শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করুন

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা প্রত্যেকেই পাসওয়ার্ড শব্দটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সোসাল নেটওয়ার্কিং, সব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয় । এ সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলে যে কোন সময় সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে পারেন। এ কারনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন।









পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার কিছু কৌশল:

• পাসওয়ার্ডে কমপক্ষে আটটি অক্ষর বা তার বেশি অক্ষর ব্যবহার করুন।
• ছোট বা বড় অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্নের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরী করুন।
• পাসওয়ার্ডে বিশেষ কিছু চিহ্ন ব্যবহার করুন যেমন @ # $ % ^ & *
• সম্ভব হলে কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।


এই নিয়মটি ব্যবহার করুন:

a এর পরিবর্তে  @
s এর পরিবর্তে  $
space এর পরিবর্তে  %
i এর পরিবর্তে !
o এর পরিবর্তে 0
B এর পরিবর্তে 8

যেমন:  facebook account  এই শব্দ গুলির পরিবর্তে
           f@ce800k%@cc0unt




যা করা যাবে না :

• নিজের নাম, জন্ম তারিখ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বাড়ির নাম বা 123 এসব ব্যবহার না কারাই ভালো।
• অভিধানে খুজে পাওয়া সম্ভব এমন কোন প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করবেন না।
• পাসওয়ার্ডে নিজের বা অন্য কারও ফোন নম্বর ব্যবহার করবেন না।
• খেয়াল রাখুন ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড যেন কখনোই একই না হয়।
• ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
• ওয়েব ব্রাউজারের ‘রিমেম্বার পাসওয়ার্ড’-এর বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
• নিজের পাসওয়ার্ড অনলাইনে বা অন্য কোন ভাবে কারও সাথে শেয়ার করবেন না।

মোবাইলের ফোল্ডার হাইড করুন কোন সফটওয়্যার ছাড়াই

আমাদের মোবাইলে হয়তো কিছু ফোল্ডার থাকে, যা একান্তই আমাদের ব্যাক্তিগত। যা বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে হাইড করে রাখেতে চাই।
কিন্তু কোন সফটওয়্যার ছাড়াই খুবই সহজে আপনার নকিয়া ফোনে কোন ফোল্ডার হাইড করে রাখতে পারেন। আসুন  দেখা যাক কিভাবে নকিয়া ফোনে কোন ফোল্ডার হাইড করে রাখতে যায়।


ফোল্ডার হাইড করতে :

১) যে ফোল্ডার টি কে হাইড করেবেন সেই ফোল্ডার কে  rename করুন এবং সাথে extension name  .jad যুক্ত করুন। যেমন ধরুন video নামের ফোল্ডার টির নাম পরিবর্তন করে  video.jad করা হল।
2) এবার আরও একটি নতুন ফোল্ডার তৈরী করুন এবং ১ম যে ফোল্ডার খুলেছিলেন সেই নাম দিন এবং সাথে .jar যুক্ত করুন। যেমন video.jar।
এখন দেখুন আপনার video.jad ফোল্ডার টি দেখা যাচ্ছে না! শুধুমাত্র video.jar ফোল্ডার টি কিভাবে দেখা যাবে।



ফোল্ডার হাইড করতে :

১) video.jar ফোল্ডার টি  rename করে .jar মুছে দিন অথবা video.jar মুছে দিন। এখন দেখুন  video.jad ফোল্ডার শো করছে!
পুনরায় ২য় ফোল্ডার টিকে rename করে আবার .jar যুক্ত করলে ১ম ফোল্ডার টি হাইড হয়ে যাবে!!
(জাভা এনাবল মোবাইলের ক্ষেত্র প্রযোজ্য)

কম্পিউটারে তথ্য নিরাপদে রাখতে বিশেষ কিছু সাবধানতা

বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের পরিসর এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে হ্যাকারদের দৌরাত্ন্যে গোপন পাসওয়ার্ডও গোপন থাকছে না। ফলে গোপনীয় তথ্য যেমন অন্যরা জেনে ফেলছে তেমনি ব্যাঙ্ক একাউন্টের পাসওয়ার্ডও ওপেন হয়ে বিপদ ডেকে আনছে। তবে কিছু কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরনের ঝুঁকিগুলো সহজেই এড়িয়ে চলা সম্ভব।




কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে :
  • নিয়মিত আপডেট করা হয় এমন ফাইল গুলি C: ড্রাইভে না রাখাই ভাল।
  • সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখুন। এতে একটি ফাইল হারিয়ে গেলেও অন্যটি পেতে সুবিধা হবে।
  • আপনার তথ্যের পরিমান বেশি হলে সিডি অথবা ডিভিডি রাখতে পারেন। এছাড়া বহনযোগ্য হার্ডডিস্কে ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো রাখা যেতে পারে।
  • ইন্টারনেটে ব্যাকআপ হিসেবে অনলাইন স্টোরেজ বা ই-মেইল বক্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ও তথ্য  সংরক্ষন করে রাখলে নিরাপদে থাকবে।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া পাসওয়ার্ড মনে রাখুন "(Remember Me)"-এ জাতীয় অপশনে OK করবেন না। নিজের কম্পিউটারের বাবহারকারি অনেক হলে সেখানেও এ জাতীয় অপশন ব্যবহার না করাই ভাল। ভুল করে ফেললে মুছে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।
  • একই পাসওয়ার্ড একাধিকবার ব্যবহার করা উচিত নয়। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল/ব্লগ/ফোরাম/ডাউনলোড সাইট ইত্যাদিতে লগইন করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পেছনে এটি একটি বড় কারন। একাধিক গোপন নম্বর মনে রাখতে সমস্যা হলে তা একটি ইমেইল হিসেবে আপনার গোপন ইমেইল বক্সে রাখুন।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া সাইবার ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটার থেকে গোপন নম্বরগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। আর যদি করতেই হয় তাহলে নিজের কম্পিউটারে গিয়ে গোপন নম্বর পরিবর্তন করে ফেলুন।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোথাও অ্যাকাউন্ট এ লগইনের পর অবশ্যই মনে করে লগআউট করুন। এটি অনেকেই ভুলে যান।
  • ইমেল বক্সে অটো ফরওয়ার্ড করার কিছু অপশন থাকে। মাঝেমধ্যে সেগুলো চেক করে দেখুন, আপনার ইমেইল বক্স থেকে অজানা কোন ইমেইল ঠিকানায় মেইল ফরওয়ার্ড হচ্ছে কিনা।
  • প্রেরকের (Form) ঘরে আপনার পরিচিত কোন মেইল অ্যাড্রেস থাকা মানেই সেই ব্যাক্তি মেইল করেছে এমনটা মনে করার কোন কারন নেই। আরেকজনের মেইল আইডি Form-এর ঘরে বাসান যায়। সুতরাং সাবধান থাকুন।
  • ইন্টারনেটে ব্যাক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন।

আই. পি ( ip ) দিয়ে তার অবস্থান ও দূরত্ব জেনে নিন ম্যাপ থেকে।

আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কাজে নিজের আই.পি.(IP) কি এটা জানার দরকার পরে বা কোন একটা IP আপনি জানেন এটির অবস্থান (এটি কোন জায়গা থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে) জানার দরকার হতে পাতে। আপনি খুব সহজেই এটা জেনে নিতে পারেন। আইপি জানার অনেকগুলা পদ্ধতি আছে।




কম্পিউটার এর কমান্ড প্রমট থেকে জানাঃ
আপনি যদি নিজের কম্পিউটার থেকে নিজের IP জানতে চান তবে, আপনি প্রথমে আপনার কম্পিউটার এর কমান্ড প্রমট  ipconfig কথাটি লিখে Enter চাপুন নিচের ছবিটির মত আপনার IP সহ আরো কিছু তথ্য চলে আসবে।

এখানে IPv4 Address লেখাটির পরের নাম্বারটি হল আপনার IP Address. এখানে IPv4 কথাটির মানে হল Internet Protocol version 4। আপনি যদি আরো তথ্য যেমন এর লেন কার্ড বা এর মডেম এর MAC Address তাহলে কমান্ড প্রমটে ipconfig/all লিখে Enter চাপুন পেয়ে যাবেন।


ইন্টারনেট থেকে নিজের IP জানার পদ্ধতিঃ
ইন্টারনেট থেকে নিজের IP জান আরো সহজ। অনেক ভাবে আপনি এটা জানতে পারেন। আপনি www.google.com এর সার্চ বক্সে ip লিখে সার্চ করুন দেখবেন আপনার সার্চ রেজাল্টের শুরুতেই Internet Protocol version 4 লেখাটি এবং এর পাশে আপনার IP Address চলে আসবে। এর পাশে learn more লিখাটিতে ক্লিক করে আপনি এ IP টি কোথা থেকে ব্যেবহার করা হচ্ছে এটা জানতে পারবেন।
 
 
একটি IP থেকে অবস্থান জানার পদ্ধতিঃ
কোন কারনে আপনার কোন আইপি (IP)র অবস্থান বা আইপিটি কোন জায়গা থেকে ব্যেবহার করা হচ্ছে সেটা জানার দরকার হতে পারে। এর জানার জন্য আপনি http://infosniper.net সাইটিতে গিয়ে এদের সার্চ বক্সে আইপি(IP)টি লিখে সার্চ করুন। আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তা পেয়ে যাবেন।
 
 
দুটি আইপি ঠিকানার দূরত্ব বের করতে যা করতে হবেঃ
  • প্রথমে এই ঠিকানায় যান। 
  • লক্ষ্য করুন নিচে বাঁপাশে IP Address or Host No.1 এ আপনার আইপি এড্রেস দেওয়া আছে।
  • IP Address or Host No.2 তে উক্ত আইপি অ্যাড্রেস টি বসান।
  • এবার, Show distance বাটনে ক্লিক করুন।
 
দেখুন আপনার আইপি অ্যাড্রেস থেকে অন্য আইপি অ্যাড্রেসটি কত মাইল দূরে অবস্থিত তা জানতে পারবান, তার কাছে পায়ে হেঁটে যেতে কত সময় লাগবে, গাড়িতে যেতে কত সময় লাগবে, বিমানে যেতে কত সময় লাগবে সব দেখাচ্ছে এবং ডানপাশে একটি মানচিত্র দুটি আইপির অবস্থান ও দূরত্ব নির্দেশ করছে। 

আপনি চাইলে আপনার আইপি ছাড়াও অন্য দুটি আইপি অ্যাড্রেসের মধ্যকার দূরত্ব একই পদ্ধতিতে বের করতে পারবেন। এজন্য IP Address or Host No.1 এর নিচের বক্সটি মার্ক করে ওখানে প্রথম আইপি ও IP Address or Host No.2 এ দ্বিতীয় আইপি অ্যাড্রেস বসিয়ে Show distance বাটনে ক্লিক করুন।  
 
এখানে আইপি অ্যাড্রেসের অবস্থান বলতে কোন সার্ভিস প্রভাইডার থেকে আইপি অ্যাড্রেসটির সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে তার অবস্থানকে বোঝানো হয়।

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu