এসএমএস-এর আবিষ্কারক

SMS
মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো  ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে ব্যবস্থা  বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (Short Message Service (SMS)।

১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২০ বছর পেরিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে এটি আজ খুবই জনপ্রিয় । ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের।

মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন ২০ বছর বয়সী নেইল পাপওয়ার্থ তার নিজের কমপিউটার থেকে  ভোডাফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ম্যাসেজটি রিচার্ড জারভিসের কাছে পাঠানো হয় 'Merry Christmas' লিখে।

২০১৩ তে আসছে গুগল টিভি

google tv
২০১৩ সালে বিশ্ব বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল আনতে চলেছে তাদের তৈরি গুগল টিভি। গুগল, টিভি আনবে এ খবরেই প্রযুক্তি বিশ্বে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আরো একটি নতুন কিছুর অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।

গুগল জানিছে, ২০১৩ সালেই ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা এলজি তৈরী দুটি গুগল টিভি বাজারে আনবে।

 টিভিগুলোতে থাকবে কোয়ার্টি রিমোট কন্ট্রোলসহ ন্যাচারাল স্পিচ রিকগনিশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছারাও আরো নানা রকমের বৈশিষ্ট্য। নানা রকমের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এ টিভিতে থাকছে কথা বলে নির্দেশ দেওয়ার (ভয়েস কমান্ড) দেওয়ার সুবিধা। এলইডি প্রযুক্তি এই টিভিগুলোতে প্যাসিভ অবস্থায় দেখা যাবে থ্রিডি সিনেমাও।

এলজি তৈরী নতুন টিভি দুটির মডেল হচ্ছে  '৪৭জি২ গুগল টিভি ' এবং  অন্য টি '৫৫জি২ গুগল টিভি'। যার মধ্যে প্রথমটি ৪৭ ইঞ্চি এবং দ্বিতীয়টি ৫৫ ইঞ্চি ।

এছারাও থাকছে অ্যান্ড্রয়েডের হানিকম্ব ৩.২ সংস্করণ, যার ফলে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটে ব্যবহারের উপযোগী যেকোনো অ্যাপ্লকেশন টিভিতেই ব্যবহার সম্ভব। স্লিম এবং আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত নতুন এই টিভির অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।


lg google tv
এলজি তৈরী গুগল টিভি


উইন্ডোজ ৮-এর নতুন কিছু ফিচার


windows 8
উইন্ডোজ ৮-এর মেট্রো ইউজার ইন্টারফেজ



১) নতুন মেট্রো ইউজার ইন্টারফেজ।
২) নতুন লক-স্ক্রিণ ।
৩) ছবি এবং পিন কোড ব্যবহার করে নতুন অথেনটিকেশন সিস্টেম।
৪) দ্রুত শাটডাউন এবং স্টার্ট-আপের জন্য হাইব্রিড বুট সিস্টেম।
৫) 'উইন্ডোজ টু গো' ব্যবহার করে ইউএসবি থেকে উইন্ডোজ বুট ও ইন্সটলের সুবিধা।
৬) এপ্লিকেশন স্টোর (এখান থেকে নানা রকমের এপ্লিকেশন ইন্সটল করা যাবে)।
৭) মাইক্রোসফট একাউন্ট (উইন্ডোজ লাইভ/হটমেইল) ব্যবহার করে লগ-ইন করে নানা ধরনের কাজ করার সুবিধা।
৮)  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ভার্সন ১০ এর সুবিধা ।
৯) ফাইল এক্সপ্লোরারে যুক্ত হয়েছে নতুন রিবন ইন্টারফেস।
১০) নতুনভাবে ডিজাইন করা টাস্ক ম্যানেজার।
১১) নেটিভ ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে।
১২) যুক্ত হয়েছে নতুন দুইটি রিকভারি সিস্টেম, রিফ্রেশ এবং রিসেট।
১৩) ফ্যামিলি সেফটি নামক সুবিধা।
১৪) বিল্ট ইন বাংলা ভাষা যা প্রি ইন্সটলড বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ এক্টিভ করতে পারবেন নতুন কন্ট্রোল প্যানেল মেনু থেকে। 
১৫) এবং বিল্ট ইন এন্টিভাইরাসের সুবিধা যা সিস্টেমে রিয়েল-টাইম মনিটরের মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে।


password authentication
ছবির সাহায্যে নতুন অথেনটিকেশন সিস্টেম



কমপিউটার বন্ধ হবে এবার নিজে থেকে

shoutdown
আমরা অনেকেই ইন্টারনেট এ বড় ফাইল বা মুভি বা অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করতে দেই। ফাইল গুলোর সাইজ বড় বলে ডাউনলোড হতে অনেক সময় লাগে। যার ফলে কমপিউটার কে অনেক সময় ধরে চালু হয়। অনেকে আবার রাতে ভাল স্পীড পাওয়ার কারণে রাতে ডাউনলোডে দেন। যার ফলে কমপিউটার সারারাত চালু থাকে। কমপিউটার হয়ত বা নষ্ট হবেনা কিন্তু কমপিউটার এর বাস স্পীড কমে যায়। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটালেই আপনার কমপিউটার নিজে নিজে বন্ধ হবে।

ধরুন আপনি একটা কিছু ডাউনলোডে দিলেন। দেখলেন শেষ হতে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। ততক্ষণ আপনি থাকতে পাবেন না ।

turn off


এর জন্য আপনাকে যা করতে হব....
  • ১ ঘন্টা মানে হল ৩৬০০ সেকেন্ড। প্রথমে আপনার কমপিউটার ডেক্সটপে কোন ফাঁকা জায়গায় মাউস এর ডান বাটন ক্লিক করে নিউ থেকে শর্টকাট-এ ক্লিক করুন
  • desktop-->right click-->new-->shortcut
  • এবার নতুন উইন্ডো তে টেক্সট বক্স এ SHUTDOWN -s -t 3600 লিখুন
  • সংখ্যার জায়গায় আপনি আপনার কাঙ্খিত সময় টি সেকেন্ড এ হিসাব করে বসাতে পারেন।
  • এরপর নেক্সট -এ ক্লিক করে শেষে ফিনিশ বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
  • এবার ডেক্সটপ এ shutdown নামে একটি সর্টকাট তইরি হবে।
  • সেটা তে একবার ক্লিক করে দিলে আপনার কমপিউটার ৩৬০০ সেকেন্ড পর বন্ধ হবে।

shortcut
শর্টকাট তৈরী করার পদ্ধতি




shortcut
শর্টকাট তৈরী করার পদ্ধতি




পেনড্রাইভের সর্বোচ্চ জায়গা ব্যবহার করুন

pendrive
নানা কারণে আমরা পেনড্রাইভ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পেনড্রাইভের সর্বোচ্চ সংখ্যক জায়গা ব্যবহার করা হয় না । ইচ্ছা করলে আপনার পেনড্রাইভের সর্বোচ্চ সংখ্যক জায়গা ব্যবহার করতে পারেন।

এ জন্য প্রথমেই আপনার পেনড্রাইভের সব ফাইল কম্পিউটারে কপি করে রেখে দিন।এরপর মাই কম্পিউটারে আইকনের উপর রাইট ক্লিক করে Properties/System Properties/Hardware/Device Manager অপশনে যান।
Disk drivers অপশন থেকে আপনার পেনড্রাইভটি খুঁজে বের করুন। যদি আপনি পেনড্রাইভ শনাক্ত করতে না পারেন, তাহলে প্রতিটি ড্রাইভে ডান ক্লিক করে Properties দেখুন।

যে ড্রাইভের Properties উইন্ডোতে device usage বক্সে Use this device (enable) লেখা দেখাবে সেটিই আপনার পেনড্রাইভ। পেনড্রাইভ শনাক্ত করার পর ডান ক্লিক দিয়ে তার Properties-এ যান।
এরপর Policies অপশনে যান Optimize for performance অপশন টি সিলেক্ট করুন।

ফরম্যাট উইন্ডো এলে File system হিসেবে ntfs এবং Allocation unit size হিসেবে 512 bytes দিন এবং Enable compression বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Start -এ ক্লিক করুন।

এরপর থেকে পেনড্রাইভে আগের তুলনায় বেশি ফাইল রাখতে পারবেন।

ফেসবুকে অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগ বন্ধ করুন

ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় সুবিধা হলো ছবিতে ট্যাগ করা। অনেক সময় ফেসবুকে বন্ধুরা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ছবিতে ট্যাগ করে আপনাকে বিব্রত করতে পারে। এ ছাড়া সেসব ছবি দিয়ে অন্য বন্ধুদেরও পাতা (নিউজফিড) ভরে যায়। ফলে অনেকে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিচিত বন্ধুদের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন। এ ঝামেলা এড়াতে ট্যাগ করাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, এ জন্য

১) প্রথমে প্রাইভেসি সেটিংসে (privacy setting) ক্লিক করুন।

২) এরপর How Tags Work এর এডিট সেটিং-এ ক্নিক করেলে How Tags Work Dialogue Box থেকে Tag Review অপশন টি অন করে দিন।

এতে আপনি অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগিংয়ের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। যদি কেউ আপনাকে কোনো ছবিতে ট্যাগ করে, তবে ফেসবুক আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে। আপনি সেই নোটিফিকেশনে ক্লিক করে Approved করলেই সেই ছবি আপনার প্রোফাইলে আসবে এবং আপনার ফেসবুক বন্ধুরাও তাঁদের নিউজফিডে দেখতে পারবেন। যদি আপনি Approved না করেন, তাহলে সেই ছবি আপনার প্রোফাইলে দেখাবে না এবং আপনার বন্ধুদের নিউজফিডে গিয়ে বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করবে না।

facebook tag
ফেসবুকে অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগ বন্ধ করার ধাপ


কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার কারণ কী ?

Computer Hang
কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ-
কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা ও গতি নির্ভর করে কম্পিউটারের প্রসেসর উপর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।

কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ-
 আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন যাবতীয় তথ্য সাময়িক ভাবে র‌্যামে সঞ্চিত হয় । আর এই র‌্যামের পরিমাণ কম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না, তখন কম্পিউটারে হ্যাং করে।

কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ-
কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- 
কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট করার পরেও ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সব কাজ করে থাকে প্রসেসর।

অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- 
এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ-
অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল মুছে বা কোরাপ্ট হওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটার চলতে সমস্যা হতে পারে, ফলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- 
সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রায়ই হ্যাং হয়।

অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- 
হ্যা, এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ৫১২ কিন্তু আপনি অনেক গুলো প্রোগ্রাম ওপেন করে রেখেছেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যামে কাজ করার মতো আর কোন খালি জায়গা থাকে না।

হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- 
কম্পিউটারে র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালানো হয়, তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে, কেননা র‌্যামে তখন কাজ করার মতো আর কোন খালি জায়গা থাকে না।

হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- 
কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারনত কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- 
কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

কম্পিউটারে অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- 
হ্যা, এ কারনেও কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে, আমরা ভাইরাস হাত থেকে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় এই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার কারার কারনে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

ফেসবুক আসক্তি

facebook
গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় ৭০ কোটির বেশি লোক ফেসবুকে ব্যবহার করে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ কোটি প্রতিদিন ফেসবুকে লগ-ইন করে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গড়পড়তা ১৩০ জন করে ‘বন্ধু’ আছে। প্রত্যেক মাসে ফেসবুকের সব ব্যবহারকারী মিলে এর পেছনে ৫০ হাজার কোটি মিনিট সময় ব্যয় করেন। বহুল আলোচিত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এই কথাগুলো নিজেই সদর্পে লিখে রেখেছে তার পরিসংখ্যান পাতায়।


ফেসবুকের দাবি করে, ব্যবহারকারীরা এক মাসে তার ফেসবুকের জন্য ৫০ হাজার কোটি মিনিট ব্যয় করে। এই বিপুল সময়কে ঘন্টা, দিন, বছর এভাবে হিসাব করলে আসে ৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৩ বছর। অর্থাৎ বিপুল জনগোষ্ঠীর এক মাসের মোট সময় থেকে সাড়ে ৯ লাখ বছর ফেসবুকের জন্য খরচ করাতে পারা ফেসবুকের কাছে দারুণ গর্বের বিষয়। ফেসবুকের নিজের এই গর্বের পেছনে যুক্তি আছে। কিন্তু যারা সেই সময়টা ফেসবুককে ‘উৎসর্গ’ করছে তারা কি পাচ্ছেন সেটা জানার জন্য ফেসবুক কি সে সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা দরকার।

যারা ফেসবুক নিয়ে সময় কাটান না তাদের জানা উচিত তারা জিতছেন নাকি ঠকছেন। আর মা-বাবাদের জানা উচিত তাদের সন্তানরা ফেসবুকে বুঁদ হয়ে আসলেই কতটা ‘সামাজিক’ হয়ে বেড়ে উঠছে। এতে তাদের ছাত্রজীবন কিংবা ক্যারিয়ার জীবন কতটুকু লাভবান হচ্ছে।


ফেসবুক কি ?

ফেসবুক নিয়ে এত আলোচনা দেখে যারা এটি সম্পর্কে জানেন না তাদের অনেকের ধারণা হতে পারে ফেসবুক হয়তো জাতিসংঘের মতো কোনো ‘বিশ্বপ্রতিষ্ঠান’ যা বিশ্ববাসীকে ‘সামাজিক’ বানানোর দায়িত্ব পালন করে থাকে। আসলে ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ফেসবুক ডটকম। ফেসবুকে আপনিও একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন যেমন হটমেইল, জি-মেইল, ইয়াহু ইত্যাদিতে ফ্রি ইমেইল অ্যাড্রেস খোলা হয়। এরপর আপনি ফেসবুকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে আপনার পরিচয় লিখতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত ছবি রাখতে পারেন। আপনার বর্তমান অবস্থা, অবস্থান ইত্যাদি লিখে রাখতে পারেন। অন্যরা আপনাকে ‘বন্ধু’ হিসেবে তাদের অ্যাকাউন্টে যোগ করলে আপনার অ্যাকাউন্টে যা লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি সেখানে দিয়ে রেখেছেন সেগুলো সবাই দেখতে পাবে। আপনার মন্তব্যের বিপরীতে কিংবা আপলোড করা ছবি নিয়ে অন্যরা মন্তব্য করতে পারে। একজনকে কিংবা একসাথে সর্বোচ্চ ২০ জনকে গ্রুপ মেসেজ পাঠাতে পারেন। দিন-রাত গেম খেলে সময় পার করে দিতে পারেন। অন্যদের প্রোফাইলে ঢুকে তারা যে মন্তব্য লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি দিয়ে রেখেছেন তার বিপরীতে মন্তব্য লিখতে পারেন। এভাবে মন্তব্য কিংবা পাল্টা-মন্তব্য চালিয়ে যেতে পারেন। মোটামুটি এই হলো ফেসবুক এবং তার ‘সামাজিক যোগাযোগ’। .


তরুণ প্রজন্ম সামাজিক হচ্ছে ?

 তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকের মাধ্যমে কি ধরনের সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করছে সেটা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এদের মধ্যে অনেকে স্কুলছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। এদের কমেন্ট লেখা গুলো  বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এদের মধ্যে কেউ কেউ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটের পেছনে সময় ব্যয় করেছে! তাদের ‘অ্যাকটিভিটি’ লিস্ট থেকে দেখা যায় সবাই এই সময়টুকু বিভিন্ন মেয়ের প্রোফাইলে মন্তব্য লিখে সময় কাটিয়েছে। একজন স্কুলছাত্র এক রাতে সর্বোচ্চ ৪১ জন মেয়ের প্রোফাইলের ওয়ালে কিংবা স্ট্যাটাসে মন্তব্য লিখেছে! মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়, এদের মধ্যে কেউই তাদের পরিচিত নয়। মোটামুটি মন্তব্যগুলোর ধরন এরকম, ‘আমি তোমার বন্ধু হতে চাই’, ‘তুমি এত সুন্দরী’, ‘বৃষ্টিতে ভিজলে তোমাকে দারুণ লাগবে’ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সব কথা। আর কেউ অন্যের ছবির অ্যালবামে ঢুকে সেখানে অশ্লীল মন্তব্য লিখেছে! তারা নিজের প্রোফাইলে হয়তো কোন কবিতার লাইন লিখে রেখেছে কিংবা ‘বন্ধুরা কেমন আছো’, কিংবা ‘পড়াশোনা ভালো হয়নি পরীক্ষায় ফেল করব’ ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশিরভাগ মেয়ের আপলোড করা ছবিতে ছেলেরা হয় সৌন্দর্য্যরে প্রশংসা করেছে কিংবা অশ্লীল মন্তব্য লিখে রেখেছে। এভাবে দিনের কিংবা রাতের মূল্যবান সময় খরচ করে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করছে তরুণ প্রজন্ম!



বাঙালীর ফেসবুক বিলাস

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে প্রায় ২০ লাখের বেশি। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ তরুণীর সংখ্যা প্রায় শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ, যে বয়সটার মূল ব্রত হওয়া উচিত শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গঠনে মনোনিবেশ। প্রতিটা ঘন্টাই যাদের জন্য অসীম গুরুত্বপূর্ণ তারা রাত জেগে এই ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করে চলেছে! ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী আছেন শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। অর্থাৎ, অপচয় করার মতো সময় যে বয়সী লোকদের থাকার কথা, কিংবা পুরানো বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কথা যাদের, ফেসবুকের প্রতি তাদের আগ্রহ সামান্যই। ফেসবুক টিকে অল্পবয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবান সময় গলধকরণ করে । ফেসবুক ছাত্রদের সাধনা? অধ্যয়নই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা- এই কথা বলে যুগে যুগে অভিভাবক ও শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশোনায় উজ্জীবিত করে আসছেন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশী কিছু ফ্যাশন হাউস বাজারে তরুণ-তরুণীদের জন্য টি-শার্ট ছেড়েছে যার বুকের ওপর লেখা ‘ফেসবুকই আধুনিক ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র তপস্যা!’ যে ফেসবুক ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবান সময় এভাবে গিলে খাচ্ছে, রাত জাগিয়ে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে সেই ফেসবুকের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে এভাবে আসক্ত করার চেষ্টা কতটা দেশপ্রেমের পরিচয় সে প্রশ্ন অভিভাবকদের মনে জাগাই স্বাভাবিক।


মিথ্যা আর ছলনার বেসাতি

সরাসরি কারো সঙ্গে দেখা হয় না বলে ফেসবুক মিথ্যা আর ছলনা চর্চার উৎকৃষ্ট এক স্থান। যে যা নয়, তাই সাজার চেষ্টা করে অগণিত ব্যবহারকারী। পুরুষরা নারীর পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খোলে। আবার অনেক পুরুষ নিজেদের অনেক জ্ঞানী, ধনী কিংবা বিদ্যান পরিচয় দিয়ে নারীদের মন জয় করার চেষ্টা করে। মিথ্যা কথা বলে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর টানার চেষ্টা চলে। কিংবা সুন্দরী মেয়ে সেজে ব্যর্থ কিংবা হিংসুটে প্রেমিক তার প্রেমিকার মোবাইল নাম্বার ফেসবুকে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর মধ্য ছেড়ে দেয়। কিংবা মেয়েদের ছবি কপি করে ফটোশপের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের শরীরে জুড়ে দিয়ে ‘গোপন ক্যামেরায় তোলা’ বলে মেয়েটিকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালায়।



উন্নত দেশগুলোর কি অবস্থা

বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে অনেক ছাত্রছাত্রী কিংবা অফিসে বসে অনেক কর্মচারী ফেসবুকে সময় ব্যয় করাকে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ বলে মনে করলেও তার সাথে একমত নয় উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একং বড় বড় করপোরেট অফিস ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানী, ইটালিসহ উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ নামকরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবুক ব্লক করা। এছাড়া বিখ্যাত আইটি ফার্ম রবার্ট হাফ টেকনোলজির পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ করপোরেট অফিসে ফেসবুক নিষিদ্ধ। এই হার ব্রিটেনে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ৫৫ শতাংশ। ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, জার্মানী, জাপানসহ বহু দেশের অগণিত প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হয়। অনেক অফিসে ফেসবুক ব্যবহার ‘ছাঁটাইযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে নিয়োগপত্রে শর্ত দিয়ে থাকে। ব্রিটেনে স্মার্ট আইটি পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ অফিস কর্মচারী স্বীকার করেছেন, বাড়ির পরিবারের লোকজনকে সময় দিতে হয়, তাই ফেসবুকে ব্যয় করার সময় তারা বের করেন অফিসে গিয়ে! ভারতেও বহু শিক্ষা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বন্ধ করে রেখেছে। এশিয়াতে জাপানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ লাখ আর চীনে মাত্র ৩৬ হাজার।


ফেসবুক আঙুল ফুলে কলাগাছ

বসে বসে বন্ধু খোঁজা এবং শত শত ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে মন্তব্য লেখাকে আপনি সামাজিকতা মনে করেন? তাহলে আপনাকেই দরকার ফেসবুকের। কারণ আপনি যত বেশি ‘সামাজিক’ হবেন ফেসবুকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তত টাকা জমা হবে। ফেসবুক ওয়েবসাইটে ঢুকে যত বার যেকোন লিংকে ক্লিক করবেন ততবার নতুন করে বিজ্ঞাপন লোড হবে (ডান পাশের সাইডবারে)। একবার লোড হলে তাকে ১ ইম্প্রেশন বলে। প্রতি ১ হাজার ইম্প্রেশনের জন্য ওই বিজ্ঞাপনদাতার নিকট থেকে ফেসবুক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে। আর ক্লিক করলে তো আরো ভাল। দারুণ ব্যবসা! এই ব্যবসায়ে মূলধন হচ্ছে আপনার মতো ‘সামাজিক’ মানুষের অপচয় করা সময়। আপনি যত ক্লিক করবেন তত ইম্প্রেশন। দিন শেষে কয়েক কোটি ইম্প্রেশন দেখে ফেসবুক মালিকদের চোখে খুশির ঝিলিক ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ কয়েক কোটি ইম্প্রেশন মানে নিদেনপক্ষে কয়েক লাখ ডলার! ব্যবহারকারীরা ঘুর্নাক্ষরেও বুঝতে পারছেন না তাদের ব্যবহার করে কিভাবে কোটি কোটি ডলার আয় করছেন ফেসবুকের কর্ণধারেরা। ২০০৯ সালে ফেসবুকের আয় ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১০ সালে আয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে তারা। একজন ব্যবহারকারীর দ্বারা সিপিএম অ্যাড থেকে ২ ডলার আয়ের টার্গেট থাকে ফেসবুকের।


ফেসবুক পক্ষাবলম্বনকারীদের যুক্তি

ফেসবুকে ছেলেবেলার বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যদি হয় তাহলে স্কুল বা কলেজে যাদের একসঙ্গে পড়েছেন তাদের খুঁজে বের করা কি জীবনের বড় ব্রত? একজন মানুষের জীবনকালে এই বন্ধু খুঁজে বের করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন, ক্যারিয়ার জীবনের চেয়েও ? ছাত্র জীবন ধ্বংস হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে অশান্তি আসছে, ক্যারিয়ার জীবনে মনোনিবেশ কমছে। ক্যারিয়ার জীবনে এসে যাদের সঙ্গে সরাসরি কিংবা ফোনে যোগাযোগ আছে সামাজিকতার জন্য তারাই কি যথেষ্ট নয়? সবার প্রোফাইলে ঢুকে ‘কমেন্ট’ লেখাই কি সামাজিকতা? একজন মানুষ কি দৈনিক ৩-৪ ঘন্টা এই ওয়েবসাইটে ব্যয় করছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজতে?


চোরাবালি

বুদ্ধি আছে বটে ফেসবুকের নির্মাতাদের। কেউ যদি মনে করে থাকেন ফেসবুকে ঢুকে ‘মাত্র’ দুই/এক ঘন্টা ব্যয় করে বের হব, তবে সে গুড়ে বালি! কারণ ফেসবুক চোরাবালি বিছিয়ে রেখেছে এর নির্মাণশৈলীতে। এই চোরাবালির কাজ করছে কোটি কোটি সুন্দরী তরুণীর ছবি। কিশোর, তরুণ, যুবক, প্রৌঢ় পর্যন্ত ছুটছে এসব নাম ঠিকানা না জানা ‘সুন্দরী’ দের পিছে। এসব সুন্দরীদের প্রায় অর্ধেকই ভুয়া। তবুও ছায়ার পেছনে ছুটছে তারা। একবার বন্ধু তালিকায় যোগ করে শুরু হয় তার মন যোগানোর পালা। বিভিন্নভাবে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা। দুই-এক দিন না যেতেই এবার মোবাইল নাম্বার চাওয়া শুরু। প্রেম নিবেদন শুরু। এক মেয়ের ছবির নিচে প্রশংসা বাণী লিখছে শত শত পুরুষ।


জীবনে কত বন্ধুর প্রয়োজন

ফেসবুকে একজন পুরুষের গড়ে আড়াইশ’ বন্ধু আছে। আর একজন মেয়ের গড়ে ১ হাজার বন্ধু আছে! কোনো কোনো মেয়ের বন্ধুসংখ্যা ৫ হাজার! পুরুষের বন্ধু তালিকায় যারা থাকে তার অল্প কয়েকজন তার চেনাজানা পুরুষ কিংবা নারী বন্ধু আর বাকিরা হয় অপরিচিত নারী কিংবা নারীর ছদ্মবেশী পুরুষ। তরুণরা ফেসবুকে ঢুকে মেয়ে ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে।



রুচি বিকৃতদের স্বর্গরাজ্য

মানুষ কিভাবে তাদের মেধার অপচয় করতে পারে ফেসবুক তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ফেসবুকে লাখ লাখ ছবি, কার্টুন ও ভিডিও যোগ করে ব্যবহারকারীরা। এসব ছবির মধ্যে আছে দেশ, জাতি কিংবা ব্যক্তির প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর উপকরণ। কিংবা বীভৎস দৃশ্যের ছবি। বিশ্বের বিখ্যাত মনীষী, রাজনীতিক, কিংবা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ ও আপত্তিকর ছবি শেয়ার করে মজা পায় এক শ্রেণীর কুরুচিপূর্ণ মানুষ। যতই সম্মানিত ব্যক্তি হোক না কেন, তার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি যখন মানুষের হাসির খোরাক যোগায় তখন সেটাকে নিছক গণতান্ত্রিক অধিকার বলার সুযোগ নেই। সংবাদপত্রের পাতায় রাজনীতিবিদদের কার্টুন আর ভিন্নমত পোষণকারী সাধারণ মানুষের বিদ্বেষমূলক কার্টুন এক হতে পারে না। এরা নিজের প্রোফাইলে এসব ছবি ঢুকিয়ে অন্যের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দেয়। যার প্রোফাইলে ছবি ট্যাগ করা হয় সে নিজে তো দেখতে পায়, তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্য সবাইও তা দেখতে পাবে। সেখান থেকে সমমনা কুরুচির কয়েক ডজন ‘বন্ধু’ হয়তো তাদেরও বন্ধুদের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দিল সেখান থেকে প্রত্যেকের কয়েক ডজন করে বন্ধু তাদের বন্ধুদের ‘ট্যাগ’ করে দিল যাকে বলে চেইন রিয়েকশন! মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে। চলে হাসাহাসি, ঠাট্টা ,বিদ্রুপ, বিকৃত আনন্দ ভোগ। অনেকে আবার মেয়েদের ফটো অ্যালবাম থেকে ছবি নিয়ে সেই ছবির মাথা কম্পিউটারের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের দেহে জুড়ে দিয়ে তার প্রোফাইলেই আবার ট্যাগ করে দেয়! পৃথিবীর কোটি কোটি পুরুষের কম্পিউটারে একজন মেয়ের ছবি থাকা অবশ্যই নিরাপদ নয়; কিন্তু ফেসবুকের কল্যাণে তাই ঘটছে। নিজেও জানেন না, আপনি সামাজিকতা পালন করতে গিয়ে যে ছবি শেয়ার করেছেন তা কত কোটি বখাটে পুরুষের কম্পিউটারে সেভ করা হয়েছে।




ফেসবুকের সবটাই খারাপ ?

 না। খুব কম জিনিসই আছে যার সবটুকু খারাপ। ফেসবুকও তেমনি। ফেসবুকে একটি মন্তব্য লিখে আপনি সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার অবস্থা কিংবা অবস্থান। সেলিব্রেটিরা তাদের ভক্তদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ রাখতে পারে ক্লায়েন্টদের সাথে। বিভিন্ন গ্রুপ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে পরস্পরের সাথে। নিজের অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে। এছাড়ও ইমেইল কিংবা ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জারের মতো বিকল্প অনেক রাস্তা আছে, যেগুলোকে বিকল্প যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

facebook user


এই লেখাটি  Shohan ahamed লেখা থেকে ও  কিছু নিজের অভিগতা থেকে লেখা ।

উইন্ডোজে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করবেন কিভাবে ?

internet speet
Widows আমাদের ব্যবহৃত ইন্টারনেটের গতির প্রায় 20% কমিয়ে রেখে দেয় । Windows এটা করে,  কারন তার Update নেয়ার জন্য । আর তাই আমরা Windows Update এর বেশীর ভাগ সময় বুঝতে পারিনা । কিন্তু Internet Browsing সময় এই 20% কম গতিতে ব্রাউজিং করতে হয় । তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন করলেই ইন্টারনেটের গতি কিছুটি বাড়িয়ে নিতে পারি ।




কিভাবে এই কাজটি করবেন ?

1. প্রথমে  ক্লিক করুন Run option ।
2. এখানে gpedit.msc টাইপ করে এন্টার কী প্রেস করুন ।
3. এরপর Administrative Templates -এ ডাবল ক্লিক করুন ।
4. Network -এ ডাবল ক্লিক করুন ।
5. QoS Packet Scheduler -এ ক্লিক করুন ।
6. বামদিকে Limit Reservable Bandwidth লেখাটির উপর ডাবল ক্লিক করুন ।
7. এখন  Enable অপশনে ক্লিক করে Bandwidth Limit(%) 0 করে দিন ।
8. এরপর Apply -এ ক্লিক করে OK বাটনে ক্লিক করুন ।

শেষে কমপিউটার কে একবার Restart করে নিন । এরপর আশা করি আগের থেকে কিছুটা বেশি গতি অনুভব করতে পারবেন ।

থ্রিজি প্রযুক্তি কি ?

থ্রিজি প্রযুক্তিকে বলা হয় তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন প্রযুক্তি(Third Generation of Wireless Technologies)। ডব্লিউ-সি. ডি.এম.এ. (W-CDMA), ডব্লিউ.এল. এ.এন (WLAN) এবং সেলুলার রেডিও এরকম অন্যান্য আরো প্রযুক্তির সম্মিলিত সংস্করণ হলো থ্রিজি প্রযুক্তি।  এটি পূর্বের ওয়ারলেস প্রযুক্তি গুলোর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত একটি প্রযুক্তি। এটি যেমন দ্রুত গতিতে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে, তেমনি উন্নত মাল্টিমিডিয়া ও বিশ্বব্যপী রোমিং সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম। থ্রিজি প্রযুক্তিটি মূলত ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনের জন্য।



থ্রিজি প্রযুক্তি কেন উন্নত ?

১। অনেক দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান ক্ষমতা ।
২। অডিও এবং ভিডিও হিসেবে তথ্য আদান প্রদান সুবিধা ।
৩। ভিডিও কনফারেন্স সামর্থন ।
৪। উচ্চগতি সম্পন্ন ওয়েব এবং ওয়াপ ইন্টারনেট ব্রাউজিং  ।
৫। আই.পি.টিভি ( ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা সম্ভব ) ।



থ্রিজি প্রাযুক্তিতে তথ্য আদান প্রদান গতি :

দ্রুত গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদানের  গতি ১২৮ থেকে ১৪৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
কম গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান  ৩৮৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
স্থির অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান গতি ২ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।

404 Error কি ?

আমরা অনেক সময় ওয়েব সাইটের অ্যাড্রেস লিখলে 404 এরর বা পেজ টি খুঁজে পাওয়া গেলো না, এরকম মেসেজ পেয়ে থাকি, এই 404 এরর হল একটি ওয়েবসাইটের কমন মেসেজ, যার দ্বরা বোঝাযায় ওয়েবপেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার এটিও হতে পারে  ইউজার যদি কোন ভুল লিঙ্কে ক্লিক করে, তাহলে এই মেসেজটি দেখাতে পারে। " 404 এরর বলতে বোঝায় যে, সার্ভারটি চলমান(valid), কিন্তু ওয়েবপেজটি কিংবা ওয়েবপেজে যাওয়ার পথটি(path) বৈধ(valid) নয়"
প্রশ্ন জাগতে পারে কেন একে "মিসিং ওয়েবপেজ এরর ? "  না বলে  "404 এরর" বলা হয় ?  যখন ওয়েব সার্ভার একটি পেজ খুঁজে পায় না, তখন ওয়েবসার্ভার থেকে 404 এরর তৈরী হয় । আর এই এরর কোড সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে।ফলে সার্চ ইঞ্জিন, সার্চ রেজাল্ট থেকে এই পেজটিকে সরিয়ে রাখে। এমনকি 404 এররকে ওয়েবস্ক্রীপ্ট এবং ওয়েব মাস্টার টুলগুলো সনাক্ত করতে পারে। ফলে ওয়েবমাস্টাররা ঐ পেজটিকে সনাক্ত করে ঠিক করার চেষ্টা করে।

404 নাম করনের কারন :  WWW এর প্রথম ডাটাবেজ ছিল সুইজারল্যান্ডের একটি অফিসের চারতালার 404 নাম্বার ঘরে। সেখানে ফাইল আদান প্রদান করার সময় কোন ভুল হলে  “404: পাওয়া যায়নি” মেসেজ লেখা হত। সেখান থেকে আসা শব্দটি দ্বারা এখন সার্ভারে পেজ পাওয়ানা গেলে 404 এরর দেখানো হয়।



এন্ড্রয়েড কি ?

এন্ড্রয়েড হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা মোবাইল ফোনের জন্য ব্যবহার করা হয় । কমপিউটার কে চালাতে যেমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেমন উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, ম্যাক বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন তেমনি মোবাইল ফোনের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেমে প্রয়োজন হয় । এন্ড্রয়েড সেরকম একটি মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, এন্ড্রয়েড ছাড়া আরো কিছু মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম যেমন নকিয়ার সিম্বিয়ান, এপলের iOS, রিম’এর ব্ল্যাকবেরি os, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ইত্যাদি।  প্রথম দিকে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মোবাইল ফোনের জন্য হলেও এখন এই অপারেটিং সিস্টেমে চলছে নেটবুক, ট্যাবলেট ও গুগল টিভি।

আমরা যেমন কমপিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। তেমনি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সাথে  কিছু ইন-বিল্ট এপলিকেশন, গেম, উইজেট রয়েছে। এন্ড্রয়েড SDK (Software Development Kit), যার সাহায্যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের জন্য এন্ড্রয়েড এপলিকেশন তৈরি করা হয়। এন্ড্রয়েড SDK এর মধ্যে সোর্স কোড সহ স্যাম্পল প্রজেক্ট, ডেভলপমেন্ট টুলস, ইমুলেটর এবং এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট  তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এন্ড্রয়েড এপলিকেশন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে লেখা হলেও এন্ড্রয়েড SDK সাহায্যে তৈরী করা হয়
এন্ড্রয়েড ফোন কি ?
যেসব মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যেমন - Acer, Alcatel, Dell, Gigabyte, HTC, Huawei, LG, Motorola, Nexus, Samsung, T-Mobile, Toshiba, Vodaphone, ZTE এর মত বড় বড় প্রায় সব কোম্পানি। বর্তমানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় একটি নাম।

হিতাচি তৈরী করল বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স

Hitachi গ্লোবাল স্টোরেজ প্রযুক্তি তৈরী করল বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র 7mm 2.5 হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) সঙ্গে 7200rpm গতি এবং 500GB ধারন ক্ষমতা , যাতে একটি মাত্র প্ল্যাটার ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ডিভাইসটি অতি -পাতলা এবং কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ লক্ষ্য পুরন করতে পেরেছে ।

 বিদ্যুৎ শাস্রয়ী এই হার্ড ড্রাইভটি পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ২.১ ওয়াট, আর যখন কোন কাজ করে না তখন ০.৮ ওয়াট এবং standby মোডে 0.2 ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই 7mm হার্ডডিস্ক ড্রাইভ টি 7200rpm গতি, 32MB বাফার, সিরিয়াল ATA 6 Gb/s ইন্টারফেস এবং 1369 Mb/s (171 MB/s) মিডিয়া ট্রান্সফার রেট প্রদান করতে সক্ষম ।



বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স


বিএসএনএল ও আনতে চলেছে কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার

এবার ভারতীয় টেলিকম অপারেটর বিএসএনএল ও ভারতের বাজারে আনতে চলেছে কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার। বিএসএনএল ও প্যান্টেন টেকনোলজি-র সঙ্গে যৌথউদ্দগে তৈরী হতে চলেছে কম মূল্যের পেনটা টিপ্যাড আই.এস ৭০১ আর ( Penta TPAD IS701R) মডেলের ট্যাবলেট টি। তাদের দাবী অন্যান কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার গুলির তুলনায় তাদের ট্যাবলেট কম্পিউটার টি আরও অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন । বিএসএনএল জানিয়েছে আগামী পহেলা মার্চ, ২০১২ থেকে রিটেইল স্টোর এবং বিএসএনএল আউটলেটগুলোতে পাওয়া যাবে।

Penta TPAD IS701R বৈশিষ্ট্য:

ওয়েব ব্রাউজ করুন, ইউটিউবে ভিডিও, ইমেইল চেক এবং অ্যান্ড্রয়েড ™ 2.3 সহ আরো অনেক কিছু এবং উচ্চ গতির 1 GHz প্রসেসর এবং DDRII 256MB RAM উপস্থিত. এছারা ইন্টিগ্রেটেড, LCD / LED টিভি সঙ্গে সংযোগ জন্য HDMI পোর্ট । জনপ্রিয় ভিডিও, গান, এবং ছবির বিভিন্ন ফরম্যাটের সাপোর্ট করবে। এবং ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন Andriod Google Apps। উচ্চ গতির নেটওয়ার্কিং (ওয়াই ফাই 802,11 / b g) সাথে সংযুক্ত wirelessly ইন্টারনেট । সহজেই অ্যাক্সেস করুন ইমেল, অফিস প্যাকেজ এবং গেম, ফেসবুক এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং । Seamless ডিজিটাল মিডিয়া অভিজ্ঞতা । E-book রিডার, Rechargeable লিথিয়াম পলিমার-ব্যাটারি । এছাড়াও বিএসএনএল এর ক্রেতাদের জন্য ২ মাসের ৫ গিগাবাইট ফ্রি ডাটা ব্যবহারের সুবিধা।


Penta TPAD IS701R স্পেসিফিকেশন:

CPU - IMAP210 1GHz
O / S - অ্যান্ড্রয়েড 2.3
RAM - DDR2 256MB
ফ্ল্যাশ - 2GB TF
কার্ড - 32G সাপোর্ট WiFi - 802.11b/g/n LCD
রেজল্যুশন - 7 "TFT, 16:9, 800 * 600
টাচ স্ক্রিন - resistive
জি সেন্সর - Rotator screen, 3D গেম
ক্যামেরা - 0.3MP
USB - USB-x 1
ব্যাটারি - li-আয়ন 3000mah 5V2A
ভিডিও - Max.1280 * 720 MKV (H.264 HP) AVI rm / RMVB flv WMV9 MP4
ফ্ল্যাশ সাপোর্ট - Adode ফ্ল্যাশ 10.3
অডিও -MP3/WMA/APE/FLAC/AAC/OGG/AC3/WAV


Penta TPAD IS701R মডেলটির দাম :  3,499 টাকা মধ্যে ।


এছাড়াও বিএসএনএল তৈরী করেছে  ট্যাবলেটে কম্পিউটারের আরও দুইটি সংস্করণ T-Pad WS704C ও T-Pad WS802C । এতে রয়েছে ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন , এটিতে আইএস৭০১আর মডেলটির মতোই স্পেসিফিকেশন, তবে এতে সিম-স্লট সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে থ্রিজি সংযোগ সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। রয়েছে অ্যাক্সেলারেটেড জিপিএস সুবিধাও। রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৫১২ RAM । এগুলির দাম পড়বে প্রায় ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ।

T-Pad WS802C



অগ্রীম বুকিং করতে এখানে ক্লিক করুন ।



 

কম্পিউটারের ড্রাইভ গুলো ওপেন হচ্ছে না ?

কম্পিউটারের ড্রাইভ গুলো ডাবল ক্লিক করে ওপেন হচ্ছে না । ওপেন করতে গেলেই দেখায়  “open with” option আসচ্ছে এরকম একটা বিরক্তকর অবস্থা আমাদের অনেক কেই সন্মুখিন হতে হয় । এটা সাধারণত autorun ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে। তাই আমাদের কম্পিউটারের c,d,e,f বা এই জাতিয় ড্রাইভ গুলো ওপেন করতে ব্যর্থ হয়ে থাকি। খুব সহজেই এই সমস্যার সমাস্যার সমাধান আপনি ও করতে পারবেন।





যা করতে হবে -



১) ‘Run” এ গিয়ে “cmd’  লিখে  কম্যান্ড প্রমট ওপেন করুন।
২) এবার  “cd\”  লিখে তার পরে এন্টার চাপুন। (কোটেশন দিবেন না)
৩) এবার আপনার ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভ এর নাম দিন, যদি সি ড্রাইভ হয় তাহলে  C: লিখে এন্টার দিন।
৪) এবার  “attrib -r -h -s autorun.inf” লিখে এন্টার চাপুন।
৫) শেষে del autorun.inf লিখে এন্টার চাপুন।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করুন

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা প্রত্যেকেই পাসওয়ার্ড শব্দটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সোসাল নেটওয়ার্কিং, সব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয় । এ সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলে যে কোন সময় সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে পারেন। এ কারনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন।









পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার কিছু কৌশল:

• পাসওয়ার্ডে কমপক্ষে আটটি অক্ষর বা তার বেশি অক্ষর ব্যবহার করুন।
• ছোট বা বড় অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্নের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরী করুন।
• পাসওয়ার্ডে বিশেষ কিছু চিহ্ন ব্যবহার করুন যেমন @ # $ % ^ & *
• সম্ভব হলে কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।


এই নিয়মটি ব্যবহার করুন:

a এর পরিবর্তে  @
s এর পরিবর্তে  $
space এর পরিবর্তে  %
i এর পরিবর্তে !
o এর পরিবর্তে 0
B এর পরিবর্তে 8

যেমন:  facebook account  এই শব্দ গুলির পরিবর্তে
           f@ce800k%@cc0unt




যা করা যাবে না :

• নিজের নাম, জন্ম তারিখ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বাড়ির নাম বা 123 এসব ব্যবহার না কারাই ভালো।
• অভিধানে খুজে পাওয়া সম্ভব এমন কোন প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করবেন না।
• পাসওয়ার্ডে নিজের বা অন্য কারও ফোন নম্বর ব্যবহার করবেন না।
• খেয়াল রাখুন ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড যেন কখনোই একই না হয়।
• ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
• ওয়েব ব্রাউজারের ‘রিমেম্বার পাসওয়ার্ড’-এর বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
• নিজের পাসওয়ার্ড অনলাইনে বা অন্য কোন ভাবে কারও সাথে শেয়ার করবেন না।

মোবাইলের ফোল্ডার হাইড করুন কোন সফটওয়্যার ছাড়াই

আমাদের মোবাইলে হয়তো কিছু ফোল্ডার থাকে, যা একান্তই আমাদের ব্যাক্তিগত। যা বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে হাইড করে রাখেতে চাই।
কিন্তু কোন সফটওয়্যার ছাড়াই খুবই সহজে আপনার নকিয়া ফোনে কোন ফোল্ডার হাইড করে রাখতে পারেন। আসুন  দেখা যাক কিভাবে নকিয়া ফোনে কোন ফোল্ডার হাইড করে রাখতে যায়।


ফোল্ডার হাইড করতে :

১) যে ফোল্ডার টি কে হাইড করেবেন সেই ফোল্ডার কে  rename করুন এবং সাথে extension name  .jad যুক্ত করুন। যেমন ধরুন video নামের ফোল্ডার টির নাম পরিবর্তন করে  video.jad করা হল।
2) এবার আরও একটি নতুন ফোল্ডার তৈরী করুন এবং ১ম যে ফোল্ডার খুলেছিলেন সেই নাম দিন এবং সাথে .jar যুক্ত করুন। যেমন video.jar।
এখন দেখুন আপনার video.jad ফোল্ডার টি দেখা যাচ্ছে না! শুধুমাত্র video.jar ফোল্ডার টি কিভাবে দেখা যাবে।



ফোল্ডার হাইড করতে :

১) video.jar ফোল্ডার টি  rename করে .jar মুছে দিন অথবা video.jar মুছে দিন। এখন দেখুন  video.jad ফোল্ডার শো করছে!
পুনরায় ২য় ফোল্ডার টিকে rename করে আবার .jar যুক্ত করলে ১ম ফোল্ডার টি হাইড হয়ে যাবে!!
(জাভা এনাবল মোবাইলের ক্ষেত্র প্রযোজ্য)

কম্পিউটারে তথ্য নিরাপদে রাখতে বিশেষ কিছু সাবধানতা

বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের পরিসর এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে হ্যাকারদের দৌরাত্ন্যে গোপন পাসওয়ার্ডও গোপন থাকছে না। ফলে গোপনীয় তথ্য যেমন অন্যরা জেনে ফেলছে তেমনি ব্যাঙ্ক একাউন্টের পাসওয়ার্ডও ওপেন হয়ে বিপদ ডেকে আনছে। তবে কিছু কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরনের ঝুঁকিগুলো সহজেই এড়িয়ে চলা সম্ভব।




কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে :
  • নিয়মিত আপডেট করা হয় এমন ফাইল গুলি C: ড্রাইভে না রাখাই ভাল।
  • সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখুন। এতে একটি ফাইল হারিয়ে গেলেও অন্যটি পেতে সুবিধা হবে।
  • আপনার তথ্যের পরিমান বেশি হলে সিডি অথবা ডিভিডি রাখতে পারেন। এছাড়া বহনযোগ্য হার্ডডিস্কে ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো রাখা যেতে পারে।
  • ইন্টারনেটে ব্যাকআপ হিসেবে অনলাইন স্টোরেজ বা ই-মেইল বক্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ও তথ্য  সংরক্ষন করে রাখলে নিরাপদে থাকবে।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া পাসওয়ার্ড মনে রাখুন "(Remember Me)"-এ জাতীয় অপশনে OK করবেন না। নিজের কম্পিউটারের বাবহারকারি অনেক হলে সেখানেও এ জাতীয় অপশন ব্যবহার না করাই ভাল। ভুল করে ফেললে মুছে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।
  • একই পাসওয়ার্ড একাধিকবার ব্যবহার করা উচিত নয়। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল/ব্লগ/ফোরাম/ডাউনলোড সাইট ইত্যাদিতে লগইন করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পেছনে এটি একটি বড় কারন। একাধিক গোপন নম্বর মনে রাখতে সমস্যা হলে তা একটি ইমেইল হিসেবে আপনার গোপন ইমেইল বক্সে রাখুন।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া সাইবার ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটার থেকে গোপন নম্বরগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। আর যদি করতেই হয় তাহলে নিজের কম্পিউটারে গিয়ে গোপন নম্বর পরিবর্তন করে ফেলুন।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোথাও অ্যাকাউন্ট এ লগইনের পর অবশ্যই মনে করে লগআউট করুন। এটি অনেকেই ভুলে যান।
  • ইমেল বক্সে অটো ফরওয়ার্ড করার কিছু অপশন থাকে। মাঝেমধ্যে সেগুলো চেক করে দেখুন, আপনার ইমেইল বক্স থেকে অজানা কোন ইমেইল ঠিকানায় মেইল ফরওয়ার্ড হচ্ছে কিনা।
  • প্রেরকের (Form) ঘরে আপনার পরিচিত কোন মেইল অ্যাড্রেস থাকা মানেই সেই ব্যাক্তি মেইল করেছে এমনটা মনে করার কোন কারন নেই। আরেকজনের মেইল আইডি Form-এর ঘরে বাসান যায়। সুতরাং সাবধান থাকুন।
  • ইন্টারনেটে ব্যাক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন।

আই. পি ( ip ) দিয়ে তার অবস্থান ও দূরত্ব জেনে নিন ম্যাপ থেকে।

আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কাজে নিজের আই.পি.(IP) কি এটা জানার দরকার পরে বা কোন একটা IP আপনি জানেন এটির অবস্থান (এটি কোন জায়গা থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে) জানার দরকার হতে পাতে। আপনি খুব সহজেই এটা জেনে নিতে পারেন। আইপি জানার অনেকগুলা পদ্ধতি আছে।




কম্পিউটার এর কমান্ড প্রমট থেকে জানাঃ
আপনি যদি নিজের কম্পিউটার থেকে নিজের IP জানতে চান তবে, আপনি প্রথমে আপনার কম্পিউটার এর কমান্ড প্রমট  ipconfig কথাটি লিখে Enter চাপুন নিচের ছবিটির মত আপনার IP সহ আরো কিছু তথ্য চলে আসবে।

এখানে IPv4 Address লেখাটির পরের নাম্বারটি হল আপনার IP Address. এখানে IPv4 কথাটির মানে হল Internet Protocol version 4। আপনি যদি আরো তথ্য যেমন এর লেন কার্ড বা এর মডেম এর MAC Address তাহলে কমান্ড প্রমটে ipconfig/all লিখে Enter চাপুন পেয়ে যাবেন।


ইন্টারনেট থেকে নিজের IP জানার পদ্ধতিঃ
ইন্টারনেট থেকে নিজের IP জান আরো সহজ। অনেক ভাবে আপনি এটা জানতে পারেন। আপনি www.google.com এর সার্চ বক্সে ip লিখে সার্চ করুন দেখবেন আপনার সার্চ রেজাল্টের শুরুতেই Internet Protocol version 4 লেখাটি এবং এর পাশে আপনার IP Address চলে আসবে। এর পাশে learn more লিখাটিতে ক্লিক করে আপনি এ IP টি কোথা থেকে ব্যেবহার করা হচ্ছে এটা জানতে পারবেন।
 
 
একটি IP থেকে অবস্থান জানার পদ্ধতিঃ
কোন কারনে আপনার কোন আইপি (IP)র অবস্থান বা আইপিটি কোন জায়গা থেকে ব্যেবহার করা হচ্ছে সেটা জানার দরকার হতে পারে। এর জানার জন্য আপনি http://infosniper.net সাইটিতে গিয়ে এদের সার্চ বক্সে আইপি(IP)টি লিখে সার্চ করুন। আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তা পেয়ে যাবেন।
 
 
দুটি আইপি ঠিকানার দূরত্ব বের করতে যা করতে হবেঃ
  • প্রথমে এই ঠিকানায় যান। 
  • লক্ষ্য করুন নিচে বাঁপাশে IP Address or Host No.1 এ আপনার আইপি এড্রেস দেওয়া আছে।
  • IP Address or Host No.2 তে উক্ত আইপি অ্যাড্রেস টি বসান।
  • এবার, Show distance বাটনে ক্লিক করুন।
 
দেখুন আপনার আইপি অ্যাড্রেস থেকে অন্য আইপি অ্যাড্রেসটি কত মাইল দূরে অবস্থিত তা জানতে পারবান, তার কাছে পায়ে হেঁটে যেতে কত সময় লাগবে, গাড়িতে যেতে কত সময় লাগবে, বিমানে যেতে কত সময় লাগবে সব দেখাচ্ছে এবং ডানপাশে একটি মানচিত্র দুটি আইপির অবস্থান ও দূরত্ব নির্দেশ করছে। 

আপনি চাইলে আপনার আইপি ছাড়াও অন্য দুটি আইপি অ্যাড্রেসের মধ্যকার দূরত্ব একই পদ্ধতিতে বের করতে পারবেন। এজন্য IP Address or Host No.1 এর নিচের বক্সটি মার্ক করে ওখানে প্রথম আইপি ও IP Address or Host No.2 এ দ্বিতীয় আইপি অ্যাড্রেস বসিয়ে Show distance বাটনে ক্লিক করুন।  
 
এখানে আইপি অ্যাড্রেসের অবস্থান বলতে কোন সার্ভিস প্রভাইডার থেকে আইপি অ্যাড্রেসটির সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে তার অবস্থানকে বোঝানো হয়।

তৈরি করুন বিশেষ ধরনের ফোল্ডার

আপনি কি আপনার ডেস্কটপে বা অন্য কোথাও কন্ট্রোল প্যানেল বা এ ধরনের বিশেষ ফোল্ডার তৈরি করতে চান ? এটা করা মোটেই কোন কঠিন ব্যাপার না। শুধু সাধারণ একটা ফোল্ডার তৈরি করে তাকে বিশেষ একটা নাম দিয়ে রিনেম করে দিলেই হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এভাবে যে বিশেষ ফোল্ডারটি আপনি তৈরি করবেন, তার আইকনে কোন শরর্টকাট অ্যারো থাকবে না। সেটা দেখতে হুবহু মূল ফোল্ডারটার মতোই।
মনে করুন আপনি আপনার ডেস্কটপে কন্ট্রোল প্যানেল তৈরি করতে চাচ্ছেন। তাহলে প্রথমে সেখানে একটা নতুন ফোল্ডার তৈরি করে সেটার নাম দিন
Control Panel.{21ec2020-3aea-1069-a2dd-08002b30309d}। 
ডেস্কটপে হুবহু একটা কন্ট্রোল তৈরি হয়ে যাবে!

শুধু কন্ট্রোল প্যানেলই না, এই পদ্ধতিতে আপনি আরো অনেক ফোল্ডার তৈরি করতে পারবেন। নিচে কয়েকটি বিশেষ ফোল্ডারের জন্য কি নাম লিখতে হবে তা দেওয়া হল -

কন্ট্রোল প্যানেল - Control Panel.{21ec2020-3aea-1069-a2dd-08002b30309d}

রিসাইকেল বিন - Recycle Bin.{645FF040-5081-101B-9F08-00AA002F954E}

মাই কম্পিউটার - My Computer.{20D04FE0-3AEA-1069-A2D8-08002B30309D}

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার - Internet Explorer.{871C5380-42A0-1069-A2EA-08002B30309D}

মাই নেটওয়ার্ক প্লেস - My Network Places.{208D2C60-3AEA-1069-A2D7-08002B30309D}

ফোল্ডার অপশনস - Folder Options.{6DFD7C5C-2451-11d3-A299-00C04F8EF6AF}

প্রিন্টার ও ফ্যাক্স - Printers and Faxes.{2227A280-3AEA-1069-A2DE-08002B30309D}

স্ক্যানার ও ক্যামেরা - Scanners & Cameras.{E211B736-43FD-11D1-9EFB-0000F8757FCD}

টাস্কবার ও স্টার্ট মেনু - Taskbar and Start Menu.{0DF44EAA-FF21-4412-828E-260A8728E7F1}

সার্চ রেজাল্ট - Search Results Folder.{e17d4fc0-5564-11d1-83f2-00a0c90dc849}

তবে এই নামগুলোতে ডট চিহ্নের আগে আপনি যা খুশি লিখতে পারবেন। এমনকি বাংলা নামও!

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu