ইন্টারনেট লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ইন্টারনেট লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে !

বর্তমানে ক্লাউডে তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা বেশ জনপ্রিয়, এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় ফাইল ওয়েবের কোন একটি নিদিষ্ট সার্ভারে সংরক্ষণ করে রাখতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা যেকোনো স্থান থেকে সেগুলো ব্যবহারও করতে পারে। তবে যে কমপিউটার থেকে ফাইল খুলবে, তাতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। বর্তমানে অনেক ব্যবহারকারীই তাদের পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভের পরিবর্তে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করছে।
এর প্রধান সুবিধা হলো, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ সঙ্গে রাখার পরিবর্তে, ইন্টারনেট সংযোগ আছে এমন কমপিউটার থেকে সরাসরি ক্লাউড স্টোরেজে থাকা ফাইল গুলো ব্যবহার করা সম্ভব।

ইন্টারনেট সংযোগ ও ক্লাউড স্টোরেজের সুবিধা যুক্ত এমন একটি কমপিউটারের এক বা একাধিক ফোল্ডারের যাবতীয় ডেটা আপনা-আপনি ক্লাউড স্টোরেজের সঙ্গে সংযুক্ত সার্ভারে গিয়ে সংরক্ষণ ( সিংক্রোনাইজ ) হবে।

ফলে দুটি স্থানে আপনার তথ্য সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত থাকছে। কোনো কারণে হার্ডডিস্ক নষ্ট গেলেও তা নিয়ে আর চিন্তায় পড়তে হয় না।

বর্তমানে বেশ কয়েকটি ক্লাউড স্টোরেজ প্রদানকারী সংস্থা বিশেষ কিছু সুবিধা যুক্ত, বিনামূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লাউড স্টোরেজ, ব্যবহারকারীদের ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে।


ক্লাউড স্টোরেজের জন্য উবুন্টু-ওয়ানে আপনি যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন।


১) প্রথমে এখানে ক্লিক করুন।
 

Ubuntu Sign in



২) এরপর create account অপশনে ক্লিক করে নির্দিষ্ট জায়গায় আপনার ইমেল অ্যাড্রেস ও উবুন্টু-ওয়ান অ্যাকাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড টি লিখে send instruction অপশনে ক্লিক করুন।


Ubuntu Account


৩) এরপর ইমেল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে, উবুন্টু-ওয়ান থেকে পাওয়া মেসেজ থেকে কোড টি টাইপ করে confirm বাটনে ক্লিক করুন।


Ubuntu Confirm



৪) আপনার অ্যাকাউন্ট টি তৈরী হয়ে যাবারপরে এখানে ক্লিক করে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে।Sign me in with my existing account  অপশনে ক্লিক করে নির্দেশ অনুসারে ইমেল অ্যাড্রেস ও উবুন্টু-ওয়ান অ্যাকাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড টি লিখে দেওয়ার পর, ইনস্টল হয়ে গেলে c ড্রাইভে Documents and Settings\user name\ ফোল্ডারে Ubuntu One নামে একটি ফোল্ডার তৈরী হবে। এখানে আপনার যাবতীয় ডেটা রাখলেই আপনা-আপনি ক্লাউড স্টোরেজের গিয়ে জমা হবে।


Ubuntu Instalation


এসএমএস-এর আবিষ্কারক

SMS
মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো  ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে ব্যবস্থা  বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (Short Message Service (SMS)।

১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২০ বছর পেরিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে এটি আজ খুবই জনপ্রিয় । ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের।

মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন ২০ বছর বয়সী নেইল পাপওয়ার্থ তার নিজের কমপিউটার থেকে  ভোডাফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ম্যাসেজটি রিচার্ড জারভিসের কাছে পাঠানো হয় 'Merry Christmas' লিখে।

ফেসবুকে অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগ বন্ধ করুন

ফেসবুকের অন্যতম জনপ্রিয় সুবিধা হলো ছবিতে ট্যাগ করা। অনেক সময় ফেসবুকে বন্ধুরা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ছবিতে ট্যাগ করে আপনাকে বিব্রত করতে পারে। এ ছাড়া সেসব ছবি দিয়ে অন্য বন্ধুদেরও পাতা (নিউজফিড) ভরে যায়। ফলে অনেকে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরিচিত বন্ধুদের ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দিতে বাধ্য হন। এ ঝামেলা এড়াতে ট্যাগ করাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, এ জন্য

১) প্রথমে প্রাইভেসি সেটিংসে (privacy setting) ক্লিক করুন।

২) এরপর How Tags Work এর এডিট সেটিং-এ ক্নিক করেলে How Tags Work Dialogue Box থেকে Tag Review অপশন টি অন করে দিন।

এতে আপনি অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগিংয়ের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। যদি কেউ আপনাকে কোনো ছবিতে ট্যাগ করে, তবে ফেসবুক আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে। আপনি সেই নোটিফিকেশনে ক্লিক করে Approved করলেই সেই ছবি আপনার প্রোফাইলে আসবে এবং আপনার ফেসবুক বন্ধুরাও তাঁদের নিউজফিডে দেখতে পারবেন। যদি আপনি Approved না করেন, তাহলে সেই ছবি আপনার প্রোফাইলে দেখাবে না এবং আপনার বন্ধুদের নিউজফিডে গিয়ে বাড়তি ঝামেলা সৃষ্টি করবে না।

facebook tag
ফেসবুকে অনাকাঙ্ক্ষিত ট্যাগ বন্ধ করার ধাপ


ফেসবুক আসক্তি

facebook
গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় ৭০ কোটির বেশি লোক ফেসবুকে ব্যবহার করে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ কোটি প্রতিদিন ফেসবুকে লগ-ইন করে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গড়পড়তা ১৩০ জন করে ‘বন্ধু’ আছে। প্রত্যেক মাসে ফেসবুকের সব ব্যবহারকারী মিলে এর পেছনে ৫০ হাজার কোটি মিনিট সময় ব্যয় করেন। বহুল আলোচিত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এই কথাগুলো নিজেই সদর্পে লিখে রেখেছে তার পরিসংখ্যান পাতায়।


ফেসবুকের দাবি করে, ব্যবহারকারীরা এক মাসে তার ফেসবুকের জন্য ৫০ হাজার কোটি মিনিট ব্যয় করে। এই বিপুল সময়কে ঘন্টা, দিন, বছর এভাবে হিসাব করলে আসে ৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৩ বছর। অর্থাৎ বিপুল জনগোষ্ঠীর এক মাসের মোট সময় থেকে সাড়ে ৯ লাখ বছর ফেসবুকের জন্য খরচ করাতে পারা ফেসবুকের কাছে দারুণ গর্বের বিষয়। ফেসবুকের নিজের এই গর্বের পেছনে যুক্তি আছে। কিন্তু যারা সেই সময়টা ফেসবুককে ‘উৎসর্গ’ করছে তারা কি পাচ্ছেন সেটা জানার জন্য ফেসবুক কি সে সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা দরকার।

যারা ফেসবুক নিয়ে সময় কাটান না তাদের জানা উচিত তারা জিতছেন নাকি ঠকছেন। আর মা-বাবাদের জানা উচিত তাদের সন্তানরা ফেসবুকে বুঁদ হয়ে আসলেই কতটা ‘সামাজিক’ হয়ে বেড়ে উঠছে। এতে তাদের ছাত্রজীবন কিংবা ক্যারিয়ার জীবন কতটুকু লাভবান হচ্ছে।


ফেসবুক কি ?

ফেসবুক নিয়ে এত আলোচনা দেখে যারা এটি সম্পর্কে জানেন না তাদের অনেকের ধারণা হতে পারে ফেসবুক হয়তো জাতিসংঘের মতো কোনো ‘বিশ্বপ্রতিষ্ঠান’ যা বিশ্ববাসীকে ‘সামাজিক’ বানানোর দায়িত্ব পালন করে থাকে। আসলে ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ফেসবুক ডটকম। ফেসবুকে আপনিও একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন যেমন হটমেইল, জি-মেইল, ইয়াহু ইত্যাদিতে ফ্রি ইমেইল অ্যাড্রেস খোলা হয়। এরপর আপনি ফেসবুকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে আপনার পরিচয় লিখতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত ছবি রাখতে পারেন। আপনার বর্তমান অবস্থা, অবস্থান ইত্যাদি লিখে রাখতে পারেন। অন্যরা আপনাকে ‘বন্ধু’ হিসেবে তাদের অ্যাকাউন্টে যোগ করলে আপনার অ্যাকাউন্টে যা লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি সেখানে দিয়ে রেখেছেন সেগুলো সবাই দেখতে পাবে। আপনার মন্তব্যের বিপরীতে কিংবা আপলোড করা ছবি নিয়ে অন্যরা মন্তব্য করতে পারে। একজনকে কিংবা একসাথে সর্বোচ্চ ২০ জনকে গ্রুপ মেসেজ পাঠাতে পারেন। দিন-রাত গেম খেলে সময় পার করে দিতে পারেন। অন্যদের প্রোফাইলে ঢুকে তারা যে মন্তব্য লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি দিয়ে রেখেছেন তার বিপরীতে মন্তব্য লিখতে পারেন। এভাবে মন্তব্য কিংবা পাল্টা-মন্তব্য চালিয়ে যেতে পারেন। মোটামুটি এই হলো ফেসবুক এবং তার ‘সামাজিক যোগাযোগ’। .


তরুণ প্রজন্ম সামাজিক হচ্ছে ?

 তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকের মাধ্যমে কি ধরনের সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করছে সেটা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এদের মধ্যে অনেকে স্কুলছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। এদের কমেন্ট লেখা গুলো  বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এদের মধ্যে কেউ কেউ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটের পেছনে সময় ব্যয় করেছে! তাদের ‘অ্যাকটিভিটি’ লিস্ট থেকে দেখা যায় সবাই এই সময়টুকু বিভিন্ন মেয়ের প্রোফাইলে মন্তব্য লিখে সময় কাটিয়েছে। একজন স্কুলছাত্র এক রাতে সর্বোচ্চ ৪১ জন মেয়ের প্রোফাইলের ওয়ালে কিংবা স্ট্যাটাসে মন্তব্য লিখেছে! মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়, এদের মধ্যে কেউই তাদের পরিচিত নয়। মোটামুটি মন্তব্যগুলোর ধরন এরকম, ‘আমি তোমার বন্ধু হতে চাই’, ‘তুমি এত সুন্দরী’, ‘বৃষ্টিতে ভিজলে তোমাকে দারুণ লাগবে’ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সব কথা। আর কেউ অন্যের ছবির অ্যালবামে ঢুকে সেখানে অশ্লীল মন্তব্য লিখেছে! তারা নিজের প্রোফাইলে হয়তো কোন কবিতার লাইন লিখে রেখেছে কিংবা ‘বন্ধুরা কেমন আছো’, কিংবা ‘পড়াশোনা ভালো হয়নি পরীক্ষায় ফেল করব’ ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশিরভাগ মেয়ের আপলোড করা ছবিতে ছেলেরা হয় সৌন্দর্য্যরে প্রশংসা করেছে কিংবা অশ্লীল মন্তব্য লিখে রেখেছে। এভাবে দিনের কিংবা রাতের মূল্যবান সময় খরচ করে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করছে তরুণ প্রজন্ম!



বাঙালীর ফেসবুক বিলাস

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে প্রায় ২০ লাখের বেশি। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ তরুণীর সংখ্যা প্রায় শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ, যে বয়সটার মূল ব্রত হওয়া উচিত শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গঠনে মনোনিবেশ। প্রতিটা ঘন্টাই যাদের জন্য অসীম গুরুত্বপূর্ণ তারা রাত জেগে এই ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করে চলেছে! ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী আছেন শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। অর্থাৎ, অপচয় করার মতো সময় যে বয়সী লোকদের থাকার কথা, কিংবা পুরানো বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কথা যাদের, ফেসবুকের প্রতি তাদের আগ্রহ সামান্যই। ফেসবুক টিকে অল্পবয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবান সময় গলধকরণ করে । ফেসবুক ছাত্রদের সাধনা? অধ্যয়নই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা- এই কথা বলে যুগে যুগে অভিভাবক ও শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশোনায় উজ্জীবিত করে আসছেন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশী কিছু ফ্যাশন হাউস বাজারে তরুণ-তরুণীদের জন্য টি-শার্ট ছেড়েছে যার বুকের ওপর লেখা ‘ফেসবুকই আধুনিক ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র তপস্যা!’ যে ফেসবুক ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবান সময় এভাবে গিলে খাচ্ছে, রাত জাগিয়ে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে সেই ফেসবুকের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে এভাবে আসক্ত করার চেষ্টা কতটা দেশপ্রেমের পরিচয় সে প্রশ্ন অভিভাবকদের মনে জাগাই স্বাভাবিক।


মিথ্যা আর ছলনার বেসাতি

সরাসরি কারো সঙ্গে দেখা হয় না বলে ফেসবুক মিথ্যা আর ছলনা চর্চার উৎকৃষ্ট এক স্থান। যে যা নয়, তাই সাজার চেষ্টা করে অগণিত ব্যবহারকারী। পুরুষরা নারীর পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খোলে। আবার অনেক পুরুষ নিজেদের অনেক জ্ঞানী, ধনী কিংবা বিদ্যান পরিচয় দিয়ে নারীদের মন জয় করার চেষ্টা করে। মিথ্যা কথা বলে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর টানার চেষ্টা চলে। কিংবা সুন্দরী মেয়ে সেজে ব্যর্থ কিংবা হিংসুটে প্রেমিক তার প্রেমিকার মোবাইল নাম্বার ফেসবুকে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর মধ্য ছেড়ে দেয়। কিংবা মেয়েদের ছবি কপি করে ফটোশপের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের শরীরে জুড়ে দিয়ে ‘গোপন ক্যামেরায় তোলা’ বলে মেয়েটিকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালায়।



উন্নত দেশগুলোর কি অবস্থা

বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে অনেক ছাত্রছাত্রী কিংবা অফিসে বসে অনেক কর্মচারী ফেসবুকে সময় ব্যয় করাকে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ বলে মনে করলেও তার সাথে একমত নয় উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একং বড় বড় করপোরেট অফিস ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানী, ইটালিসহ উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ নামকরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবুক ব্লক করা। এছাড়া বিখ্যাত আইটি ফার্ম রবার্ট হাফ টেকনোলজির পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ করপোরেট অফিসে ফেসবুক নিষিদ্ধ। এই হার ব্রিটেনে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ৫৫ শতাংশ। ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, জার্মানী, জাপানসহ বহু দেশের অগণিত প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হয়। অনেক অফিসে ফেসবুক ব্যবহার ‘ছাঁটাইযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে নিয়োগপত্রে শর্ত দিয়ে থাকে। ব্রিটেনে স্মার্ট আইটি পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ অফিস কর্মচারী স্বীকার করেছেন, বাড়ির পরিবারের লোকজনকে সময় দিতে হয়, তাই ফেসবুকে ব্যয় করার সময় তারা বের করেন অফিসে গিয়ে! ভারতেও বহু শিক্ষা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বন্ধ করে রেখেছে। এশিয়াতে জাপানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ লাখ আর চীনে মাত্র ৩৬ হাজার।


ফেসবুক আঙুল ফুলে কলাগাছ

বসে বসে বন্ধু খোঁজা এবং শত শত ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে মন্তব্য লেখাকে আপনি সামাজিকতা মনে করেন? তাহলে আপনাকেই দরকার ফেসবুকের। কারণ আপনি যত বেশি ‘সামাজিক’ হবেন ফেসবুকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তত টাকা জমা হবে। ফেসবুক ওয়েবসাইটে ঢুকে যত বার যেকোন লিংকে ক্লিক করবেন ততবার নতুন করে বিজ্ঞাপন লোড হবে (ডান পাশের সাইডবারে)। একবার লোড হলে তাকে ১ ইম্প্রেশন বলে। প্রতি ১ হাজার ইম্প্রেশনের জন্য ওই বিজ্ঞাপনদাতার নিকট থেকে ফেসবুক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে। আর ক্লিক করলে তো আরো ভাল। দারুণ ব্যবসা! এই ব্যবসায়ে মূলধন হচ্ছে আপনার মতো ‘সামাজিক’ মানুষের অপচয় করা সময়। আপনি যত ক্লিক করবেন তত ইম্প্রেশন। দিন শেষে কয়েক কোটি ইম্প্রেশন দেখে ফেসবুক মালিকদের চোখে খুশির ঝিলিক ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ কয়েক কোটি ইম্প্রেশন মানে নিদেনপক্ষে কয়েক লাখ ডলার! ব্যবহারকারীরা ঘুর্নাক্ষরেও বুঝতে পারছেন না তাদের ব্যবহার করে কিভাবে কোটি কোটি ডলার আয় করছেন ফেসবুকের কর্ণধারেরা। ২০০৯ সালে ফেসবুকের আয় ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১০ সালে আয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে তারা। একজন ব্যবহারকারীর দ্বারা সিপিএম অ্যাড থেকে ২ ডলার আয়ের টার্গেট থাকে ফেসবুকের।


ফেসবুক পক্ষাবলম্বনকারীদের যুক্তি

ফেসবুকে ছেলেবেলার বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যদি হয় তাহলে স্কুল বা কলেজে যাদের একসঙ্গে পড়েছেন তাদের খুঁজে বের করা কি জীবনের বড় ব্রত? একজন মানুষের জীবনকালে এই বন্ধু খুঁজে বের করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন, ক্যারিয়ার জীবনের চেয়েও ? ছাত্র জীবন ধ্বংস হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে অশান্তি আসছে, ক্যারিয়ার জীবনে মনোনিবেশ কমছে। ক্যারিয়ার জীবনে এসে যাদের সঙ্গে সরাসরি কিংবা ফোনে যোগাযোগ আছে সামাজিকতার জন্য তারাই কি যথেষ্ট নয়? সবার প্রোফাইলে ঢুকে ‘কমেন্ট’ লেখাই কি সামাজিকতা? একজন মানুষ কি দৈনিক ৩-৪ ঘন্টা এই ওয়েবসাইটে ব্যয় করছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজতে?


চোরাবালি

বুদ্ধি আছে বটে ফেসবুকের নির্মাতাদের। কেউ যদি মনে করে থাকেন ফেসবুকে ঢুকে ‘মাত্র’ দুই/এক ঘন্টা ব্যয় করে বের হব, তবে সে গুড়ে বালি! কারণ ফেসবুক চোরাবালি বিছিয়ে রেখেছে এর নির্মাণশৈলীতে। এই চোরাবালির কাজ করছে কোটি কোটি সুন্দরী তরুণীর ছবি। কিশোর, তরুণ, যুবক, প্রৌঢ় পর্যন্ত ছুটছে এসব নাম ঠিকানা না জানা ‘সুন্দরী’ দের পিছে। এসব সুন্দরীদের প্রায় অর্ধেকই ভুয়া। তবুও ছায়ার পেছনে ছুটছে তারা। একবার বন্ধু তালিকায় যোগ করে শুরু হয় তার মন যোগানোর পালা। বিভিন্নভাবে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা। দুই-এক দিন না যেতেই এবার মোবাইল নাম্বার চাওয়া শুরু। প্রেম নিবেদন শুরু। এক মেয়ের ছবির নিচে প্রশংসা বাণী লিখছে শত শত পুরুষ।


জীবনে কত বন্ধুর প্রয়োজন

ফেসবুকে একজন পুরুষের গড়ে আড়াইশ’ বন্ধু আছে। আর একজন মেয়ের গড়ে ১ হাজার বন্ধু আছে! কোনো কোনো মেয়ের বন্ধুসংখ্যা ৫ হাজার! পুরুষের বন্ধু তালিকায় যারা থাকে তার অল্প কয়েকজন তার চেনাজানা পুরুষ কিংবা নারী বন্ধু আর বাকিরা হয় অপরিচিত নারী কিংবা নারীর ছদ্মবেশী পুরুষ। তরুণরা ফেসবুকে ঢুকে মেয়ে ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে।



রুচি বিকৃতদের স্বর্গরাজ্য

মানুষ কিভাবে তাদের মেধার অপচয় করতে পারে ফেসবুক তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ফেসবুকে লাখ লাখ ছবি, কার্টুন ও ভিডিও যোগ করে ব্যবহারকারীরা। এসব ছবির মধ্যে আছে দেশ, জাতি কিংবা ব্যক্তির প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর উপকরণ। কিংবা বীভৎস দৃশ্যের ছবি। বিশ্বের বিখ্যাত মনীষী, রাজনীতিক, কিংবা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ ও আপত্তিকর ছবি শেয়ার করে মজা পায় এক শ্রেণীর কুরুচিপূর্ণ মানুষ। যতই সম্মানিত ব্যক্তি হোক না কেন, তার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি যখন মানুষের হাসির খোরাক যোগায় তখন সেটাকে নিছক গণতান্ত্রিক অধিকার বলার সুযোগ নেই। সংবাদপত্রের পাতায় রাজনীতিবিদদের কার্টুন আর ভিন্নমত পোষণকারী সাধারণ মানুষের বিদ্বেষমূলক কার্টুন এক হতে পারে না। এরা নিজের প্রোফাইলে এসব ছবি ঢুকিয়ে অন্যের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দেয়। যার প্রোফাইলে ছবি ট্যাগ করা হয় সে নিজে তো দেখতে পায়, তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্য সবাইও তা দেখতে পাবে। সেখান থেকে সমমনা কুরুচির কয়েক ডজন ‘বন্ধু’ হয়তো তাদেরও বন্ধুদের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দিল সেখান থেকে প্রত্যেকের কয়েক ডজন করে বন্ধু তাদের বন্ধুদের ‘ট্যাগ’ করে দিল যাকে বলে চেইন রিয়েকশন! মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে। চলে হাসাহাসি, ঠাট্টা ,বিদ্রুপ, বিকৃত আনন্দ ভোগ। অনেকে আবার মেয়েদের ফটো অ্যালবাম থেকে ছবি নিয়ে সেই ছবির মাথা কম্পিউটারের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের দেহে জুড়ে দিয়ে তার প্রোফাইলেই আবার ট্যাগ করে দেয়! পৃথিবীর কোটি কোটি পুরুষের কম্পিউটারে একজন মেয়ের ছবি থাকা অবশ্যই নিরাপদ নয়; কিন্তু ফেসবুকের কল্যাণে তাই ঘটছে। নিজেও জানেন না, আপনি সামাজিকতা পালন করতে গিয়ে যে ছবি শেয়ার করেছেন তা কত কোটি বখাটে পুরুষের কম্পিউটারে সেভ করা হয়েছে।




ফেসবুকের সবটাই খারাপ ?

 না। খুব কম জিনিসই আছে যার সবটুকু খারাপ। ফেসবুকও তেমনি। ফেসবুকে একটি মন্তব্য লিখে আপনি সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার অবস্থা কিংবা অবস্থান। সেলিব্রেটিরা তাদের ভক্তদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ রাখতে পারে ক্লায়েন্টদের সাথে। বিভিন্ন গ্রুপ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে পরস্পরের সাথে। নিজের অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে। এছাড়ও ইমেইল কিংবা ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জারের মতো বিকল্প অনেক রাস্তা আছে, যেগুলোকে বিকল্প যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

facebook user


এই লেখাটি  Shohan ahamed লেখা থেকে ও  কিছু নিজের অভিগতা থেকে লেখা ।

উইন্ডোজে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করবেন কিভাবে ?

internet speet
Widows আমাদের ব্যবহৃত ইন্টারনেটের গতির প্রায় 20% কমিয়ে রেখে দেয় । Windows এটা করে,  কারন তার Update নেয়ার জন্য । আর তাই আমরা Windows Update এর বেশীর ভাগ সময় বুঝতে পারিনা । কিন্তু Internet Browsing সময় এই 20% কম গতিতে ব্রাউজিং করতে হয় । তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন করলেই ইন্টারনেটের গতি কিছুটি বাড়িয়ে নিতে পারি ।




কিভাবে এই কাজটি করবেন ?

1. প্রথমে  ক্লিক করুন Run option ।
2. এখানে gpedit.msc টাইপ করে এন্টার কী প্রেস করুন ।
3. এরপর Administrative Templates -এ ডাবল ক্লিক করুন ।
4. Network -এ ডাবল ক্লিক করুন ।
5. QoS Packet Scheduler -এ ক্লিক করুন ।
6. বামদিকে Limit Reservable Bandwidth লেখাটির উপর ডাবল ক্লিক করুন ।
7. এখন  Enable অপশনে ক্লিক করে Bandwidth Limit(%) 0 করে দিন ।
8. এরপর Apply -এ ক্লিক করে OK বাটনে ক্লিক করুন ।

শেষে কমপিউটার কে একবার Restart করে নিন । এরপর আশা করি আগের থেকে কিছুটা বেশি গতি অনুভব করতে পারবেন ।

থ্রিজি প্রযুক্তি কি ?

থ্রিজি প্রযুক্তিকে বলা হয় তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন প্রযুক্তি(Third Generation of Wireless Technologies)। ডব্লিউ-সি. ডি.এম.এ. (W-CDMA), ডব্লিউ.এল. এ.এন (WLAN) এবং সেলুলার রেডিও এরকম অন্যান্য আরো প্রযুক্তির সম্মিলিত সংস্করণ হলো থ্রিজি প্রযুক্তি।  এটি পূর্বের ওয়ারলেস প্রযুক্তি গুলোর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত একটি প্রযুক্তি। এটি যেমন দ্রুত গতিতে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে, তেমনি উন্নত মাল্টিমিডিয়া ও বিশ্বব্যপী রোমিং সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম। থ্রিজি প্রযুক্তিটি মূলত ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনের জন্য।



থ্রিজি প্রযুক্তি কেন উন্নত ?

১। অনেক দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান ক্ষমতা ।
২। অডিও এবং ভিডিও হিসেবে তথ্য আদান প্রদান সুবিধা ।
৩। ভিডিও কনফারেন্স সামর্থন ।
৪। উচ্চগতি সম্পন্ন ওয়েব এবং ওয়াপ ইন্টারনেট ব্রাউজিং  ।
৫। আই.পি.টিভি ( ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা সম্ভব ) ।



থ্রিজি প্রাযুক্তিতে তথ্য আদান প্রদান গতি :

দ্রুত গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদানের  গতি ১২৮ থেকে ১৪৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
কম গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান  ৩৮৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
স্থির অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান গতি ২ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।

404 Error কি ?

আমরা অনেক সময় ওয়েব সাইটের অ্যাড্রেস লিখলে 404 এরর বা পেজ টি খুঁজে পাওয়া গেলো না, এরকম মেসেজ পেয়ে থাকি, এই 404 এরর হল একটি ওয়েবসাইটের কমন মেসেজ, যার দ্বরা বোঝাযায় ওয়েবপেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার এটিও হতে পারে  ইউজার যদি কোন ভুল লিঙ্কে ক্লিক করে, তাহলে এই মেসেজটি দেখাতে পারে। " 404 এরর বলতে বোঝায় যে, সার্ভারটি চলমান(valid), কিন্তু ওয়েবপেজটি কিংবা ওয়েবপেজে যাওয়ার পথটি(path) বৈধ(valid) নয়"
প্রশ্ন জাগতে পারে কেন একে "মিসিং ওয়েবপেজ এরর ? "  না বলে  "404 এরর" বলা হয় ?  যখন ওয়েব সার্ভার একটি পেজ খুঁজে পায় না, তখন ওয়েবসার্ভার থেকে 404 এরর তৈরী হয় । আর এই এরর কোড সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে।ফলে সার্চ ইঞ্জিন, সার্চ রেজাল্ট থেকে এই পেজটিকে সরিয়ে রাখে। এমনকি 404 এররকে ওয়েবস্ক্রীপ্ট এবং ওয়েব মাস্টার টুলগুলো সনাক্ত করতে পারে। ফলে ওয়েবমাস্টাররা ঐ পেজটিকে সনাক্ত করে ঠিক করার চেষ্টা করে।

404 নাম করনের কারন :  WWW এর প্রথম ডাটাবেজ ছিল সুইজারল্যান্ডের একটি অফিসের চারতালার 404 নাম্বার ঘরে। সেখানে ফাইল আদান প্রদান করার সময় কোন ভুল হলে  “404: পাওয়া যায়নি” মেসেজ লেখা হত। সেখান থেকে আসা শব্দটি দ্বারা এখন সার্ভারে পেজ পাওয়ানা গেলে 404 এরর দেখানো হয়।



এন্ড্রয়েড কি ?

এন্ড্রয়েড হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা মোবাইল ফোনের জন্য ব্যবহার করা হয় । কমপিউটার কে চালাতে যেমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেমন উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, ম্যাক বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন তেমনি মোবাইল ফোনের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেমে প্রয়োজন হয় । এন্ড্রয়েড সেরকম একটি মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, এন্ড্রয়েড ছাড়া আরো কিছু মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম যেমন নকিয়ার সিম্বিয়ান, এপলের iOS, রিম’এর ব্ল্যাকবেরি os, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ইত্যাদি।  প্রথম দিকে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মোবাইল ফোনের জন্য হলেও এখন এই অপারেটিং সিস্টেমে চলছে নেটবুক, ট্যাবলেট ও গুগল টিভি।

আমরা যেমন কমপিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। তেমনি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সাথে  কিছু ইন-বিল্ট এপলিকেশন, গেম, উইজেট রয়েছে। এন্ড্রয়েড SDK (Software Development Kit), যার সাহায্যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের জন্য এন্ড্রয়েড এপলিকেশন তৈরি করা হয়। এন্ড্রয়েড SDK এর মধ্যে সোর্স কোড সহ স্যাম্পল প্রজেক্ট, ডেভলপমেন্ট টুলস, ইমুলেটর এবং এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট  তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এন্ড্রয়েড এপলিকেশন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে লেখা হলেও এন্ড্রয়েড SDK সাহায্যে তৈরী করা হয়
এন্ড্রয়েড ফোন কি ?
যেসব মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যেমন - Acer, Alcatel, Dell, Gigabyte, HTC, Huawei, LG, Motorola, Nexus, Samsung, T-Mobile, Toshiba, Vodaphone, ZTE এর মত বড় বড় প্রায় সব কোম্পানি। বর্তমানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় একটি নাম।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরী করুন

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি, তারা প্রত্যেকেই পাসওয়ার্ড শব্দটির সঙ্গে সকলেই পরিচিত। ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সোসাল নেটওয়ার্কিং, সব ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয় । এ সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলে যে কোন সময় সাইবার ক্রাইমের শিকার হতে পারেন। এ কারনে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন।









পাসওয়ার্ড শক্তিশালী করার কিছু কৌশল:

• পাসওয়ার্ডে কমপক্ষে আটটি অক্ষর বা তার বেশি অক্ষর ব্যবহার করুন।
• ছোট বা বড় অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্নের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরী করুন।
• পাসওয়ার্ডে বিশেষ কিছু চিহ্ন ব্যবহার করুন যেমন @ # $ % ^ & *
• সম্ভব হলে কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।


এই নিয়মটি ব্যবহার করুন:

a এর পরিবর্তে  @
s এর পরিবর্তে  $
space এর পরিবর্তে  %
i এর পরিবর্তে !
o এর পরিবর্তে 0
B এর পরিবর্তে 8

যেমন:  facebook account  এই শব্দ গুলির পরিবর্তে
           f@ce800k%@cc0unt




যা করা যাবে না :

• নিজের নাম, জন্ম তারিখ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, বাড়ির নাম বা 123 এসব ব্যবহার না কারাই ভালো।
• অভিধানে খুজে পাওয়া সম্ভব এমন কোন প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করবেন না।
• পাসওয়ার্ডে নিজের বা অন্য কারও ফোন নম্বর ব্যবহার করবেন না।
• খেয়াল রাখুন ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড যেন কখনোই একই না হয়।
• ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
• ওয়েব ব্রাউজারের ‘রিমেম্বার পাসওয়ার্ড’-এর বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
• নিজের পাসওয়ার্ড অনলাইনে বা অন্য কোন ভাবে কারও সাথে শেয়ার করবেন না।

কম্পিউটারে তথ্য নিরাপদে রাখতে বিশেষ কিছু সাবধানতা

বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের পরিসর এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে হ্যাকারদের দৌরাত্ন্যে গোপন পাসওয়ার্ডও গোপন থাকছে না। ফলে গোপনীয় তথ্য যেমন অন্যরা জেনে ফেলছে তেমনি ব্যাঙ্ক একাউন্টের পাসওয়ার্ডও ওপেন হয়ে বিপদ ডেকে আনছে। তবে কিছু কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরনের ঝুঁকিগুলো সহজেই এড়িয়ে চলা সম্ভব।




কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে :
  • নিয়মিত আপডেট করা হয় এমন ফাইল গুলি C: ড্রাইভে না রাখাই ভাল।
  • সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখুন। এতে একটি ফাইল হারিয়ে গেলেও অন্যটি পেতে সুবিধা হবে।
  • আপনার তথ্যের পরিমান বেশি হলে সিডি অথবা ডিভিডি রাখতে পারেন। এছাড়া বহনযোগ্য হার্ডডিস্কে ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো রাখা যেতে পারে।
  • ইন্টারনেটে ব্যাকআপ হিসেবে অনলাইন স্টোরেজ বা ই-মেইল বক্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ও তথ্য  সংরক্ষন করে রাখলে নিরাপদে থাকবে।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া পাসওয়ার্ড মনে রাখুন "(Remember Me)"-এ জাতীয় অপশনে OK করবেন না। নিজের কম্পিউটারের বাবহারকারি অনেক হলে সেখানেও এ জাতীয় অপশন ব্যবহার না করাই ভাল। ভুল করে ফেললে মুছে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।
  • একই পাসওয়ার্ড একাধিকবার ব্যবহার করা উচিত নয়। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল/ব্লগ/ফোরাম/ডাউনলোড সাইট ইত্যাদিতে লগইন করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পেছনে এটি একটি বড় কারন। একাধিক গোপন নম্বর মনে রাখতে সমস্যা হলে তা একটি ইমেইল হিসেবে আপনার গোপন ইমেইল বক্সে রাখুন।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া সাইবার ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটার থেকে গোপন নম্বরগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। আর যদি করতেই হয় তাহলে নিজের কম্পিউটারে গিয়ে গোপন নম্বর পরিবর্তন করে ফেলুন।
  • নিজের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোথাও অ্যাকাউন্ট এ লগইনের পর অবশ্যই মনে করে লগআউট করুন। এটি অনেকেই ভুলে যান।
  • ইমেল বক্সে অটো ফরওয়ার্ড করার কিছু অপশন থাকে। মাঝেমধ্যে সেগুলো চেক করে দেখুন, আপনার ইমেইল বক্স থেকে অজানা কোন ইমেইল ঠিকানায় মেইল ফরওয়ার্ড হচ্ছে কিনা।
  • প্রেরকের (Form) ঘরে আপনার পরিচিত কোন মেইল অ্যাড্রেস থাকা মানেই সেই ব্যাক্তি মেইল করেছে এমনটা মনে করার কোন কারন নেই। আরেকজনের মেইল আইডি Form-এর ঘরে বাসান যায়। সুতরাং সাবধান থাকুন।
  • ইন্টারনেটে ব্যাক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন।

আই. পি ( ip ) দিয়ে তার অবস্থান ও দূরত্ব জেনে নিন ম্যাপ থেকে।

আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কাজে নিজের আই.পি.(IP) কি এটা জানার দরকার পরে বা কোন একটা IP আপনি জানেন এটির অবস্থান (এটি কোন জায়গা থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে) জানার দরকার হতে পাতে। আপনি খুব সহজেই এটা জেনে নিতে পারেন। আইপি জানার অনেকগুলা পদ্ধতি আছে।




কম্পিউটার এর কমান্ড প্রমট থেকে জানাঃ
আপনি যদি নিজের কম্পিউটার থেকে নিজের IP জানতে চান তবে, আপনি প্রথমে আপনার কম্পিউটার এর কমান্ড প্রমট  ipconfig কথাটি লিখে Enter চাপুন নিচের ছবিটির মত আপনার IP সহ আরো কিছু তথ্য চলে আসবে।

এখানে IPv4 Address লেখাটির পরের নাম্বারটি হল আপনার IP Address. এখানে IPv4 কথাটির মানে হল Internet Protocol version 4। আপনি যদি আরো তথ্য যেমন এর লেন কার্ড বা এর মডেম এর MAC Address তাহলে কমান্ড প্রমটে ipconfig/all লিখে Enter চাপুন পেয়ে যাবেন।


ইন্টারনেট থেকে নিজের IP জানার পদ্ধতিঃ
ইন্টারনেট থেকে নিজের IP জান আরো সহজ। অনেক ভাবে আপনি এটা জানতে পারেন। আপনি www.google.com এর সার্চ বক্সে ip লিখে সার্চ করুন দেখবেন আপনার সার্চ রেজাল্টের শুরুতেই Internet Protocol version 4 লেখাটি এবং এর পাশে আপনার IP Address চলে আসবে। এর পাশে learn more লিখাটিতে ক্লিক করে আপনি এ IP টি কোথা থেকে ব্যেবহার করা হচ্ছে এটা জানতে পারবেন।
 
 
একটি IP থেকে অবস্থান জানার পদ্ধতিঃ
কোন কারনে আপনার কোন আইপি (IP)র অবস্থান বা আইপিটি কোন জায়গা থেকে ব্যেবহার করা হচ্ছে সেটা জানার দরকার হতে পারে। এর জানার জন্য আপনি http://infosniper.net সাইটিতে গিয়ে এদের সার্চ বক্সে আইপি(IP)টি লিখে সার্চ করুন। আপনি যা জানতে চাচ্ছেন তা পেয়ে যাবেন।
 
 
দুটি আইপি ঠিকানার দূরত্ব বের করতে যা করতে হবেঃ
  • প্রথমে এই ঠিকানায় যান। 
  • লক্ষ্য করুন নিচে বাঁপাশে IP Address or Host No.1 এ আপনার আইপি এড্রেস দেওয়া আছে।
  • IP Address or Host No.2 তে উক্ত আইপি অ্যাড্রেস টি বসান।
  • এবার, Show distance বাটনে ক্লিক করুন।
 
দেখুন আপনার আইপি অ্যাড্রেস থেকে অন্য আইপি অ্যাড্রেসটি কত মাইল দূরে অবস্থিত তা জানতে পারবান, তার কাছে পায়ে হেঁটে যেতে কত সময় লাগবে, গাড়িতে যেতে কত সময় লাগবে, বিমানে যেতে কত সময় লাগবে সব দেখাচ্ছে এবং ডানপাশে একটি মানচিত্র দুটি আইপির অবস্থান ও দূরত্ব নির্দেশ করছে। 

আপনি চাইলে আপনার আইপি ছাড়াও অন্য দুটি আইপি অ্যাড্রেসের মধ্যকার দূরত্ব একই পদ্ধতিতে বের করতে পারবেন। এজন্য IP Address or Host No.1 এর নিচের বক্সটি মার্ক করে ওখানে প্রথম আইপি ও IP Address or Host No.2 এ দ্বিতীয় আইপি অ্যাড্রেস বসিয়ে Show distance বাটনে ক্লিক করুন।  
 
এখানে আইপি অ্যাড্রেসের অবস্থান বলতে কোন সার্ভিস প্রভাইডার থেকে আইপি অ্যাড্রেসটির সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে তার অবস্থানকে বোঝানো হয়।

গুগল সার্চিং-এর কিছু কৌশল।

আমরা অনেকেই Google-কে সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা আনেকেই জানিনা গুগল  সার্চিং-এর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করলে খুব সহজেই আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারি ।





১) ওয়েব সাইট সমন্ধিয় এর তথ্য খুঁজবেন যেভাবে ।

যে কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন খুব সহজে।  ওয়েব সাইট সম্পর্কিত তথ্য বলতে ঐ ওয়েব সাইটের এর বর্ণনা, ক্যাশড পেজ, সমজাতিয় পেজ, ঐ সাইট এর বিভিন্ন Link, যে যে Web Site এ ঐ সাইট এর লিঙ্ক আছে ইত্যাদি।
এজন্য info: লিখে ওয়েব অ্যাড্রেস টি লিখতে হবে।


২) প্রধান প্রধান শহরের আবহাওয়া সমন্ধিয় তথ্য খুঁজবেন যেভাবে । 
বিশ্বের প্রধান প্রধান শহরের আবহাওয়া তধ্য পাওয়ার জন্য Google এর Search Box এ “Weather” কথাটি লিখে তারপর শহরের নাম লিখতে হবে।


৩) আভিধানিক অর্থ খুঁজবেন যেভাবে ।

কোন কিছুর অর্থ জানার জন্য Search বক্সে define লিখে একটি স্পেস দিন তারপর যে শব্দটির সংজ্ঞা বা অর্থ জানতে চান তা লিখে Enter দিন তাহলে সেই শব্দের অর্থ পায়ে যাবেন।



৪) কোন শহর বা দেশের স্থানীয় সময় জানবেন যেভাবে

কোন শহর বা দেশের স্থানীয় সময় জানার জন্য Google-এর Search বক্সে লিখুন time তারপর স্পেস দিয়ে শহরের বা দেশের নাম লিখে Enter দিন। তাহলেই আপনাকে ঐ দেশের বা শহরের স্থানীয় সময় দেখিয়ে দিবে।


৫) কোন দেশ বা শহরের মানচিত্র পাবেন যেভাবে


যেকোনো দেশ বা শহরের মানচিত্র পেতে আপনাকে Google-এর Search বক্সে ঐ শহর বা দেশের নাম লিখে  একটি স্পেস দিন তারপর map কথাটি লিখুন। তাহলে Search Result এর শুরুতেই ঐ দেশ বা শহরের একটি প্রমাণ সাইজ এর মানচিত্র দেখানো হবে। আবার ঐ মানচিত্রে ক্লিক করলেই গুগল ম্যাপ থেকে সেটি বড় করে দেখেনিতে পারবেন।


৬) ইকুয়েশনের উত্তর বের করবেন যেভাবে

সহজ থেকে জটিল ইকুয়েশনের উত্তর পেতে পারেন Google-এ.  যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ যাই হোক না কেন যত জটিলই হোক না কেন খুব সহজে Google এর মাধ্যমে উত্তর পাওয়া যাবে। এজন্য Google এর Search Box এ শুধু ইকুয়েশন টি লেখলেই হবে। ইকুয়েশন এর জন্য গানিতিক চিহ্ন গুলি –
+ যোগফলের জন্য
-বিয়োগ করার জন্য
* গুন করার জন্য
/ ভাগ করার জন্য
% ভাগশেষ বের করার জন্য
^ এক্সপোনেন্সিয়াল এর জন্য (X to the power of Y)
বর্গমূল বের করার জন্য sqrt লিখে তার পেছনে সংখ্যাটি লিখতে হবে।


৭) এক মুদ্রাকে অন্য মুদ্রায় রুপান্তর করবেন যেভাবে

খুব সহজে এক দেশের মুদ্রাকে অন্য দেশের মুদ্রায় কত হবে তা জানা যায়। একটি উদাহরনের মাধ্যমে জেনে নিন কিভাবে করা যায় এই কাজ। যেমনঃ ১০০ US Dollar কে আপনি ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করার এজন্য Google এর Search Box এ লিখুন 100 usd in inr  লিখলেই দেখবেন ১০০ US Dollar ভারতীয় মুদ্রায় কত হয় তা দেখাবে।


৮) ওজন, আয়তন রুপান্তর করবেন যেভাবে

ওজন, আয়তন ইত্যাদি-কে বিভিন্ন পদ্ধতিতে Google -এর সাহায্যে খুব সহজে রুপান্তর করতে পারবেন। Google-এর Search বক্সে যে ইউনিট কে রুপান্তর করতে চান সেটির নাম লিখে তারপর in লিখে পরবর্তী ইউনিট এর নাম লিখে Enter দিন । যেমনঃ 1 kg in pound


৯) বিমানের ফ্লাইটের সময়সূচী যানবেন যেভাবে

বিমান বন্দরে আসা বা ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইট এর সময়সূচি জানতে পারবেন Google এর মাধ্যমে। এজন্য Google এর Search বক্সে – এয়ারলাইন এবং ফ্লাইট নম্বর লিখুন এবং Enter দিন। একটি নির্দিষ্ট বিমানবন্দরে বিভিন্ন ফ্লাইটের বিলম্ব সম্বন্ধেও জানতে পারবেন। এজন্য শহরের নাম অথবা বিমানবন্দরের তিন অক্ষরের কোড নাম লিখে তারপর লিখে দিন airport নাম।





facebook একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড হারালেও

ফেসবুকের ই-মেইল, পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনেও  যায়, তাহলেও কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবে না।




এ জন্য প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সেটিং করবেন যে ভাবে

এ জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশের Account থেকে Account Settings-এ ক্লিক করুন। এখন বাঁ পাশ থেকে security-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Login Notifications-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করুন। Email-এর পাশের বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান পাশে Edit-এ ক্লিক করে Require me to enter a security code sent to my phone বক্সে টিক চিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন message এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number : বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করুন। তারপর Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন, Name New Computer নামের একটি পেজ এসেছে। সেখানে Computer name বক্সে কোনো নাম লিখে Add to your list of recognized devices বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue-তে ক্লিক করুন।

এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue-তে ক্লিক করলে তবেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার মোবাইলে আসা কোড নম্বরটি দেওয়া হচ্ছে। আপনার মেইলে অ্যাড্রেসেও একটি মেইল যাবে, যেটাতে লেখা থাকবে কে, কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি থেকে আপনার ফেসবুকে লগইন করা হয়েছিল ।

জিমেইলে সয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইলের উত্তর দিন

ছুটিতে বা কোন কারনে নির্দিষ্ট কিছু দিন মেইল চেক করতে না পারলে সয়ংক্রিয়ভাবে মেইল প্রাপ্তির কথা জানানো যায় Vacation responder দ্বারা। ভ্যাকেশন রেস্পন্ড করার সুবিধা আছে প্রায় সকল মেইল প্রভাইডারে। তবে আলাদা আলাদা প্রেরককে আলাদা আলাদা উত্তর দেবার সুবিধা যুক্ত করলো জিমেইল। এই সুবিধাটির নাম হচ্ছে ক্যান্ড রেস্পন্স।

ক্যান্ড রেস্পন্স সক্রিয় করতে:
প্রথমে জিমেইলে লগইন করুন এরপর  Settings থেকে Labs ট্যাবে গিয়ে Canned Responses এর Enable রেডিও বাটন ক্লিক করে সেভ করুন। এবার কম্পোজ মেইলে গেলে Canned Response দেখা যাবে।

ক্যান্ডরেস্পন্স তৈরী করা:
কম্পোজ মেইলে Canned Response এর ড্রপ-ডাউন থেকে New canned response এ ক্লিক করে পছন্দের নাম দিয়ে Ok করে সেভ করুন। এবার কম্পোজ মেইলের বডিতে দরকারী কিছু লিখে Canned Response এর ড্রপ-ডাউন থেকে Save এর নিচের সেভ থাকা ক্যান্ডে ক্লিক করলে উক্ত ক্যান্ডে ম্যাসেজ সেভ হবে।

ফিল্টার তৈরী করে ক্যান্ড রিস্পন্স সেট করা:
এখন Search the Web বাটনের ডানে Create a filter এ ক্লিক করে বা Settings থেকে Filters ট্যাবে গিয়ে Create a new filter এ ক্লিক করে অথবা মেইলের উপরের ডানের ড্রপডাউনের Filter massages like this এ ক্লিক করে Create a Filter আনতে হবে। এখানে ফিল্টার তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে Next Step বাটনে ক্লিক করুন। এবার Send canned response: এ সেভ থাকা ক্যান্ড নির্বাচন করে অনান্য চেকবক্স প্রয়োজনে চেক করে Create Filter বাটনে ক্লিক করে ফিল্টার তৈরী করুন। এখন থেকে ফিল্টার করা মেইল ঠিকানা থেকে মেইল আসলে সয়ংক্রিয়ভাবে ক্যান্ডের মেইল রিপ্লাই হবে।
এভাবে ইচ্ছামত আরো Canned Response এবং ফিল্টার তৈরী করা যাবে।

ইন্টারনেটে আসক্তি অসুস্থতা কি না কিভাবে বুঝবেন

ইন্টারনেট হচ্ছে বর্তমান সময়ের তথ্যের মহাউৎস। ইন্টারনেটের কল্যাণে আজ এ পৃথিবীটা তার সীমানা ছাড়িয়ে একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে,দূরত্ব ও সীমানাকে মিশিয়ে দিয়ে বিশ্বকে বেঁধেছে একই সুতোই। আর মানব সমাজের জীবন যাত্রাকে করেছে সহজলভ্য। ইন্টারনেটের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে আজ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ কমপিউটার নিয়ে বেশির ভাগ সময় কাটায় এবং সেই সময়টুকুর জন্য নিজেরাই মুল্য পরিশোধ করে। কমপিউটার ও ইন্টারনেট আজ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ইন্টারনেটে কী আছে – সে প্রশ্নের উত্তরের চেয়ে কী নাই – তার উত্তর দেওয়া অনেক সহজ। ইন্টারনেটকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করা এখন প্রায় অসম্ভব। সংবাদ, তথ্য, যোগাযোগ, কেনাকাটা, ব্যবসা-বানিজ্য, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বিনোদন ইত্যাদি অনেক কিছুর জন্য মানুষ এখন ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কেউ যদি ইন্টারনেটের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, ইন্টারনেটের কারণে যদি কারো স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয় এবং সিগারেট, মদ ও ড্রাগের মত ইন্টারনেটের প্রতি যদি কেউ আসক্ত হয়ে পড়ে তখনই সমস্যা। দেখা গেছে যে ৫-১০% ব্যবহাকারী ইন্টারনেট আসক্ত। এর সংখ্যা যে দিনদিন বাড়ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এক কথায় ইন্টারনেট আসক্তিকে প্রকাশ করা বেশ কঠিন ব্যাপার। ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে মানুষের যে ব্যাপক কৌতুহল, সার্বক্ষণিক চিন্তা, অদমনীয় ইচ্ছা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং অসংযত আচরণবোধ এসব কিছুকেই ইন্টারনেট আসক্তি বলা যায়।
কোন ধরনের লোকের ইন্টারনেটে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ?
১) যারা আগে থেকেই অন্য কোন কারণে Anxietyতে ভোগছেন।
২) যারা বিষন্নতায় বা একাকিত্বে ভোগছেন।
৩) যারা ড্রাগ, এলকোহল, জুয়াখেলা এবং বিকৃত যৌন রুচি ও মানসিকতায় আসক্ত।
৪) টিনএজার – যারা রোমাঞ্চপ্রিয় ও সব কিছুতে অতি উৎসাহী।
৫)  শারীরিকভাবে যারা অলস ও ঘরকুনো।
৬)  যারা কোন কিছুকেই হালকাভাবে নিতে পারে না, সব কিছুতেই সিরিয়াস।
৭)  বাস্তব জীবনে যাদের বন্ধু-বান্ধব খুবই কম ও বিপদ-আপদে সাহায্য করার মত কেউ নেই।
৮)  যারা অসামাজিক, লাজুক এবং মানুষের সাথে মিশতে ভয় পায়।
৯)  যারা বাস্তব জীবনের সমস্যাকে এড়িয়ে চলতে চায়।

ইন্টারনেট আসক্তির প্রধান কারণগুলো:

১। কৌতুহল ও উৎসাহ – ইন্টারনেটে নতুন ব্যবহারকারীদের অনেকেই ব্যাপক উৎসাহের সাথে প্রায় সব লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে সেখানে কী আছে। সাইট থেকে সাইটে ঘুরে ঘুরে নিত্য নতুন তথ্য-বিনোদনের আবিষ্কারে মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এভাবে অনলাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়।
২। তথ্য নিয়ে হিমশিম খাওয়া – ইন্টারনেট এখন সব বয়সের ও সব পেশার লোকের জন্য এক বিশাল তথ্য ভান্ডার। পেশার কারণেই হোক বা সখের কারণেই হোক নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহের নেশা একজন মানুষকে এমনভাবে পেয়ে বসে যে সে বেশিরভাগ সময় ক্রমাগত ওয়েব পেজ হাতড়িয়ে পার করে দেয়। আর এভাবেই সে নিজের অজান্তেই সব কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
৩। সাইবার পর্ণোগ্রাফী আসক্তি – এ ক্ষেত্রে একজন মানুষের মধ্যে ইন্টারনেটে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত চ্যাট রুম এবং সাইবার পর্ণের প্রতি আকর্ষণ বিশেষভাবে বেড়ে যায়। তার চিন্তা-ভাবনায় স্থান করে নেয় এ ধরনের নগ্ন ও বিকৃত রুচির সাইটগুলো। সাধারণত প্রথমদিকে কৌতুহল থাকলেও বেশিরভাগ লোকই পরবর্তীতে এগুলোতে আর আকর্ষণ বোধ করে না। এসবের প্রতি কারো কৌতুহল ও আকর্ষণ যদি স্থায়ীরুপ লাভ করে তখনই সমস্যা।বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে সাইবার পর্ণোগ্রাফী অন্যতম।
৪। কম্পিউটার আসক্তি – এ ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির কম্পিউটার গেম, কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কম্পিউটার সেটিং প্রভৃতির প্রতি আকর্ষণ আর নির্ভরতা এমন পর্যায়ে চলে আসে যে, সারাক্ষণ সে ওগুলো নিয়েই সময় কাটাতে পছন্দ করে। দিনে একাধিকবার ডেস্কটপের ব্যাকগ্রাউন্ড, স্ক্রীন সেভার ইত্যাদি পরিবর্তন করছে, একই গেম বারবার দিনের পর দিন খেলার পরও বিরক্ত হচ্ছে না, প্রয়োজন থাক আর না থাক নতুন নতুন প্রোগ্রাম ইনস্টল/আনইনস্টল করছে। এধরনের লোক relax হয়ে বসে থাকতে পারে না, কমপিউটার নিয়ে কিছু একটা করতে হবেই।
৫। ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধব – ইন্টারনেটের সুবাধে দুর-দুরান্ত, দেশ-বিদেশের মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বন্ধুত্ব, প্রেম, ভালোবাসা। ব্লগ, ফোরাম, চার্টরুম, ফেইসবুক, টুইটার ইত্যাদিতে একজনের সাথে আরেকজনের পরিচয় হচ্ছে, বন্ধুত্ব হচ্ছে। সে কারণে ইমেইল, অনলাইন চাটিং, ফেসবুকে বন্ধুর তালিকা দিনদিন বড় হচ্ছে। সুতরাং যতই দিন যাচ্ছে ভার্চুয়াল বন্ধুবান্ধবদের সিডিউল দিতে অনলাইনে সময়ের পরিমানও বাড়ছে। আবার অনেকেই আছেন ডেটিং/ফ্রেন্ডশীপ সাইটের নিয়মিত ভিজিটর বা সদস্য, যারা জীবনসঙ্গী, যৌনসঙ্গী, প্রেমিক-প্রেমিকার সন্ধানে বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট হাতড়িয়ে পার করে দেয়।
৬। বিকল্প বিনোদন – ইন্টারনেটকে অনেকে বিকল্প বিনোদন হিসেবে বেছে নিয়েছে। গান, ভিডিও ক্লিপ, মুভি, নাটক, গেম, টিভি, ভিডিও, লাইভ খেলাধুলা ইত্যাদি অনেক কিছু এখন ইন্টারনেটে উপভোগ করা যায়। অনেকে এগুলোর প্রতি এত বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে যে জীবনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজকে অবহেলা করতে শুরু করে। নতুন নতুন গান, ভিডিও, মুভি সংগ্রহের জন্য দিনরাত ইন্টারনেট হাতিয়ে বেড়াচ্ছে। যত পায় আরও চায় – এভাবে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইনে ব্যয় করছে যা একসময় আসক্তির পর্যায়ে চলে আসে।
৭। বাস্তব জীবনে সমস্যা – সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার এইসব দিনরাত্রি নিয়ে আমাদের জীবন। সব দুঃখ-কষ্টকে সবাই একইভাবে মোকাবেলা করতে পারে না। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে সমস্যা আসতে পারে। অনেকে এইসব দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যাকে ভুলে থাকার জন্য ইন্টারনেটকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়। এভাবে বাস্তব জীবনের সমস্যাকে ভুলতে গিয়ে আরও একটি সমস্যায় পতিত হয়, যার নাম ‘ইন্টারনেট আসক্তি’।
৮। ভার্চুয়াল জগতে প্রচার ও সেলিব্রেটি – ইন্টারনেটে সহজে নিজেকে প্রচারের জন্য অনেক সুযোগ, যেমন নিজস্ব ওয়েবসাইট, ব্লগ, ফোরাম, চার্টরুম, ফেইসবুক ইত্যাদি। তাই অনেকে দিনরাত এইসব সাইটে সক্রিয় থাকতে চাই, অন্যান্য অনলাইন ইউজারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এরা সবসময় সব ধরনের চেষ্টা করে। এদের কার্যকলাপ ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয় ধরনের হতে পারে। এরা দৈনন্দিন জীবনের বিরাট একটি অংশ কাটিয়ে দেয় অনলাইনে। যখন অফলাইনে থাকে তখনও এরা অনলাইনের কার্যকলাপ ও চিন্তা-ভাবনায় মোহগ্রস্ত হয়ে থাকে। অনলাইনে সবাইকে তাক লাগানোর জন্য বা সেলিব্রেটি হওয়ার জন্য নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে সবসময় ভাবতে থাকে, ফলে বাস্তব জীবন নিয়ে চিন্তাভাবনার আর সময় থাকে না।।
৯। প্রতারণা ও ধোকাবাজি- ইন্টারনেটে যেহেতু নিজের পরিচয় গোপন রেখে অনেক কিছু করা যায়, তাই এটা অনেকের কাছে ফন্দি-ফিকির ও প্রতারণার স্বর্গরাজ্য। অনেকে এসবের মাধ্যমে এক ধরনের আনন্দ পায়। এরা এসব উদ্দ্যেশ্যে এক ওয়েবসাইট থেকে আরেক ওয়েবসাইটে সারাক্ষণ ঘুরে বেড়ায় এবং অনেক সময় সাইবার ক্রাইমে জড়িয়ে পড়ে। সমস্যা ।বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে ধোকা ওপ্রতারনার প্রবনতা সবচেয়ে বেশি|
১০। Status Update Anxiety (SUA) – ইন্টারনেটের কারণে সৃষ্ট নতুন মানসিক রোগ/সমস্যা সুয়া (SUA)। এ ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার পারিবারিক জীবন তো বটেই, বাস্তব জীবনের বন্ধুবান্ধব থেকেও বিছিন্ন হয়ে পড়ে। কেননা তার ধ্যান ধারণায় স্থান করে নেয় চ্যাট রুম, ব্লগ, ফোরাম, নিউজ গ্রুপ, ফেইসবুক, Twitter, Dopplr, My Space, Bedpost ইত্যাদির সুবাদে প্রাপ্ত ভার্চুয়াল জগতের নতুন নতুন বন্ধুবান্ধব। প্রতি মুহুর্তে ইন্টারনেটে নিজের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ঘটনা নিয়মিত অন্যদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে অনেকের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে এক ধরনের মানসিক চাপ। তারা দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারনেটে প্রকাশ করতে চাই এবং অন্যদের উত্তর বা প্রতিক্রিয়া জানতে অধৈর্য হয়ে পড়ে। ফলে তার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। এরা ইন্টারনেট ছাড়া বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। ধুমপানে অভ্যস্ত লোক যেমন ধুমপান করতে না পারলে চঞ্চল, বিষন্ন অথবা উত্তেজিত হয়ে ওঠে, তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারলে এদের অবস্থাও তাই হয়।
ইন্টারনেট আসক্তির লক্ষণগুলো:
১। আপনি কি ইন্টারনেট নিয়েই সারাক্ষণ চিন্তাভাবনা করছেন?
২। আগের অনলাইনের ঘটনাগুলো কিংবা পরবর্তীতে কী করবেন এসব চিন্তাই কি শুধু মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?
৩। আপনি কি মনে করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো ফল পেতে হলে আপনার ইন্টারনেটের প্রতি মনোসংযোগ আরো বাড়িয়ে দিতে হবে?
৪। আপনি কি সাংসারিক ও সামাজিকভাবে সমূহ ক্ষতির সন্মুখীন হয়েও ইন্টারনেটের নির্ভরতা কমাতে পারছেন না?
৫। আপনি কি যতটুকু সময় অনলাইনে ব্যস্ত থাকা যায় তার চেয়েও বেশিক্ষণ অনলাইন ব্যবহার করে থাকেন?
৬। আপনি ইন্টারনেট নির্ভরশীলতার ব্যাপারে আপনার আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের কাছে সবকিছু গোপন করে যাচ্ছেন অথবা মিথ্যা বলছেন?
৭। আপনি কি হালকা হওয়ার জন্য অথবা সব সমস্যা, দুঃখ-কষ্ট ভুলবার জন্য ইন্টারনেটকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে নিয়েছেন?
৮। আপনি যখন ইন্টারনেট ব্যবহার কমিয়ে আনা বা বন্ধ করার চেষ্টা করেন, সে সময় কি আপনি চঞ্চল ভাবপ্রবণ, বিষন্ন অথবা উত্তেজিত হয়ে উঠেন?
৯। আপনি কি ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে নিয়মিত ঘুমাতে পারছেন না?
১০। আপনি কি ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে শারীরিক ওজন কমা/বাড়া, মাথাব্যাথা, পৃষ্ঠবেদনা ইত্যাদি শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন?
১১। আপনি কি ইন্টারনেটের প্রতি আপনার অদম্য আকর্ষণ কমিয়ে আনা বা ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রনে আনার একাধিক ব্যর্থ উদ্যোগ ইতিপূর্বে নিয়েছেন?
আপনি যদি উল্লিখিত এগারটির মধ্যে তিনটি লক্ষণও নিজের মধ্যে শনাক্ত করতে পারেন, তবে ধরে নেবেন আপনি ইন্টারনেটের অপব্যবহার করছেন। যদি পাঁচটি লক্ষণও নিজের মধ্যে শনাক্ত করতে পারেন, তবে ধরে নেবেন আপনার মাঝে ইন্টারনেট আসক্তি কাজ করছে।
প্রতিকার
১)  চিত্ত বিনোদনের অন্য উপায়গুলোর মাঝে নিজেকে পরিব্যপ্ত করা।
২)  পরিবারের সাথে দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে আরো বেশী সময় দেয়া।
৩)  নিজের প্রকৃত দুঃখ-কষ্ট-সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করা এবং তা দুর করার জন্য সচেষ্ট হওয়া।
৪)  নিজের সমস্যাগুলো নিজের মাঝে গুটিয়ে না রেখে আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুবান্ধবের সাথে আলোচনা করা।
৫) ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে নিজের সহায়ক কাজেই একমাত্র ব্যবহার করা, নির্ভরতা যেন পারিবারিক বা সামাজিক গন্ডিকে অতিক্রম না করে।
৬) ড্রাগ, এলকোহল বা অন্য কোন মানসিক সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করা।
৭) বাস্তব জীবনে বেশি মানুষের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা। তখন ইন্টারনেটের সাথে সম্পর্ক কম থাকলেও চলবে।
৮) অসামাজিক, লাজুক বা ঘরকুনো স্বভাব থাকলে তা পরিবর্তন করা।
৯) প্রয়োজনে মানসিক বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়ে চিকিৎসা নেয়া।
১০) ধাপে ধাপে ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ও গুরুত্ব কমিয়ে আনা:
ক) ইন্টারনেটে যেসব বিষয় ও সাইটে আপনি সময় কাটান সেগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করুন: দরকারী, কম দরকারী এবং বেদরকারী। প্রথম দিকে বেদরকারীগুলো বাদ দিন, এরপরে কম দরকারীগুলো বাদ দিন এবং তারপরে দরকারীগুলোতেও সময় কমিয়ে আনুন।
খ) যে সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিবর্তে অন্য কিছু করার সুযোগ থাকে তখন নেট ব্যবহার করবেন না। নেটে বসার আগেই সময়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন, সেই সময়টুকুর এক সেকেন্ড বেশিও ইন্টারনেটে থাকবেন না। এ ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প থাকতে হবে। মনে রাখবেন জীবনটা আপনার, সুতরাং আপনার লাইফস্টাইল কী হবে সে সিদ্ধান্তও আপনাকেই নিতে হবে।
ইন্টারনেটের সুফল ও ইতিবাচক দিক অনেক যা এখানে লিখে শেষ করা যাবে না। কিন্তু সেই সুফল পেতে যেন ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং কর্মজীবনে নতুন কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয় আমাদেরকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ইন্টারনেটের ভালো দিকগুলো যেমন আমাদের জীবনকে আরো সহজ ও গতিময় করতে পারে, তেমনি এর খারাপ দিকগুলো আমাদের জীবনকে করতে পারে আরো জটিল ও বেদনাময়। “Prevention is better than cure.” সুতরাং শুরু থেকেই সাবধান। নতুন যে কোন কিছুতেই শুরুর দিকে মানুষের ব্যাপক কৌতুহল-উদ্দীপনা থাকে। একটা সময়ে এসে আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। ইন্টারনেটও এর ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু কারো উৎসাহ-উদ্দীপনা যদি দিনদিন বাড়তে থাকে তখনই ভাবতে হবে এটা ইন্টারনেট আসক্তির পূর্ব লক্ষণ কিনা। ইন্টারনেট ব্যবহারের স্বাভাবিক সময়সীমা কতটুকু, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। কারণ ব্যক্তি বিশেষের পেশা ও প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে তা বিভিন্ন হতে পারে।

তথ্যসূত্র:
অস্বভাবিক মনোবিজ্ঞান,মানসিক ব্যাধির লক্ষণ,কারণ ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি-নীহাররঞ্জন সরকার।
মনের অসুখ-ড:শিবেন সাহা
ও ইন্টারনেট
 

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu