বর্তমানে ইন্টারনেটের
মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের পরিসর এত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যে আধুনিক
তথ্য-প্রযুক্তি ইন্টারনেট ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু তথ্যের
গোপনীয়তা রক্ষার সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে হ্যাকারদের
দৌরাত্ন্যে গোপন পাসওয়ার্ডও গোপন থাকছে না। ফলে গোপনীয় তথ্য যেমন অন্যরা
জেনে ফেলছে তেমনি ব্যাঙ্ক একাউন্টের পাসওয়ার্ডও ওপেন হয়ে বিপদ ডেকে
আনছে। তবে কিছু কিছু বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করলে এই ধরনের ঝুঁকিগুলো
সহজেই এড়িয়ে চলা সম্ভব।
কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে :
কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে :
- নিয়মিত আপডেট করা হয় এমন ফাইল গুলি C: ড্রাইভে না রাখাই ভাল।
- সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর ব্যাকআপ রাখুন। এতে একটি ফাইল হারিয়ে গেলেও অন্যটি পেতে সুবিধা হবে।
- আপনার তথ্যের পরিমান বেশি হলে সিডি অথবা ডিভিডি রাখতে পারেন। এছাড়া বহনযোগ্য হার্ডডিস্কে ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো রাখা যেতে পারে।
- ইন্টারনেটে ব্যাকআপ হিসেবে অনলাইন স্টোরেজ বা ই-মেইল বক্স ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল ও তথ্য সংরক্ষন করে রাখলে নিরাপদে থাকবে।
- নিজের কম্পিউটার ছাড়া পাসওয়ার্ড মনে রাখুন "(Remember Me)"-এ জাতীয় অপশনে OK করবেন না। নিজের কম্পিউটারের বাবহারকারি অনেক হলে সেখানেও এ জাতীয় অপশন ব্যবহার না করাই ভাল। ভুল করে ফেললে মুছে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।
- একই পাসওয়ার্ড একাধিকবার ব্যবহার করা উচিত নয়। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল/ব্লগ/ফোরাম/ডাউনলোড সাইট ইত্যাদিতে লগইন করা থেকে বিরত থাকুন। অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পেছনে এটি একটি বড় কারন। একাধিক গোপন নম্বর মনে রাখতে সমস্যা হলে তা একটি ইমেইল হিসেবে আপনার গোপন ইমেইল বক্সে রাখুন।
- নিজের কম্পিউটার ছাড়া সাইবার ক্যাফে বা অন্যের কম্পিউটার থেকে গোপন নম্বরগুলো ব্যবহার না করাই ভাল। আর যদি করতেই হয় তাহলে নিজের কম্পিউটারে গিয়ে গোপন নম্বর পরিবর্তন করে ফেলুন।
- নিজের কম্পিউটার ছাড়া অন্য কোথাও অ্যাকাউন্ট এ লগইনের পর অবশ্যই মনে করে লগআউট করুন। এটি অনেকেই ভুলে যান।
- ইমেল বক্সে অটো ফরওয়ার্ড করার কিছু অপশন থাকে। মাঝেমধ্যে সেগুলো চেক করে দেখুন, আপনার ইমেইল বক্স থেকে অজানা কোন ইমেইল ঠিকানায় মেইল ফরওয়ার্ড হচ্ছে কিনা।
- প্রেরকের (Form) ঘরে আপনার পরিচিত কোন মেইল অ্যাড্রেস থাকা মানেই সেই ব্যাক্তি মেইল করেছে এমনটা মনে করার কোন কারন নেই। আরেকজনের মেইল আইডি Form-এর ঘরে বাসান যায়। সুতরাং সাবধান থাকুন।
- ইন্টারনেটে ব্যাক্তিগত তথ্য যতটা সম্ভব কম দেয়ার চেষ্টা করুন।