টিপস এন্ড ট্রিকস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
টিপস এন্ড ট্রিকস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

BIOS Password ভুলে গেলে আপনার করণীয়

বায়োস পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে অনাক্ষাংখীত ব্যবহার থেকে রক্ষা করতে পারি। বায়োসে দুই ধরনের পাসওয়ার্ড সেট করা যায়। এক ধরনের পাসওয়ার্ড হল পাওয়ার অন করার পর পাসওয়ার্ড চাইবে, সঠিক পাসওয়ার্ড দিতে ব্যার্থ হলে কম্পিউটার চালু হবে না। এবং অন্য ধরনের পাসওয়ার্ড হল কম্পিউটার অন হবে কিন্তু বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহারকারী বায়োস পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন তাই কম্পিউটার অন করতে পারছেন না। অথবা কারো কাছ থেকে ব্যবহৃত কম্পিউটার কিনেছেন বায়োস সেটিংসে ঢুকতে গিয়ে দেখলেন পাসওয়ার্ড চাইছে। এই ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস বা রিসেট করার প্রয়োজন হয়। নিচের তিন পদ্ধতিতে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।

১) বায়োস ব্যাটারী খুলে:

মাদারবোর্ডে একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন একটা চ্যাপ্টা ব্যাটারী লাগানো আছে। সাবধানে ব্যাটারীটি খুলে ফেলুন(অবশ্যই কম্পিউটার বন্ধ অবস্থায়)। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ব্যাটারীটি লাগিয়ে কম্পিউটার চালু করুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাওয়ার কথা। তবে কিছু মাদারবোর্ডে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় পাওয়ার ব্যাকআপ রাখার জন্য। এই ধরনের মাদারবোর্ডে ১০/১৫ মিনিটে কাজ হবে না। অন্তত ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যাটারীটি খুলে রাখুন। পাসওয়ার্ড মুছে যাবে। কিছু কিছু মাদারবোর্ডে ব্যাটারীটি সোল্ডার করা থাকে। এক্ষেত্রে সোল্ডারিংয়ের অভীজ্ঞতা না থাকলে অভীজ্ঞ কাউকে দিয়ে ব্যাটারীটি খুলিয়ে নিন। শেষ কথা হল, আধুনিক কিছু কিছু মাদারবোর্ডে বিশেষ করে ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ব্যাটারী খুলে কাজ হয় না। এই ধরনের মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করুন।

২) জাম্পার অথবা DIP সুইচ এর মাধ্যমে:

অনেক মাদারবোর্ডে জাম্পার অথবা ডিপ সুইচের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করার ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রে জাম্পার বা ডিপ সুইচের পাশে লেখা থাকে কোন ধরনের সেটিংস দিতে হবে। মাদারবোর্ডে লেখা না থাকলে মাদারবোর্ডের সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়ে অথবা মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে ও জেনে নিতে পারেন। অধিকাংশ ম্যানুফেকচারার এরই CLR, CLEAR, CLEAR CMOS, ইত্যাদি দ্বারা লেভেল করে থাকে। জাম্পার খুজে পেলে সাবধানে এবং ভাল ভাবে খেয়াল করে দেখুন জাম্পারটি  ৩ পিন বিশিষ্ট একটা সেটের মাঝের পিনের সাথে অন্য ডানের বা বামের পিনের সাথে কানেক্ট করা। আপনাকে যা করতে হবে জাম্পারটি খুলে নিয়ে ঠিক মাঝের পিনের সাথে বিপরীত পিন কানেক্ট করিয়ে দিন।যেমন ১ ২ ৩ টি পিন হয়, এবং প্রথমে যদি ১ ২ কানেক্টেড থাকে পরে খুলে আপনাকে ২ ৩ কানেক্ট করিয়ে দিতে হবে। এখন কিচুক্ষন(মিনিট খানেক) অপেক্ষা করুন। তারপর  আবার আগের মত লাগিয়ে দিন। তবে অবশ্যই খেয়াল করবেন যে কম্পিউটার খোলার পুর্বে এবং জাম্পার পরিবর্তনের সময় যেন কম্পিউটারের পাওয়ায় সাপ্লাই ইউনিট বন্ধ থাকে।


৩) MS DOS কমান্ড ব্যবাহার করেঃ

 এই পদ্ধতি কাজ করবে তখনই যখন আপনার সিষ্টেম চালু থাকবে, কারন এটা কাজ করতে হয় MS DOS এ। কমান্ড প্রম্পট ওপেন করুন ষ্টার্ট করুন START>>RUN>>cmd>>Enter। তারপর একে একে নিচের কমান্ড গুলো দিন।

debug
o 70 2E
o 71 FF
quit
 


লক্ষ্য করুনঃ এখানে প্রথম লেটারটি ইংরেজি o (ও) কেউ ভুলেও এটাকে অংক শূন্য মনে করবেন না। উপরের কমান্ড গুলো দেবার পরে আপনার সিষ্টেম রিষ্টার্ট করুন। কারন এই কমান্ডগুলো আপনার সিমোস সেটিং রিসেট করবে, সাথে পাশওয়ার্ড ও।

৪) গোপন পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে:

অনেক বায়োস প্রস্তুতকারী কোম্পানী তাদের বায়োসে কিছু গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখে। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে অন্য পাসওয়ার্ডগুলোকে বাইপাস করে চলে যাওয়া যায়। নিচে এধরনের একটা তালিকা দেওয়া হল।

Award BIOS এর জন্য:

ALFAROME, BIOSTAR, KDD, ZAAADA, ALLy, CONCAT, Lkwpeter, ZBAAACA, aLLy, CONDO, LKWPETER, ZJAAADC, aLLY, Condo, PINT, 01322222, ALLY, d8on, pint, 589589, aPAf, djonet, SER, 589721, _award, HLT, SKY_FOX, 595595, AWARD_SW, J64, SYXZ, 598598, AWARD?SW, J256, syxz, AWARD SW, J262, shift + syxz, AWARD PW, j332, TTPTHA, AWKWARD, j322, awkward ইত্যাদি।

AMI BIOS এর জন্য:

AMI, BIOS, PASSWORD, HEWITT RAND, AMI?SW, AMI_SW, LKWPETER, CONDO ইত্যাদি।


Phoenix BIOS এর জন্য:

phoenix, PHOENIX, CMOS, BIOS ইত্যাদি।


কিছু কমন পাসওয়ার্ড:

ALFAROME, BIOSTAR, biostar, biosstar, CMOS, cmos, LKWPETER, lkwpeter, setup, SETUP, Syxz, Wodj ইত্যাদি।


অন্যান্য কোম্পানীর BIOS Password:

কোম্পানী = = পাসওয়ার্ড
VOBIS & IBM = = merlin
Dell = = Dell
Biostar = = Biostar
Compaq = = Compaq
Enox = = xo11nE
Epox = = central
Freetech = = Posterie
IWill = = iwill
Jetway = = spooml
Packard Bell = = bell9
QDI = = QDI
Siemens = = SKY_FOX
TMC = = BIGO
Toshiba = = Toshiba
Toshiba = = BIOS

বেশিরভাগ Toshiba Laptop এবং কিছু Desktop এ বুট হওয়ার সময় কিবোর্ডের বাম পাশের Shift কী চেপে ধরে রাখলে ও বায়োস পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।
কম্পিউটার বুট হবার সময় খুব দ্রুত মাউসের বাটন দুটি চাপতে থাকলে IBM Aptiva BIOS এর পাসওয়ার্ড বাইপাস করা যায়।

মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে ভালো মানের ছবি তুলবেন

অনেকেরই ধারণা যে মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি তোলা সম্ভব না, কিন্তু আসলে ধারণাটি ভুল। ছবি তুলতে হলে যে শুধু ৮-১০ মেগাপিক্সেল ক্যমেরা লাগবে এই ধারণাটিও ভুল। মোটামুটি ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাই যথেষ্ট আমাদের প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্য । আজ কাল প্রত্যেক মোবাইলেই ক্যামেরা থাকে, এই ক্যামেরা ব্যবহার করেও ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব, তবে তার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চল্লেই হল. 

১.লাইটঃ

ছবির ক্ষেত্রে লাইটটাই বেশি দরকারি। ছবি তোলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে আলোর যথাযথ প্রভাব থাকে, মোবাইলে ভালো ফ্ল্যাশ থাকলে আর এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। যদি ফ্ল্যাশ না থাকে তবে অবশ্যই আলোর দিকে বেশি খেয়াল করতে হবে। আলোটাই মুলতঃ ছবির প্রাণ। তাই বলে অন্ধকারের ছবি তুলতে গিয়েও কিন্তু আলো ব্যবহার করবেন না!!


২.জুমের ব্যবহারঃ

জুম যত কম ব্যবহার করা যায় ততই কম ব্যবহার করুন। জুম করলে ছবির কোয়ালিটি নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে যদি তা হয় ডিজিটাল জুম। যদি জুম করার প্রয়োজন হয় তবে কাছে গিয়ে ছবি তুলুন, আর যদি কাছে যাওয়া সম্ভবপর না হয় তবে জুম ছাড়া ছবি যেমন উঠে তাই ভাল। তবে যাদের অপটিকাল জুম আছে তাদের কথা আলাদা, অপটিকাল জুম যত এক্স পর্যন্ত আছে সর্বোচ্চ ততই ব্যবহার করুন, অবশ্যই খুব বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।

৩.ক্যমেরা ভাল করে ধরাঃ

ছবি তোলার সময় অবশ্যই ক্যামেরাটিকে (বা ক্যামেরা মোবাইলটিকে) ভালো করে ধরতে হবে যাতে ছবি ব্লারি বা ঘোলা না অঠে, আর এজন্য মোবাইলকে নাড়াচাড়া করানো যাবেনা। ভালো করে ধরে ছবি তুলতে হবে। আর নিজের নড়াচড়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

৪.ক্যামেরার লেন্সঃ

লেন্সের প্রতি যত্নবান হতে হবে। লেন্সে ঘোলা হয়ে গেলে ব্লারি বা ঘোলা ছবি ওঠা সাধারণ ব্যাপার। লেন্সকে সবসময় পাতলা শুকনো কাপড় বা পাতলা টিস্যু দিয়ে আস্তে করে মোছা উচিত, তাই বলে কেউ জোরে ঘসবেন না, এতে লেন্স ভালো হঊয়া তো দূর নষ্টও হয়ে যেতে পারে। লেন্সে যাতে কখোনোই জল না লাগে।

৫.লক্ষ্যবস্তুর কাছে যানঃ

জুম থাক বা না থাক ভালো ছবি তুলতে হলে যতটুকু পারা যায় লক্ষ্যবস্তুর কাছে থাকুন, এতে ভালো কোয়ালিটির ছবি পাবেন। তাই বলে কেউ বিপদজনক কোন কিছুর ছবি তুলতে কাছে যাবে না!

৬.ছবিতে ইফেক্ট ব্যবহারঃ

প্রায় সব মোবাইলেই বিল্ট-ইন ইফেক্ট রয়েছে, তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন যদি মোটামুটি জানেন তবে মোবাইলেরর বিল্ট ইন ইফেক্ট না দেয়াই ভালো। নরমাল ভাবে ছবি তুলে পরে সেটা কম্পিউটারে এডিট করে নিলেই হবে।

৭.অভিজ্ঞ হয়ে উঠুনঃ

মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে যেহেতু খরচ হয় না তাই যত পারবেন ছবি তুলুন, বেশি বেশি ছবি তুলে নিজেকে অভিজ্ঞ বানিয়ে তুলুন। তবে যেভাবে মন চায় সেভাবে না, সকল নিয়ম মেনে ছবি তুলুন।

৮.রেজুলূশনঃ

অনেক মোবাইলেই আপনাকে রেজুলূশন চয়েজ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে মোবাইলে থাকা সর্বোচ্চ রেজুলেশন ব্যবহার করাই ভালো। রেজুলেশন ভালো থাকলে ছবি ভালো হয় এবং হাই কোয়ালিটির হয়, বিশেষ করে যদি আপনি পরে ছবি প্রিন্ট করতে চান তাহলে ভালো রেজুলূশনের ছবি না হলে চলবে না। যদিও রেজুলূশনের ওপর ভিত্তি করে ছবির সাইজ বড় হয় তবুও রেজুলূশন বেশি দিয়ে ছবি তোলাই ভালো, সাইজের বা মেমরির চিন্তা করলে আর ভালো ছবি তোলা লাগবে না!

৯.পিকচার ফ্রেম ব্যবহারঃ

মোবাইলে পিকচার ফ্রেম একটি সাধারণ ফিচার, প্রায় সব মোবাইলেই এই ফিচার আছে। কিন্তু মোবাইলের পিকচার ফ্রেম আপনার ছবির কোয়ালিটি ১০০% থেকে কমিয়ে ২০% এ নিয়ে আসবে, সুতরাং পিকচার ফ্রেম ব্যবহার বাদ দিতে হবে।

১০.ছবি তোলার বিষয় নির্বাচনঃ

বিষয় নির্বাচন ছবি তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ছবি তোলার বিষয় বস্তু ভালো হতে হবে। নিজেই নিজের ছবি তোলা ভালো বিষয় বস্তু না। চেষ্টা করবেন প্রকৃ্তির ছবি তুলতে বা বৈচিত্রময় কিছুর ছবি তুলতে, এতে ছবি তোলার প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে এবং একই সাথে ছবি তুলে মজাও পাবেন আপনি। নিজের ছবি যদি তুলতে চান তবে নিজে না তুলে অন্য কাউকে দিয়ে তোলান, যদি সম্ভব না হয় তবে সতর্কতার সাথে নিজেই তুলুন। কোন বিষয়ের শুধু একটি ছবি না তুলে একাধিক ছবি তুলুন, এতে ভালো শট পাবার সম্ভাবনা থাকে।



পেন ড্রাইভ থেকে ইন্সটল করুন উইন্ডোজ সেভেন অথবা এক্সপি

যাদের CD ROM নষ্ট কিংবা যারা নোটবুক ব্যাবহার করেন তারা উইন্ডোজ ইন্সটল করতে সমস্যায় পড়েন । অনেক সময় এক্সট্রারনাল CD ROM ব্যাবহার করে এই কাজটি করতে হয়, কিন্তু এক্সটারনাল CD ROM তেমন বেশি সহজলভ্য না ,তাই অনেকের জন্য পেনড্রাইভ শেষ ভরসা। তাহলে, আসুন জেনেনি কিভাবে পেনড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ ইন্সটল করতে হয়।





ইন্সটল করতে যা যা লাগবেঃ

১.উইন্ডোজ সেভেন অথবা উইন্ডোজ এক্সপির CD/DVD.
২. কমপক্ষে ৪ জিবি পেনড্রাইভ।


এবার নিচের ধাপগুলো হুবহু অনুসরণ করুনঃ

১.প্রথমে আপনার পেনড্রাইভটি ফরম্যাট করে নিন।

২. তারপর, নিচের লিঙ্ক থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।
http://wintoflash.com/download/en/

৩. এরপর ফোল্ডারটি টি unzip করে ফোল্ডারটি ওপেন করুন। তারপর, WinToFlash.exe নামক ফাইলটি ডাবল ক্লিক করে সফটওয়্যারটি রান করুন এবং Advanced mode টি সিলেক্ট করুন।

৪. এরপর Task অপশন থেকে যদি windows XP ইন্সটল করতে চান তাহলে, Transfer Windows XP/2003 setup to USB drive, আর যদি Windows 7 কিংবা windows vista ইন্সটল করতে চান, Transfer Windows vista/2008/7/8 setup to USB drive সিলেক্ট করে Run এ ক্লিক করুন ।

৫. এরপর Windows source path আর ঘরে, আপনার CD/DVD ড্রাইভটি এবং
USB drive আর ঘরে, আপনার পেনড্রাইভটি দেখিয়ে দিন।


৬. Run এ ক্লিক করুন ।

৭..I Accepted the terms of the license agreement, সিলেক্ট করে Continue ক্লিক করুন।

৮. একটা warning উইন্ডো আসবে, এরপর ok করুন, এরপর ট্রান্সফার শেষে হলে finished বাটনে ok করুন।
ব্যাস , আপনার কাজ শেষ, এখন এই পেন ড্রাইভ দিয়ে ইন্সটল করুন উইন্ডোজ /এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম।

হার্ডড্রাইভ থেকে পুরোপুরি মুছে যাওয়া ফাইলকে রিকভার করুন

কি ভাবে ফাইল রিকভার করবেন

১. যখনি দেখবেন আপনার ড্রাইভ  থেকে কোন ফাইল পারমানেন্টলি ডিলেট হয়ে গেছে, তবে সেই পার্টিশনটির সামান্যতম মডিফাই করবেন না. সেই পার্টিশনটি থেকে কোন অন্য ফাইল ডিলেট অথবা কপি করবেননা. এতে করে আপনার ডিলেট হয়ে যাওয়া ফাইল গুলো overwrite হয়ে যেতে পারে, যার ফলে আপনার ফাইল ফিরে পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

২. এবার Cnet থেকে Pandora recovery ডাউনলোড করে নিন. তারপর  ডাউনলোড হওয়া ফাইলটি রান করুন. এটিই ৩.৪ মেগাবাইটের মেইন ফাইলটি ডাউনলোড করে নিবে।

৩. Pandora Recovery launch করুন।

৪. Next বাটন ক্লিক করুন।

৫. যেহেতু ফাইলটি পুরোপুরি ডিলিট হয়ে গেছে, তাই “No, I did not find my files” click করুন।

৬. যেই পার্টিশন থেকে ফাইলগুলো ডিলিট হয়েছে, সেই পার্টিশনটি সিলেক্ট করে Next ক্লিক করুন।

৭. “Browse” সিলেক্ট করে Next button click করুন।

৮. বাম দিকের প্যানেল  থেকে যেই ড্রাইভ থেকে ফাইল ডিলেট হয়েছে, তা ক্লিক করুন। স্ক্যান করার পরে দেখতে পারবেন আপনার ডিলিট হয়ে যাওয়া ফাইল-ফোল্ডার গুলো। এবার ব্রাউজ করে আপনার মুছে যাওয়া ফাইলটি বের করুন।

৯. এবার আপনার মুছে যাওয়া ফাইলের উপর Right Click করে Recover to তে ক্লিক করুন।

১০. এবার “To this folder (click Browse to choose existing folder of choose folder from the list):” এ ক্লিক করে অন্য পার্টিশন বা USB Drive এর লোকেশন সিলেক্ট করুন। ভুলেও যেই পার্টিশন থেকে ফাইল ডিলেট হয়েছে, সেই পার্টিশনের লোকেশন সিলেক্ট করবেননা। এতে আপনার বাকি unrecovered ডাটা ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এবার close ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন আপনার recovered ডাটা।


যদি ড্রাইভের কোন পরিবর্তন না করেন, তাহলে “% overwritten” এ সবই 0% শো করবে। কিন্তু মডিফাই করলে অনেক ডাটাই 100% overwritten হয়ে যেতে পারে।

পেন ড্রাইভের এর আইকন পরিবর্তন করুন

 যদি আপনি আপনার রিমুভেবল ডিস্ক যেমনঃ পেন ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি এর আইকন পরিবর্তন করতে চান অর্থাত ইউ. এস. বি.  পোর্টে, পেন ড্রাইভ ঢোকানোর পর My Computer খুললে, পেন ড্রাইভের যে আইকন টি দেখা যায়। চলুন এবার  দেখা যাক কিভাবে রিমুভেবল ডিস্ক এর আইকন( পেন ড্রাইভের আইকন ) পরিবর্তন করা যায়।

সাধারনত আমরা যখন রিমুভেবল ডিস্ক (পেন ড্রাইভ , ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি) আমাদের কম্পিউটার এর ইউ.এস.বি পোর্ট এ সংযুক্ত করি তখন এরকম আইকন টি দেখি;

আপনি ছোট্ট দুটি ধাপে আপনার রিমুভেবল ডিস্ক এর আইকন পরিবর্তন করে দিতে পারবেন।

ধাপ গুল :

১। প্রথমেই একটি আইকন নির্বাচন করুন (ডাউনলোড করে নিতে পারেন আবার আপনার ছবি কে ১২৮x১২৮ পিক্সেল এ সাইজ করে নিতে পারেন। তবে লক্ষ রাখতে হবে, তা যেন অবশ্যই .ico ফরম্যাট এ থাকে। ধরুন আইকন ফাইল টির নাম, PIC.ICO),

এবার নোট প্যাড খুলে নিচের কমান্ড গুলো লিখে ফেলুন;

[autorun]
label= YourName
Icon=PIC.ICO

২। কমান্ড লেখা টেক্সট ফাইল টিকে সেভ করুন, autorun.inf  নামে। এবার, আইকন ফাইল (এ ক্ষেত্রে PIC.ICO) এবং autorun.inf ফাইল, এই দুটি কপি করে পেস্ট করে দিন আপনার রিমুভেবল ডিস্কএর মধ্যে।
কি কিছুই হয় নি ? একবার আপনার রিমুভেবল ডিস্কটিকে কম্পিউটার থেকে আনপ্লাগ করে আবার প্লাগ ইন করুন.

উইন্ডোজে ডাবল ক্লিকে ড্রাইভ না খুললে

উইন্ডোজের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি হলো, ডাবল ক্লিক এ ড্রাইভ না খোলা। যখন আপনি ড্রাইভ এ ডাবল ক্লিক করেন, তখন এটি না খুলে একটি এক্সপ্লোরার ওপেন হয়। এটা সাধারনত autorun.inf ভাইরাস এর কারনে হয়ে থাকে। তবে এটি নিয়ে চিন্তার তেমন কোন কারন নেই। এন্টিভাইরাস ছাড়াই এটা খুবই সহজে সমাধান সম্ভব।
এর জন্য নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুন;

আপনার C: ড্রাইভ টিকে পরিস্কার করার জন্য;
১। স্টার্ট > রান এ গিয়ে, টাইপ করুন, cmd এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
২। টাইপ করুন, cd\ এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৩। টাইপ করুন, attrib –r –h –s autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৪। টাইপ করুন, del autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।

এবার আপনার D: ড্রাইভ টিকে পরিস্কার করার জন্য;
১। স্টার্ট > রান এ গিয়ে, টাইপ করুন, cmd এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
২। টাইপ করুন, cd\ এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৩। টাইপ করুন, D: এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৪। টাইপ করুন, attrib –r –h –s autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৫। টাইপ করুন, del autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।

আপনার প্রতি টি ড্রাইভ কে পরিস্কার করার জন্য উপরের ধাপ গুলো কে পর্যায় ক্রমে অনুসরন করতে হবে। আপনার কম্পিউটারে  যদি ৪ টি ড্রাইভ থাকে, আপনাকে তবে ৪ বার ধাপ গুলো অনুসরন করে আপনার ৪ টি ড্রাইভ কে পরিস্কার করে নিতে হবে। আপনার কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়নি, আপনার সব ড্রাইভ এ উপরে বর্নিত ধাপ অনুসারে পরিস্কার করার পরে আপনার কম্পিউটার টিকে একবার রি-স্টার্ট করে দেখুন, আপনার সমস্য সমাধান হয়ে গেছে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলকে password protected করুন

অনেকেই যারা Office Word 2007 ব্যবহার করেন ।  তারা অনেকেই জানেন না যে কিভাবে Office 2007 এর ফাইলকে পাসওয়ার্ড দিতে হয় । কেননা আগের ভার্শন থেকে 2007 এ  পাসওয়ার্ড দেয়ার পদ্ধতি একটু অন্যরকম । আজ আপনাদের দেখাব কিভাবে MS Office Word 2007 এর ফাইলকে পাসওয়ার্ড দিতে হয় ।

  • যেকোন ওয়ার্ড ফাইল ওপেন করুন ।
  • উপরের রিবন থেকে Microsoft Office Button এ ক্লিক করুন । এরপর Save As এ ক্লিক করুন । একটি নতুন উইন্ডো আসবে । উইন্ডোটির সবার নিচে অবস্থিত Tools এ ক্লিক করুন । এরপর এখান থেকে General Options এ ক্লিক করুন ।



  • নতুন আরেকটি উইন্ডো আসবে। এখানে দুইটি অপশন পাবেন । একটি হল Password To Open , এটা শুধু ডকুমেন্ট ওপেন করার সময় পাসওয়ার্ড চাইবে
  • অপরটি হল Password To Modify এটাতেও পাসওয়ার্ড দিলে ডকুমেন্ট মডিফাই করার সময়ও পাসওয়ার্ড চাইবে
  • ১ম অপশনে পাসওয়ার্ড দিন ।( যদি ২য় টিতে দেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে দিতে পারেন ) । এবার  OK তে ক্লিক করুন ।
  • কাজ শেষ । এবার ডকুমেন্টটি খুললে পাসওয়ার্ড চাইবে ।
এটা আপনাদের অনেক কাজে লাগবে আশা করি ।

উইন্ডোজ 7এর ভার্চুয়াল মেমোরি কনফিগার করার পদ্ধতি

অনেক সময় উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা একটি বার্তা টাস্কবারে পেয়ে থাকেন “windows virtual memory is too low”। এই সমস্যার সমাধান করবেন কি করে.

এর আগে জেনে নেই ভার্চুয়াল মেমরি কী?

ভার্চুয়াল মেমরি হল আপনার হার্ডডিস্কের একটি ফ্রি স্পেস যা উইন্ডোজ RAM  এর মত ব্যবহার করে অস্থায়ীভাবে তথ্য জমা রাখে। প্রয়োজন শেষে নিজে থেকেই মুছে ফেলে। এটি RAM  এর থেকে অনেক স্লো কিন্তু যখন কোনো অ্যাপ্লিকেশান চালানোর জন্য এক্সট্রা মেমরির দরকার হয়, তখন এর প্রয়োজন হয়।
যাদের ৪ বা ৬ গিগাবাইট RAM  থাকে, তাদের ভার্চুয়াল মেমরি না ব্যবহার করলেও চলে। কিন্তু বলা তো যায় না কখন দরকার লাগে, তাই উইন্ডোজ ডিফল্টভাবে আপনার সিস্টেম ড্রাইভের কিছু অংশ রেখে দেয় ভার্চুয়াল মেমরি হিসেবে।

আসুন দেখি কি ভাবে ভার্চুয়াল মেমরি বাড়াবেন বা কমাবেনঃ 

প্রথমে My Computer এ right click করে properties ওপেন করুন।

তারপরে বামে ছবিতে দেখানো মত Advanced System Settings এ ক্লিক করুন।

এরপর advanced ট্যাবের settings এ ক্লিক করুন
Performance options এর advanced ট্যাবে ছবির মত change বাটন ক্লিক করুন।

Automatically manage paging files for all drives এর টিক চিহ্ন তুলে দিন।

Custom size এ সিলেক্ট করে সেখানে initial size ও maximum সাইজ দিন।  initial size অবশ্যই আপনার RAM  এর সমান ও ম্যাক্সিমাম সাইজ আপনার RAM  এর  দ্বিগুন দিন।

Set ক্লিক করে OK ক্লিক করুন।
কম্পিউটার রিস্টার্ট হতে চাইলে রিস্টার্ট করুন।
এখানে উইন্ডোজ ৭ ব্যবহারকারীদের জন্য দেখানো হয়েছে। উইন্ডোজ এক্সপির জন্যেও প্রায় একই ভাবে করা যায়।

 

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu