেজ লেখা হত। সেখান থেকে আসা শব্দটি দ্বারা এখন সার্ভারে পেজ পাওয়ানা গেলে 404 এরর দেখানো হয়।



এন্ড্রয়েড কি ?

এন্ড্রয়েড হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা মোবাইল ফোনের জন্য ব্যবহার করা হয় । কমপিউটার কে চালাতে যেমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেমন উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, ম্যাক বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন তেমনি মোবাইল ফোনের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেমে প্রয়োজন হয় । এন্ড্রয়েড সেরকম একটি মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, এন্ড্রয়েড ছাড়া আরো কিছু মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম যেমন নকিয়ার সিম্বিয়ান, এপলের iOS, রিম’এর ব্ল্যাকবেরি os, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ইত্যাদি।  প্রথম দিকে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মোবাইল ফোনের জন্য হলেও এখন এই অপারেটিং সিস্টেমে চলছে নেটবুক, ট্যাবলেট ও গুগল টিভি।

আমরা যেমন কমপিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। তেমনি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সাথে  কিছু ইন-বিল্ট এপলিকেশন, গেম, উইজেট রয়েছে। এন্ড্রয়েড SDK (Software Development Kit), যার সাহায্যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের জন্য এন্ড্রয়েড এপলিকেশন তৈরি করা হয়। এন্ড্রয়েড SDK এর মধ্যে সোর্স কোড সহ স্যাম্পল প্রজেক্ট, ডেভলপমেন্ট টুলস, ইমুলেটর এবং এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট  তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এন্ড্রয়েড এপলিকেশন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে লেখা হলেও এন্ড্রয়েড SDK সাহায্যে তৈরী করা হয়
এন্ড্রয়েড ফোন কি ?
যেসব মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যেমন - Acer, Alcatel, Dell, Gigabyte, HTC, Huawei, LG, Motorola, Nexus, Samsung, T-Mobile, Toshiba, Vodaphone, ZTE এর মত বড় বড় প্রায় সব কোম্পানি। বর্তমানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় একটি নাম।

হিতাচি তৈরী করল বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স

Hitachi গ্লোবাল স্টোরেজ প্রযুক্তি তৈরী করল বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র 7mm 2.5 হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) সঙ্গে 7200rpm গতি এবং 500GB ধারন ক্ষমতা , যাতে একটি মাত্র প্ল্যাটার ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ডিভাইসটি অতি -পাতলা এবং কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ লক্ষ্য পুরন করতে পেরেছে ।

 বিদ্যুৎ শাস্রয়ী এই হার্ড ড্রাইভটি পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ২.১ ওয়াট, আর যখন কোন কাজ করে না তখন ০.৮ ওয়াট এবং standby মোডে 0.2 ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই 7mm হার্ডডিস্ক ড্রাইভ টি 7200rpm গতি, 32MB বাফার, সিরিয়াল ATA 6 Gb/s ইন্টারফেস এবং 1369 Mb/s (171 MB/s) মিডিয়া ট্রান্সফার রেট প্রদান করতে সক্ষম ।



বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স


বিএসএনএল ও আনতে চলেছে কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার

এবার ভারতীয় টেলিকম অপারেটর বিএসএনএল ও ভারতের বাজারে আনতে চলেছে কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার। বিএসএনএল ও প্যান্টেন টেকনোলজি-র সঙ্গে যৌথউদ্দগে তৈরী হতে চলেছে কম মূল্যের পেনটা টিপ্যাড আই.এস ৭০১ আর ( Penta TPAD IS701R) মডেলের ট্যাবলেট টি। তাদের দাবী অন্যান কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার গুলির তুলনায় তাদের ট্যাবলেট কম্পিউটার টি আরও অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন । বিএসএনএল জানিয়েছে আগামী পহেলা মার্চ, ২০১২ থেকে রিটেইল স্টোর এবং বিএসএনএল আউটলেটগুলোতে পাওয়া যাবে।

Penta TPAD IS701R বৈশিষ্ট্য:

ওয়েব ব্রাউজ করুন, ইউটিউবে ভিডিও, ইমেইল চেক এবং অ্যান্ড্রয়েড ™ 2.3 সহ আরো অনেক কিছু এবং উচ্চ গতির 1 GHz প্রসেসর এবং DDRII 256MB RAM উপস্থিত. এছারা ইন্টিগ্রেটেড, LCD / LED টিভি সঙ্গে সংযোগ জন্য HDMI পোর্ট । জনপ্রিয় ভিডিও, গান, এবং ছবির বিভিন্ন ফরম্যাটের সাপোর্ট করবে। এবং ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন Andriod Google Apps। উচ্চ গতির নেটওয়ার্কিং (ওয়াই ফাই 802,11 / b g) সাথে সংযুক্ত wirelessly ইন্টারনেট । সহজেই অ্যাক্সেস করুন ইমেল, অফিস প্যাকেজ এবং গেম, ফেসবুক এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং । Seamless ডিজিটাল মিডিয়া অভিজ্ঞতা । E-book রিডার, Rechargeable লিথিয়াম পলিমার-ব্যাটারি । এছাড়াও বিএসএনএল এর ক্রেতাদের জন্য ২ মাসের ৫ গিগাবাইট ফ্রি ডাটা ব্যবহারের সুবিধা।


Penta TPAD IS701R স্পেসিফিকেশন:

CPU - IMAP210 1GHz
O / S - অ্যান্ড্রয়েড 2.3
RAM - DDR2 256MB
ফ্ল্যাশ - 2GB TF
কার্ড - 32G সাপোর্ট WiFi - 802.11b/g/n LCD
রেজল্যুশন - 7 "TFT, 16:9, 800 * 600
টাচ স্ক্রিন - resistive
জি সেন্সর - Rotator screen, 3D গেম
ক্যামেরা - 0.3MP
USB - USB-x 1
ব্যাটারি - li-আয়ন 3000mah 5V2A
ভিডিও - Max.1280 * 720 MKV (H.264 HP) AVI rm / RMVB flv WMV9 MP4
ফ্ল্যাশ সাপোর্ট - Adode ফ্ল্যাশ 10.3
অডিও -MP3/WMA/APE/FLAC/AAC/OGG/AC3/WAV


Penta TPAD IS701R মডেলটির দাম :  3,499 টাকা মধ্যে ।


এছাড়াও বিএসএনএল তৈরী করেছে  ট্যাবলেটে কম্পিউটারের আরও দুইটি সংস্করণ T-Pad WS704C ও T-Pad WS802C । এতে রয়েছে ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন , এটিতে আইএস৭০১আর মডেলটির মতোই স্পেসিফিকেশন, তবে এতে সিম-স্লট সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে থ্রিজি সংযোগ সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। রয়েছে অ্যাক্সেলারেটেড জিপিএস সুবিধাও। রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৫১২ RAM । এগুলির দাম পড়বে প্রায় ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ।

T-Pad WS802C



অগ্রীম বুকিং করতে এখানে ক্লিক করুন ।



 

মোবাইলের ফোল্ডার হাইড করুন কোন সফটওয়্যার ছাড়াই

আমাদের মোবাইলে হয়তো কিছু ফোল্ডার থাকে, যা একান্তই আমাদের ব্যাক্তিগত। যা বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে হাইড করে রাখেতে চাই।
কিন্তু কোন সফটওয়্যার ছাড়াই খুবই সহজে আপনার নকিয়া ফোনে কোন ফোল্ডার হাইড করে রাখতে পারেন। আসুন  দেখা যাক কিভাবে নকিয়া ফোনে কোন ফোল্ডার হাইড করে রাখতে যায়।


ফোল্ডার হাইড করতে :

১) যে ফোল্ডার টি কে হাইড করেবেন সেই ফোল্ডার কে  rename করুন এবং সাথে extension name  .jad যুক্ত করুন। যেমন ধরুন video নামের ফোল্ডার টির নাম পরিবর্তন করে  video.jad করা হল।
2) এবার আরও একটি নতুন ফোল্ডার তৈরী করুন এবং ১ম যে ফোল্ডার খুলেছিলেন সেই নাম দিন এবং সাথে .jar যুক্ত করুন। যেমন video.jar।
এখন দেখুন আপনার video.jad ফোল্ডার টি দেখা যাচ্ছে না! শুধুমাত্র video.jar ফোল্ডার টি কিভাবে দেখা যাবে।



ফোল্ডার হাইড করতে :

১) video.jar ফোল্ডার টি  rename করে .jar মুছে দিন অথবা video.jar মুছে দিন। এখন দেখুন  video.jad ফোল্ডার শো করছে!
পুনরায় ২য় ফোল্ডার টিকে rename করে আবার .jar যুক্ত করলে ১ম ফোল্ডার টি হাইড হয়ে যাবে!!
(জাভা এনাবল মোবাইলের ক্ষেত্র প্রযোজ্য)

অতীত থেকে বর্তমানের ইন্টেল মাইক্রো-প্রসেসরের পরিচয়।


ইন্টেল ৪০০৪
১৯৬৯ সালে শুরুর সময়ে ইন্টেল ছিল খুব ছোট একটি কোম্পানি। ইন্টেলের প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ৪০০৪ এর আবিস্কারক টেড হফ ছিলেন কোম্পানির দ্বাদশ কর্মচারী। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা ১৯৭১ সালে ইন্টেল ৪০০৪ মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন করেন যেটি ছিল বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক মাইক্রোপ্রসেসর। এটি ছিল ৪ বিট মাইক্রোপ্রসেসর এবং এর ক্লক স্পিড ছিল ১০৮ K.Hz। .এটি প্রতি সেকেন্ডে ষাট হাজার ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত।

ইন্টেলের প্রথম 4004 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০০৮
১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে ইন্টেল ৮০০৮ নামে ৮ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর বাজারে আসে যা ২০০ K.Hz ক্লক স্পিডে কাজ করতে সক্ষম ছিল। এটি মূলত তৈরি করা করা হয়েছিল টেক্সাসের কম্পিউটার টার্মিনালস কর্পোরেশনের জন্য।

ইন্টেল 8008 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮০
ইন্টেল ৮০০৮ কে আপডেট করে তৈরি করা হয় ইন্টেল ৮০৮০, যেটি প্রতি সেকেন্ডে ২,৯০,০০০ ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত এবং এর ক্লক স্পিড ছিল ২ M.Hz। .এটা ৮০০৮ এর চেয়ে ১০ গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল।

ইন্টেল 8080 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৫
১৯৭৬ সালে ইন্টেল ৮০৮৫ মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার করে যা ৩.৫ M.Hz গতিতে কাজ করতে পারত। এটা ৮০৮০ এর চেয়ে অনেক বেশ দ্রুত কাজ করতে পারত এবং এতে প্রথম ক্লক জেনারেটর সার্কিট ও বাস কন্ট্রোলার সার্কিট যোগ করা হয়।

ইন্টেল 8085 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৬ 
১৯৭৬ সালে প্রসেসরের মাইল ফলক হিসাবে আবিষ্কৃত হয় ইন্টেল ৮০৮৬, এটি ১৬ বিট মাইক্রোপ্রসেসর যেটি ১০ M.Hz পর্যন্ত গতিতে কাজ করতে সক্ষম ছিল। ৮০৮৬ প্রসেসরে একটি ৬ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ যুক্ত করা হয় যেটি প্রথম পাইপ লাইনিং ধারনার প্রচলন ঘটায়।

ইন্টেল 8086 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৮
১৯৭৯ সালে ইন্টেল ৮০৮৮ প্রসেসরের প্রচলন শুরু করে যেটির ডাটা বাদ ছিল ৮ বিট ওয়াইড। এতে ৪ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ ছিল এবং ৯ M.Hz ক্লক স্পিড সাপোর্ট করতো। এটি IBM এর প্রথম কম্পিউটারে ব্যবহিত হয়।

ইন্টেল 8088 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০১৮৬
এই প্রসেসর ফাস্ট জেনারেশন প্রসেসর নামে পরিচিত। ১৯৮২ সালে আবিষ্কৃত হয় এটি, যা মূলত ৮০৮৬ এর মতই ৬ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ, ২০ বিট অ্যাড্রেস বাস এবং ১৬ বিট ডাটা বাস নিয়ে গঠিত। এর ক্লক স্পিড ছিল ৪-৬ মে.হা.

ইন্টেল 80186 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০২৮৬
এই প্রসেসর Protected Mode এবং Real Mode নামে দুই মোডে কাজ করতে পারত। এর বড় সুবিধা হল, ইউজার ইনস্ট্রাকশন এবং অপারেটিং সিস্টেম ইনস্ট্রাকশন আলাদা করতে পারা যেটি মেমরিকে সুরক্ষিত রাখতে সহয়তা করতো। এই প্রসেসর ৬ থেকে ২৫ M.Hz গতিতে কাজ করতে সক্ষম ছিল।

ইন্টেল 80286 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৩৮৬
১৯৮৫ সালে ইন্টেল ৮০৩৮৬ বাজারে আসে, এটি সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করতো। এই প্রসেসর সেকেন্ডে প্রায় ৫ মিলিয়ন ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত এর ইনস্ট্রাকশন কিউ সাইজ ছিল ছিল ১৬ বাইট। এই প্রসেসর ৩৩ M.Hz গতি পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এর দুটি ভার্সন ছিল, একটি 80386 D.X অপরটি 80386 S.X

ইন্টেল 80386 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৪৮৬
১৯৮৯ সালে এটি বাজারে আসে এবং এতে ৮ কিলোবাইট ক্যাশ মেমরি এবং বিল্ডি ইন ম্যাথ কো প্রসেসর ছিল। এই ম্যাথ কো প্রসেসর এর কারণে এটি পূর্ববর্তী প্রসেসর এর চেয়ে ৩ গুন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারত।

ইন্টেল 80486 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল পেন্টিয়াম
পেন্টিয়াম প্রসেসর দুটো ডাটা পাইপলাইনের সাহায্যে একই সাথে দুটি ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত। এটি ৫০-৬৬ M.Hz পর্যন্ত ক্লক স্পিডে কাজ করে। এটি ২৫৬ কে.বি. থেকে ১ এম.বি. পর্যন্ত ক্যাশ মেমরি সাপোর্ট করতে পারত।

ইন্টেল পেন্টিয়াম মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম প্রো
১৯৯৫ সালের শেষের দিকে ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রো প্রসেসর ডেভেলপ করে যেটি প্রতি সাইকেলে মাল্টিপাল ইনস্টাকশন রান করতে সক্ষম। এই প্রসেসর ৩২ বিট সার্ভার এবং ওয়াকস্টেশন অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য মূলত ডিজাইন করা হয় (যেমনঃ উইন্ডোজ এন.টি.) যা ২০০ M.Hz পর্যন্ত গতিতে কাজ করতে পারে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-প্রো মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম টু 
এই প্রসেসর ৫৭ টা মাল্টিমিডিয়া এক্সটেনশন সাপোর্টটিং ইনস্টাকাশন যুক্ত করা হয় যার ফলে এই প্রসেসর ভালো অডিও ভিডিও সাপোর্ট দিতে পারে। এর ক্লক স্পিড ছিল ৩০০ M.Hz পর্যন্ত।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-টু মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম টু জেনন
পেন্টিয়াম টু জেনন প্রসেসর সার্ভার এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয় যেটি মূলত কিছু বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয়। এসব কাজ হলঃ ইন্টারনেট সার্ভিসেস, কর্পোরেট ডাটা ট্র্যান্সফার, ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও মেকানিক্যাল ডিজাইন অটোমেশন ইত্যাদি।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-টু জেনন মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল সেলেরন
১৯৯৮ সালে ইন্টেল তুলনামূলক কম দামে প্রসেসর বাজারে আনে সেটি হল সেলেরন। কম দাম বলে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বর্তমানে সেলেরন প্রসেসর ৩.৬ G.Hz স্পিডে অপারেট করতে সক্ষম।

ইন্টেল সেলেরন মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম থ্রি
পেন্টিয়াম থ্রি প্রসেসর ইমেজিং, থ্রিডি স্টীমিং অডিও ভিডিও, গেমস এর জন্য খুব জনপ্রিয়তে অর্জন করে। এটি ১.৪ G.Hz. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-থ্রি মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম থ্রি জেনন
১৯৯৯ সালে পেন্টিয়াম থ্রি জেনন বাজারে আসে যা মূলত ই-কমার্স এবং অ্যাডভান্সড বিজনেস অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য। পেন্টিয়াম টু জেনন এর মত ২ এম.বি. পর্যন্ত L2 ক্যাশ সাপোর্ট করে। ৭০০ মে.হা. পর্যন্ত ক্লক স্পিড প্রদান করে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-থ্রি জেনন মাইক্রো-প্রসেসর

পেন্টিয়াম ফোর
২০০০ সালের শেষের দিকে ইন্টেল নেট বাস্ট টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তাদের সপ্তম প্রজন্মের মাইক্রোপ্রসেসর পেন্টিয়াম ফোর বাজারে ছাড়ে যা ৩.৮ G.Hz. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে। বিভিন্ন সুবিধার কারণে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-ফোর মাইক্রো-প্রসেসর


ইটানিয়াম ও ইটানিয়াম টু
ইন্টেল ও এইচপি (HP) মিলিত ভাবে এই প্রসেসর তৈরি করে। ৬৪ বিট এই প্রসেসরগুলো মূলত প্যারালাল প্রসেসিং সাপোর্ট করে যা প্রতি সাইকেলে ৬ টা ইনস্টাকশন পারফর্ম করতে পারে। এতে মোট ২৫৬ টা অ্যাপ্লিকেশান রেজিস্টার আছে। ইটানিয়াম ৮০০ মে.হা. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে যেখানে ইটানিয়াম টু ১.৬ G.Hz. পর্যন্ত সাপোর্ট করতো। এই পরচেসসর বাজারে তেমন একটা চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে নি।

ইন্টেল ইটানিয়াম-টু মাইক্রো-প্রসেসর


ডুয়াল কোর প্রসেসর
ইন্টেল ২০০৫ সালে পেন্টিয়াম ডি প্রসেসর বাজারে আনে যা আসলে দুটি পি-ফোর প্রসেসরের সমন্বয়ে। পরবর্তীতে তারা মুলত ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য ডুয়াল কোর প্রসেসর তৈরি করে যা ১.২০ G.Hz. স্পিডে কাজ করতে সক্ষম। ডুয়াল কোর প্রসেসর এর পরবর্তী ভার্সন কোর টু ডুয়ো। কোর ডুয়ো এবং কোর টু ডুয়ো উভয়েরই দুটো করে আলাদা প্রসেসর আছে। চারটা প্রসেসর কোর নিয়ে ইন্টেল যে প্রসেসর বাজারে এনেছে সেটা হল কোয়াড কোর। এটা অনেক বেশি গতি সম্পন্ন।

ইন্টেল ডুয়াল কোর মাইক্রো-প্রসেসর
ইন্টেল কোর টু ডুয়ো মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল কোর আই
ইন্টেল কোর আই সিরিজে ৩ ধরনের প্রসেসর আছে Core i3, Core i5, Core i7.  ইন্টেলের Core i7 ইন্টেলের সর্বশেষ আধুনি প্রসেসর। এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে বানানো হয়েছে Core i5 ও Core i3.
ইন্টেল কোর আই সেভেন হচ্ছে নেহালেম মাইক্রোআর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি তিনটি ইন্টেল ডেস্কটপ X86-64 প্রসেসরের একটি ফ্যামিলি। এ ফ্যামিলিতে আছে তিনটি প্রসেসরঃ ২.৬৬ গি.হা. এ চলা Core i7-920, ২.৯৩ গি.হা গতিতে Core i7-940 এবং ৩.২ গি.হা. গতিতে চলা Core i7-965 Extreme. এগুলো অনেক বেশি কার্যকর, অনেক বেশি শক্তিশালী প্রসেসর।

ইন্টেল কোর আই-৫ এবং আই-৭ মাইক্রো-প্রসেসর

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu