অতীত থেকে বর্তমানের ইন্টেল মাইক্রো-প্রসেসরের পরিচয়।


ইন্টেল ৪০০৪
১৯৬৯ সালে শুরুর সময়ে ইন্টেল ছিল খুব ছোট একটি কোম্পানি। ইন্টেলের প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ৪০০৪ এর আবিস্কারক টেড হফ ছিলেন কোম্পানির দ্বাদশ কর্মচারী। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা ১৯৭১ সালে ইন্টেল ৪০০৪ মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন করেন যেটি ছিল বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক মাইক্রোপ্রসেসর। এটি ছিল ৪ বিট মাইক্রোপ্রসেসর এবং এর ক্লক স্পিড ছিল ১০৮ K.Hz। .এটি প্রতি সেকেন্ডে ষাট হাজার ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত।

ইন্টেলের প্রথম 4004 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০০৮
১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে ইন্টেল ৮০০৮ নামে ৮ বিটের মাইক্রোপ্রসেসর বাজারে আসে যা ২০০ K.Hz ক্লক স্পিডে কাজ করতে সক্ষম ছিল। এটি মূলত তৈরি করা করা হয়েছিল টেক্সাসের কম্পিউটার টার্মিনালস কর্পোরেশনের জন্য।

ইন্টেল 8008 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮০
ইন্টেল ৮০০৮ কে আপডেট করে তৈরি করা হয় ইন্টেল ৮০৮০, যেটি প্রতি সেকেন্ডে ২,৯০,০০০ ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত এবং এর ক্লক স্পিড ছিল ২ M.Hz। .এটা ৮০০৮ এর চেয়ে ১০ গুন বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল।

ইন্টেল 8080 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৫
১৯৭৬ সালে ইন্টেল ৮০৮৫ মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কার করে যা ৩.৫ M.Hz গতিতে কাজ করতে পারত। এটা ৮০৮০ এর চেয়ে অনেক বেশ দ্রুত কাজ করতে পারত এবং এতে প্রথম ক্লক জেনারেটর সার্কিট ও বাস কন্ট্রোলার সার্কিট যোগ করা হয়।

ইন্টেল 8085 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৬ 
১৯৭৬ সালে প্রসেসরের মাইল ফলক হিসাবে আবিষ্কৃত হয় ইন্টেল ৮০৮৬, এটি ১৬ বিট মাইক্রোপ্রসেসর যেটি ১০ M.Hz পর্যন্ত গতিতে কাজ করতে সক্ষম ছিল। ৮০৮৬ প্রসেসরে একটি ৬ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ যুক্ত করা হয় যেটি প্রথম পাইপ লাইনিং ধারনার প্রচলন ঘটায়।

ইন্টেল 8086 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৮৮
১৯৭৯ সালে ইন্টেল ৮০৮৮ প্রসেসরের প্রচলন শুরু করে যেটির ডাটা বাদ ছিল ৮ বিট ওয়াইড। এতে ৪ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ ছিল এবং ৯ M.Hz ক্লক স্পিড সাপোর্ট করতো। এটি IBM এর প্রথম কম্পিউটারে ব্যবহিত হয়।

ইন্টেল 8088 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০১৮৬
এই প্রসেসর ফাস্ট জেনারেশন প্রসেসর নামে পরিচিত। ১৯৮২ সালে আবিষ্কৃত হয় এটি, যা মূলত ৮০৮৬ এর মতই ৬ বাইট ইনস্ট্রাকশন কিউ, ২০ বিট অ্যাড্রেস বাস এবং ১৬ বিট ডাটা বাস নিয়ে গঠিত। এর ক্লক স্পিড ছিল ৪-৬ মে.হা.

ইন্টেল 80186 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০২৮৬
এই প্রসেসর Protected Mode এবং Real Mode নামে দুই মোডে কাজ করতে পারত। এর বড় সুবিধা হল, ইউজার ইনস্ট্রাকশন এবং অপারেটিং সিস্টেম ইনস্ট্রাকশন আলাদা করতে পারা যেটি মেমরিকে সুরক্ষিত রাখতে সহয়তা করতো। এই প্রসেসর ৬ থেকে ২৫ M.Hz গতিতে কাজ করতে সক্ষম ছিল।

ইন্টেল 80286 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৩৮৬
১৯৮৫ সালে ইন্টেল ৮০৩৮৬ বাজারে আসে, এটি সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করতো। এই প্রসেসর সেকেন্ডে প্রায় ৫ মিলিয়ন ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত এর ইনস্ট্রাকশন কিউ সাইজ ছিল ছিল ১৬ বাইট। এই প্রসেসর ৩৩ M.Hz গতি পর্যন্ত কাজ করতে পারত। এর দুটি ভার্সন ছিল, একটি 80386 D.X অপরটি 80386 S.X

ইন্টেল 80386 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল ৮০৪৮৬
১৯৮৯ সালে এটি বাজারে আসে এবং এতে ৮ কিলোবাইট ক্যাশ মেমরি এবং বিল্ডি ইন ম্যাথ কো প্রসেসর ছিল। এই ম্যাথ কো প্রসেসর এর কারণে এটি পূর্ববর্তী প্রসেসর এর চেয়ে ৩ গুন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারত।

ইন্টেল 80486 মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল পেন্টিয়াম
পেন্টিয়াম প্রসেসর দুটো ডাটা পাইপলাইনের সাহায্যে একই সাথে দুটি ইনস্ট্রাকশন এক্সিকিউট করতে পারত। এটি ৫০-৬৬ M.Hz পর্যন্ত ক্লক স্পিডে কাজ করে। এটি ২৫৬ কে.বি. থেকে ১ এম.বি. পর্যন্ত ক্যাশ মেমরি সাপোর্ট করতে পারত।

ইন্টেল পেন্টিয়াম মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম প্রো
১৯৯৫ সালের শেষের দিকে ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রো প্রসেসর ডেভেলপ করে যেটি প্রতি সাইকেলে মাল্টিপাল ইনস্টাকশন রান করতে সক্ষম। এই প্রসেসর ৩২ বিট সার্ভার এবং ওয়াকস্টেশন অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য মূলত ডিজাইন করা হয় (যেমনঃ উইন্ডোজ এন.টি.) যা ২০০ M.Hz পর্যন্ত গতিতে কাজ করতে পারে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-প্রো মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম টু 
এই প্রসেসর ৫৭ টা মাল্টিমিডিয়া এক্সটেনশন সাপোর্টটিং ইনস্টাকাশন যুক্ত করা হয় যার ফলে এই প্রসেসর ভালো অডিও ভিডিও সাপোর্ট দিতে পারে। এর ক্লক স্পিড ছিল ৩০০ M.Hz পর্যন্ত।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-টু মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম টু জেনন
পেন্টিয়াম টু জেনন প্রসেসর সার্ভার এবং পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা হয় যেটি মূলত কিছু বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয়। এসব কাজ হলঃ ইন্টারনেট সার্ভিসেস, কর্পোরেট ডাটা ট্র্যান্সফার, ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও মেকানিক্যাল ডিজাইন অটোমেশন ইত্যাদি।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-টু জেনন মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল সেলেরন
১৯৯৮ সালে ইন্টেল তুলনামূলক কম দামে প্রসেসর বাজারে আনে সেটি হল সেলেরন। কম দাম বলে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। বর্তমানে সেলেরন প্রসেসর ৩.৬ G.Hz স্পিডে অপারেট করতে সক্ষম।

ইন্টেল সেলেরন মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম থ্রি
পেন্টিয়াম থ্রি প্রসেসর ইমেজিং, থ্রিডি স্টীমিং অডিও ভিডিও, গেমস এর জন্য খুব জনপ্রিয়তে অর্জন করে। এটি ১.৪ G.Hz. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-থ্রি মাইক্রো-প্রসেসর


পেন্টিয়াম থ্রি জেনন
১৯৯৯ সালে পেন্টিয়াম থ্রি জেনন বাজারে আসে যা মূলত ই-কমার্স এবং অ্যাডভান্সড বিজনেস অ্যাপ্লিকেশান এর জন্য। পেন্টিয়াম টু জেনন এর মত ২ এম.বি. পর্যন্ত L2 ক্যাশ সাপোর্ট করে। ৭০০ মে.হা. পর্যন্ত ক্লক স্পিড প্রদান করে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-থ্রি জেনন মাইক্রো-প্রসেসর

পেন্টিয়াম ফোর
২০০০ সালের শেষের দিকে ইন্টেল নেট বাস্ট টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তাদের সপ্তম প্রজন্মের মাইক্রোপ্রসেসর পেন্টিয়াম ফোর বাজারে ছাড়ে যা ৩.৮ G.Hz. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে। বিভিন্ন সুবিধার কারণে এটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

ইন্টেল পেন্টিয়াম-ফোর মাইক্রো-প্রসেসর


ইটানিয়াম ও ইটানিয়াম টু
ইন্টেল ও এইচপি (HP) মিলিত ভাবে এই প্রসেসর তৈরি করে। ৬৪ বিট এই প্রসেসরগুলো মূলত প্যারালাল প্রসেসিং সাপোর্ট করে যা প্রতি সাইকেলে ৬ টা ইনস্টাকশন পারফর্ম করতে পারে। এতে মোট ২৫৬ টা অ্যাপ্লিকেশান রেজিস্টার আছে। ইটানিয়াম ৮০০ মে.হা. পর্যন্ত ক্লক স্পিড সাপোর্ট করে যেখানে ইটানিয়াম টু ১.৬ G.Hz. পর্যন্ত সাপোর্ট করতো। এই পরচেসসর বাজারে তেমন একটা চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে নি।

ইন্টেল ইটানিয়াম-টু মাইক্রো-প্রসেসর


ডুয়াল কোর প্রসেসর
ইন্টেল ২০০৫ সালে পেন্টিয়াম ডি প্রসেসর বাজারে আনে যা আসলে দুটি পি-ফোর প্রসেসরের সমন্বয়ে। পরবর্তীতে তারা মুলত ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য ডুয়াল কোর প্রসেসর তৈরি করে যা ১.২০ G.Hz. স্পিডে কাজ করতে সক্ষম। ডুয়াল কোর প্রসেসর এর পরবর্তী ভার্সন কোর টু ডুয়ো। কোর ডুয়ো এবং কোর টু ডুয়ো উভয়েরই দুটো করে আলাদা প্রসেসর আছে। চারটা প্রসেসর কোর নিয়ে ইন্টেল যে প্রসেসর বাজারে এনেছে সেটা হল কোয়াড কোর। এটা অনেক বেশি গতি সম্পন্ন।

ইন্টেল ডুয়াল কোর মাইক্রো-প্রসেসর
ইন্টেল কোর টু ডুয়ো মাইক্রো-প্রসেসর


ইন্টেল কোর আই
ইন্টেল কোর আই সিরিজে ৩ ধরনের প্রসেসর আছে Core i3, Core i5, Core i7.  ইন্টেলের Core i7 ইন্টেলের সর্বশেষ আধুনি প্রসেসর। এর কার্যক্ষমতা কমিয়ে বানানো হয়েছে Core i5 ও Core i3.
ইন্টেল কোর আই সেভেন হচ্ছে নেহালেম মাইক্রোআর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি তিনটি ইন্টেল ডেস্কটপ X86-64 প্রসেসরের একটি ফ্যামিলি। এ ফ্যামিলিতে আছে তিনটি প্রসেসরঃ ২.৬৬ গি.হা. এ চলা Core i7-920, ২.৯৩ গি.হা গতিতে Core i7-940 এবং ৩.২ গি.হা. গতিতে চলা Core i7-965 Extreme. এগুলো অনেক বেশি কার্যকর, অনেক বেশি শক্তিশালী প্রসেসর।

ইন্টেল কোর আই-৫ এবং আই-৭ মাইক্রো-প্রসেসর

AMD প্রসেসর সম্পর্কে কিছু তথ্য

ইন্টেল প্রসেসর মতো এ.এম.ডি. প্রসেসর বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এ.এম.ডি প্রসেসর কাজ করার দক্ষতা অন্যদের থেকে কোন অংশে কম নয়। বরং  কাজের দিক থেকে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে। যারা এ.এম.ডি. প্রসেসর যারা ব্যবহার করেন তারা এ বিষয়ে ওয়াকিবহল । কিন্তু যারা এ.আম.ডি. প্রসেসর যারা ব্যবহার করেননি তাদের জন্য সম্পর্কে এ.আম.ডি. প্রসেসর কিছু কথা
Advanced Micro Devices সংক্ষেপে AMD বিশ্বের অন্যতম কম্পিউটার প্রসেসর, মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড চিপসেট তৈরীর একটি বিশেষজ্ঞ কোম্পানি। ১৯৬৯ সালের ১ মে ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর (Fairchild semiconductor) কোম্পানির একদল সদস্য এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেন। এই প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সানিভেল শহরে।


প্রথম দিকে কোম্পানিটি লজিক চিপ তৈরির মাধ্যমে কাজ শুরু করে, পড়ে ১৯৭৫ RAM Chip তৈরি করা শুরু করে। ঐ বছরই ইন্টেল ৮০৮০ মাইক্রোপ্রসেসরের একটি Reverse-engineered ক্লোন তৈরি করে AMD.  এরপর তারা তাদের নিজেস্ব AMD 29K Processor এর মাধ্যমে RISC প্রসেসর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। AMD র সাফল্য শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ১৯৯১ সালে তারা S386 প্রসেসর বাজারে আনে যেটি ছিল ইন্টেল ৮০৩৮৬ এর ক্লোন। এই প্রসেসর টি খুবই জনপ্রিয়তা লাভকরে, এক বছরের কম সময়ে প্রায় ১ মিলিয়ন প্রসেসর বিক্রি হয়। এই থেকে AMD র প্রসেসরের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড চিপসেট, পার্সোনাল কম্পিউটার, ওয়ার্কস্টেশন ও সার্ভারের জন্য এমবেডেড প্রসেসর ও গ্রাফিক্স প্রসেসর, হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস, গেম কন্ট্রোল, এবং অন্যান্য এমবেডেড সিস্টেম তৈরী করে এই কোম্পানি টি।


AMD প্রসেসরঃ

K5
AMD র সর্বপ্রথম প্রসেসর বাজারে ছাড়া হয় ১৯৯৬ সালে। যার নাম ছিল K5. এখানে কে(K) শব্দটি নেওয়া হয়েছে ক্রিপটোনাইট (kryptonite) শব্দ থেকে। K নাম নেবারও একটি কারন আছে সেটি হলঃ সুপারম্যান ছবিতে সুপারম্যানকে বস বা কাবু করতে পারে একমাত্র একটি সবুজ রঙের পাথর। ওই পাথরটিই হল ক্রিপটোনাইট (kryptonite)। এই ক্রিপটোনাইট (kryptonite) বা K নাম দিয়ে তারা এটাই বোঝাতে চেয়েছে এই সুপারম্যানকে (ইন্টেল) তারই একমাত্র কাবু করতে পারে। K5 এর ক্ষমতা অনেকটা ইন্টেল পেন্টিয়াম এর মত ছিল।


K6
১৯৯৬ সালে AMD কোম্পানি NexGen নামে একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। তখন NexGen কোম্পানির ডিজাইন টিম ও AMD মিলে ১৯৯৭ সালে  K6 প্রসেসর তৈরি করে। এটি K5 প্রসেসর কে কিছুটা  পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়। K5 আর K6 এর মধ্যে পাথক্য খুব কম। 




K7 (Athlon)
১৯৯৯ সালের মাজামাঝি সময়ে AMD নিয়ে আসে তাদের ৭ম প্রজন্মের X86 প্রসেসর K7 । এই K7 ব্যান্ডের নাম দেওয়া হয় Athlon. ২০০১ সালে রিলিজ করা হয় Athlon XP প্রসেসর।


Athlon 64
Athlon 64 হল K8 প্রসেসরের নাম। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল X86 ইনস্ট্রাকশন সেটের সঙ্গে ৬৪ বিটের আর্কিটেকচারের সমন্বয়, অন-চিপ মেমরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং “হাইপারকানেক্ট” নামে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পয়েন্ট টু পয়েন্ট ইন্টারকানেক্ট যোগ করা।


Athlon X2
Athlon 64 এর ঠিক পরেই AMD রিলিজ করে ডেস্কটপ ভিত্তিক সর্বপ্রথম ডুয়াল কোর প্রসেসর Athlon 64 X2. ২০০৭ সালের মে মাস থেকে ডুয়াল কোর প্রসেসরের নাম থেকে “64” কথাটি বাদ দিয়ে দেয় কোম্পানি। তখন শুধু নাম হয়  Athlon X2. এটি K9 সিরিজের প্রসেসর।


Sempron


ইন্টেলের খ্যাত সুলভ মূল্যের Celeron D প্রসেসরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি করা হয় Sempron প্রসেসর। Sempron শব্দটির নেওয়া হয়েছে ল্যাটিন “সেম্পার” থেকে, যার মানে “সবসময়”। অর্থাৎ এ প্রসেসর সব সময় সাধারণ ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।


Opteron
AMD র সাম্প্রতিক মাইক্রোপ্রসেসর স্থাপত্যের নাম হচ্ছে K10. এই স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সর্বপ্রথম প্রসেসর বাজারে আসে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। এতে আছে নয়টি কোয়াড কোর থার্ড জেনারেশন অপটেরন প্রসেসর।



Phenom


K10 স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করেই অপটেরন প্রসেসরকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করে তৈরি করা হয় Phenom প্রসেসর। 



বর্তমানে এই K10 নির্মানকৌশলের ওপর ভিত্তি তৈরি Phenom প্রসেসর প্রতি ধাপে ধাপে উন্নত করে  এবং অনেক বেশি শক্তিশালী করে বিভিন্ন ভার্সনে প্রসেসর রিলিজ করছে যেমন Fusion, Bobcat and Bulldozer ইত্যাদি ।

গুগল সার্চিং-এর কিছু কৌশল।

আমরা অনেকেই Google-কে সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা আনেকেই জানিনা গুগল  সার্চিং-এর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করলে খুব সহজেই আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারি ।





১) ওয়েব সাইট সমন্ধিয় এর তথ্য খুঁজবেন যেভাবে ।

যে কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন খুব সহজে।  ওয়েব সাইট সম্পর্কিত তথ্য বলতে ঐ ওয়েব সাইটের এর বর্ণনা, ক্যাশড পেজ, সমজাতিয় পেজ, ঐ সাইট এর বিভিন্ন Link, যে যে Web Site এ ঐ সাইট এর লিঙ্ক আছে ইত্যাদি।
এজন্য info: লিখে ওয়েব অ্যাড্রেস টি লিখতে হবে।


২) প্রধান প্রধান শহরের আবহাওয়া সমন্ধিয় তথ্য খুঁজবেন যেভাবে । 
বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরের আবহাওয়া তধ্য পাওয়ার জন্য Google এর Search Box এ “Weather” কথাটি লিখে তারপর শহরের নাম লিখতে হবে।


৩) আভিধানিক অর্থ খুঁজবেন যেভাবে ।

কোন কিছুর অর্থ জানার জন্য Search বক্সে define লিখে একটি স্পেস দিন তারপর যে শব্দটির সংজ্ঞা বা অর্থ জানতে চান তা লিখে Enter দিন তাহলে সেই শব্দের অর্থ পায়ে যাবেন।



৪) কোন শহর বা দেশের স্থানীয় সময় জানবেন যেভাবে

কোন শহর বা দেশের স্থানীয় সময় জানার জন্য Google-এর Search বক্সে লিখুন time তারপর স্পেস দিয়ে শহরের বা দেশের নাম লিখে Enter দিন। তাহলেই আপনাকে ঐ দেশের বা শহরের স্থানীয় সময় দেখিয়ে দিবে।


৫) কোন দেশ বা শহরের মানচিত্র পাবেন যেভাবে


যেকোনো দেশ বা শহরের মানচিত্র পেতে আপনাকে Google-এর Search বক্সে ঐ শহর বা দেশের নাম লিখে  একটি স্পেস দিন তারপর map কথাটি লিখুন। তাহলে Search Result এর শুরুতেই ঐ দেশ বা শহরের একটি প্রমাণ সাইজ এর মানচিত্র দেখানো হবে। আবার ঐ মানচিত্রে ক্লিক করলেই গুগল ম্যাপ থেকে সেটি বড় করে দেখেনিতে পারবেন।


৬) ইকুয়েশনের উত্তর বের করবেন যেভাবে

সহজ থেকে জটিল ইকুয়েশনের উত্তর পেতে পারেন Google-এ.  যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ যাই হোক না কেন যত জটিলই হোক না কেন খুব সহজে Google এর মাধ্যমে উত্তর পাওয়া যাবে। এজন্য Google এর Search Box এ শুধু ইকুয়েশন টি লেখলেই হবে। ইকুয়েশন এর জন্য গানিতিক চিহ্ন গুলি –
+ যোগফলের জন্য
-বিয়োগ করার জন্য
* গুন করার জন্য
/ ভাগ করার জন্য
% ভাগশেষ বের করার জন্য
^ এক্সপোনেন্সিয়াল এর জন্য (X to the power of Y)
বর্গমূল বের করার জন্য sqrt লিখে তার পেছনে সংখ্যাটি লিখতে হবে।


৭) এক মুদ্রাকে অন্য মুদ্রায় রুপান্তর করবেন যেভাবে

খুব সহজে এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রায় কত হবে তা জানা যায়। একটি উদাহরনের মাধ্যমে জেনে নিন কিভাবে করা যায় এই কাজ। যেমনঃ ১০০ US Dollar কে আপনি ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করার এজন্য Google এর Search Box এ লিখুন 100 usd in inr  লিখলেই দেখবেন ১০০ US Dollar ভারতীয় মুদ্রায় কত হয় তা দেখাবে।


৮) ওজন, আয়তন রুপান্তর করবেন যেভাবে

ওজন, আয়তন ইত্যাদি-কে বিভিন্ন পদ্ধতিতে Google -এর সাহায্যে খুব সহজে রুপান্তর করতে পারবেন। Google-এর Search বক্সে যে ইউনিট কে রুপান্তর করতে চান সেটির নাম লিখে তারপর in লিখে পরবর্তী ইউনিট এর নাম লিখে Enter দিন । যেমনঃ 1 kg in pound


৯) বিমানের ফ্লাইটের সময়সূচী যানবেন যেভাবে

বিমান বন্দরে আসা বা ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইট এর সময়সূচি জানতে পারবেন Google এর মাধ্যমে। এজন্য Google এর Search বক্সে – এয়ারলাইন এবং ফ্লাইট নম্বর লিখুন এবং Enter দিন। একটি নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে বিভিন্ন ফ্লাইটের বিলম্ব সম্বন্ধেও জানতে পারবেন। এজন্য শহরের নাম অথবা বিমানবন্দরের তিন অক্ষরের কোড নাম লিখে তারপর লিখে দিন airport নাম।





facebook একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড হারালেও

ফেসবুকের ই-মেইল, পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনেও  যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না।




এ জন্য প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সেটিং করবেন যে ভাবে

এ জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Login Notifications-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। Email-এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করে Require me to enter a security code sent to my phone বক্সে টিক চিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন message এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number : বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। তারপর Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন, Name New Computer নামের একটি পেজ এসেছে। সেখানে Computer name বক্সে কোনো নাম লিখে Add to your list of recognized devices বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue-তে ক্লিক করুন।

এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করলে তবেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার মোবাইলে আসা কোড নম্বরটি দেওয়া হচ্ছে। আপনার মেইলে অ্যাড্রেসেও একটি মেইল যাবে, যেটাতে লেখা থাকবে কে, কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি থেকে আপনার ফেসবুকে লগইন করা হয়েছিল ।

ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টস এর অবস্থান পরিবর্তন করে তথ্য সুরক্ষিত রাখুন

আমরা যারা কমপিউটার ব্যবহার করি, তাদের সকলেরই কোন না কোন ভাবে অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, উইন্ডোজ কে পুনরায় ইনস্টল করতে হয়েছে । পুনরায় উইন্ডোজ ইনস্টল করলে সমস্যার কিছু নেই , কিন্তু সমস্যা টি হল অন্য যায়গায়। আমরা সাধারনত কমপিউটারে কাজ করে  যখন কোন ফাইল সেভ কারি, সেই ফাইল গুলো বাই-ডিফল্ট মাই-ডকুমেন্টে সেভ হয়ে থাকে এবং অভ্যাস বসত কিছু কিছু ফাইল ডেক্সটপে সেভ করে থাকি, এর ফলে ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টসের যাবতীয় ফাইল গুলো ( উইন্ডোজ কে পুনরায় ইনস্টল করার ফলে ) ফিরে পাওয়া আর সম্ভব হয় না।
তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন করে নিলেই এরকম সমস্যায় আর পরতে হবে না। এর জন্য আপনাকে ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টস ফোল্ডারের অবস্থানের পরিবর্তন করে নিলেই হবে । আমরা সাধারনত হার্ড-ডিক্সের সি ড্রাইবেই উইন্ডোজ কে  ইনস্টল করে থাকি, ফলে ডেক্সটপ এবং মাই-ডকুমেন্টস এর অবস্থানও 'C' ড্রাইবেই থাকে।  এই 'C' ড্রাইব থেকে ডেক্সটপ এবং মাই- ডকুমেন্টস এর অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে।  কিভাবে করবেন ?

  


ডেক্সটপ (Desktop) ফোল্ডার কে যেভাবে অন্য ড্রাইবে সরাবেন 


১) প্রথমে C ড্রাইব ওপেন করুন।

২) এরপর ডকুমেন্টস এন্ড সেটিংস ফোল্ডারে যান।

৩) আপনার একাউন্টের নামে ফোল্ডার টি ওপেন করুন।

৪) এখান থেকে ডেক্সটপ নামের ফোল্ডার টিকে কাট (Cut) করে হার্ড-ডিক্সের অন্য ড্রাইভে  পেস্ট (Paste) করে দিন।


এরপর  আপনি ডেক্সটপে যাকিছুই রাখুন না কেন, উইন্ডোজ কে কোন কারনে রি-ইনস্টল করতে হলেও, আপনার ডেক্সটপ এর সমস্ত ফাইল সুরক্ষিত থাকবে। তবে উইন্ডোজ কে পুনরায় ইন্সটলের পরেই, আপনার নতুন একাউন্ট এর ডেক্সটপ ফোল্ডার টিকে (C ড্রাইভ থেকে) ডিলিট করে দিন। এবং কমপিউটার রিস্টার্ট করেনিলেই দেখবেন আপনার আগের ডেক্সটপের সব ফাইল গুলো ফিরে এসেছে।




মাই- ডকুমেন্টস ফোল্ডার কে যেভাবে অন্য ড্রাইবে সরাবেন 

প্রথমে অন্য কোন ড্রাইবে (C ড্রাইর বাদে ) যেখানে মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডারকে মুভ করতে চান সেখানে Shift_MyDocument বা অনা কোন নামে একটি ফোল্ডার তৈরী করে নিন ।

১) মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডার টির উপর রাইট ক্নিক করে প্রোপার্টিজে ক্নিক করুন।

২) এরপর মুভ বাটনে ক্লিক করুন।

৩) এরপর আপনি যেখানে আপনার “মাই ডকুমেন্ট” ফোল্ডার টিকে সরিয়ে রাখতে চান, সেই ফোল্ডার টিকে সিলেক্ট করুন।

৪) এরপর অ্যাপ্লাই বাটানে ক্নিক করলে একটি মেসেজ দেখাবে যে, আপনি কি আপনার মাই-ডকুমেন্টস ফোল্ডারের কন্টেন্ট গুলোকে কপি করবেন কি না? এখানে ইয়েসে ক্লিক করুন, তাহলেই অপনার কাজ শেয।

এরপর  আপনি মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডারে যাকিছুই রাখুন না কেন, উইন্ডোজ কে কোন কারনে রি-ইনস্টল করতে হলেও, আপনার মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডারের সমস্ত ফাইল সুরক্ষিত থাকবে। তবে উইন্ডোজ কে পুনরায় ইন্সটলের পরেই, মাই ডকুমেন্ট ফোল্ডার টি কে আগের মতোকরে ( ১নং থেকে ৪নং ধাপ অনুসরন করে ) মুভ করুন ( মুভ করার সময় আগের সিফ্ট করে রাখা ফোল্ডার টি সিলেক্ট করবেন)। তাহলেই দেখবেন আপনার আগের মাই-ডকুমেন্টসের  সব ফাইল গুলো ফিরে এসেছে।


RAM এর নাম করণের কারন

বর্তমানে কমপিউটারে যে সব RAM ব্যবহার হয় সেগুলি হয় DDR1, DDR2 না হয় DDR3 কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে RAM এর এরকম নামের কারন কি।




DDR এর পুরো নাম হল  Double Data Rate।

SDRAM-- Synchronous Dynamic Random Access Memory।  আর এই SDRAM এর Single Data Rate (SDR) এর উন্নততর রূপ হচ্ছে DDR ।

RAM এর Frequency এবং Voltage বিচারে Data Rate এর Update Face বা উন্নত রূপকে DDR, DDR2, DDR3- এভাবে নামকরণ করা হয়।
যেমন : DDR/DDR1 RAM এর Frequency ১০০-৪০০ MHz এবং Voltage : ২.৫-২.৬ ,

DDR2 RAM এর Frequency ৫৩৩-৮০০ MHz এবং Voltage : ১.৮ এবং

DDR3 RAM এর Frequency ১০৬৬-১৩৩৩ or higher MHz এবং Voltage : ১.৫ ।

একই ধারাবাহিকতায় RAM এর নাম করণ করা হয়।

কমপিউটারের USB Port লক করে রাখুন

আপনি চাইলে আপনার কমপিউটারের USB Port লক করে রাখতে পারেন। সে সময় কোন পেনড্রাই বা USB ড্রাইভ সাপোট করবে না। প্রয়োজন হলে আবার আনলক করে নিতে পারবেন। সে জন্য যা যা করতে হবে।








USB Port ডিসএবল করার নিয়ম:


1. Start মেনু থেকে Run এ ক্লিক করুন।

2. রান বক্সে regedit টাইপ করে OK করুন।

3. এই ঠিকানায় প্রবেশ করুন:
 
HKEY_LOCAL_MACHINE\SYSTEM\CurrentControlSet\Services\UsbStor

4. রাইট প্যান থেকে Start এ ডাবল ক্লিক করুন।

5. ভ্যালু ডাটা বক্সে 4 টাইপ করুন, Hexadecimal এ ক্লিক করুন (যদি এটা সিলেক্ট করা না থাকে), ওকে প্রেস করুন।

6. কাজ শেষ Registry Editor ক্যানসেল করুন।



 
USB Port এনাবল করার নিয়ম:


1. Start মেনু থেকে Run এ ক্লিক করুন।

2. রান বক্সে regedit টাইপ করে OK করুন।

3. এই ঠিকানায় প্রবেশ করুন:
HKEY_LOCAL_MACHINE\SYSTEM\CurrentControlSet\Services\UsbStor

4. রাইট প্যান থেকে Start এ ডাবল ক্লিক করুন।

5. ভ্যালু ডাটা বক্সে 3 টাইপ করুন, Hexadecimal এ ক্লিক করুন (যদি এটা সিলেক্ট করা না থাকে), ওকে প্রেস করুন।

6. কাজ শেষ Registry Editor বন্ধ করুন।


নির্দিষ্ট সময় পর কম্পিউটার নিজে থেকে বন্ধ হবে

Auto Shutdown
অনেক সময় আমাদের কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট সময়ে পর বন্ধ করার প্রয়োজন হয়ে উঠে। যেমন ধরুন আপনি ইন্টারনেট থেকে কিছু ডাউনলোড দিয়েছেন অথবা কম্পিউটার ভাইরাস স্ক্যান দিয়েছেন, যা ডাউনলোড বা স্ক্যান করতে ৩০ মিনিট সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু ২০ মিনিট সময় প্রর্যন্ত কম্পিউটারের কাছে থাকা আপনার পক্ষে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। অথবা আপনাকে জরুরী কোন কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে। এমতবস্থায় আপনি ইচ্ছে করলে আপনার কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ করার জন্য  সময় নির্ধারন করে চলে যেতে পারেন, যাতে করে কম্পিউটারটি  নিজে থেকে নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ হয়ে যায়।





এই কাজটি করার জন্য অনেকেই নানান ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন। তবে এই ট্রিকসটির মাধ্যমে কোন সফটওয়্যার ছাড়াই খুব সহজেই কম্পিউটার Shutdown অথবা Restart করতে পারবেন।


সেটিংসটি করার জন্য নিচের ধাপগুলো লক্ষ্য করুন।

১) Desktop এর খালি যায়গায Right click 

২) New থেকে Shortcut click করুন।

৩) Text box এ SHUTDOWN.EXE -s -t  20 করুন।

৪) Next>Finish click করুন।


Desktop এ দেখুন Shutdown.exe নামে একটি আইকন তৈরী হয়েছে। আইকনটিতে ডাবল ক্লিক করে দেখুন System Shutdown নামে একটি Box দেখা যাচ্ছে এবং ২০ সেকেন্ড পর সাথে সাথে আপনার কম্পিউটারটি Shutdown হয়ে যাবে। উলেখ্য যে, আপনি ২০ সেকেন্ড এর বেশি সময় নির্ধারন করতে চাইলে SHUTDOWN -s –t এর পরে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী টাইম সেট করতে পারবেন। যেমন 30 মিনিটের জন্য 1800 second টাইপ করে দিতে পারেন।

Restart করার জন্য SHUTDOWN.EXE -r -t 30   টাইপ করে দিলেই নির্দিষ্ট সময়েকম্পিউটার Restart হবে।


কম্পিউটার কুলিং সিস্টেম

কম্পিউটার কে তার কার্যকার তাপমাত্রায় রাখতে হলে, কম্পিউটার চলার সময় যে অতিরিক্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হয় তা বের করে দেয়া খুবই জরুরি। এতে  কম্পিউটারের আয়ুস্কাল যেমন বাড়বে, তেমনি ভাবে কম্পিউটার এর কাজ করার ক্ষমতাও বাড়বে। কম্পিউটারের মধ্যে যে তাপ উৎপন্ন হয়, তা বের করে দেয়ার জন্য কম্পিউটারের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম আছে, যাকে স্টক কুলিং সিস্টেম বলা হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, আমরা আমাদের কম্পিউটার কে যখন খুব বেশি লোড দেই, তখন কম্পিউটার এর নিজস্ব স্টক কুলিং সিস্টেম কম্পিউটার কে সম্পূর্ন ভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। এর জন্য স্টক কুলিং সিস্টেম এর বাহিরেও আরো বিভিন্ন ধরনের কুলিং সিস্টেমের দরকার হয়।

কম্পিউটারের মধ্যে সাধারনত, প্রসেসর, চিপসেট, গ্রাফিক্স কার্ড, RAM ও  হার্ড ডিস্ক, এগুলোই তাপ উৎপন্ন করে থাকে। বর্তমানে বেশির ভাগ কম্পিউটারের বায়োসে এমন একটি প্রোগ্রাম দেওয়া থাকে, যার কাজ হচ্ছে, কম্পিউটার এর তাপমাত্রা বেড়ে যেতে লাগলেই তা কম্পিউটার ইউজার কে অ্যালার্ম দিয়ে জানিয়ে দেয়।

কম্পিউটারে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয় যে যে কারনে

১) আমাদের কম্পিউটার এ যে সমস্ত কম্পনেন্ট গুলো তাপ উৎপন্ন করে, সেগুলোর সাথে সাধারনত হিট সিঙ্ক লাগানো থাকে।আবার যে সমস্ত হার্ডওয়্যার গুলো খুব বেশি তাপ উৎপন্ন করে, তাদের হিট সিঙ্ক এর সাথে ফ্যানও লাগানো থাকে। এখন, কোন কারনে যদি হিট সিঙ্ক এ ধুলো বালি জমে যায়, অথবা ধুলো-বালির জন্য হিট সিঙ্ক এ লাগানো ফ্যান টি ভালো ভাবে না ঘুরতে পারে, তবে কম্পনেন্ট গুলো থেকে তাপ সম্পূর্ন ভাবে বের হয়ে যেতে পারে না। এর ফলে অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন।

২) অনেক সময়, আমরা আমাদের কম্পিউটার এর কেস টাকে এমন জায়গায় রাখি, যেখানে সঠিক পরিমান ঠান্ডা বাতাস চলাচল করতে পারে না। আবার অনেক সময় কম দামি কম্পিউটার কেস এর জন্যও বাতাস চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৩) আবার অনেক সময় আমরা, আমাদের কম্পিউটার এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার কে ওভারক্লকিং করে থাকি। ওভারক্লকিং এর জন্যও কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।
৪) এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারনে কম্পিউটার গরম হতে পারে।


ক্ষতিরোধকঃ

মাত্রাতিরিক্ত গরমের জন্য যেন কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার এর কোন ধরনের ক্ষতি না হয়, এ জন্য বিভিন্ন কম্পনেন্টের সাথে কিছু বিশেষ ধরনের যন্ত্র লাগানো থাকে, যাকে বলা হয়ে থাকে, থার্মাল সেন্সর। এদের কাজ হল, যখন কম্পিউটার এর কোন হার্ডওয়্যার তার কার্যকর তাপমাত্রার থেকে বেশি গরম হয়ে যায়, তখনই সেই হার্ডওয়্যার টিকে বন্ধ করে দেয়া, অথবা ইউজার কে জানানো যে, এই হার্ডওয়্যার টি গরম হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান কম্পিউটার প্রসেসর গুলোতে এই ধরনের থার্মাল সেন্সর লাগানো থাকে।


কম্পিউটার কুলিং এর কিছু পদ্ধতিঃ


এয়ার কুলিং

এই পদ্ধতিতে বাতাসের মাধ্যমে কম্পিউটার কে ঠান্ডা করা হয়ে থাকে। সাধারনত আমরা কম্পিউটারে যে ফ্যান গুলো ব্যাবহার করি সে গুলো বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস কম্পিউটার এর কেস এর মধ্যে প্রবেশ করায় এবং কেস থেকে গরম বাতাস গুলো কম্পিউটার কেস এর এয়ার চ্যানেল দিয়ে বাইরে বের করে দেয়।
এয়ার কুলিং পদ্ধতির জন্য আমরা বিভিন্ন সাইজের ফ্যান ব্যবহার করে থাকি যেমন; ৪০, ৬০, ৮০, ৯২, ১২০ এবং ১৪০ মিলিমিটার। তবে বর্তমানে, কিছু কিছু কম্পিউটার কেস এ ২০০ মিলিমিটার এর ফ্যান ব্যবহৃত হচ্ছে।





ডেক্সটপ এর ক্ষেত্রেঃ 


আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এ সাধারনত দুইটি ফ্যান থাকে, এর একটি পাওয়ার সাপ্লাই এর সাথে এবং একটি থাকে কম্পিউটার কেস এর পেছন দিকে। সাধারনত প্রায় সকল নির্মাতারা (হার্ডওয়্যার নির্মাতা) যেটা রেকমেন্ড করেন, তা হচ্ছে, কম্পিউটার কেস এর সামনের নিচের দিকে একটি যথেষ্ট বড় কুলিং ফ্যান। এবং কেস এর উপর দিকে এয়ার ভেন্টিলেশন সিস্টেম, যার মাধ্যমে, সামনে ফ্যান টি ঠান্ডা বাতাস নিয়ে ভেতর থেকে গরম বাতাস কে কেস এর উপর দিয়ে বের করে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। কিছু কিছু কম্পিউটার কেস এ দুটি ফ্যান থাকে। যার একটি কেস এর সামনে এবং একটি পেছনে। এখন যদি সামনের ফ্যান টি যেই ভলিউম এর ঠান্ডা বাতাস কেস এর মধ্যে প্রবেশ করাচ্ছে, সেই হারে পেছনের ফ্যান টি যদি ভেতরের গরম বাতাস না বের করে দিতে পারে, তবে কম্পিউটার কেস এর মধ্যে বাতাসের চাপের তারতম্য ঘটতে পারে। একে বলা হয়ে থাকে পজিটিভ এয়ার ফ্লো। কিছু কিছু সময় সামান্য পরিমানের পজিটিভ এয়ার ফ্লো কম্পিউটার কেস এ বাইরে থেকে ধুলো বালি ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু যদি এর বিপরীত ঘটনা ঘটে, যাদি নেগেটিভ এয়ার ফ্লো (যদি পেছনের ফ্যান টি যেই ভলিউম এ গরম বাতাস কেস এর মধ্যে থেকে বের করাচ্ছে, সেই হারে সামনের ফ্যান টি যদি ভেতরে ঠান্ডা বাতাস না প্রবেশ করাতে পারে) হয়ে যায়, তবে কম্পিউটার এর অপটিক্যাল ড্রাইভ গুলো তে বেশ কিছু সমস্যা সহ ধুলো বালি কম্পিউটার কেস এ ঢুকতে পারে।



সার্ভার এর ক্ষেত্রেঃ


আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এর কুলিং সিস্টেম আর একটি সার্ভারের কুলিং সিস্টেম এর মধ্যে এক বিশাল পার্থক্য দেখা যায়। ধরুন,  ডেক্সটপ টি অতিরিক্ত গরমে বন্ধ হয়ে গেল। কোন ঝামেলা নেই, কিন্তু হঠাৎ করে কথা নেই বার্তা নেই, আপনার সার্ভার টি যদি বন্ধ হয়ে যায় ? অথবা আপনার সার্ভারটির যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায় ? এ সমস্ত বিষয় কে মাথা তে রেখে, সার্ভার এর কুলিং সিস্টেম টিকে তৈরী করা হয়েছে।
সার্ভার কে ঠান্ডা রাখার জন্য বাতাস কে সামনে থেকে টেনে এনে সার্ভার এর পেছন দিয়ে বের করে দেয়া হয়। আবার অনেক সময় সার্ভারের জন্য ব্লেড কেস ও ব্যবহৃত হয়। এর পেছনে মূল কারন থাকে, যখন সার্ভারের বিভিন্ন কম্পনেন্ট এর মাধ্যমে সার্ভার ভেতরে গরম হয়ে যায়, সে সময় গরম বাতাস উপরের দিকে উঠে যায়, এবং বাহির থেকে ঠান্ডা বাতাস সার্ভারের ভেতরে প্রবেশ করে। এটা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এবং এভাবে কাঙ্ক্ষিত এয়ার ফ্লো পাওয়া সম্ভব। এবং বর্তমানের প্রায় সকল সার্ভার নির্মাতারাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।



ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রেঃ


কুলিং সিস্টেম কে সবচাইতে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ল্যাপটপ কুলিং সিস্টেম। কেননা ল্যাপটপ যতবেশি ক্ষমতা সমপন্ন করা হবে, তাতে হিট জেনারেশন ততটাই বেশি হবে। কিন্তু এখানে আবার দুটো সমস্যা আছে। ল্যাপটপ এর আকার এবং এক ওজন। কম্পিউটার থেকে হিট বের করে দিতে হলে, তাতে যেমন ফ্যান এবং হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে সে পরিমান (সেই সাইজের) ফ্যান এবং হিট সিঙ্ক ব্যবহার করার জায়গা থাকে না। আবার যদি বড় মাপের হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, তবে ল্যাপটপ এর ওজন ও আকার বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে বর্তমান  প্রসেসর গুলো লো পাওয়ার কম্পোনেন্ট। এই হার্ডওয়্যার গুলো তাদের সকল ক্ষমতা অপরিবর্তিত রেখেই খুব কম পাওয়ার এ চলার উপযোগী করে তৈরি করা। বর্তমানে ল্যাপটপ গুলিতে এক্সটারনাল কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।



BIOS Password ভুলে গেলে আপনার করণীয়

বায়োস পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে অনাক্ষাংখীত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারি। বায়োসে দুই ধরনের পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এক ধরনের পাসওয়ার্ড হল পাওয়ার অন করার পর পাসওয়ার্ড চাইবে, সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে ব্যার্থ হলে কম্পিউটার চালু হবে না। এবং অন্য ধরনের পাসওয়ার্ড হল কম্পিউটার অন হবে কিন্তু বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারী বায়োস পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাই কম্পিউটার অন করতে পারছেন না। অথবা কারো কাছ থেকে ব্যবহৃত কম্পিউটার কিনেছেন বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড চাইছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করার প্রয়োজন হয়। নিচের তিন পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১) বায়োস ব্যাটারী খুলে:

মাদারবোর্ডে একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন একটা চ্যাপ্টা ব্যাটারী লাগানো আছে। সাবধানে ব্যাটারীটি খুলে ফেলুন(অবশ্যই কম্পিউটার বন্ধ অবস্থায়)। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ব্যাটারীটি লাগিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাওয়ার কথা। তবে কিছু মাদারবোর্ডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় পাওয়ার ব্যাকআপ রাখার জন্য। এই ধরনের মাদারবোর্ডে ১০/১৫ মিনিটে কাজ হবে না। অন্তত ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যাটারীটি খুলে রাখুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। কিছু কিছু মাদারবোর্ডে ব্যাটারীটি সোল্ডার করা থাকে। এক্ষেত্রে সোল্ডারিংয়ের অভীজ্ঞতা না থাকলে অভীজ্ঞ কাউকে দিয়ে ব্যাটারীটি খুলিয়ে নিন। শেষ কথা হল, আধুনিক কিছু কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ করে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ব্যাটারী খুলে কাজ হয় না। এই ধরনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন।

২) জাম্পার অথবা DIP সুইচ এর মাধ্যমে:

অনেক মাদারবোর্ডে জাম্পার অথবা ডিপ সুইচের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করার ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে জাম্পার বা ডিপ সুইচের পাশে লেখা থাকে কোন ধরনের সেটিংস দিতে হবে। মাদারবোর্ডে লেখা না থাকলে মাদারবোর্ডের সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়ে অথবা মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে ও জেনে নিতে পারেন। অধিকাংশ ম্যানুফেকচারার এরই CLR, CLEAR, CLEAR CMOS, ইত্যাদি দ্বারা লেভেল করে থাকে। জাম্পার খুজে পেলে সাবধানে এবং ভাল ভাবে খেয়াল করে দেখুন জাম্পারটি  ৩ পিন বিশিষ্ট একটা সেটের মাঝের পিনের সাথে অন্য ডানের বা বামের পিনের সাথে কানেক্ট করা। আপনাকে যা করতে হবে জাম্পারটি খুলে নিয়ে ঠিক মাঝের পিনের সাথে বিপরীত পিন কানেক্ট করিয়ে দিন।যেমন ১ ২ ৩ টি পিন হয়, এবং প্রথমে যদি ১ ২ কানেক্টেড থাকে পরে খুলে আপনাকে ২ ৩ কানেক্ট করিয়ে দিতে হবে। এখন কিচুক্ষন(মিনিট খানেক) অপেক্ষা করুন। তারপর  আবার আগের মত লাগিয়ে দিন। তবে অবশ্যই খেয়াল করবেন যে কম্পিউটার খোলার পুর্বে এবং জাম্পার পরিবর্তনের সময় যেন কম্পিউটারের পাওয়ায় সাপ্লাই ইউনিট বন্ধ থাকে।


৩) MS DOS কমান্ড ব্যবাহার করেঃ

 এই পদ্ধতি কাজ করবে তখনই যখন আপনার সিষ্টেম চালু থাকবে, কারন এটা কাজ করতে হয় MS DOS এ। কমান্ড প্রম্পট ওপেন করুন ষ্টার্ট করুন START>>RUN>>cmd>>Enter। তারপর একে একে নিচের কমান্ড গুলো দিন।

debug
o 70 2E
o 71 FF
quit
 


লক্ষ্য করুনঃ এখানে প্রথম লেটারটি ইংরেজি o (ও) কেউ ভুলেও এটাকে অংক শূন্য মনে করবেন না। উপরের কমান্ড গুলো দেবার পরে আপনার সিষ্টেম রিষ্টার্ট করুন। কারন এই কমান্ডগুলো আপনার সিমোস সেটিং রিসেট করবে, সাথে পাশওয়ার্ড ও।

৪) গোপন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে:

অনেক বায়োস প্রস্তুতকারী কোম্পানী তাদের বায়োসে কিছু গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে বাইপাস করে চলে যাওয়া যায়। নিচে এধরনের একটা তালিকা দেওয়া হল।

Award BIOS এর জন্য:

ALFAROME, BIOSTAR, KDD, ZAAADA, ALLy, CONCAT, Lkwpeter, ZBAAACA, aLLy, CONDO, LKWPETER, ZJAAADC, aLLY, Condo, PINT, 01322222, ALLY, d8on, pint, 589589, aPAf, djonet, SER, 589721, _award, HLT, SKY_FOX, 595595, AWARD_SW, J64, SYXZ, 598598, AWARD?SW, J256, syxz, AWARD SW, J262, shift + syxz, AWARD PW, j332, TTPTHA, AWKWARD, j322, awkward ইত্যাদি।

AMI BIOS এর জন্য:

AMI, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI_SW, LKWPETER, CONDO ইত্যাদি।


Phoenix BIOS এর জন্য:

phoenix, PHOENIX, CMOS, BIOS ইত্যাদি।


কিছু কমন পাসওয়ার্ড:

ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj ইত্যাদি।


অন্যান্য কোম্পানীর BIOS Password:

কোম্পানী = = পাসওয়ার্ড
VOBIS & IBM = = merlin
Dell = = Dell
Biostar = = Biostar
Compaq = = Compaq
Enox = = xo11nE
Epox = = central
Freetech = = Posterie
IWill = = iwill
Jetway = = spooml
Packard Bell = = bell9
QDI = = QDI
Siemens = = SKY_FOX
TMC = = BIGO
Toshiba = = Toshiba
Toshiba = = BIOS

বেশিরভাগ Toshiba Laptop এবং কিছু Desktop এ বুট হওয়ার সময় কিবোর্ডের বাম পাশের Shift কী চেপে ধরে রাখলে ও বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।
কম্পিউটার বুট হবার সময় খুব দ্রুত মাউসের বাটন দুটি চাপতে থাকলে IBM Aptiva BIOS এর পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।

কম্পিউটার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট

সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই বা SMPS
কম্পিউটার এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই বা SMPS.
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর মূল কাজ হচ্ছে আমাদের ইলেট্রিক লাইন থেকে ইলেক্ট্রিসিটি সংগ্রহ করে তাকে কনভার্ট করা। আমাদের ইলেট্রিক এর লাইনে থাকে ২২০ থেকে ২৪০ ভোল্ট  এবং তা AC মোডে থাকে। আমাদের কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি এই ইলেট্রিকে ১২, ৬ এবং ৩.৩ ভোল্ট- DC, তে কনভার্ট করে।





 
ওয়াট = ভোল্টেজ x এম্পেয়ার (W= V x A)

সাধারনত সব ধরনের কম্পিউটার এর কাজের জন্য সব ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর দরকার হয় না। যেমন;
  • যে সমস্ত কম্পিউটার এ শুধু মাত্র টুক টাক কাজ করা হয়, (ইন্টারনেট সার্ফিং, মুভি দেখা, খুবি ছোট গেম খেলা, মাইক্রোসফট অফিস এ কাজ করা) তাদের জন্য ৩০০ ওয়াট এর একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট যথেষ্ট।
  • মাঝারি ধরনের একটি গেমিং কম্পিউটারের জন্য পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট হওয়া উচিত, ৫০০ থেকে ৮০০ ওয়াট এর।
  • হাই এন্ড কম্পিউটারের জন্য দরকার ৮০০ থেকে ১৪০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।
  • খুবি শক্তিশালি সার্ভার (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গেমিং সার্ভার) এর জন্য ২ কিলো ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট লাগতে পারে।

কার জন্য কত ওয়াট দরকারঃ
  • নরমাল এজিপি কার্ডঃ ২০ থেকে ৩০ ওয়াট।
  • পিসিআই কার্ডঃ ৫ ওয়াট
  • SCSI পিসিআই কার্ডঃ ২০ থেকে ২৫ ওয়াট।
  • ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভঃ ৫ ওয়াট
  • নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ডঃ ৪ ওয়াট
  • সিডি রম ড্রাইভঃ ১০ থেকে ২৫ ওয়াট।
  • র‍্যামঃ ১০ ওয়াট (প্রতি ১২৮ মেগাবাইটের জন্য)
  • ৫৪০০ আর পি এম হার্ড ড্রাইভঃ ৫ থেকে ১১ ওয়াট
  • ৭২০০ আর পি এম হার্ড ড্রাইভঃ ৫ থেকে ১৫ ওয়াট
  • মাদারবোর্ড (সিপিউ, র‍্যাম ছাড়া)ঃ ২০ থেকে ৩০ ওয়াট।

গঠনঃ

বেশির ভাগ এস.এম.পি.এস স্কোয়ার শেপ, মেটাল বক্সের মধ্যে থাকে। সাধারনত দৈর্ঘ ৮৬ মিলিমিটার; প্রস্থ ১৫০ মিলিমিটার; এবং উচ্চতা ১৪০ মিলিমিটার;

 কমবেশি সাত ধরনের কানেক্টর দেখাযায় এখনকার দিনের এ টি এক্স পাওয়ার সাপ্লাই এ। এগুলো হচ্ছে,

২৪ পিন এ টি এক্স (P1)  মাদারবোর্ড এ পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে। সবচাইতে বড় এই কানেক্টরটি তে মোট ২৪ টি পিন থাকে, আসুন দেখে নেই এই ২৪ টি পিনের কোনটি কি কাজ করে,

২৪ পিন কানেক্টর

টিপসঃ এস.এম.পি.এস কাজ করছে কি না, তা জানার জন্য, ২৪ পিন এ টি এক্স কানেক্টর টির সবুজ এবং কালো রঙ এর পিন দুটি কে সর্ট করে দিন। এবার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি চালু করে দেখুন, ফ্যান ঘুরছে ? ঘুরলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি কাজ করছে।

কানেক্টর


৪ পিন মোলেক্স (4 pin molex): কম্পিউটার এর বিভিন্ন পেরিফেরাল কে চালাবার জন্য এই ৪ পিন এর কানেক্টর টি ব্যবহার করা হয়। যেমন, হার্ড ড্রাইভ, সিডি / ডিভিডি রম ইত্যাদি। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, হলুদ রঙ এর তারে +১২ ভোল্ট, লালে +৫ ভোল্ট, এবং কালো হচ্ছে গ্রাউন্ড।

পিন এফ ডি ডি কানেক্টরঃ এই কানেক্টর টী শুধু মাত্র ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ এ পাওয়ার সাপ্লাই দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।একে অনেক সময়, মিনি মোলেক্স বলেও ডাকা হয়। এখানেও লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, হলুদ রঙ এর তারে +১২ ভোল্ট, লালে +৫ ভোল্ট, এবং কালো হচ্ছে গ্রাউন্ড।

৪ পিন, পি৪_১২ভোল্টঃ এই পিন্ টি এ টি এক্স পি এস ইউ এর নতুন সংযোজন।একে পি৪ পাওয়ার কানেক্টর বলেও ডাকা হয়। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর থেকে এর যাত্রা শুরু। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর এর জন্য আলাদা ভাবে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রদান করাই এর কাজ।

সিরিয়াল এ টি এ পাওয়ার কানেক্টরসঃ আমাদের কম্পিউটার এর সাটা হার্ড ড্রাইভ এবং সাতা সিডি/ ডিভিডি রমের জন্য একটি স্পেশাল ধরনের ১৫ পিনের পাওয়ার কানেক্টর। এই ১৫ পিনের মধ্যে, ৩.৩ , ৫ এবং ১২ ভোল্ট সাপ্লাই হয়।

৬ পিন পিসিআই এক্সপ্রেস পাওয়ার কানেক্টরঃ আধুনিক যুগের গ্রাফিক্স কার্ড গুলো যে অনেক বেশি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তাতো আমরা আগেই জেনে গেছি।আধুনিক বেশ কিছু গ্রাফিক্স কার্ড এর জন্য এই  ৬ পিন পিসিআই এক্সপ্রেস পাওয়ার কানেক্টর, যা গ্রাফিক্স কার্ড কে আলাদা ৭৫ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার দিতে সক্ষম।

৬ পিন আউক্স পাওয়ার কানেক্টরঃ এই পাওয়ার কানেক্টর টির, সাধারন কম্পিউটার এ তেমন একটা কাজে না লাগলেও বিভিন্ন ধরনের এক্সপেনশন কার্ড এ এই ধরনের পাওয়ার কানেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।



কিছু তথ্যঃ
  • আপনি জানেন কি, একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর গড় আয়ু কত ? খুব বেশি না, মাত্র ১ লক্ষ্য ঘন্টা বা ১১ বছর (প্রায়)। তবে এটা নির্ভর করে, আপনি আপনার কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর কিভাবে যত্ন নিচ্ছেন। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি কি বেশি গরম করে ফেলছেন ? ঠিক মতন এর গরম বাতাস যেন বের হয়ে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখছেন ? এর ফ্যানে যেন ধুলা বালি না জমে তা দেখছেন তো ? ইত্যাদি।
  • যে কম্পিউটার সিস্টেম এ ঠান্ডা বাতাস চলাচলের সব রকমের ব্যবস্থা আছে, সেই কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি ততো ভালো থাকে।
  • আধুনিক পাওয়ার সাপ্লাই গুলো এমন ভাবে তৈরী যে, আপনার কম্পিউটার কে সাট ডাউন করে রাখলেও আপনার কী বোর্ড এর কী বোর্ড পাওয়ার অন (Key Board Power ON – KBPO), Wake- On- LAN, Wake-On- Ring , পদ্ধতিতে চালু করে ফেলতে পারবেন।

 

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সম্পর্কে কিছু ধারনা

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
অফিস, কল-কারখানা, এমনকি বাড়ি প্রায় সব জায়গাতেই ইদানিং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা দেখা যায়। সিসিটিভি স্থাপন করা এখন আর আগের মত ব্যয়বহুল এবং ঝামেলাপূর্ন নয়। চলুন এ সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক।









একটা সিসিটিভি সিস্টেম বসাতে মূলত যা যা প্রয়োজন হয় তা হল

 ১) একটি হাই কনফিগারেশন কম্পিউটার

২)  কম্পিউটারে ক্যামেরা সংযোগের জন্য DVR কার্ড

৩)  প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যামেরা এবং কোএক্সিয়াল ক্যাবল।


কয়েক ধরনের ক্যামেরা পাওয়া যায় তবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন। যেমন:- কিছু ক্যামেরা শুধু ভিডিও রেকর্ড করতে পারে এবং কিছু ক্যামেরা ভিডিওর সাথে সাথে শব্দ ও রেকর্ড করতে পারে (এক্ষেত্রে DVR কার্ড ও সাউন্ড রেকর্ড করার উপযোগী হতে হবে) আবার কিছু ক্যামেরা আছে যা রাতের অন্ধকারে ও কাজ করে। এছাড়া ক্যামেরায় বিভিন্ন ধরনের লেন্স ও ব্যবহার করা যায়।

DVR কার্ড

কম্পিউটার কেনার সময় যে সমস্ত ডিভাইসগুলো দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে তা হল, প্রসেসর, RAM এবং হার্ডডিস্কের ক্যাপাসিটি। প্রসেসসর ডুয়াল কোর বা বেশি হলে ভাল হয়,  RAM কমপক্ষে ১ গিগাবাইট হতে হবে তবে ২ গিগাবাইট হলে ভাল আর যত বেশী ক্যাপাসিটির হার্ডডিস্ক লাগাবেন তত বেশী ভিডিও সার্ভারে ব্যাকআপ থাকবে। সাধারন ৫০০ গিগাবাইট থেকে ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক লাগানো হয়। সিসিটিভি সিস্টেম কনফিগার করা খুব জটিল কোন কাজ না। DVR কার্ড ড্রাইভার ইনষ্টল করা অন্যসব ডিভাইসের মতই। আর সিসিটিভি সফটওয়্যারটার সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়লেই এটা কনফিগারের ধারনা পেয়ে যাবেন। প্রোগ্রাম সেটাপের সময় অবশ্যই মনিটরের রেজ্যুলেশনের বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। রেজ্যুলেশন ১০২৪X৭৬৮ হলে ভাল হয় অন্যথায় অনেক সময় ডিসপ্লে করবে না। মজার ব্যাপার হল, যে কম্পিউটারটি  সার্ভার হিসাবে ব্যবহার করবেন তা থেকে ঐ নেটওয়ার্কে অবস্থিত সবাই এটি দেখতে পারবে। আর আপনার সার্ভার মেশিন এর আইপি যদি রিয়েল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে আপনি দেখতে পারবেন আপনার বাড়ি বা অফিসের কার্যক্রম।


ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেটওয়ার্ক


মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে ভালো মানের ছবি তুলবেন

অনেকেরই ধারণা যে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি তোলা সম্ভব না, কিন্তু আসলে ধারণাটি ভুল। ছবি তুলতে হলে যে শুধু ৮-১০ মেগাপিক্সেল ক্যমেরা লাগবে এই ধারণাটিও ভুল। মোটামুটি ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাই যথেষ্ট আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য । আজ কাল প্রত্যেক মোবাইলেই ক্যামেরা থাকে, এই ক্যামেরা ব্যবহার করেও ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব, তবে তার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চল্লেই হল. 

১.লাইটঃ

ছবির ক্ষেত্রে লাইটটাই বেশি দরকারি। ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আলোর যথাযথ প্রভাব থাকে, মোবাইলে ভালো ফ্ল্যাশ থাকলে আর এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। যদি ফ্ল্যাশ না থাকে তবে অবশ্যই আলোর দিকে বেশি খেয়াল করতে হবে। আলোটাই মুলতঃ ছবির প্রাণ। তাই বলে অন্ধকারের ছবি তুলতে গিয়েও কিন্তু আলো ব্যবহার করবেন না!!


২.জুমের ব্যবহারঃ

জুম যত কম ব্যবহার করা যায় ততই কম ব্যবহার করুন। জুম করলে ছবির কোয়ালিটি নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে যদি তা হয় ডিজিটাল জুম। যদি জুম করার প্রয়োজন হয় তবে কাছে গিয়ে ছবি তুলুন, আর যদি কাছে যাওয়া সম্ভবপর না হয় তবে জুম ছাড়া ছবি যেমন উঠে তাই ভাল। তবে যাদের অপটিকাল জুম আছে তাদের কথা আলাদা, অপটিকাল জুম যত এক্স পর্যন্ত আছে সর্বোচ্চ ততই ব্যবহার করুন, অবশ্যই খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।

৩.ক্যমেরা ভাল করে ধরাঃ

ছবি তোলার সময় অবশ্যই ক্যামেরাটিকে (বা ক্যামেরা মোবাইলটিকে) ভালো করে ধরতে হবে যাতে ছবি ব্লারি বা ঘোলা না অঠে, আর এজন্য মোবাইলকে নাড়াচাড়া করানো যাবেনা। ভালো করে ধরে ছবি তুলতে হবে। আর নিজের নড়াচড়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৪.ক্যামেরার লেন্সঃ

লেন্সের প্রতি যত্নবান হতে হবে। লেন্সে ঘোলা হয়ে গেলে ব্লারি বা ঘোলা ছবি ওঠা সাধারণ ব্যাপার। লেন্সকে সবসময় পাতলা শুকনো কাপড় বা পাতলা টিস্যু দিয়ে আস্তে করে মোছা উচিত, তাই বলে কেউ জোরে ঘসবেন না, এতে লেন্স ভালো হঊয়া তো দূর নষ্টও হয়ে যেতে পারে। লেন্সে যাতে কখোনোই জল না লাগে।

৫.লক্ষ্যবস্তুর কাছে যানঃ

জুম থাক বা না থাক ভালো ছবি তুলতে হলে যতটুকু পারা যায় লক্ষ্যবস্তুর কাছে থাকুন, এতে ভালো কোয়ালিটির ছবি পাবেন। তাই বলে কেউ বিপদজনক কোন কিছুর ছবি তুলতে কাছে যাবে না!

৬.ছবিতে ইফেক্ট ব্যবহারঃ

প্রায় সব মোবাইলেই বিল্ট-ইন ইফেক্ট রয়েছে, তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন যদি মোটামুটি জানেন তবে মোবাইলেরর বিল্ট ইন ইফেক্ট না দেয়াই ভালো। নরমাল ভাবে ছবি তুলে পরে সেটা কম্পিউটারে এডিট করে নিলেই হবে।

৭.অভিজ্ঞ হয়ে উঠুনঃ

মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে যেহেতু খরচ হয় না তাই যত পারবেন ছবি তুলুন, বেশি বেশি ছবি তুলে নিজেকে অভিজ্ঞ বানিয়ে তুলুন। তবে যেভাবে মন চায় সেভাবে না, সকল নিয়ম মেনে ছবি তুলুন।

৮.রেজুলূশনঃ

অনেক মোবাইলেই আপনাকে রেজুলূশন চয়েজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইলে থাকা সর্বোচ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করাই ভালো। রেজুলেশন ভালো থাকলে ছবি ভালো হয় এবং হাই কোয়ালিটির হয়, বিশেষ করে যদি আপনি পরে ছবি প্রিন্ট করতে চান তাহলে ভালো রেজুলূশনের ছবি না হলে চলবে না। যদিও রেজুলূশনের ওপর ভিত্তি করে ছবির সাইজ বড় হয় তবুও রেজুলূশন বেশি দিয়ে ছবি তোলাই ভালো, সাইজের বা মেমরির চিন্তা করলে আর ভালো ছবি তোলা লাগবে না!

৯.পিকচার ফ্রেম ব্যবহারঃ

মোবাইলে পিকচার ফ্রেম একটি সাধারণ ফিচার, প্রায় সব মোবাইলেই এই ফিচার আছে। কিন্তু মোবাইলের পিকচার ফ্রেম আপনার ছবির কোয়ালিটি ১০০% থেকে কমিয়ে ২০% এ নিয়ে আসবে, সুতরাং পিকচার ফ্রেম ব্যবহার বাদ দিতে হবে।

১০.ছবি তোলার বিষয় নির্বাচনঃ

বিষয় নির্বাচন ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ছবি তোলার বিষয় বস্তু ভালো হতে হবে। নিজেই নিজের ছবি তোলা ভালো বিষয় বস্তু না। চেষ্টা করবেন প্রকৃ্তির ছবি তুলতে বা বৈচিত্রময় কিছুর ছবি তুলতে, এতে ছবি তোলার প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং একই সাথে ছবি তুলে মজাও পাবেন আপনি। নিজের ছবি যদি তুলতে চান তবে নিজে না তুলে অন্য কাউকে দিয়ে তোলান, যদি সম্ভব না হয় তবে সতর্কতার সাথে নিজেই তুলুন। কোন বিষয়ের শুধু একটি ছবি না তুলে একাধিক ছবি তুলুন, এতে ভালো শট পাবার সম্ভাবনা থাকে।



আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu