একটা ভালো গ্রাফিক্স কার্ড কেনা সহজ নয়। আসুন, কিছু তথ্য জেনে নেই যেগুলো আশা করা যায় আপনাকে ভালো গ্রাফিক্স কাড বাছাই করতে সাহায্য করবে।
মেমোরিই : আপনার এমন একটি কার্ড অবশ্যই বাছাই করা উচিত যাতে মেমোরি তথা র্যাম আছে অনেক। আপনি বর্তমান বাজার অনুযায়ী ৫১২ মেগাবাইট অথবা ১ গিগাবাইট মেমোরি যুক্ত কার্ড কিনতে পারেন। তবে সবসমই মনে রাখবেন, মেমোরিই সব নয়। গ্রাফিক্স কার্ডের বাজারে এমন অনেক কার্ড পাবেন যাদের মেমোরি অনেক বেশি কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে সেরকম পারফরমেন্স পাওয়া য়ায়না। তবে বেশি মেমোরি সবসময়ই বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে।
গ্রাফিক্স প্রসের : মেমোরি অবশ্যই অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তবে একটি গ্রাফিক্স কার্ডের হার্ট বা মস্তিস্ক যাই বলুন, সবই হলো তার চিপ বা প্রসেসর। এটি-ই সবধরনের থ্রিডি গ্রাফিক্স রেন্ডার করে থাকে। বাজারে দুটি কোম্পানী আছে যারা এই চিপ গুলো বানাবার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে। ATI Radeon ও nVidia। কিন্তু আপনার প্রয়োজন মেটাবার জন্যে কেবল এটুকুই জানা যথেষ্ট নয় যে কার্ড ATI Radeon অথবা nVidia চিপ দিয়ে তৈরি। আপনাকে আরও কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে যেমন, GT, GS, GTX, XT, XTX ইত্যাদি। এই ইনিশিয়াল গুলো শুধুমাত্র অক্ষর নয় বরং তারা কার্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এর ব্যপারে তথ্য প্রকাশ করে।
পাইপলাইন ও ক্লক-স্পীড : একটি গ্রাফিক্স কার্ড এর দক্ষতা কতটুকু হতে পারে তার একটা ধারণা আপনি পেতে পারেন এর ক্লক-স্পীড ও পাইপলাইন এর মাত্রা হিসেব করে। ব্যপারটা অনেকটা এভাবেও দেখা যায়, পারফন্মমেন্স যদি হয় একটা হাইওয়ে দিয়ে ঘন্টায় কতগুলো গাড়ি ক্রস করতে পারে তবে পাইপলাইন হবে সেই হাইওয়ের লেন। যতবেশি লেন বিশিষ্ট হাইওয়ে হবে, ততবেশি গাড়ি ঘন্টায় ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারবে। আর ক্লক-স্পীডের তুলনা করা যায় ওই রোডের জন্যে গাড়ির স্পীড-লিমিট দিয়ে। যতবেশি স্পীডে গাড়ি যেতে পারবে, ততবেশি পরিমান গাড়ি একক সময়ে রাস্তা ক্রস করতে পারবে। এখন, এই রাস্তা দিয়ে কতগুলো গাড়ি যেতে পারবে তা নির্ভর করবে লেন সংখ্যা ও স্পীড-লিমিট এর স্বমন্বয়ের উপরে। সেভাবেই, গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রেও এর পারফন্মমেন্স অনেকাংশেই নির্ভর করবে এর পাইপলাইন এর পরিমান ও কার্ডের চিপের ক্লক-স্পীডের উপর। তবে পাইপলাইন ও ক্লক-স্পীডের মাঝে তুলনা করতে গেলে দেখা যায় বেশি পাইপলাইন বিশিষ্ট কার্ডই বেশি ভালো ফলাফল দেয়। সাধারণত, প্রাথমিক লেভেলের কার্ডগুলো চারটি, মিড লেভেলের কার্ডগুলো আট থেকে বারো এবং হাই লেভেলের কার্ডগুলো ষোল বা তার থেকেও বেশি পাইপলাইন বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
অপারেটিং সিস্টেম ও ডাইরেক্ট এক্স : গ্রাফিক্স কার্ডের পারফন্মমেন্স বেশ খানিকটা নির্ভর করে সেটা কোন প্লাটফর্মে চলছে তার উপর। আজকালকার হাই-ফাই কার্ডগুলো উইন্ডোজ সিস্টেমের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কাজ করে ভিস্তা ও ডাইরেক্ট-এক্স ১০ সমৃদ্ধ মেশিনগুলোতে। ডাইরেক্ট-এক্স ১০ এর বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি গ্রাফিক্স কার্ড ও সিস্টেম এর মধ্যে ডাটা ট্রান্সফার করে অত্যন্ত্য সাবলীল গতিতে। এছাড়াও আরও অনেক বিশেষ বিশেষ ফিচার আছে ডাইরেক্ট এক্স ১০ এর। সুতরাং কার্ড কিনবার সময় এটি ডাইরেক্ট এক্স ১০ সাপোর্টেড কিনা তা বুঝে নিন।
গ্রাফিক্স কার্ড কিনবার সবচেয়ে ভালো সময় বলে কিছু আছে? :
হ্যা। আপনি যদি একটু প্লান করে চলেন, তবে কম দামে তুলনামূলক ভালো কার্ড বাজার থেকে কিনতে পারবেন। কি সে প্ল্যান? এটা হলো সময়। ATI Radeon ও nVidia নিজেদের মাঝে প্রতিদ্বন্দিতা ও তাদের বাজার ধরে রাখার চেষ্টায় প্রতি ১২ থেকে ১৮ মাসের মাথায় একটি করে নতুন চিপ বাজারে আনে। প্রতি চিপে আগেরটার তুলনায় বেশি ফিচার সাপোর্টেড। ফলাফল, নতুন চিপসহ কার্ডগুলো বাজারে আসা মাত্র পুরনোগুলোর দাম হুহু করে নেমে যায় অনেকখানি। ঠিক এই সময়টাতেই, নতুন রিলিজ হওয়া কার্ডগুলোর দিকে নজর না দিয়ে আপনি যদি তার আগের জেনারেশনের কার্ডগুলো ট্রাই করেন তবে লাভবান হবেন। বেশি দাম দিয়ে নতুন জেনারেশনের লো-এন্ড কার্ড না কিনে প্রায় সেই পরিমান টাকা খরচ করে আগের জেনারেশনের হাই-এন্ড কার্ড কেনাটা অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
পাওয়ার সাপ্লাই:
বর্তমানের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো অত্যন্ত বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন। এখনকার একটি হাই-এন্ড কার্ড সমপূর্ণ ক্ষমতায় চলবার সময় প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ওয়াট পরিমান বিদ্যুৎ টানতে থাকে। উপযুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট না থাকলে আপনার পিসি সম্ভবত র্স্টাটই হবে না। বাজারে বর্তমানে অত্যন্ত্য দামী কিছু পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো আপনার গ্রাফিক্স কার্ডেও ক্ষুধা মেটাতে পারবে। গ্রাফিক্স কার্ড কিনবার আগে বক্সের গায়ে এর পাওয়ার ফ্যাক্টরগুলো দেখে নিন। কার্ডগুলো সাধারণত ৪০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই এ ভালো রান করে থাকে।
এসব ছাড়াও, আপনি আপনার নতুন কেনা গ্রাফিক্স কার্ডকে ভালো পরিবেশে রান করাতে পারবেন কিনা তা কিনবার আগেই চিন্তা করুন। ভালো কেসিং, ভালো কুলিং সিস্টেম ও ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ভালো গ্রাফিক্স কার্ডের জন্যে খুবই দরকারী।
মেমোরিই : আপনার এমন একটি কার্ড অবশ্যই বাছাই করা উচিত যাতে মেমোরি তথা র্যাম আছে অনেক। আপনি বর্তমান বাজার অনুযায়ী ৫১২ মেগাবাইট অথবা ১ গিগাবাইট মেমোরি যুক্ত কার্ড কিনতে পারেন। তবে সবসমই মনে রাখবেন, মেমোরিই সব নয়। গ্রাফিক্স কার্ডের বাজারে এমন অনেক কার্ড পাবেন যাদের মেমোরি অনেক বেশি কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে সেরকম পারফরমেন্স পাওয়া য়ায়না। তবে বেশি মেমোরি সবসময়ই বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে।
গ্রাফিক্স প্রসের : মেমোরি অবশ্যই অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তবে একটি গ্রাফিক্স কার্ডের হার্ট বা মস্তিস্ক যাই বলুন, সবই হলো তার চিপ বা প্রসেসর। এটি-ই সবধরনের থ্রিডি গ্রাফিক্স রেন্ডার করে থাকে। বাজারে দুটি কোম্পানী আছে যারা এই চিপ গুলো বানাবার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে। ATI Radeon ও nVidia। কিন্তু আপনার প্রয়োজন মেটাবার জন্যে কেবল এটুকুই জানা যথেষ্ট নয় যে কার্ড ATI Radeon অথবা nVidia চিপ দিয়ে তৈরি। আপনাকে আরও কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে যেমন, GT, GS, GTX, XT, XTX ইত্যাদি। এই ইনিশিয়াল গুলো শুধুমাত্র অক্ষর নয় বরং তারা কার্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এর ব্যপারে তথ্য প্রকাশ করে।
পাইপলাইন ও ক্লক-স্পীড : একটি গ্রাফিক্স কার্ড এর দক্ষতা কতটুকু হতে পারে তার একটা ধারণা আপনি পেতে পারেন এর ক্লক-স্পীড ও পাইপলাইন এর মাত্রা হিসেব করে। ব্যপারটা অনেকটা এভাবেও দেখা যায়, পারফন্মমেন্স যদি হয় একটা হাইওয়ে দিয়ে ঘন্টায় কতগুলো গাড়ি ক্রস করতে পারে তবে পাইপলাইন হবে সেই হাইওয়ের লেন। যতবেশি লেন বিশিষ্ট হাইওয়ে হবে, ততবেশি গাড়ি ঘন্টায় ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারবে। আর ক্লক-স্পীডের তুলনা করা যায় ওই রোডের জন্যে গাড়ির স্পীড-লিমিট দিয়ে। যতবেশি স্পীডে গাড়ি যেতে পারবে, ততবেশি পরিমান গাড়ি একক সময়ে রাস্তা ক্রস করতে পারবে। এখন, এই রাস্তা দিয়ে কতগুলো গাড়ি যেতে পারবে তা নির্ভর করবে লেন সংখ্যা ও স্পীড-লিমিট এর স্বমন্বয়ের উপরে। সেভাবেই, গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রেও এর পারফন্মমেন্স অনেকাংশেই নির্ভর করবে এর পাইপলাইন এর পরিমান ও কার্ডের চিপের ক্লক-স্পীডের উপর। তবে পাইপলাইন ও ক্লক-স্পীডের মাঝে তুলনা করতে গেলে দেখা যায় বেশি পাইপলাইন বিশিষ্ট কার্ডই বেশি ভালো ফলাফল দেয়। সাধারণত, প্রাথমিক লেভেলের কার্ডগুলো চারটি, মিড লেভেলের কার্ডগুলো আট থেকে বারো এবং হাই লেভেলের কার্ডগুলো ষোল বা তার থেকেও বেশি পাইপলাইন বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
অপারেটিং সিস্টেম ও ডাইরেক্ট এক্স : গ্রাফিক্স কার্ডের পারফন্মমেন্স বেশ খানিকটা নির্ভর করে সেটা কোন প্লাটফর্মে চলছে তার উপর। আজকালকার হাই-ফাই কার্ডগুলো উইন্ডোজ সিস্টেমের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কাজ করে ভিস্তা ও ডাইরেক্ট-এক্স ১০ সমৃদ্ধ মেশিনগুলোতে। ডাইরেক্ট-এক্স ১০ এর বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি গ্রাফিক্স কার্ড ও সিস্টেম এর মধ্যে ডাটা ট্রান্সফার করে অত্যন্ত্য সাবলীল গতিতে। এছাড়াও আরও অনেক বিশেষ বিশেষ ফিচার আছে ডাইরেক্ট এক্স ১০ এর। সুতরাং কার্ড কিনবার সময় এটি ডাইরেক্ট এক্স ১০ সাপোর্টেড কিনা তা বুঝে নিন।
গ্রাফিক্স কার্ড কিনবার সবচেয়ে ভালো সময় বলে কিছু আছে? :
পাওয়ার সাপ্লাই:
বর্তমানের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো অত্যন্ত বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন। এখনকার একটি হাই-এন্ড কার্ড সমপূর্ণ ক্ষমতায় চলবার সময় প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ওয়াট পরিমান বিদ্যুৎ টানতে থাকে। উপযুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট না থাকলে আপনার পিসি সম্ভবত র্স্টাটই হবে না। বাজারে বর্তমানে অত্যন্ত্য দামী কিছু পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো আপনার গ্রাফিক্স কার্ডেও ক্ষুধা মেটাতে পারবে। গ্রাফিক্স কার্ড কিনবার আগে বক্সের গায়ে এর পাওয়ার ফ্যাক্টরগুলো দেখে নিন। কার্ডগুলো সাধারণত ৪০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই এ ভালো রান করে থাকে।
এসব ছাড়াও, আপনি আপনার নতুন কেনা গ্রাফিক্স কার্ডকে ভালো পরিবেশে রান করাতে পারবেন কিনা তা কিনবার আগেই চিন্তা করুন। ভালো কেসিং, ভালো কুলিং সিস্টেম ও ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ভালো গ্রাফিক্স কার্ডের জন্যে খুবই দরকারী।