AMD প্রসেসর সম্পর্কে কিছু তথ্য

ইন্টেল প্রসেসর মতো এ.এম.ডি. প্রসেসর বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এ.এম.ডি প্রসেসর কাজ করার দক্ষতা অন্যদের থেকে কোন অংশে কম নয়। বরং  কাজের দিক থেকে অন্যদের থেকে একটু এগিয়ে। যারা এ.এম.ডি. প্রসেসর যারা ব্যবহার করেন তারা এ বিষয়ে ওয়াকিবহল । কিন্তু যারা এ.আম.ডি. প্রসেসর যারা ব্যবহার করেননি তাদের জন্য সম্পর্কে এ.আম.ডি. প্রসেসর কিছু কথা
Advanced Micro Devices সংক্ষেপে AMD বিশ্বের অন্যতম কম্পিউটার প্রসেসর, মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড চিপসেট তৈরীর একটি বিশেষজ্ঞ কোম্পানি। ১৯৬৯ সালের ১ মে ফেয়ারচাইল্ড সেমিকন্ডাক্টর (Fairchild semiconductor) কোম্পানির একদল সদস্য এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেন। এই প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সানিভেল শহরে।


প্রথম দিকে কোম্পানিটি লজিক চিপ তৈরির মাধ্যমে কাজ শুরু করে, পড়ে ১৯৭৫ RAM Chip তৈরি করা শুরু করে। ঐ বছরই ইন্টেল ৮০৮০ মাইক্রোপ্রসেসরের একটি Reverse-engineered ক্লোন তৈরি করে AMD.  এরপর তারা তাদের নিজেস্ব AMD 29K Processor এর মাধ্যমে RISC প্রসেসর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। AMD র সাফল্য শুরু হয় ১৯৯১ সালে। ১৯৯১ সালে তারা S386 প্রসেসর বাজারে আনে যেটি ছিল ইন্টেল ৮০৩৮৬ এর ক্লোন। এই প্রসেসর টি খুবই জনপ্রিয়তা লাভকরে, এক বছরের কম সময়ে প্রায় ১ মিলিয়ন প্রসেসর বিক্রি হয়। এই থেকে AMD র প্রসেসরের খ্যাতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে মাইক্রোপ্রসেসর, মাদারবোর্ড চিপসেট, পার্সোনাল কম্পিউটার, ওয়ার্কস্টেশন ও সার্ভারের জন্য এমবেডেড প্রসেসর ও গ্রাফিক্স প্রসেসর, হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস, গেম কন্ট্রোল, এবং অন্যান্য এমবেডেড সিস্টেম তৈরী করে এই কোম্পানি টি।


AMD প্রসেসরঃ

K5
AMD র সর্বপ্রথম প্রসেসর বাজারে ছাড়া হয় ১৯৯৬ সালে। যার নাম ছিল K5. এখানে কে(K) শব্দটি নেওয়া হয়েছে ক্রিপটোনাইট (kryptonite) শব্দ থেকে। K নাম নেবারও একটি কারন আছে সেটি হলঃ সুপারম্যান ছবিতে সুপারম্যানকে বস বা কাবু করতে পারে একমাত্র একটি সবুজ রঙের পাথর। ওই পাথরটিই হল ক্রিপটোনাইট (kryptonite)। এই ক্রিপটোনাইট (kryptonite) বা K নাম দিয়ে তারা এটাই বোঝাতে চেয়েছে এই সুপারম্যানকে (ইন্টেল) তারই একমাত্র কাবু করতে পারে। K5 এর ক্ষমতা অনেকটা ইন্টেল পেন্টিয়াম এর মত ছিল।


K6
১৯৯৬ সালে AMD কোম্পানি NexGen নামে একটি প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। তখন NexGen কোম্পানির ডিজাইন টিম ও AMD মিলে ১৯৯৭ সালে  K6 প্রসেসর তৈরি করে। এটি K5 প্রসেসর কে কিছুটা  পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়। K5 আর K6 এর মধ্যে পাথক্য খুব কম। 




K7 (Athlon)
১৯৯৯ সালের মাজামাঝি সময়ে AMD নিয়ে আসে তাদের ৭ম প্রজন্মের X86 প্রসেসর K7 । এই K7 ব্যান্ডের নাম দেওয়া হয় Athlon. ২০০১ সালে রিলিজ করা হয় Athlon XP প্রসেসর।


Athlon 64
Athlon 64 হল K8 প্রসেসরের নাম। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল X86 ইনস্ট্রাকশন সেটের সঙ্গে ৬৪ বিটের আর্কিটেকচারের সমন্বয়, অন-চিপ মেমরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং “হাইপারকানেক্ট” নামে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পয়েন্ট টু পয়েন্ট ইন্টারকানেক্ট যোগ করা।


Athlon X2
Athlon 64 এর ঠিক পরেই AMD রিলিজ করে ডেস্কটপ ভিত্তিক সর্বপ্রথম ডুয়াল কোর প্রসেসর Athlon 64 X2. ২০০৭ সালের মে মাস থেকে ডুয়াল কোর প্রসেসরের নাম থেকে “64” কথাটি বাদ দিয়ে দেয় কোম্পানি। তখন শুধু নাম হয়  Athlon X2. এটি K9 সিরিজের প্রসেসর।


Sempron


ইন্টেলের খ্যাত সুলভ মূল্যের Celeron D প্রসেসরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি করা হয় Sempron প্রসেসর। Sempron শব্দটির নেওয়া হয়েছে ল্যাটিন “সেম্পার” থেকে, যার মানে “সবসময়”। অর্থাৎ এ প্রসেসর সব সময় সাধারণ ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।


Opteron
AMD র সাম্প্রতিক মাইক্রোপ্রসেসর স্থাপত্যের নাম হচ্ছে K10. এই স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সর্বপ্রথম প্রসেসর বাজারে আসে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে। এতে আছে নয়টি কোয়াড কোর থার্ড জেনারেশন অপটেরন প্রসেসর।



Phenom


K10 স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করেই অপটেরন প্রসেসরকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করে তৈরি করা হয় Phenom প্রসেসর। 



বর্তমানে এই K10 নির্মানকৌশলের ওপর ভিত্তি তৈরি Phenom প্রসেসর প্রতি ধাপে ধাপে উন্নত করে  এবং অনেক বেশি শক্তিশালী করে বিভিন্ন ভার্সনে প্রসেসর রিলিজ করছে যেমন Fusion, Bobcat and Bulldozer ইত্যাদি ।

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu