দেশ ও বিদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেশ ও বিদেশ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মাইক্রোসফট তৈরী করছে নতুন অপারেটিং সিস্টেম 'মিডোরি'

Microsoft Midori
মাইক্রোসফটের একটি Non-Windows ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার নাম মাইক্রোসফট  মিডোরি। আমরা মাইক্রোসফট Midori সম্পর্কে বেশী কিছু না শুনলেও এই প্রকল্পটি নিয়ে মাইক্রোসফট ২০০৮ সাল থেকে কাজ করে আসছে। এই প্রকল্পটি বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভিপি টেরি Myerson - এর নেতৃত্বে কাজ করছে। নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম টি তৈরীর জন্য একটি নতুন ভাষা (Computer Language) তৈরী করা হয়েছে। যার নাম M # (এম শার্প)। এই নতুন ভাষা টি প্রায় সি# মতো, সি# এর অনেক এক্সটেনশন নিয়ে এটি তৈরী। এই ভাষাটি সম্পূর্ণরূপে  তৈরী সম্পন্ন হলে ওপেন সোর্স এ পরিবর্তিত করা হতে পারে ।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে টিকে থাকতে নতুন প্লাটফর্মের এই অপারেটিং সিস্টেমটি  তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে মাইক্রোসফট।

পশ্চিমবঙ্গের কিছু কলেজে ভর্তির অনলাইনে ফর্ম জমার সুবিধা।

admission
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবেঙ্গের কিছু কিছু কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ চলছে. যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা সদ্য উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে চাইছো তাদের সুবিধার জন্য কিছু কলেজের ওয়েব সাইটের লিংক এখানে দেওয়া হল।






নিচের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের লিংক গুলোতে ক্লিক করুন।

১) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা।

২) প্রসিডেন্সি বিশ্ব-বিদ্যালয়, কলকাতা।

৩) আশুতোষ কলেজ, কলকাতা।

৪) স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা।

৫) লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, কলকাতা।

৬) সেন্ট-জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা।

৭) সুরেন্দ্র নাথ কলেজ, কলকাতা।

৮) যোগমায়া দেবী কলেজ, কলকাতা।

৯) গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স, কলকাতা।

১০) সিটি কলেজ, কলকাতা।

১১) বেধুন কলেজ, কলকাতা। 

১২) পি.ডি ওমেন্স কলেজ, জলপাইগুড়ি।

 ১৩) আনন্দ চন্দ্র কলেজ, জলপাইগুড়ি।

১৪) রায়গঞ্জ ইউনির্ভাসিটি কলেজ, উত্তর দিনাজপুর।

১৫) মালদা কলেজ, মালদা।  

১৬) মালদা ওমেন্স কলেজ, মালদা।

১৭) বালুরঘাট কলেজ, দক্ষিন দিনাজপুর।

১৮) শিলিগুড়ি কলেজ, শিলিগুড়ি।

১৯) লরেটো কলেজ, কলকাতা।

২০) চিত্তরঞ্জন কলেজ, কলকাতা। 

২১) প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ, কলকাতা।

২২) বিদ্যাসাগর কলেজ, কলকাতা।

২৩) বঙ্গবাসী কলেজ, কলকাতা।

 ২৪) গুরুদাস কলেজ, কলকাতা।

২৫) শ্রীশিক্ষায়তন কলেজ, কলকাতা।




২০১৩ তেই আসছে গুগল গ্লাস !

google_glass1গুগল সম্প্রতি তাদের একটি নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে চলেছে, যার নাম গুগল গ্লাস (google glass) বা গুগল চশমা। এটি কোন সাধারন চশমা নয়, এটি  চশমা, স্মার্টফোন এবং একটি কমপিউটারের মিলিত রুপ, যার দ্বারা গুগল ম্যাপ, ভিডিও চ্যাট এবং ভয়েস কমান্ড ফিচার ব্যবহার করা যাবে।এটি এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কাজ করবে, যা আপনার চশমার মতই কাজ করবে এবং স্মার্টফোনের মত বিভিন্ন তথ্যাবলী ফুটিয়ে তুলবে চোখের সামনে । এছাড়াও এতে রয়েছে একটি ৭২০পি এর ক্যামেরা , যার দ্বারা ছবি তুলতে পারবেন শুধুমাত্র একটি মুখের আদেশ দিয়ে। এবং রয়েছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই এবং ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে থ্রিজি ও ফোর-জি ডাটা আদান-প্রদান এর সুবিধা, ও বিল্ট-ইন চিপ।


google_glass
গুগল গ্লাস



গুগল গ্লাসের স্পেসিফিকেশন :

১) ফিটিং: যে কোন ফেস এর মানানসই ফ্রেম এবং নোজ প্যাড
২) ডিসপ্লে: উচ্চ রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে। যা ২৫ ইঞ্চি উচ্চ রেজ্যুলেশনের স্ক্রিণের সমতুল্য।
৩) ক্যামেরা: স্থিরচিত্র- ৫ মেগাপিক্সেল এবং ভিডিও- ৭২০ পি।
৪) কানেক্টিভিটি: ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ।
৫) স্টোরেজ: ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ (১২ জিবি ব্যাবহারযোগ্য) এবং গুগলের ক্লাউড স্টোরেজ ব্যাবহারের সুবিধা ।
৬) ব্যাটারি: সাধারণত একদিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। চার্জিং এর জন্য মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল এবং চার্জার ।
৭) যে সব ডিভাইস সমর্থন করবে: যে কোনো ব্লুটুথ সংযোগ থাকা স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম  ৪.০.৩ (আইসক্রিম স্যান্ডউইচ) বা উচ্চতর সংস্করণ থাকতে হবে।

গুগল, ২০১৩ শেষের দিকে গ্লাসটির কনজিউমার ভার্সন বাজারে ছাড়তে পারে। যদিও গুগল গ্লাসটির ডেভেলপার ভার্সন বাজারে ছেড়েছে ১৫০০ মার্কিন ডলার দামে।



এসএমএস-এর আবিষ্কারক

SMS
মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো  ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে ব্যবস্থা  বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (Short Message Service (SMS)।

১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২০ বছর পেরিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে এটি আজ খুবই জনপ্রিয় । ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের।

মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন ২০ বছর বয়সী নেইল পাপওয়ার্থ তার নিজের কমপিউটার থেকে  ভোডাফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ম্যাসেজটি রিচার্ড জারভিসের কাছে পাঠানো হয় 'Merry Christmas' লিখে।

প্রাকৃতিক সপ্তম আশ্চর্যের তালিকায় সুন্দরবনকে আনতে ভোট দিন

আমাদের সুন্দর সুন্দরবনকে নতুন প্রকৃতির সপ্ত আশ্চর্যের তালিকা আনতে ভোট দিন. লগইন করুন : www.new7wonders.com অথবা, কোন টেলিফোন ডায়াল: +447589001290 ও তারপর bip-শব্দ শুনলে প্রেস করুন: 7724. অথবা এসএমএস মাধ্যমে সুন্দরবনকে ভোট দিন. ভোট দিতে টাইপ করুন SB এবং 16333 নম্বরে পাঠিয়ে দিন. আপনার একটি ভোট সুন্দরবনকে  প্রাকৃতিক সপ্ত আশ্চর্যের তালিকায় এক নম্বরে আসতে সাহায্য করবে.


সুন্দরবন সম্পর্কে কিছু কথা 

নামকরণ
বাংলায় "সুন্দরবন"-এর আক্ষরিক অর্থ "সুন্দর জঙ্গল" বা "সুন্দর বনভূমি"। সুন্দরী গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়। অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে যে, এর নামকরণ হয়তো হয়েছে "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" (প্রাচীন আদিবাসী) থেকে। তবে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় যে সুন্দরী গাছ গাছ থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে।

ভৌগোলিক গঠন 

পুরো পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ তিনটি ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের একটি হিসেবে গঙ্গা অববাহিকায় অবস্থিত সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান যথেস্ট জটিল। দুই প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ এবং ভারত জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনের বৃহত্তর অংশটি ( ৬২% ) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর; পূর্বে বালেশ্বর নদী আর উত্তরে বেশি চাষ ঘনত্বের জমি বরাবর সীমানা। উঁচু এলাকায় নদীর প্রধান শাখাগুলো ছাড়া অন্যান্য জলধারাগুলো সর্বত্রই বেড়িবাঁধ ও নিচু জমি দ্বারা বহুলাংশে বাঁধাপ্রাপ্ত। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের আয়তন হওয়ার কথা ছিলো প্রায় ১৬,৭০০ বর্গ কি.মি. (২০০ বছর আগের হিসাবে)। কমতে কমতে এর বর্তমান আয়তন হয়েছে পূর্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সমান। বর্তমানে মোট ভূমির আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. (বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. -এর আয়তনসহ) এবং নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারার আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি. । সুন্দরবনের নদীগুলো নোনা জল ও মিঠা জলের মিলন স্থান। সুতরাং গঙ্গা থেকে আসা নদীর মিঠা জলের, বঙ্গপোসাগরের নোনা জল হয়ে ওঠার মধ্যবর্তী স্থান হলো এ এলাকাটি।

হাজার বছর ধরে বঙ্গোপসাগর বরাবর আন্তঃস্রোতীয় প্রবাহের দরুন প্রাকৃতিকভাবে উপরিস্রোত থেকে পৃথক হওয়া পলি সঞ্চিত হয়ে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন। এর ভৌগোলিক গঠন ব-দ্বীপীয়, যার উপরিতলে রয়েছে অসংখ্য জলধারা এবং জলতলে ছড়িয়ে আছে মাটির দেয়াল ও কাদা চর। এতে আরো রয়েছে সমুদ্র সমতলের গড় উচ্চতার চেয়ে উঁচুতে থাকা প্রান্তীয় তৃণভূমি, বালুতট এবং দ্বীপ, যেগুলো জুড়ে জালের মত জড়িয়ে আছে খাল, জলতলের মাটির দেয়াল, আদি ব-দ্বীপীয় কাদা ও সঞ্চিত পলি। সমুদ্রসমতল থেকে সুন্দরবনের উচ্চতা স্থানভেদে ০.৯ মিটার থেকে ২.১১ মিটার।

জৈবিক উপাদানগুলো এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সামুদ্রিক বিষয়ের গঠন প্রক্রিয়া ও প্রাণী বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে। সৈকত, মোহনা, স্থায়ী ও ক্ষণস্থায়ী জলাভূমি, কাদা চর, খাঁড়ি, বালিয়াড়ি, মাটির স্তূপের মত বৈচিত্র্যময় অংশ গঠিত হয়েছে এখানে। ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ জগৎ নিজেই নতুন ভূমি গঠনে ভূমিকা রাখে। আবার আন্ত:স্রোতীয় উদ্ভিদ জগৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জলে অঙ্গসংস্থান প্রক্রিয়ায়। ম্যানগ্রোভ প্রাণীজগৎ-এর উপস্থিতি আন্তঃস্রোতীয় কাদা চরে ব্যষ্টিক অঙ্গসংস্থানিক পরিবেশ তৈরি করে। এটি পলিকে ধরে রাখে বীজের জন্য আনুভূমিক উপশিলাস্তর সৃষ্টির জন্য। অনন্ত বালিয়াড়ির সংগঠন ও বিবর্তন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয় প্রচুর পরিমাণে থাকা xerophytic ও halophytic গাছ দ্বারা। লতা-পাতা, ঘাস ও হোগলা বালিয়াড়ি ও অসংগঠিত পলিস্তরের গঠনকে স্থিতিশীল করে।

সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে যথাক্রমে সুন্দরবন ও সুন্দরবন জাতীয় পার্ক নামে।

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu