হার্ডওয়্যার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হার্ডওয়্যার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মাদারবোর্ড কেনার আগে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন।

motherboard
কমপিউটিরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল, কমপিউটার মাদারবোর্ড। কমপিউটিরে ব্যবহৃত সবরকম যন্ত্রই এই বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

ইনটেল চিপসেট ব্যবহার করে মাদারবোর্ড তৈরী করে, এমন অনেক কোম্পানি আছে, কিন্তু  তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেমন আসুস, গিগাবাইট, এম.এস.আই, ইত্যাদি, তবে ইন্টেল নিজেও মাদারবোর্ড তৈরী করে। এগুলি যেকোন একটি ব্যবহার করে আপনি একটি ভালো মানের কমপিউটার তৈরী করতে পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরী ভালো মানের মাদারবোর্ড বাজারে পাওয়া গেলেও , যাদের সার্ভিস ভালো সে সব কোম্পানির বোর্ড-ই কেনা ভাল।

 একটি ভালো মানের মাদারবোর্ড কিনতে আপনি যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন। 

১. প্রথম যে বিষয় টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল আপনি কি প্রসেসর ব্যাবহার করেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন মাদারবোর্ড কিনবেন।

২. এরপর যা লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল, মাদারবোর্ডটিতে কি ধরনের মেমোরির ব্যবহারের সুবিধা আছে (ডি.ডি.আর-২, ডি.ডি.আর-৩, ইত্যাদি ) এবং যে পরিমান মেমরি আপনি চাইছেন তা এই মাদারবোর্ডটিতে ব্যাবহার করা যাবে কিনা।

৩. প্রসেসর ও মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত এবং এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কিনা তা দেখে নিবেন। স্পিড বেশি হলে কাজের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন।

৪. মাদারবোর্ডে কতগুলো ইউ.এস.বি পোর্ট আছে তা দেখে নিন। যত বেশি পোর্ট থাকবে তত বেশি ইউ.এস.বি ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এখনকার বেশীরভাগ মাদারবোর্ডে ইউ.এস.বি-৩ পোর্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৫. মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্ক লাগানোর জন্য কয়টি SATA পোর্ট আছে তা দেখে নিন। বেশি পোর্ট থাকলে সেটি অবশ্যই ভাল।

৬. আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বা ক্যাপচারিং জাতীয় কাজ করতে চান তাহলে মাদারবোর্ডে পি.সি.আই স্লট আছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। মাদারবোর্ডে কি কি ধরনের স্লট এবং কয়টি করে আছে তাও দেখে নিন।

৭. আপনার যদি সি.পি.ইউ -এর ওভারক্লকিং এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন, তবে খেয়াল রাখবেন মাদারবোর্ডটিতে সি.পি.ইউ ওভারক্লকিং এর সুবিধা আছে কিনা।



২০১৩ তে আসছে গুগল টিভি

google tv
২০১৩ সালে বিশ্ব বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল আনতে চলেছে তাদের তৈরি গুগল টিভি। গুগল, টিভি আনবে এ খবরেই প্রযুক্তি বিশ্বে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আরো একটি নতুন কিছুর অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।

গুগল জানিছে, ২০১৩ সালেই ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা এলজি তৈরী দুটি গুগল টিভি বাজারে আনবে।

 টিভিগুলোতে থাকবে কোয়ার্টি রিমোট কন্ট্রোলসহ ন্যাচারাল স্পিচ রিকগনিশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছারাও আরো নানা রকমের বৈশিষ্ট্য। নানা রকমের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এ টিভিতে থাকছে কথা বলে নির্দেশ দেওয়ার (ভয়েস কমান্ড) দেওয়ার সুবিধা। এলইডি প্রযুক্তি এই টিভিগুলোতে প্যাসিভ অবস্থায় দেখা যাবে থ্রিডি সিনেমাও।

এলজি তৈরী নতুন টিভি দুটির মডেল হচ্ছে  '৪৭জি২ গুগল টিভি ' এবং  অন্য টি '৫৫জি২ গুগল টিভি'। যার মধ্যে প্রথমটি ৪৭ ইঞ্চি এবং দ্বিতীয়টি ৫৫ ইঞ্চি ।

এছারাও থাকছে অ্যান্ড্রয়েডের হানিকম্ব ৩.২ সংস্করণ, যার ফলে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটে ব্যবহারের উপযোগী যেকোনো অ্যাপ্লকেশন টিভিতেই ব্যবহার সম্ভব। স্লিম এবং আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত নতুন এই টিভির অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।


lg google tv
এলজি তৈরী গুগল টিভি


পেনড্রাইভের সর্বোচ্চ জায়গা ব্যবহার করুন

pendrive
নানা কারণে আমরা পেনড্রাইভ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পেনড্রাইভের সর্বোচ্চ সংখ্যক জায়গা ব্যবহার করা হয় না । ইচ্ছা করলে আপনার পেনড্রাইভের সর্বোচ্চ সংখ্যক জায়গা ব্যবহার করতে পারেন।

এ জন্য প্রথমেই আপনার পেনড্রাইভের সব ফাইল কম্পিউটারে কপি করে রেখে দিন।এরপর মাই কম্পিউটারে আইকনের উপর রাইট ক্লিক করে Properties/System Properties/Hardware/Device Manager অপশনে যান।
Disk drivers অপশন থেকে আপনার পেনড্রাইভটি খুঁজে বের করুন। যদি আপনি পেনড্রাইভ শনাক্ত করতে না পারেন, তাহলে প্রতিটি ড্রাইভে ডান ক্লিক করে Properties দেখুন।

যে ড্রাইভের Properties উইন্ডোতে device usage বক্সে Use this device (enable) লেখা দেখাবে সেটিই আপনার পেনড্রাইভ। পেনড্রাইভ শনাক্ত করার পর ডান ক্লিক দিয়ে তার Properties-এ যান।
এরপর Policies অপশনে যান Optimize for performance অপশন টি সিলেক্ট করুন।

ফরম্যাট উইন্ডো এলে File system হিসেবে ntfs এবং Allocation unit size হিসেবে 512 bytes দিন এবং Enable compression বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Start -এ ক্লিক করুন।

এরপর থেকে পেনড্রাইভে আগের তুলনায় বেশি ফাইল রাখতে পারবেন।

হিতাচি তৈরী করল বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স

Hitachi গ্লোবাল স্টোরেজ প্রযুক্তি তৈরী করল বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র 7mm 2.5 হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) সঙ্গে 7200rpm গতি এবং 500GB ধারন ক্ষমতা , যাতে একটি মাত্র প্ল্যাটার ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ডিভাইসটি অতি -পাতলা এবং কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ লক্ষ্য পুরন করতে পেরেছে ।

 বিদ্যুৎ শাস্রয়ী এই হার্ড ড্রাইভটি পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ২.১ ওয়াট, আর যখন কোন কাজ করে না তখন ০.৮ ওয়াট এবং standby মোডে 0.2 ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই 7mm হার্ডডিস্ক ড্রাইভ টি 7200rpm গতি, 32MB বাফার, সিরিয়াল ATA 6 Gb/s ইন্টারফেস এবং 1369 Mb/s (171 MB/s) মিডিয়া ট্রান্সফার রেট প্রদান করতে সক্ষম ।



বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স


কম্পিউটার কুলিং সিস্টেম

কম্পিউটার কে তার কার্যকার তাপমাত্রায় রাখতে হলে, কম্পিউটার চলার সময় যে অতিরিক্ত তাপমাত্রা উৎপন্ন হয় তা বের করে দেয়া খুবই জরুরি। এতে  কম্পিউটারের আয়ুস্কাল যেমন বাড়বে, তেমনি ভাবে কম্পিউটার এর কাজ করার ক্ষমতাও বাড়বে। কম্পিউটারের মধ্যে যে তাপ উৎপন্ন হয়, তা বের করে দেয়ার জন্য কম্পিউটারের নিজস্ব কুলিং সিস্টেম আছে, যাকে স্টক কুলিং সিস্টেম বলা হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, আমরা আমাদের কম্পিউটার কে যখন খুব বেশি লোড দেই, তখন কম্পিউটার এর নিজস্ব স্টক কুলিং সিস্টেম কম্পিউটার কে সম্পূর্ন ভাবে ঠান্ডা করতে পারে না। এর জন্য স্টক কুলিং সিস্টেম এর বাহিরেও আরো বিভিন্ন ধরনের কুলিং সিস্টেমের দরকার হয়।

কম্পিউটারের মধ্যে সাধারনত, প্রসেসর, চিপসেট, গ্রাফিক্স কার্ড, RAM ও  হার্ড ডিস্ক, এগুলোই তাপ উৎপন্ন করে থাকে। বর্তমানে বেশির ভাগ কম্পিউটারের বায়োসে এমন একটি প্রোগ্রাম দেওয়া থাকে, যার কাজ হচ্ছে, কম্পিউটার এর তাপমাত্রা বেড়ে যেতে লাগলেই তা কম্পিউটার ইউজার কে অ্যালার্ম দিয়ে জানিয়ে দেয়।

কম্পিউটারে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হয় যে যে কারনে

১) আমাদের কম্পিউটার এ যে সমস্ত কম্পনেন্ট গুলো তাপ উৎপন্ন করে, সেগুলোর সাথে সাধারনত হিট সিঙ্ক লাগানো থাকে।আবার যে সমস্ত হার্ডওয়্যার গুলো খুব বেশি তাপ উৎপন্ন করে, তাদের হিট সিঙ্ক এর সাথে ফ্যানও লাগানো থাকে। এখন, কোন কারনে যদি হিট সিঙ্ক এ ধুলো বালি জমে যায়, অথবা ধুলো-বালির জন্য হিট সিঙ্ক এ লাগানো ফ্যান টি ভালো ভাবে না ঘুরতে পারে, তবে কম্পনেন্ট গুলো থেকে তাপ সম্পূর্ন ভাবে বের হয়ে যেতে পারে না। এর ফলে অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন।

২) অনেক সময়, আমরা আমাদের কম্পিউটার এর কেস টাকে এমন জায়গায় রাখি, যেখানে সঠিক পরিমান ঠান্ডা বাতাস চলাচল করতে পারে না। আবার অনেক সময় কম দামি কম্পিউটার কেস এর জন্যও বাতাস চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
৩) আবার অনেক সময় আমরা, আমাদের কম্পিউটার এর বিভিন্ন হার্ডওয়্যার কে ওভারক্লকিং করে থাকি। ওভারক্লকিং এর জন্যও কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে যেতে পারে।
৪) এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারনে কম্পিউটার গরম হতে পারে।


ক্ষতিরোধকঃ

মাত্রাতিরিক্ত গরমের জন্য যেন কম্পিউটার এর হার্ডওয়্যার এর কোন ধরনের ক্ষতি না হয়, এ জন্য বিভিন্ন কম্পনেন্টের সাথে কিছু বিশেষ ধরনের যন্ত্র লাগানো থাকে, যাকে বলা হয়ে থাকে, থার্মাল সেন্সর। এদের কাজ হল, যখন কম্পিউটার এর কোন হার্ডওয়্যার তার কার্যকর তাপমাত্রার থেকে বেশি গরম হয়ে যায়, তখনই সেই হার্ডওয়্যার টিকে বন্ধ করে দেয়া, অথবা ইউজার কে জানানো যে, এই হার্ডওয়্যার টি গরম হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান কম্পিউটার প্রসেসর গুলোতে এই ধরনের থার্মাল সেন্সর লাগানো থাকে।


কম্পিউটার কুলিং এর কিছু পদ্ধতিঃ


এয়ার কুলিং

এই পদ্ধতিতে বাতাসের মাধ্যমে কম্পিউটার কে ঠান্ডা করা হয়ে থাকে। সাধারনত আমরা কম্পিউটারে যে ফ্যান গুলো ব্যাবহার করি সে গুলো বাইরে থেকে ঠান্ডা বাতাস কম্পিউটার এর কেস এর মধ্যে প্রবেশ করায় এবং কেস থেকে গরম বাতাস গুলো কম্পিউটার কেস এর এয়ার চ্যানেল দিয়ে বাইরে বের করে দেয়।
এয়ার কুলিং পদ্ধতির জন্য আমরা বিভিন্ন সাইজের ফ্যান ব্যবহার করে থাকি যেমন; ৪০, ৬০, ৮০, ৯২, ১২০ এবং ১৪০ মিলিমিটার। তবে বর্তমানে, কিছু কিছু কম্পিউটার কেস এ ২০০ মিলিমিটার এর ফ্যান ব্যবহৃত হচ্ছে।





ডেক্সটপ এর ক্ষেত্রেঃ 


আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এ সাধারনত দুইটি ফ্যান থাকে, এর একটি পাওয়ার সাপ্লাই এর সাথে এবং একটি থাকে কম্পিউটার কেস এর পেছন দিকে। সাধারনত প্রায় সকল নির্মাতারা (হার্ডওয়্যার নির্মাতা) যেটা রেকমেন্ড করেন, তা হচ্ছে, কম্পিউটার কেস এর সামনের নিচের দিকে একটি যথেষ্ট বড় কুলিং ফ্যান। এবং কেস এর উপর দিকে এয়ার ভেন্টিলেশন সিস্টেম, যার মাধ্যমে, সামনে ফ্যান টি ঠান্ডা বাতাস নিয়ে ভেতর থেকে গরম বাতাস কে কেস এর উপর দিয়ে বের করে দিতে পারে।
এক্ষেত্রে একটি বিশেষ সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। কিছু কিছু কম্পিউটার কেস এ দুটি ফ্যান থাকে। যার একটি কেস এর সামনে এবং একটি পেছনে। এখন যদি সামনের ফ্যান টি যেই ভলিউম এর ঠান্ডা বাতাস কেস এর মধ্যে প্রবেশ করাচ্ছে, সেই হারে পেছনের ফ্যান টি যদি ভেতরের গরম বাতাস না বের করে দিতে পারে, তবে কম্পিউটার কেস এর মধ্যে বাতাসের চাপের তারতম্য ঘটতে পারে। একে বলা হয়ে থাকে পজিটিভ এয়ার ফ্লো। কিছু কিছু সময় সামান্য পরিমানের পজিটিভ এয়ার ফ্লো কম্পিউটার কেস এ বাইরে থেকে ধুলো বালি ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু যদি এর বিপরীত ঘটনা ঘটে, যাদি নেগেটিভ এয়ার ফ্লো (যদি পেছনের ফ্যান টি যেই ভলিউম এ গরম বাতাস কেস এর মধ্যে থেকে বের করাচ্ছে, সেই হারে সামনের ফ্যান টি যদি ভেতরে ঠান্ডা বাতাস না প্রবেশ করাতে পারে) হয়ে যায়, তবে কম্পিউটার এর অপটিক্যাল ড্রাইভ গুলো তে বেশ কিছু সমস্যা সহ ধুলো বালি কম্পিউটার কেস এ ঢুকতে পারে।



সার্ভার এর ক্ষেত্রেঃ


আমাদের ডেক্সটপ কম্পিউটার এর কুলিং সিস্টেম আর একটি সার্ভারের কুলিং সিস্টেম এর মধ্যে এক বিশাল পার্থক্য দেখা যায়। ধরুন,  ডেক্সটপ টি অতিরিক্ত গরমে বন্ধ হয়ে গেল। কোন ঝামেলা নেই, কিন্তু হঠাৎ করে কথা নেই বার্তা নেই, আপনার সার্ভার টি যদি বন্ধ হয়ে যায় ? অথবা আপনার সার্ভারটির যদি কোন ক্ষতি হয়ে যায় ? এ সমস্ত বিষয় কে মাথা তে রেখে, সার্ভার এর কুলিং সিস্টেম টিকে তৈরী করা হয়েছে।
সার্ভার কে ঠান্ডা রাখার জন্য বাতাস কে সামনে থেকে টেনে এনে সার্ভার এর পেছন দিয়ে বের করে দেয়া হয়। আবার অনেক সময় সার্ভারের জন্য ব্লেড কেস ও ব্যবহৃত হয়। এর পেছনে মূল কারন থাকে, যখন সার্ভারের বিভিন্ন কম্পনেন্ট এর মাধ্যমে সার্ভার ভেতরে গরম হয়ে যায়, সে সময় গরম বাতাস উপরের দিকে উঠে যায়, এবং বাহির থেকে ঠান্ডা বাতাস সার্ভারের ভেতরে প্রবেশ করে। এটা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এবং এভাবে কাঙ্ক্ষিত এয়ার ফ্লো পাওয়া সম্ভব। এবং বর্তমানের প্রায় সকল সার্ভার নির্মাতারাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।



ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রেঃ


কুলিং সিস্টেম কে সবচাইতে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ল্যাপটপ কুলিং সিস্টেম। কেননা ল্যাপটপ যতবেশি ক্ষমতা সমপন্ন করা হবে, তাতে হিট জেনারেশন ততটাই বেশি হবে। কিন্তু এখানে আবার দুটো সমস্যা আছে। ল্যাপটপ এর আকার এবং এক ওজন। কম্পিউটার থেকে হিট বের করে দিতে হলে, তাতে যেমন ফ্যান এবং হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে সে পরিমান (সেই সাইজের) ফ্যান এবং হিট সিঙ্ক ব্যবহার করার জায়গা থাকে না। আবার যদি বড় মাপের হিট সিঙ্ক ব্যবহার করা হয়, তবে ল্যাপটপ এর ওজন ও আকার বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তবে বর্তমান  প্রসেসর গুলো লো পাওয়ার কম্পোনেন্ট। এই হার্ডওয়্যার গুলো তাদের সকল ক্ষমতা অপরিবর্তিত রেখেই খুব কম পাওয়ার এ চলার উপযোগী করে তৈরি করা। বর্তমানে ল্যাপটপ গুলিতে এক্সটারনাল কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।



কম্পিউটার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট

সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই বা SMPS
কম্পিউটার এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল সুইচ মোড পাওয়ার সাপ্লাই বা SMPS.
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর মূল কাজ হচ্ছে আমাদের ইলেট্রিক লাইন থেকে ইলেক্ট্রিসিটি সংগ্রহ করে তাকে কনভার্ট করা। আমাদের ইলেট্রিক এর লাইনে থাকে ২২০ থেকে ২৪০ ভোল্ট  এবং তা AC মোডে থাকে। আমাদের কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি এই ইলেট্রিকে ১২, ৬ এবং ৩.৩ ভোল্ট- DC, তে কনভার্ট করে।





 
ওয়াট = ভোল্টেজ x এম্পেয়ার (W= V x A)

সাধারনত সব ধরনের কম্পিউটার এর কাজের জন্য সব ধরনের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর দরকার হয় না। যেমন;
  • যে সমস্ত কম্পিউটার এ শুধু মাত্র টুক টাক কাজ করা হয়, (ইন্টারনেট সার্ফিং, মুভি দেখা, খুবি ছোট গেম খেলা, মাইক্রোসফট অফিস এ কাজ করা) তাদের জন্য ৩০০ ওয়াট এর একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট যথেষ্ট।
  • মাঝারি ধরনের একটি গেমিং কম্পিউটারের জন্য পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট হওয়া উচিত, ৫০০ থেকে ৮০০ ওয়াট এর।
  • হাই এন্ড কম্পিউটারের জন্য দরকার ৮০০ থেকে ১৪০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট।
  • খুবি শক্তিশালি সার্ভার (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গেমিং সার্ভার) এর জন্য ২ কিলো ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট লাগতে পারে।

কার জন্য কত ওয়াট দরকারঃ
  • নরমাল এজিপি কার্ডঃ ২০ থেকে ৩০ ওয়াট।
  • পিসিআই কার্ডঃ ৫ ওয়াট
  • SCSI পিসিআই কার্ডঃ ২০ থেকে ২৫ ওয়াট।
  • ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভঃ ৫ ওয়াট
  • নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ডঃ ৪ ওয়াট
  • সিডি রম ড্রাইভঃ ১০ থেকে ২৫ ওয়াট।
  • র‍্যামঃ ১০ ওয়াট (প্রতি ১২৮ মেগাবাইটের জন্য)
  • ৫৪০০ আর পি এম হার্ড ড্রাইভঃ ৫ থেকে ১১ ওয়াট
  • ৭২০০ আর পি এম হার্ড ড্রাইভঃ ৫ থেকে ১৫ ওয়াট
  • মাদারবোর্ড (সিপিউ, র‍্যাম ছাড়া)ঃ ২০ থেকে ৩০ ওয়াট।

গঠনঃ

বেশির ভাগ এস.এম.পি.এস স্কোয়ার শেপ, মেটাল বক্সের মধ্যে থাকে। সাধারনত দৈর্ঘ ৮৬ মিলিমিটার; প্রস্থ ১৫০ মিলিমিটার; এবং উচ্চতা ১৪০ মিলিমিটার;

 কমবেশি সাত ধরনের কানেক্টর দেখাযায় এখনকার দিনের এ টি এক্স পাওয়ার সাপ্লাই এ। এগুলো হচ্ছে,

২৪ পিন এ টি এক্স (P1)  মাদারবোর্ড এ পাওয়ার সাপ্লাই করে থাকে। সবচাইতে বড় এই কানেক্টরটি তে মোট ২৪ টি পিন থাকে, আসুন দেখে নেই এই ২৪ টি পিনের কোনটি কি কাজ করে,

২৪ পিন কানেক্টর

টিপসঃ এস.এম.পি.এস কাজ করছে কি না, তা জানার জন্য, ২৪ পিন এ টি এক্স কানেক্টর টির সবুজ এবং কালো রঙ এর পিন দুটি কে সর্ট করে দিন। এবার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি চালু করে দেখুন, ফ্যান ঘুরছে ? ঘুরলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি কাজ করছে।

কানেক্টর


৪ পিন মোলেক্স (4 pin molex): কম্পিউটার এর বিভিন্ন পেরিফেরাল কে চালাবার জন্য এই ৪ পিন এর কানেক্টর টি ব্যবহার করা হয়। যেমন, হার্ড ড্রাইভ, সিডি / ডিভিডি রম ইত্যাদি। লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, হলুদ রঙ এর তারে +১২ ভোল্ট, লালে +৫ ভোল্ট, এবং কালো হচ্ছে গ্রাউন্ড।

পিন এফ ডি ডি কানেক্টরঃ এই কানেক্টর টী শুধু মাত্র ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ এ পাওয়ার সাপ্লাই দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।একে অনেক সময়, মিনি মোলেক্স বলেও ডাকা হয়। এখানেও লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, হলুদ রঙ এর তারে +১২ ভোল্ট, লালে +৫ ভোল্ট, এবং কালো হচ্ছে গ্রাউন্ড।

৪ পিন, পি৪_১২ভোল্টঃ এই পিন্ টি এ টি এক্স পি এস ইউ এর নতুন সংযোজন।একে পি৪ পাওয়ার কানেক্টর বলেও ডাকা হয়। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর থেকে এর যাত্রা শুরু। পেন্টিয়াম ৪ প্রসেসর এর জন্য আলাদা ভাবে ১২ ভোল্ট বিদ্যুৎ প্রদান করাই এর কাজ।

সিরিয়াল এ টি এ পাওয়ার কানেক্টরসঃ আমাদের কম্পিউটার এর সাটা হার্ড ড্রাইভ এবং সাতা সিডি/ ডিভিডি রমের জন্য একটি স্পেশাল ধরনের ১৫ পিনের পাওয়ার কানেক্টর। এই ১৫ পিনের মধ্যে, ৩.৩ , ৫ এবং ১২ ভোল্ট সাপ্লাই হয়।

৬ পিন পিসিআই এক্সপ্রেস পাওয়ার কানেক্টরঃ আধুনিক যুগের গ্রাফিক্স কার্ড গুলো যে অনেক বেশি পরিমান বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, তাতো আমরা আগেই জেনে গেছি।আধুনিক বেশ কিছু গ্রাফিক্স কার্ড এর জন্য এই  ৬ পিন পিসিআই এক্সপ্রেস পাওয়ার কানেক্টর, যা গ্রাফিক্স কার্ড কে আলাদা ৭৫ ওয়াট পর্যন্ত পাওয়ার দিতে সক্ষম।

৬ পিন আউক্স পাওয়ার কানেক্টরঃ এই পাওয়ার কানেক্টর টির, সাধারন কম্পিউটার এ তেমন একটা কাজে না লাগলেও বিভিন্ন ধরনের এক্সপেনশন কার্ড এ এই ধরনের পাওয়ার কানেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।



কিছু তথ্যঃ
  • আপনি জানেন কি, একটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর গড় আয়ু কত ? খুব বেশি না, মাত্র ১ লক্ষ্য ঘন্টা বা ১১ বছর (প্রায়)। তবে এটা নির্ভর করে, আপনি আপনার কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট এর কিভাবে যত্ন নিচ্ছেন। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি কি বেশি গরম করে ফেলছেন ? ঠিক মতন এর গরম বাতাস যেন বের হয়ে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখছেন ? এর ফ্যানে যেন ধুলা বালি না জমে তা দেখছেন তো ? ইত্যাদি।
  • যে কম্পিউটার সিস্টেম এ ঠান্ডা বাতাস চলাচলের সব রকমের ব্যবস্থা আছে, সেই কম্পিউটার এর পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট টি ততো ভালো থাকে।
  • আধুনিক পাওয়ার সাপ্লাই গুলো এমন ভাবে তৈরী যে, আপনার কম্পিউটার কে সাট ডাউন করে রাখলেও আপনার কী বোর্ড এর কী বোর্ড পাওয়ার অন (Key Board Power ON – KBPO), Wake- On- LAN, Wake-On- Ring , পদ্ধতিতে চালু করে ফেলতে পারবেন।

 

LCD ও LED মনিটরের পার্থক্য

মনিটর এর ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল  হালকা-পাতলা গড়নের এলসিডি মনিটর। কিন্তু বর্তমানে এলসিডিকে ছাপিয়ে এলইডি মনিটর ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যার মূলে রয়েছে এলইডি মনিটরের বেশ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য। এলইডি মনিটরে ছবি দেখার সাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি এর পিকচার কোয়ালিটিও খুবই উন্নত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এলইডি মনিটর, এলসিডি মনিটরেরই একটি উন্নত রূপ।

LCD ও LED মনিটরের কিছু পার্থক্য

টেকনোলজী:
সাধারণ এলসিডি মনিটরে লাইটিং এর জন্য লাইটিং প্যানেল ব্যবহৃত হয়। দুইটি পাতলা, স্বচ্ছ কাঁচের প্যানেলের মাঝে polaraised Liquid Crystal থাকে, যা ছবি তৈরী করে। অপরদিকে এলইডি মনিটরে ব্যবহার করা হয় CCFL [Cold Cathode Fluoroscent Lamps] নামে একপ্রকার ব্যাকলাইটিং ডায়োড [Light Emitting Diode]। এর নামানুসারেই LED মনিটরের এরূপ নামকরণ হয়েছে।

পাওয়ার কনসাম্পশন:
এলইডি মনিটরের পাওয়ার কনসাম্পশন এলসিডির তূলনায় নগণ্যই বলা চলে। এলসিডি অপেক্ষা প্রায় ৪০% কম পাওয়ার খরচ করে এলইডি মনিটর।

Viewing Angle:
LED মনিটরে প্রযুক্তিগত কারণেই LCD মনিটরের চেয়ে তূলনামূলকভাবে ভালো viewing angle পাওয়া যায়। তীর্যকভাবে দেখলে LCD monitor এ যেমন রং চেন্জ হয়ে যায় মনে হয়, কন্ট্রাস্ট খারাপ মনে হয়, LED monitor এ সেইসব সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে।

Sun light viewing:
উজ্জল সূর্যের আলোতে এলইডি মনিটরে এলসিডির তুলনায় ভালো দেখা যায়। এইজন্য বর্তমান যুগের মোবাইল বা ট্যাবলেট পিসি গুলোতে LED বা LED এর কিছু উন্নততর সংস্করণ, যেমন AMOLED [Active-Matrix Organic Light-Emitting Diode] বা Super AMOLED ব্যবহৃত হচ্ছে।

কন্ট্রাস্ট:
LED মনিটরের ডায়নামিক এবং টিপিক্যাল উভয় প্রকার কন্ট্রাস্টই LCD মনিটরের তূলনায় বেশি। ফলে শার্প ইমেজ পাওয়া যায়। কন্ট্রাস্ট বেশি হলে “ডিটেইল” গুলোও ভালোভাবে দেখা যায়। সুতরাং গেমিং বা মুভির আসল মজা LED তেই সবচেয়ে বেশি উপভোগ করা যায়।

চোখের জন্য আরামদায়কতা:
এইদিক থেকেও এলইডি এগিয়ে রয়েছে। এলইডি মনিটরে দীর্ঘসময় ধরে তাকিয়ে থাকতেও অস্বস্তি বোধ হয়না। কিন্তু এলসিডি মনিটর সামান্য হলেও চোখের জন্য কম আরামদায়ক। মুভি দেখার জন্য LED তাই খুবই উপকারী।

স্থায়ীত্ব:
হিসাব করে দেখা গেছে একটি LCD montior ৬০,০০০ ঘন্টা [দিনে ১০ ঘন্টা করে প্রায় ১৬ বছর] পর্যন্ত চলতে পারবে যেখানে LED monitor ১০০,০০০ ঘন্টা [দিনে ১০ ঘন্টা করে প্রায় ২৭ বছর!] পর্যন্ত চলতে সক্ষম। তবে ব্যাপারটি এমন নয় যে এই সময়ের পরে মনিটর নষ্ট হয়ে যাবে… ব্যাপারটি হল: এই সময়ের পরে কেনার সময়ের সময় যেই ব্রাইটনেস ছিল, তা কমতে থাকবে।

তাপমাত্রা:
যেহেতু LED তে LCD এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হয়, তাই স্বাভাবিকভাবেই LED monitor, LCD monitor এর চেয়ে কম গরম হয়।

পরিবেশ বান্ধবতা:
এলসিডি মনিটরে ব্যবহার করা হয় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পারদ। নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করলে তা পরিবেশের ক্ষতি করে। অপরদিকে এলইডি মনিটরে পারদ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

দাম:
এলসিডি ও এলইডি মনিটরের ক্ষেত্রে দামের পার্থক্য খুব একটে বেশি নয়। তুলনামূলক ভাবে এলইডি মনিটরের দাম এলসিডি মনিটরের তুলনায় বেশি।পাওয়ার কনসাম্পশন ও অন্য সবকিছু মিলিয়ে দেখলে LED ই বেশি সুবিধা জনক ।

কমপিউটার মাদারবোর্ডের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

মাদারবোর্ড একটি সার্কিট যার মাধ্যমে প্রসেসর, মেমোরি, এক্সপানশন কার্ড সহ আরও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযুক্ত থাকে। একটি মাদারবোর্ড এর মূলত নিম্ললিখিত জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ ।
১) সকেট
২) চিপসেট
৩) বায়োস

১) সকেট -
সকেট হচ্ছে একটি ইন্টারফেস যার সাহায্যে প্রসেসর কে মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত করা হয়। বিভিন্ন মডেলের প্রসেসরের জন্য বিভিন্ন সকেট ব্যবহার হয়। দুই ধরণের সকেট হয়ে থাকে। একটা হল ZIF আর আরেকটি হল LGA. Land Grid Array কে LGA বলা হয়। Zero Insertion Force কে ZIF বলে।। মূলত সব মাদারবোর্ড কোম্পানিই প্রায় সব ধরনের সকেট এর মাদারবোর্ড তৈরি করে থাকে। কোন নির্দিষ্ট প্রসেসররে জন্য যে সকেট লাগে, তা সাধারনত সেই প্রসেসর যে কোম্পানি তৈরি করেছে তারাই তা তৈরি এবং অন্য দের দিয়ে থাকে। যেমন ইন্টেল Core i3, i5, i7 সিরিজ এর জন্য যে সকেট লাগে তা ইন্টেল তৈরি করে ও তারপর মাদারবোর্ড কোম্পানি তা ইন্টেল থেকে কিনে নিয়ে তাদের মাদারবোর্ড এ ব্যাবহার করে। এখন LGA সকেট সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রসেসরের জন্য বিভিন্ন সকেট আছে। যেমন পেন্টিয়াম প্রসেসরের সকেট হল LGA 771. কোর টু ডুও এর সকেট LGA 775. আর কোর সিরিজের প্রসেসর বসানো হয় LGA 1156 সকেটে। বিভিন্ন সকেটের বাস স্পীড আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

ZIF সকেট -












LGA সকেট -








কোর টু ডুও সকেট -












সাধারণত একটা বোর্ড এ একটাই প্রসেসর থাকে। তবে সম্প্রতি একাধিক প্রসেসর সকেট-যুক্ত বোর্ড পাওয়া যায়।


২) চিপসেট -
কমপিউটার এর চিপ হচ্ছে খুবই ছোট আকারের ইলেক্ট্রনিক সার্কিট। সিলিকন সেমিকনডাকটর ও ট্রানজিসটর একসাথে করে এই চিপ বানানো হয়। চিপসেট হচ্ছে বিশেষ কিছু চিপের সমন্বয় যা এক্সপানশন কার্ড গুলতে থাকে এবং তা ইলেক্ট্রনিক ডাটা সিগনাল পরিবহনের কাজ করে। চিপসেট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যা একটি মডেল নাম্বার দ্বারা সূচিত করা হয়।অর্থাত চিপসেট হল যে পেরিফেরাল প্রসেসর এবং অন্যান্য ডিভাইস এর সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলে। আধুনিক আর্কিটেকচার অনুযায়ী মাদারবোর্ড চিপকে দুইটি অংশে ভাগ করা হয়। একটাকে বলা হয় নর্থব্রিজ আরেকটা সাউথব্রিজ।

নর্থব্রিজ:
এটা মাদারবোর্ড এর হাই-স্পীড ডিভাইসগুলোকে কন্ট্রোল করে। অর্থাৎ প্রসেসর, র‍্যাম, ভিডিও প্রসেসর এর সাথে যুক্ত থাকে। একে অনেক সময় ‘মেমরি কন্ট্রোলার হাব’ও বলা হয়। আপনারা মাদারবোর্ডে যে হিটসিঙ্ক দেখতে পান তার নিচের চিপটাই নর্থব্রিজ। এটা একই সাথে প্রসেসর, ভিডিও আর র‍্যামকে কন্ট্রোল করে। বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ডে এটাই ভিডিও প্রসেসর হিসেবে কাজ করে। আধুনিককালে নর্থব্রিজের সবটুকু অংশ প্রসেসরে ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে। তাই মাদারবোর্ড এ বাকি যে চিপ থাকে সেটা সাউথব্রিজ।

সাউথ ব্রিজ:
মাদারবোর্ড এর অন্যান্য স্লো-স্পীড ডিভাইস যেমন বায়োস, পিসিআই বাস, ইউএসবি,  স্টোরেজ ডিভাইস, ক্লক, অডিও ডিভাইস, এনআইসি ইত্যাদি কন্ট্রোল করে যে চিপ সেটা সাউথ ব্রিজ। আপনারা মাদারবোর্ড এ হিটসিঙ্ক ছাড়া আরেকটি যে বড় চিপ দেখতে পান সেটাই সাউথ ব্রিজ।

নর্থব্রিজ আর সাউথব্রিজের ছবি –



মাদারবোর্ড এ বিভিন্ন মডেলের চিপসেট লাগানো থাকে। 910, 915, 945, 965, 975, P31, P35, G31, G33, G35, X38, X48, P43, P45, G31, G33, G41, G43, G45, H55, H57, H61, H67, X79 ইত্যাদি হল বিভিন্ন চিপসেট। আলাদা আলাদা চিপসেটের বাস, পোর্ট, পিসিআই স্লট ইত্যাদি এর ধারণক্ষমতা আলাদা আলাদা হয়।

 ৩) বায়োস -

বেসিক ইনপুট আউটপুট সিস্টেম বা বায়োস হচ্ছে কমপিউটার এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কমপিউটার এর সকল সিস্টেম ইনফরমেশন সংরক্ষিত করে রাখে। যেমন প্রসেসর মডেল, স্পিড, RAM এর পরিমান, হার্ডডিস্ক এর মডেল, সহ আরও অনেক কিছু যা হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করলেও নিজে নিজে তার তালিকা তৈরি করে নেয়। বর্তমানে নতুন মাদারবোর্ড এর বায়োস সকল রকমের Overclock করার ব্যাপারে সহায়তা করে। তাছাড়া এতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের ব্যাবস্থা আছে যাতে করে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার উপরে পিসি কাজ বন্ধ করে দেয়। তাছাড়া বর্তমানে গিগাবাইটের ডুয়াল বায়োস সমৃদ্ধ মাদারবোর্ড এ একটি সেকেন্ডারি বায়োস আছে যা প্রথমটি নষ্ট হয়ে গেলেও পিসি কে সচল রাখে।

ভোলাটাইল মেমরি: 
ভোলাটাইল মেমরি মানে হল যে মেমরি পাওয়ার চলে গেলে মুছে যায়। RAM বা Random Access Memory  হল ভোলাটাইল মেমরি। RAM দুই ধরণের হয়ে থাকে। এখন D-RAM বা ডাইনামিক র‍ন্ডম অ্যাক্সেস মেমরি বেশি ব্যাবহৃত হয়। এটা প্রসেসর এর কার্যক্ষেত্র বা ড্রাফট পেপারের মত কাজ করে। মেমরি লাগানোর জন্য যে স্লট থাকে তাকে বলে DIMM বা Dual In-line Memory Module. আধুনিক র‍্যাম বা মেমরি মডিউলে সার্কিট বোর্ডের দুপাশে মেমরি চিপ বসানো থাকে বলে এরকম বলা হয়। মেমরি দেখতে এরকম -

নন-ভোলাটাইল মেমরি:
পাওয়ার চলে গেলেও যেসব ডিভাইস স্থায়ীভাবে ডাটা রেখে দিতে পারে তাদের নন-ভোলাটাইল মেমরি বলে। হার্ডডিস্ক, অপ্টিকাল ড্রাইভ, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ইত্যাদি হল এরকম মেমরির উদাহরণ।

সিস্টেম ক্লক:
মাদারবোর্ড এ একটা আইসি থাকে যেটা থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর সিগনাল উৎপন্ন হয়। আপনারা জানেন যে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস গুলো কাজ করে স্পন্দনের সাহায্যে। এই টাইম সিগনাল জেনারেটর পিসি চালু হওয়ার সময় নির্দিষ্ট মানের সিগনাল উৎপন্ন করে দেয়। তবে এই স্পন্দনকে পরিবর্তন করে আরো বেশী পারফরমেন্স পাওয়া সম্ভব যাকে বলে ওভারক্লকিং।

এক্সপেনশান স্লট:
মাদারবোর্ড এ বিভিন্ন পেরিফেরাল যুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি পিসিআই বা পিসিআই-ই স্লট থাকে। এগুলোতে ল্যান কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ভিডিও কার্ড, টিভি কার্ড, মডেম, ওয়াই-ফাই কার্ড ইত্যাদি লাগানো যায়। এখনকার মাদারবোর্ডের পিসিআই স্লটগুলো এরকম -

পাওয়ার কানেক্টর:
সমস্ত সিস্টেম চালু রাখতে শক্তির দরকার। পাওয়ার কানেক্টরের মাধ্যমে পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট থেকে মাদারবোর্ড ও এর বিভিন্ন অংশ বিদ্যুৎ পায়। সাধারণত ২০ পিন বা ২৪ পিন বিশিষ্ট সকেটের মাধ্যমে মাদারবোর্ড পাওয়ার পায়।


মাদারবোর্ডের বিভিন্ন পোর্ট-


সাটা:
Serial Advanced Technology Attachment থেকেই সাটা এর নামকরণ। খুব দ্রুতগতি সম্পন্ন পোর্ট যার সাথে হার্ডডিস্ক, ডিভিডি বা সিডি ড্রাইভ ইত্যাদি লাগানো থাকে। অনেকদিন ধরে সাটা ২.০ ব্যাবহৃত হয়ে আসলেও এখন সাটা ৩.০ যুক্ত মাদারবোর্ড পাওয়া যাচ্ছে। সাটা ২.০ এর গতি ৩ গিগাবিট/সেকেন্ড আর সাটা ৩.০ এর গতি ৬ গিগাবিট/সেকেন্ড। অনেক মাদারবোর্ডে ই-সাটা (External SATA) নামের আরেকটি পোর্ট থাকে। এটা আসলে সাটা পোর্টের একটা ইন্টারফেস যেটা কেসিংএর বাইরে থাকে এবং যেকোন সাটা হার্ডডিস্ক বা সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ লাগিয়ে একই গতিতে কাজ করা যায়। কিছু ল্যাপটপে ই-সাটার সাথে ইউএসবি কম্বাইন করে পোর্ট বানানো থাকে।

প্যারালাল-এটিএ:
Parallel ATA থেকে পাটা নামের উৎপত্তি। প্যারালাল পদ্ধতিতে কাজ করে বলে এর গতি অনেক কম, মাত্র ১৩৩ মেগাবিট/সেকেন্ড। আর বড় সমস্যা,একটি পোর্টে সর্বোচ্চ ২টা ডিভাইস লাগানো সম্ভব। এর সকেট ৪০ পিনের। ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের গবেষণার ফসল এই পোর্ট যে কেবল দিয়ে লাগানো হয় তার নাম আইডিই বা Integrated Drive Electronics. SATA আসার পর থেকে এর ব্যাবহার কমে যায়।

ইউএসবি:
Universal Serial Bus নামে পরিচিত এই পোর্ট খুব বেশি জনপ্রিয় কারণ এই বাসে এমুলেট করে ডিস্ক, ফ্ল্যাশ স্টোরেজ, মডেম, ল্যান, সাউন্ড কার্ড ইত্যাদি অসংখ্য ডিভাইস কম্পিউটারে যুক্ত করা সম্ভব। এর তিনটি ভার্সন রয়েছে। ইউএসবি ১.১ এর গতি ১২মেগাবিট/সেকেন্ড, ইউএসবি ২.০ এর ৪৮০মেগাবিট/সেকেন্ড, আর ইউএসবি ৩.০ এর গতি ৩গিগাবিট/সেকেন্ড।

সিরিয়াল পোর্ট ও প্যারালাল পোর্ট:
আগে এই পোর্ট গুলোর ব্যাবহার ছিল। প্রিন্টার, ক্যামেরা, মডেম, মাউস ইত্যাদি পিসি এর সাথে কানেক্ট করতে এই পোর্টগুলো ব্যাবহার করে হত।

পিএস/টু পোর্ট: 
 আইবিএম কম্পিউটার এর প্রবর্তিত Personal System/2 নামের এই পোর্টের সাহায্যে মাউস ও কিবোর্ডকে মাদারবোর্ড এর সাথে যুক্ত করা হয় এবং সাউথব্রিজ তাদের কন্ট্রোল করে। এটা ৬ পিন বিশিষ্ট হয়।

এছাড়াও মাদারবোর্ড এ ইন্টিগ্রেটেড সাউন্ড বা নেটওয়ার্ক ডিভাইস থাকলে এদের আউটপুট পোর্ট এবং প্রসেসর আর সিস্টেম কুলিং ফ্যানের পাওয়ার সকেট থাকে ।

একটি ভালো গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে হলে কি কি জানা দরকার?

একটা ভালো গ্রাফিক্স কার্ড কেনা সহজ নয়। আসুন, কিছু তথ্য জেনে নেই যেগুলো আশা করা যায় আপনাকে ভালো গ্রাফিক্স কাড বাছাই করতে সাহায্য করবে।


graphics card
মেমোরিই  : আপনার এমন একটি কার্ড অবশ্যই বাছাই করা উচিত যাতে মেমোরি তথা র‌্যাম আছে অনেক। আপনি বর্তমান বাজার অনুযায়ী ৫১২ মেগাবাইট অথবা ১ গিগাবাইট মেমোরি যুক্ত কার্ড কিনতে পারেন। তবে সবসমই মনে রাখবেন, মেমোরিই সব নয়। গ্রাফিক্স কার্ডের বাজারে এমন অনেক কার্ড পাবেন যাদের মেমোরি অনেক বেশি কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে সেরকম পারফরমেন্স পাওয়া য়ায়না। তবে বেশি মেমোরি সবসময়ই বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে।

গ্রাফিক্স প্রসের : মেমোরি অবশ্যই অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। তবে একটি গ্রাফিক্স কার্ডের হার্ট বা মস্তিস্ক যাই বলুন, সবই হলো তার চিপ বা প্রসেসর। এটি-ই সবধরনের থ্রিডি গ্রাফিক্স রেন্ডার করে থাকে। বাজারে দুটি কোম্পানী আছে যারা এই চিপ গুলো বানাবার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে। ATI Radeon ও nVidia। কিন্তু আপনার প্রয়োজন মেটাবার জন্যে কেবল এটুকুই জানা যথেষ্ট নয় যে কার্ড ATI Radeon অথবা nVidia চিপ দিয়ে তৈরি। আপনাকে আরও কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে যেমন, GT, GS, GTX, XT, XTX ইত্যাদি। এই ইনিশিয়াল গুলো শুধুমাত্র অক্ষর নয় বরং তারা কার্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এর ব্যপারে তথ্য প্রকাশ করে।

পাইপলাইন ও ক্লক-স্পীড : একটি গ্রাফিক্স কার্ড এর দক্ষতা কতটুকু হতে পারে তার একটা ধারণা আপনি পেতে পারেন এর ক্লক-স্পীড ও পাইপলাইন এর মাত্রা হিসেব করে। ব্যপারটা অনেকটা এভাবেও দেখা যায়, পারফন্মমেন্স যদি হয় একটা হাইওয়ে দিয়ে ঘন্টায় কতগুলো গাড়ি ক্রস করতে পারে তবে পাইপলাইন হবে সেই হাইওয়ের লেন। যতবেশি লেন বিশিষ্ট হাইওয়ে হবে, ততবেশি গাড়ি ঘন্টায় ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারবে। আর ক্লক-স্পীডের তুলনা করা যায় ওই রোডের জন্যে গাড়ির স্পীড-লিমিট দিয়ে। যতবেশি স্পীডে গাড়ি যেতে পারবে, ততবেশি পরিমান গাড়ি একক সময়ে রাস্তা ক্রস করতে পারবে। এখন, এই রাস্তা দিয়ে কতগুলো গাড়ি যেতে পারবে তা নির্ভর করবে লেন সংখ্যা ও স্পীড-লিমিট এর স্বমন্বয়ের উপরে। সেভাবেই, গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রেও এর পারফন্মমেন্স অনেকাংশেই নির্ভর করবে এর পাইপলাইন এর পরিমান ও কার্ডের চিপের ক্লক-স্পীডের উপর। তবে পাইপলাইন ও ক্লক-স্পীডের মাঝে তুলনা করতে গেলে দেখা যায় বেশি পাইপলাইন বিশিষ্ট কার্ডই বেশি ভালো ফলাফল দেয়। সাধারণত, প্রাথমিক লেভেলের কার্ডগুলো চারটি, মিড লেভেলের কার্ডগুলো আট থেকে বারো এবং হাই লেভেলের কার্ডগুলো ষোল বা তার থেকেও বেশি পাইপলাইন বিশিষ্ট হয়ে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম ও ডাইরেক্ট এক্স : গ্রাফিক্স কার্ডের পারফন্মমেন্স বেশ খানিকটা নির্ভর করে সেটা কোন প্লাটফর্মে চলছে তার উপর। আজকালকার হাই-ফাই কার্ডগুলো উইন্ডোজ সিস্টেমের মধ্যে সবচেয়ে ভালো কাজ করে ভিস্তা ও ডাইরেক্ট-এক্স ১০ সমৃদ্ধ মেশিনগুলোতে। ডাইরেক্ট-এক্স ১০ এর বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি গ্রাফিক্স কার্ড ও সিস্টেম এর মধ্যে ডাটা ট্রান্সফার করে অত্যন্ত্য সাবলীল গতিতে। এছাড়াও আরও অনেক বিশেষ বিশেষ ফিচার আছে ডাইরেক্ট এক্স ১০ এর। সুতরাং কার্ড কিনবার সময় এটি ডাইরেক্ট এক্স ১০ সাপোর্টেড কিনা তা বুঝে নিন।

গ্রাফিক্স কার্ড কিনবার সবচেয়ে ভালো সময় বলে কিছু আছে? :
graphics card
হ্যা। আপনি যদি একটু প্লান করে চলেন, তবে কম দামে তুলনামূলক ভালো কার্ড বাজার থেকে কিনতে পারবেন। কি সে প্ল্যান? এটা হলো সময়। ATI Radeon ও nVidia নিজেদের মাঝে প্রতিদ্বন্দিতা ও তাদের বাজার ধরে রাখার চেষ্টায় প্রতি ১২ থেকে ১৮ মাসের মাথায় একটি করে নতুন চিপ বাজারে আনে। প্রতি চিপে আগেরটার তুলনায় বেশি ফিচার সাপোর্টেড। ফলাফল, নতুন চিপসহ কার্ডগুলো বাজারে আসা মাত্র পুরনোগুলোর দাম হুহু করে নেমে যায় অনেকখানি। ঠিক এই সময়টাতেই, নতুন রিলিজ হওয়া কার্ডগুলোর দিকে নজর না দিয়ে আপনি যদি তার আগের জেনারেশনের কার্ডগুলো ট্রাই করেন তবে লাভবান হবেন। বেশি দাম দিয়ে নতুন জেনারেশনের লো-এন্ড কার্ড না কিনে প্রায় সেই পরিমান টাকা খরচ করে আগের জেনারেশনের হাই-এন্ড কার্ড কেনাটা অনেক বেশি বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


পাওয়ার সাপ্লাই:
graphics cardবর্তমানের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো অত্যন্ত বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ-এর প্রয়োজন। এখনকার একটি হাই-এন্ড কার্ড সমপূর্ণ ক্ষমতায় চলবার সময় প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ওয়াট পরিমান বিদ্যুৎ টানতে থাকে। উপযুক্ত পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট না থাকলে আপনার পিসি সম্ভবত র্স্টাটই হবে না। বাজারে বর্তমানে অত্যন্ত্য দামী কিছু পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো আপনার গ্রাফিক্স কার্ডেও ক্ষুধা মেটাতে পারবে। গ্রাফিক্স কার্ড কিনবার আগে বক্সের গায়ে এর পাওয়ার ফ্যাক্টরগুলো দেখে নিন। কার্ডগুলো সাধারণত ৪০০ ওয়াট এর পাওয়ার সাপ্লাই এ ভালো রান করে থাকে।
এসব ছাড়াও, আপনি আপনার নতুন কেনা গ্রাফিক্স কার্ডকে ভালো পরিবেশে রান করাতে পারবেন কিনা তা কিনবার আগেই চিন্তা করুন। ভালো কেসিং, ভালো কুলিং সিস্টেম ও ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ভালো গ্রাফিক্স কার্ডের জন্যে খুবই দরকারী।

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu