কমপিউটার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কমপিউটার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মাইক্রোসফট তৈরী করছে নতুন অপারেটিং সিস্টেম 'মিডোরি'

Microsoft Midori
মাইক্রোসফটের একটি Non-Windows ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার নাম মাইক্রোসফট  মিডোরি। আমরা মাইক্রোসফট Midori সম্পর্কে বেশী কিছু না শুনলেও এই প্রকল্পটি নিয়ে মাইক্রোসফট ২০০৮ সাল থেকে কাজ করে আসছে। এই প্রকল্পটি বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভিপি টেরি Myerson - এর নেতৃত্বে কাজ করছে। নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম টি তৈরীর জন্য একটি নতুন ভাষা (Computer Language) তৈরী করা হয়েছে। যার নাম M # (এম শার্প)। এই নতুন ভাষা টি প্রায় সি# মতো, সি# এর অনেক এক্সটেনশন নিয়ে এটি তৈরী। এই ভাষাটি সম্পূর্ণরূপে  তৈরী সম্পন্ন হলে ওপেন সোর্স এ পরিবর্তিত করা হতে পারে ।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে টিকে থাকতে নতুন প্লাটফর্মের এই অপারেটিং সিস্টেমটি  তৈরীর প্রকল্প হাতে নিয়েছে মাইক্রোসফট।

আপনার কম্পিউটার কী ভাইরাসে আক্রান্ত ?

কম্পিউটার ভাইরাস কী ?

computer virus


কম্পিউটার ব্যবহার করছেন কিন্তু কম্পিউটার ভাইরাসের নাম শোনেনি এরকম কেউ হয়তো নেই, প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ভাইরাস সস্পর্কিত অভীগতা আছে, কিন্তু এই কম্পিউটার ভাইরাস আসলে কি ? কীভারে এরা কম্পিউটারের ক্ষতি করে থাকে।
কম্পিউটার ভাইরাস প্রাণীর শরীরে কাজ করে এরকম কোন ভাইরাসের মতো না, অর্থাৎ জীবন্ত কিছু না। কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরণের কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই নিজে নিজেই কাজ করতে পারে। জীবন্ত ভাইরাসের মত এরা প্রকৃত ভাইরাসটি ফাইল টিকে পরিবর্তিত করতে পারে। যা কম্পিউটারের ম্বাভাবিক কাজ কে ব্যহত করে । 
এই ভাইরাসের সংক্রমন ঘটতে পারে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে। যেমন: পেন ড্রাইভ, ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং, ই-মেইল, এমনকি ইণ্টারনেটের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।

একটি ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটারে সাধারনত যে যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।

১। কম্পিউটার বিভিন্ন ম্বাভাবিক কাজ গুলো হতে বেশি সময় লাগা। যেমনঃ- কম্পিউটার চালু হতে বা নতুন কোন প্রোগ্রাম ইন্সটলের হতে বা কোন ফাইল ওপেন হতে সময় বেশি লাগা, এমনকি অনেক সময় হঠাৎ কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়া।

২। মাঝে মধ্যে কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়া।

৩। কম্পিউটার চালু অবস্তায় কিছু মেসেজ দেখতে পাওয়া। যেমনঃ-File not Found, Out Of Memory ইত্যাদি।

৪। হার্ডডিস্কে ফ্রী স্পেস অম্বাভাবিক ভাবে কমে আসা, ডিস্কে ব্যাড সেক্টর তৈরী হওয়া এর ফলে কম্পিউটার এর গতি কমে যাওয়া।

৫। টাস্ক ম্যানেজার কাজ না করা।

৬। অনেক সময় বিভিন্ন ফোল্ডারের আইকন পরিবর্তন করতে না পারা।

৭। Exe, Com, bat ইত্যাদি ফাইল গুলো ডিলিট করে হয়ে যাওয়া, আনেক ফাইল হিডেন ফাইল তৈরী হওয়া ইত্যাদি।

৮। কম্পিউটারে ফাইল গুলো এমন নাম ধারণ করবে যা পড়তে না পারা, ও কিছু কিছু ফাইল নিজে থেকেই হিডেন(Hidden) হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি ।




মাদারবোর্ড কেনার আগে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন।

motherboard
কমপিউটিরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ন হার্ডওয়্যার হল, কমপিউটার মাদারবোর্ড। কমপিউটিরে ব্যবহৃত সবরকম যন্ত্রই এই বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

ইনটেল চিপসেট ব্যবহার করে মাদারবোর্ড তৈরী করে, এমন অনেক কোম্পানি আছে, কিন্তু  তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেমন আসুস, গিগাবাইট, এম.এস.আই, ইত্যাদি, তবে ইন্টেল নিজেও মাদারবোর্ড তৈরী করে। এগুলি যেকোন একটি ব্যবহার করে আপনি একটি ভালো মানের কমপিউটার তৈরী করতে পারবেন।

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরী ভালো মানের মাদারবোর্ড বাজারে পাওয়া গেলেও , যাদের সার্ভিস ভালো সে সব কোম্পানির বোর্ড-ই কেনা ভাল।

 একটি ভালো মানের মাদারবোর্ড কিনতে আপনি যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন। 

১. প্রথম যে বিষয় টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা হল আপনি কি প্রসেসর ব্যাবহার করেন, তার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন মাদারবোর্ড কিনবেন।

২. এরপর যা লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল, মাদারবোর্ডটিতে কি ধরনের মেমোরির ব্যবহারের সুবিধা আছে (ডি.ডি.আর-২, ডি.ডি.আর-৩, ইত্যাদি ) এবং যে পরিমান মেমরি আপনি চাইছেন তা এই মাদারবোর্ডটিতে ব্যাবহার করা যাবে কিনা।

৩. প্রসেসর ও মাদারবোর্ডের বাস স্পিড কত এবং এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য আছে কিনা তা দেখে নিবেন। স্পিড বেশি হলে কাজের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন।

৪. মাদারবোর্ডে কতগুলো ইউ.এস.বি পোর্ট আছে তা দেখে নিন। যত বেশি পোর্ট থাকবে তত বেশি ইউ.এস.বি ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এখনকার বেশীরভাগ মাদারবোর্ডে ইউ.এস.বি-৩ পোর্ট ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৫. মাদারবোর্ডে হার্ডডিস্ক লাগানোর জন্য কয়টি SATA পোর্ট আছে তা দেখে নিন। বেশি পোর্ট থাকলে সেটি অবশ্যই ভাল।

৬. আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বা ক্যাপচারিং জাতীয় কাজ করতে চান তাহলে মাদারবোর্ডে পি.সি.আই স্লট আছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। মাদারবোর্ডে কি কি ধরনের স্লট এবং কয়টি করে আছে তাও দেখে নিন।

৭. আপনার যদি সি.পি.ইউ -এর ওভারক্লকিং এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন, তবে খেয়াল রাখবেন মাদারবোর্ডটিতে সি.পি.ইউ ওভারক্লকিং এর সুবিধা আছে কিনা।



পশ্চিমবঙ্গের কিছু কলেজে ভর্তির অনলাইনে ফর্ম জমার সুবিধা।

admission
২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে পশ্চিমবেঙ্গের কিছু কিছু কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ চলছে. যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা সদ্য উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে চাইছো তাদের সুবিধার জন্য কিছু কলেজের ওয়েব সাইটের লিংক এখানে দেওয়া হল।






নিচের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটের লিংক গুলোতে ক্লিক করুন।

১) যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা।

২) প্রসিডেন্সি বিশ্ব-বিদ্যালয়, কলকাতা।

৩) আশুতোষ কলেজ, কলকাতা।

৪) স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা।

৫) লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, কলকাতা।

৬) সেন্ট-জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতা।

৭) সুরেন্দ্র নাথ কলেজ, কলকাতা।

৮) যোগমায়া দেবী কলেজ, কলকাতা।

৯) গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স, কলকাতা।

১০) সিটি কলেজ, কলকাতা।

১১) বেধুন কলেজ, কলকাতা। 

১২) পি.ডি ওমেন্স কলেজ, জলপাইগুড়ি।

 ১৩) আনন্দ চন্দ্র কলেজ, জলপাইগুড়ি।

১৪) রায়গঞ্জ ইউনির্ভাসিটি কলেজ, উত্তর দিনাজপুর।

১৫) মালদা কলেজ, মালদা।  

১৬) মালদা ওমেন্স কলেজ, মালদা।

১৭) বালুরঘাট কলেজ, দক্ষিন দিনাজপুর।

১৮) শিলিগুড়ি কলেজ, শিলিগুড়ি।

১৯) লরেটো কলেজ, কলকাতা।

২০) চিত্তরঞ্জন কলেজ, কলকাতা। 

২১) প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ, কলকাতা।

২২) বিদ্যাসাগর কলেজ, কলকাতা।

২৩) বঙ্গবাসী কলেজ, কলকাতা।

 ২৪) গুরুদাস কলেজ, কলকাতা।

২৫) শ্রীশিক্ষায়তন কলেজ, কলকাতা।




২০১৩ তেই আসছে গুগল গ্লাস !

google_glass1গুগল সম্প্রতি তাদের একটি নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে চলেছে, যার নাম গুগল গ্লাস (google glass) বা গুগল চশমা। এটি কোন সাধারন চশমা নয়, এটি  চশমা, স্মার্টফোন এবং একটি কমপিউটারের মিলিত রুপ, যার দ্বারা গুগল ম্যাপ, ভিডিও চ্যাট এবং ভয়েস কমান্ড ফিচার ব্যবহার করা যাবে।এটি এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কাজ করবে, যা আপনার চশমার মতই কাজ করবে এবং স্মার্টফোনের মত বিভিন্ন তথ্যাবলী ফুটিয়ে তুলবে চোখের সামনে । এছাড়াও এতে রয়েছে একটি ৭২০পি এর ক্যামেরা , যার দ্বারা ছবি তুলতে পারবেন শুধুমাত্র একটি মুখের আদেশ দিয়ে। এবং রয়েছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই এবং ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে থ্রিজি ও ফোর-জি ডাটা আদান-প্রদান এর সুবিধা, ও বিল্ট-ইন চিপ।


google_glass
গুগল গ্লাস



গুগল গ্লাসের স্পেসিফিকেশন :

১) ফিটিং: যে কোন ফেস এর মানানসই ফ্রেম এবং নোজ প্যাড
২) ডিসপ্লে: উচ্চ রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে। যা ২৫ ইঞ্চি উচ্চ রেজ্যুলেশনের স্ক্রিণের সমতুল্য।
৩) ক্যামেরা: স্থিরচিত্র- ৫ মেগাপিক্সেল এবং ভিডিও- ৭২০ পি।
৪) কানেক্টিভিটি: ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ।
৫) স্টোরেজ: ১৬ গিগাবাইট স্টোরেজ (১২ জিবি ব্যাবহারযোগ্য) এবং গুগলের ক্লাউড স্টোরেজ ব্যাবহারের সুবিধা ।
৬) ব্যাটারি: সাধারণত একদিন ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। চার্জিং এর জন্য মাইক্রো ইউএসবি ক্যাবল এবং চার্জার ।
৭) যে সব ডিভাইস সমর্থন করবে: যে কোনো ব্লুটুথ সংযোগ থাকা স্মার্টফোন। স্মার্টফোনে কমপক্ষে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম  ৪.০.৩ (আইসক্রিম স্যান্ডউইচ) বা উচ্চতর সংস্করণ থাকতে হবে।

গুগল, ২০১৩ শেষের দিকে গ্লাসটির কনজিউমার ভার্সন বাজারে ছাড়তে পারে। যদিও গুগল গ্লাসটির ডেভেলপার ভার্সন বাজারে ছেড়েছে ১৫০০ মার্কিন ডলার দামে।



এসএমএস-এর আবিষ্কারক

SMS
মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো  ম্যাসেজ টাইপ করে পাঠানোর যে ব্যবস্থা  বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত, তার নামই এসএমএস বা শর্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস (Short Message Service (SMS)।

১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে দীর্ঘ ২০ বছর পেরিয়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর কাছে এটি আজ খুবই জনপ্রিয় । ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হলেও এর ধারণাটি অনেক আগের।

মোবাইল এসএমএস-এর জনক হিসেবে যাকে অভিহিত করা হয়, তার নাম ম্যাট্রি ম্যাক্কোনেন। ফিনল্যান্ডের এই প্রকৌশলী নকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন ফিনল্যান্ডের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে এবং ওই সময়েই এসএমএস সার্ভিস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম টেক্সট ম্যাসেজটি প্রেরণ করেন ২০ বছর বয়সী নেইল পাপওয়ার্থ তার নিজের কমপিউটার থেকে  ভোডাফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ম্যাসেজটি রিচার্ড জারভিসের কাছে পাঠানো হয় 'Merry Christmas' লিখে।

২০১৩ তে আসছে গুগল টিভি

google tv
২০১৩ সালে বিশ্ব বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন কোম্পানি গুগল আনতে চলেছে তাদের তৈরি গুগল টিভি। গুগল, টিভি আনবে এ খবরেই প্রযুক্তি বিশ্বে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। আরো একটি নতুন কিছুর অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।

গুগল জানিছে, ২০১৩ সালেই ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা এলজি তৈরী দুটি গুগল টিভি বাজারে আনবে।

 টিভিগুলোতে থাকবে কোয়ার্টি রিমোট কন্ট্রোলসহ ন্যাচারাল স্পিচ রিকগনিশনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছারাও আরো নানা রকমের বৈশিষ্ট্য। নানা রকমের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এ টিভিতে থাকছে কথা বলে নির্দেশ দেওয়ার (ভয়েস কমান্ড) দেওয়ার সুবিধা। এলইডি প্রযুক্তি এই টিভিগুলোতে প্যাসিভ অবস্থায় দেখা যাবে থ্রিডি সিনেমাও।

এলজি তৈরী নতুন টিভি দুটির মডেল হচ্ছে  '৪৭জি২ গুগল টিভি ' এবং  অন্য টি '৫৫জি২ গুগল টিভি'। যার মধ্যে প্রথমটি ৪৭ ইঞ্চি এবং দ্বিতীয়টি ৫৫ ইঞ্চি ।

এছারাও থাকছে অ্যান্ড্রয়েডের হানিকম্ব ৩.২ সংস্করণ, যার ফলে স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটে ব্যবহারের উপযোগী যেকোনো অ্যাপ্লকেশন টিভিতেই ব্যবহার সম্ভব। স্লিম এবং আধুনিক সব সুবিধা যুক্ত নতুন এই টিভির অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।


lg google tv
এলজি তৈরী গুগল টিভি


উইন্ডোজ ৮-এর নতুন কিছু ফিচার


windows 8
উইন্ডোজ ৮-এর মেট্রো ইউজার ইন্টারফেজ



১) নতুন মেট্রো ইউজার ইন্টারফেজ।
২) নতুন লক-স্ক্রিণ ।
৩) ছবি এবং পিন কোড ব্যবহার করে নতুন অথেনটিকেশন সিস্টেম।
৪) দ্রুত শাটডাউন এবং স্টার্ট-আপের জন্য হাইব্রিড বুট সিস্টেম।
৫) 'উইন্ডোজ টু গো' ব্যবহার করে ইউএসবি থেকে উইন্ডোজ বুট ও ইন্সটলের সুবিধা।
৬) এপ্লিকেশন স্টোর (এখান থেকে নানা রকমের এপ্লিকেশন ইন্সটল করা যাবে)।
৭) মাইক্রোসফট একাউন্ট (উইন্ডোজ লাইভ/হটমেইল) ব্যবহার করে লগ-ইন করে নানা ধরনের কাজ করার সুবিধা।
৮)  ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ভার্সন ১০ এর সুবিধা ।
৯) ফাইল এক্সপ্লোরারে যুক্ত হয়েছে নতুন রিবন ইন্টারফেস।
১০) নতুনভাবে ডিজাইন করা টাস্ক ম্যানেজার।
১১) নেটিভ ইউএসবি ৩.০ সাপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে।
১২) যুক্ত হয়েছে নতুন দুইটি রিকভারি সিস্টেম, রিফ্রেশ এবং রিসেট।
১৩) ফ্যামিলি সেফটি নামক সুবিধা।
১৪) বিল্ট ইন বাংলা ভাষা যা প্রি ইন্সটলড বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ এক্টিভ করতে পারবেন নতুন কন্ট্রোল প্যানেল মেনু থেকে। 
১৫) এবং বিল্ট ইন এন্টিভাইরাসের সুবিধা যা সিস্টেমে রিয়েল-টাইম মনিটরের মাধ্যমে বাড়তি নিরাপত্তা দেবে।


password authentication
ছবির সাহায্যে নতুন অথেনটিকেশন সিস্টেম



কমপিউটার বন্ধ হবে এবার নিজে থেকে

shoutdown
আমরা অনেকেই ইন্টারনেট এ বড় ফাইল বা মুভি বা অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করতে দেই। ফাইল গুলোর সাইজ বড় বলে ডাউনলোড হতে অনেক সময় লাগে। যার ফলে কমপিউটার কে অনেক সময় ধরে চালু হয়। অনেকে আবার রাতে ভাল স্পীড পাওয়ার কারণে রাতে ডাউনলোডে দেন। যার ফলে কমপিউটার সারারাত চালু থাকে। কমপিউটার হয়ত বা নষ্ট হবেনা কিন্তু কমপিউটার এর বাস স্পীড কমে যায়। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটালেই আপনার কমপিউটার নিজে নিজে বন্ধ হবে।

ধরুন আপনি একটা কিছু ডাউনলোডে দিলেন। দেখলেন শেষ হতে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। ততক্ষণ আপনি থাকতে পাবেন না ।

turn off


এর জন্য আপনাকে যা করতে হব....
  • ১ ঘন্টা মানে হল ৩৬০০ সেকেন্ড। প্রথমে আপনার কমপিউটার ডেক্সটপে কোন ফাঁকা জায়গায় মাউস এর ডান বাটন ক্লিক করে নিউ থেকে শর্টকাট-এ ক্লিক করুন
  • desktop-->right click-->new-->shortcut
  • এবার নতুন উইন্ডো তে টেক্সট বক্স এ SHUTDOWN -s -t 3600 লিখুন
  • সংখ্যার জায়গায় আপনি আপনার কাঙ্খিত সময় টি সেকেন্ড এ হিসাব করে বসাতে পারেন।
  • এরপর নেক্সট -এ ক্লিক করে শেষে ফিনিশ বাটনে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
  • এবার ডেক্সটপ এ shutdown নামে একটি সর্টকাট তইরি হবে।
  • সেটা তে একবার ক্লিক করে দিলে আপনার কমপিউটার ৩৬০০ সেকেন্ড পর বন্ধ হবে।

shortcut
শর্টকাট তৈরী করার পদ্ধতি




shortcut
শর্টকাট তৈরী করার পদ্ধতি




কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার কারণ কী ?

Computer Hang
কম্পিউটারের প্রসেসরের মান ভাল না হলেঃ-
কম্পিউটারের কাজ করার ক্ষমতা ও গতি নির্ভর করে কম্পিউটারের প্রসেসর উপর। আর প্রসেসরের মান ভাল না হলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক।

কম্পিউটার র‌্যামের পরিমাণ কম হলেঃ-
 আমরা যখন কোনো কাজ করি তখন যাবতীয় তথ্য সাময়িক ভাবে র‌্যামে সঞ্চিত হয় । আর এই র‌্যামের পরিমাণ কম হলে কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করতে পারে না, তখন কম্পিউটারে হ্যাং করে।

কম্পিউটার হার্ডডিক্স এর কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ-
কম্পিউটারের হার্ডডিক্স এর কানেকশন সঠিক না হলে হঠাৎ কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলেঃ- 
কম্পিউটারের প্রসেসরের কানেকশন ঠিকমত না হলে কম্পিউটার হঠাৎ করে হ্যাং হতে পারে এমনকি এর জন্য কম্পিউটার রিস্টার্ট করার পরেও ঠিক নাও হতে পারে। কেননা কম্পিউটারের সব কাজ করে থাকে প্রসেসর।

অন্য কোন হার্ডওয়্যারে ত্রুটি থাকলেঃ- 
এছাড়া অন্য কোনো হার্ডওয়্যার কানেকশন অথবা হার্ডওয়্যারে সমস্যা তাকলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

অপারেটিং সিস্টেমে ত্রুটি তাকলেঃ-
অপারেটং সিস্টেমে ত্রুটি বলতে কোনো সিস্টেম ফাইল মুছে বা কোরাপ্ট হওয়াকে বুঝায়। যার কারণে কম্পিউটার চলতে সমস্যা হতে পারে, ফলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।

কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলেঃ- 
সাধারণত এই কারণেই কম্পিউটারে বেশী হ্যাং হয়। আর এই ভাইরাস অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ফাইলের কার্যপদ্ধতিকে বন্ধ করে দেয় যার কারণে কম্পিউটার প্রায়ই হ্যাং হয়।

অনেক প্রোগ্রাম একসাথে চালু করলেঃ- 
হ্যা, এটার কারণে সবচেয়ে বেশী কম্পিউটার হ্যাং হয়। কম্পিউটার র‌্যাম এর পরিমাণ ৫১২ কিন্তু আপনি অনেক গুলো প্রোগ্রাম ওপেন করে রেখেছেন। তাহলে হ্যাং হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা তখন কম্পিউটার র‌্যামে কাজ করার মতো আর কোন খালি জায়গা থাকে না।

হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালালেঃ- 
কম্পিউটারে র‌্যাম যদি কম হয় কিন্তু যদি হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন গেইম চালানো হয়, তাহলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে, কেননা র‌্যামে তখন কাজ করার মতো আর কোন খালি জায়গা থাকে না।

হাই গ্রাফিক্স সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যাবহার করলেঃ- 
কম্পিউটার গেইম এর পাশাপাশি কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো খুব উচ্চ গ্রাফিক্স সম্পন্ন। যা সাধারনত কম র‌্যাম ও কম প্রসেসরের ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারে চালনা করলে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে সাজানো থাকলেঃ- 
কম্পিউটারের ফাইলগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাকলে ঐ সব ফাইল নিয়ে কাজ করতে কম্পিউটারের অনেক বেশী সময় লাগে। যার করণে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

কম্পিউটারে অতি উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করলেঃ- 
হ্যা, এ কারনেও কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে, আমরা ভাইরাস হাত থেকে মুক্তি লাভের আশায় এন্টি ভাইরাস ব্যবহার করি। কিন্তু অনেক সময় এই উচ্চ ক্ষমতা ও উচ্চ মানের এন্টি ভাইরাস ব্যবহার কারার কারনে কম্পিউটার হ্যাং হয়।

ফেসবুক আসক্তি

facebook
গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় ৭০ কোটির বেশি লোক ফেসবুকে ব্যবহার করে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ কোটি প্রতিদিন ফেসবুকে লগ-ইন করে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গড়পড়তা ১৩০ জন করে ‘বন্ধু’ আছে। প্রত্যেক মাসে ফেসবুকের সব ব্যবহারকারী মিলে এর পেছনে ৫০ হাজার কোটি মিনিট সময় ব্যয় করেন। বহুল আলোচিত সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক এই কথাগুলো নিজেই সদর্পে লিখে রেখেছে তার পরিসংখ্যান পাতায়।


ফেসবুকের দাবি করে, ব্যবহারকারীরা এক মাসে তার ফেসবুকের জন্য ৫০ হাজার কোটি মিনিট ব্যয় করে। এই বিপুল সময়কে ঘন্টা, দিন, বছর এভাবে হিসাব করলে আসে ৯ লাখ ৫১ হাজার ২৯৩ বছর। অর্থাৎ বিপুল জনগোষ্ঠীর এক মাসের মোট সময় থেকে সাড়ে ৯ লাখ বছর ফেসবুকের জন্য খরচ করাতে পারা ফেসবুকের কাছে দারুণ গর্বের বিষয়। ফেসবুকের নিজের এই গর্বের পেছনে যুক্তি আছে। কিন্তু যারা সেই সময়টা ফেসবুককে ‘উৎসর্গ’ করছে তারা কি পাচ্ছেন সেটা জানার জন্য ফেসবুক কি সে সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা দরকার।

যারা ফেসবুক নিয়ে সময় কাটান না তাদের জানা উচিত তারা জিতছেন নাকি ঠকছেন। আর মা-বাবাদের জানা উচিত তাদের সন্তানরা ফেসবুকে বুঁদ হয়ে আসলেই কতটা ‘সামাজিক’ হয়ে বেড়ে উঠছে। এতে তাদের ছাত্রজীবন কিংবা ক্যারিয়ার জীবন কতটুকু লাভবান হচ্ছে।


ফেসবুক কি ?

ফেসবুক নিয়ে এত আলোচনা দেখে যারা এটি সম্পর্কে জানেন না তাদের অনেকের ধারণা হতে পারে ফেসবুক হয়তো জাতিসংঘের মতো কোনো ‘বিশ্বপ্রতিষ্ঠান’ যা বিশ্ববাসীকে ‘সামাজিক’ বানানোর দায়িত্ব পালন করে থাকে। আসলে ফেসবুক একটি ওয়েবসাইট ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীর কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ফেসবুক ডটকম। ফেসবুকে আপনিও একটা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন যেমন হটমেইল, জি-মেইল, ইয়াহু ইত্যাদিতে ফ্রি ইমেইল অ্যাড্রেস খোলা হয়। এরপর আপনি ফেসবুকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকে আপনার পরিচয় লিখতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত ছবি রাখতে পারেন। আপনার বর্তমান অবস্থা, অবস্থান ইত্যাদি লিখে রাখতে পারেন। অন্যরা আপনাকে ‘বন্ধু’ হিসেবে তাদের অ্যাকাউন্টে যোগ করলে আপনার অ্যাকাউন্টে যা লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি সেখানে দিয়ে রেখেছেন সেগুলো সবাই দেখতে পাবে। আপনার মন্তব্যের বিপরীতে কিংবা আপলোড করা ছবি নিয়ে অন্যরা মন্তব্য করতে পারে। একজনকে কিংবা একসাথে সর্বোচ্চ ২০ জনকে গ্রুপ মেসেজ পাঠাতে পারেন। দিন-রাত গেম খেলে সময় পার করে দিতে পারেন। অন্যদের প্রোফাইলে ঢুকে তারা যে মন্তব্য লিখে রেখেছেন কিংবা যেসব ছবি দিয়ে রেখেছেন তার বিপরীতে মন্তব্য লিখতে পারেন। এভাবে মন্তব্য কিংবা পাল্টা-মন্তব্য চালিয়ে যেতে পারেন। মোটামুটি এই হলো ফেসবুক এবং তার ‘সামাজিক যোগাযোগ’। .


তরুণ প্রজন্ম সামাজিক হচ্ছে ?

 তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকের মাধ্যমে কি ধরনের সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করছে সেটা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এদের মধ্যে অনেকে স্কুলছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। এদের কমেন্ট লেখা গুলো  বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এদের মধ্যে কেউ কেউ রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটের পেছনে সময় ব্যয় করেছে! তাদের ‘অ্যাকটিভিটি’ লিস্ট থেকে দেখা যায় সবাই এই সময়টুকু বিভিন্ন মেয়ের প্রোফাইলে মন্তব্য লিখে সময় কাটিয়েছে। একজন স্কুলছাত্র এক রাতে সর্বোচ্চ ৪১ জন মেয়ের প্রোফাইলের ওয়ালে কিংবা স্ট্যাটাসে মন্তব্য লিখেছে! মন্তব্যগুলো পড়লেই বোঝা যায়, এদের মধ্যে কেউই তাদের পরিচিত নয়। মোটামুটি মন্তব্যগুলোর ধরন এরকম, ‘আমি তোমার বন্ধু হতে চাই’, ‘তুমি এত সুন্দরী’, ‘বৃষ্টিতে ভিজলে তোমাকে দারুণ লাগবে’ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সব কথা। আর কেউ অন্যের ছবির অ্যালবামে ঢুকে সেখানে অশ্লীল মন্তব্য লিখেছে! তারা নিজের প্রোফাইলে হয়তো কোন কবিতার লাইন লিখে রেখেছে কিংবা ‘বন্ধুরা কেমন আছো’, কিংবা ‘পড়াশোনা ভালো হয়নি পরীক্ষায় ফেল করব’ ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশিরভাগ মেয়ের আপলোড করা ছবিতে ছেলেরা হয় সৌন্দর্য্যরে প্রশংসা করেছে কিংবা অশ্লীল মন্তব্য লিখে রেখেছে। এভাবে দিনের কিংবা রাতের মূল্যবান সময় খরচ করে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করছে তরুণ প্রজন্ম!



বাঙালীর ফেসবুক বিলাস

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে প্রায় ২০ লাখের বেশি। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ তরুণীর সংখ্যা প্রায় শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ, যে বয়সটার মূল ব্রত হওয়া উচিত শিক্ষালাভ কিংবা ক্যারিয়ার গঠনে মনোনিবেশ। প্রতিটা ঘন্টাই যাদের জন্য অসীম গুরুত্বপূর্ণ তারা রাত জেগে এই ‘সামাজিক যোগাযোগ’ রক্ষা করে চলেছে! ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারী আছেন শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। অর্থাৎ, অপচয় করার মতো সময় যে বয়সী লোকদের থাকার কথা, কিংবা পুরানো বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কথা যাদের, ফেসবুকের প্রতি তাদের আগ্রহ সামান্যই। ফেসবুক টিকে অল্পবয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবান সময় গলধকরণ করে । ফেসবুক ছাত্রদের সাধনা? অধ্যয়নই ছাত্রদের একমাত্র তপস্যা- এই কথা বলে যুগে যুগে অভিভাবক ও শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশোনায় উজ্জীবিত করে আসছেন। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশী কিছু ফ্যাশন হাউস বাজারে তরুণ-তরুণীদের জন্য টি-শার্ট ছেড়েছে যার বুকের ওপর লেখা ‘ফেসবুকই আধুনিক ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র তপস্যা!’ যে ফেসবুক ছাত্রছাত্রীদের মূল্যবান সময় এভাবে গিলে খাচ্ছে, রাত জাগিয়ে স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছে সেই ফেসবুকের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে এভাবে আসক্ত করার চেষ্টা কতটা দেশপ্রেমের পরিচয় সে প্রশ্ন অভিভাবকদের মনে জাগাই স্বাভাবিক।


মিথ্যা আর ছলনার বেসাতি

সরাসরি কারো সঙ্গে দেখা হয় না বলে ফেসবুক মিথ্যা আর ছলনা চর্চার উৎকৃষ্ট এক স্থান। যে যা নয়, তাই সাজার চেষ্টা করে অগণিত ব্যবহারকারী। পুরুষরা নারীর পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খোলে। আবার অনেক পুরুষ নিজেদের অনেক জ্ঞানী, ধনী কিংবা বিদ্যান পরিচয় দিয়ে নারীদের মন জয় করার চেষ্টা করে। মিথ্যা কথা বলে নিজের ওয়েবসাইটে ভিজিটর টানার চেষ্টা চলে। কিংবা সুন্দরী মেয়ে সেজে ব্যর্থ কিংবা হিংসুটে প্রেমিক তার প্রেমিকার মোবাইল নাম্বার ফেসবুকে হাজার হাজার ব্যবহারকারীর মধ্য ছেড়ে দেয়। কিংবা মেয়েদের ছবি কপি করে ফটোশপের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের শরীরে জুড়ে দিয়ে ‘গোপন ক্যামেরায় তোলা’ বলে মেয়েটিকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চালায়।



উন্নত দেশগুলোর কি অবস্থা

বাড়ি কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে অনেক ছাত্রছাত্রী কিংবা অফিসে বসে অনেক কর্মচারী ফেসবুকে সময় ব্যয় করাকে ‘সামাজিক যোগাযোগ’ বলে মনে করলেও তার সাথে একমত নয় উন্নত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একং বড় বড় করপোরেট অফিস ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানী, ইটালিসহ উন্নত দেশগুলোর অধিকাংশ নামকরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবুক ব্লক করা। এছাড়া বিখ্যাত আইটি ফার্ম রবার্ট হাফ টেকনোলজির পরিচালিত গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ করপোরেট অফিসে ফেসবুক নিষিদ্ধ। এই হার ব্রিটেনে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ৫৫ শতাংশ। ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, জার্মানী, জাপানসহ বহু দেশের অগণিত প্রতিষ্ঠানে ফেসবুক বন্ধ করে রাখা হয়। অনেক অফিসে ফেসবুক ব্যবহার ‘ছাঁটাইযোগ্য অপরাধ’ হিসেবে নিয়োগপত্রে শর্ত দিয়ে থাকে। ব্রিটেনে স্মার্ট আইটি পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ অফিস কর্মচারী স্বীকার করেছেন, বাড়ির পরিবারের লোকজনকে সময় দিতে হয়, তাই ফেসবুকে ব্যয় করার সময় তারা বের করেন অফিসে গিয়ে! ভারতেও বহু শিক্ষা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বন্ধ করে রেখেছে। এশিয়াতে জাপানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ লাখ আর চীনে মাত্র ৩৬ হাজার।


ফেসবুক আঙুল ফুলে কলাগাছ

বসে বসে বন্ধু খোঁজা এবং শত শত ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে মন্তব্য লেখাকে আপনি সামাজিকতা মনে করেন? তাহলে আপনাকেই দরকার ফেসবুকের। কারণ আপনি যত বেশি ‘সামাজিক’ হবেন ফেসবুকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তত টাকা জমা হবে। ফেসবুক ওয়েবসাইটে ঢুকে যত বার যেকোন লিংকে ক্লিক করবেন ততবার নতুন করে বিজ্ঞাপন লোড হবে (ডান পাশের সাইডবারে)। একবার লোড হলে তাকে ১ ইম্প্রেশন বলে। প্রতি ১ হাজার ইম্প্রেশনের জন্য ওই বিজ্ঞাপনদাতার নিকট থেকে ফেসবুক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে। আর ক্লিক করলে তো আরো ভাল। দারুণ ব্যবসা! এই ব্যবসায়ে মূলধন হচ্ছে আপনার মতো ‘সামাজিক’ মানুষের অপচয় করা সময়। আপনি যত ক্লিক করবেন তত ইম্প্রেশন। দিন শেষে কয়েক কোটি ইম্প্রেশন দেখে ফেসবুক মালিকদের চোখে খুশির ঝিলিক ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ কয়েক কোটি ইম্প্রেশন মানে নিদেনপক্ষে কয়েক লাখ ডলার! ব্যবহারকারীরা ঘুর্নাক্ষরেও বুঝতে পারছেন না তাদের ব্যবহার করে কিভাবে কোটি কোটি ডলার আয় করছেন ফেসবুকের কর্ণধারেরা। ২০০৯ সালে ফেসবুকের আয় ছিল ৫৫০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০১০ সালে আয় ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে তারা। একজন ব্যবহারকারীর দ্বারা সিপিএম অ্যাড থেকে ২ ডলার আয়ের টার্গেট থাকে ফেসবুকের।


ফেসবুক পক্ষাবলম্বনকারীদের যুক্তি

ফেসবুকে ছেলেবেলার বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যায়। তাই যদি হয় তাহলে স্কুল বা কলেজে যাদের একসঙ্গে পড়েছেন তাদের খুঁজে বের করা কি জীবনের বড় ব্রত? একজন মানুষের জীবনকালে এই বন্ধু খুঁজে বের করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন, ক্যারিয়ার জীবনের চেয়েও ? ছাত্র জীবন ধ্বংস হচ্ছে, পারিবারিক জীবনে অশান্তি আসছে, ক্যারিয়ার জীবনে মনোনিবেশ কমছে। ক্যারিয়ার জীবনে এসে যাদের সঙ্গে সরাসরি কিংবা ফোনে যোগাযোগ আছে সামাজিকতার জন্য তারাই কি যথেষ্ট নয়? সবার প্রোফাইলে ঢুকে ‘কমেন্ট’ লেখাই কি সামাজিকতা? একজন মানুষ কি দৈনিক ৩-৪ ঘন্টা এই ওয়েবসাইটে ব্যয় করছে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের খুঁজতে?


চোরাবালি

বুদ্ধি আছে বটে ফেসবুকের নির্মাতাদের। কেউ যদি মনে করে থাকেন ফেসবুকে ঢুকে ‘মাত্র’ দুই/এক ঘন্টা ব্যয় করে বের হব, তবে সে গুড়ে বালি! কারণ ফেসবুক চোরাবালি বিছিয়ে রেখেছে এর নির্মাণশৈলীতে। এই চোরাবালির কাজ করছে কোটি কোটি সুন্দরী তরুণীর ছবি। কিশোর, তরুণ, যুবক, প্রৌঢ় পর্যন্ত ছুটছে এসব নাম ঠিকানা না জানা ‘সুন্দরী’ দের পিছে। এসব সুন্দরীদের প্রায় অর্ধেকই ভুয়া। তবুও ছায়ার পেছনে ছুটছে তারা। একবার বন্ধু তালিকায় যোগ করে শুরু হয় তার মন যোগানোর পালা। বিভিন্নভাবে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা। দুই-এক দিন না যেতেই এবার মোবাইল নাম্বার চাওয়া শুরু। প্রেম নিবেদন শুরু। এক মেয়ের ছবির নিচে প্রশংসা বাণী লিখছে শত শত পুরুষ।


জীবনে কত বন্ধুর প্রয়োজন

ফেসবুকে একজন পুরুষের গড়ে আড়াইশ’ বন্ধু আছে। আর একজন মেয়ের গড়ে ১ হাজার বন্ধু আছে! কোনো কোনো মেয়ের বন্ধুসংখ্যা ৫ হাজার! পুরুষের বন্ধু তালিকায় যারা থাকে তার অল্প কয়েকজন তার চেনাজানা পুরুষ কিংবা নারী বন্ধু আর বাকিরা হয় অপরিচিত নারী কিংবা নারীর ছদ্মবেশী পুরুষ। তরুণরা ফেসবুকে ঢুকে মেয়ে ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণে বেশিরভাগ সময় ব্যয় করে।



রুচি বিকৃতদের স্বর্গরাজ্য

মানুষ কিভাবে তাদের মেধার অপচয় করতে পারে ফেসবুক তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ফেসবুকে লাখ লাখ ছবি, কার্টুন ও ভিডিও যোগ করে ব্যবহারকারীরা। এসব ছবির মধ্যে আছে দেশ, জাতি কিংবা ব্যক্তির প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর উপকরণ। কিংবা বীভৎস দৃশ্যের ছবি। বিশ্বের বিখ্যাত মনীষী, রাজনীতিক, কিংবা ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ ও আপত্তিকর ছবি শেয়ার করে মজা পায় এক শ্রেণীর কুরুচিপূর্ণ মানুষ। যতই সম্মানিত ব্যক্তি হোক না কেন, তার ব্যাঙ্গাত্মক ছবি যখন মানুষের হাসির খোরাক যোগায় তখন সেটাকে নিছক গণতান্ত্রিক অধিকার বলার সুযোগ নেই। সংবাদপত্রের পাতায় রাজনীতিবিদদের কার্টুন আর ভিন্নমত পোষণকারী সাধারণ মানুষের বিদ্বেষমূলক কার্টুন এক হতে পারে না। এরা নিজের প্রোফাইলে এসব ছবি ঢুকিয়ে অন্যের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দেয়। যার প্রোফাইলে ছবি ট্যাগ করা হয় সে নিজে তো দেখতে পায়, তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা অন্য সবাইও তা দেখতে পাবে। সেখান থেকে সমমনা কুরুচির কয়েক ডজন ‘বন্ধু’ হয়তো তাদেরও বন্ধুদের প্রোফাইলে ‘ট্যাগ’ করে দিল সেখান থেকে প্রত্যেকের কয়েক ডজন করে বন্ধু তাদের বন্ধুদের ‘ট্যাগ’ করে দিল যাকে বলে চেইন রিয়েকশন! মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে লাখ লাখ মানুষের মধ্যে। চলে হাসাহাসি, ঠাট্টা ,বিদ্রুপ, বিকৃত আনন্দ ভোগ। অনেকে আবার মেয়েদের ফটো অ্যালবাম থেকে ছবি নিয়ে সেই ছবির মাথা কম্পিউটারের সাহায্যে পর্ণো তারকাদের দেহে জুড়ে দিয়ে তার প্রোফাইলেই আবার ট্যাগ করে দেয়! পৃথিবীর কোটি কোটি পুরুষের কম্পিউটারে একজন মেয়ের ছবি থাকা অবশ্যই নিরাপদ নয়; কিন্তু ফেসবুকের কল্যাণে তাই ঘটছে। নিজেও জানেন না, আপনি সামাজিকতা পালন করতে গিয়ে যে ছবি শেয়ার করেছেন তা কত কোটি বখাটে পুরুষের কম্পিউটারে সেভ করা হয়েছে।




ফেসবুকের সবটাই খারাপ ?

 না। খুব কম জিনিসই আছে যার সবটুকু খারাপ। ফেসবুকও তেমনি। ফেসবুকে একটি মন্তব্য লিখে আপনি সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার অবস্থা কিংবা অবস্থান। সেলিব্রেটিরা তাদের ভক্তদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ রাখতে পারে ক্লায়েন্টদের সাথে। বিভিন্ন গ্রুপ করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে পরস্পরের সাথে। নিজের অনুভূতি শেয়ার করতে পারেন বন্ধুদের সাথে। এছাড়ও ইমেইল কিংবা ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জারের মতো বিকল্প অনেক রাস্তা আছে, যেগুলোকে বিকল্প যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

facebook user


এই লেখাটি  Shohan ahamed লেখা থেকে ও  কিছু নিজের অভিগতা থেকে লেখা ।

থ্রিজি প্রযুক্তি কি ?

থ্রিজি প্রযুক্তিকে বলা হয় তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন প্রযুক্তি(Third Generation of Wireless Technologies)। ডব্লিউ-সি. ডি.এম.এ. (W-CDMA), ডব্লিউ.এল. এ.এন (WLAN) এবং সেলুলার রেডিও এরকম অন্যান্য আরো প্রযুক্তির সম্মিলিত সংস্করণ হলো থ্রিজি প্রযুক্তি।  এটি পূর্বের ওয়ারলেস প্রযুক্তি গুলোর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত একটি প্রযুক্তি। এটি যেমন দ্রুত গতিতে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে, তেমনি উন্নত মাল্টিমিডিয়া ও বিশ্বব্যপী রোমিং সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম। থ্রিজি প্রযুক্তিটি মূলত ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনের জন্য।



থ্রিজি প্রযুক্তি কেন উন্নত ?

১। অনেক দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান ক্ষমতা ।
২। অডিও এবং ভিডিও হিসেবে তথ্য আদান প্রদান সুবিধা ।
৩। ভিডিও কনফারেন্স সামর্থন ।
৪। উচ্চগতি সম্পন্ন ওয়েব এবং ওয়াপ ইন্টারনেট ব্রাউজিং  ।
৫। আই.পি.টিভি ( ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা সম্ভব ) ।



থ্রিজি প্রাযুক্তিতে তথ্য আদান প্রদান গতি :

দ্রুত গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদানের  গতি ১২৮ থেকে ১৪৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
কম গতিতে চলমান অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান  ৩৮৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড।
স্থির অবস্থায় তথ্য আদান প্রদান গতি ২ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।

404 Error কি ?

আমরা অনেক সময় ওয়েব সাইটের অ্যাড্রেস লিখলে 404 এরর বা পেজ টি খুঁজে পাওয়া গেলো না, এরকম মেসেজ পেয়ে থাকি, এই 404 এরর হল একটি ওয়েবসাইটের কমন মেসেজ, যার দ্বরা বোঝাযায় ওয়েবপেজটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার এটিও হতে পারে  ইউজার যদি কোন ভুল লিঙ্কে ক্লিক করে, তাহলে এই মেসেজটি দেখাতে পারে। " 404 এরর বলতে বোঝায় যে, সার্ভারটি চলমান(valid), কিন্তু ওয়েবপেজটি কিংবা ওয়েবপেজে যাওয়ার পথটি(path) বৈধ(valid) নয়"
প্রশ্ন জাগতে পারে কেন একে "মিসিং ওয়েবপেজ এরর ? "  না বলে  "404 এরর" বলা হয় ?  যখন ওয়েব সার্ভার একটি পেজ খুঁজে পায় না, তখন ওয়েবসার্ভার থেকে 404 এরর তৈরী হয় । আর এই এরর কোড সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে।ফলে সার্চ ইঞ্জিন, সার্চ রেজাল্ট থেকে এই পেজটিকে সরিয়ে রাখে। এমনকি 404 এররকে ওয়েবস্ক্রীপ্ট এবং ওয়েব মাস্টার টুলগুলো সনাক্ত করতে পারে। ফলে ওয়েবমাস্টাররা ঐ পেজটিকে সনাক্ত করে ঠিক করার চেষ্টা করে।

404 নাম করনের কারন :  WWW এর প্রথম ডাটাবেজ ছিল সুইজারল্যান্ডের একটি অফিসের চারতালার 404 নাম্বার ঘরে। সেখানে ফাইল আদান প্রদান করার সময় কোন ভুল হলে  “404: পাওয়া যায়নি” মেসেজ লেখা হত। সেখান থেকে আসা শব্দটি দ্বারা এখন সার্ভারে পেজ পাওয়ানা গেলে 404 এরর দেখানো হয়।



এন্ড্রয়েড কি ?

এন্ড্রয়েড হলো একটি অপারেটিং সিস্টেম, যা মোবাইল ফোনের জন্য ব্যবহার করা হয় । কমপিউটার কে চালাতে যেমন একটি অপারেটিং সিস্টেম, যেমন উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, ম্যাক বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন তেমনি মোবাইল ফোনের জন্য একটি অপারেটিং সিস্টেমে প্রয়োজন হয় । এন্ড্রয়েড সেরকম একটি মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম, এন্ড্রয়েড ছাড়া আরো কিছু মোবাইল ফোন অপারেটিং সিস্টেম যেমন নকিয়ার সিম্বিয়ান, এপলের iOS, রিম’এর ব্ল্যাকবেরি os, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ইত্যাদি।  প্রথম দিকে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মোবাইল ফোনের জন্য হলেও এখন এই অপারেটিং সিস্টেমে চলছে নেটবুক, ট্যাবলেট ও গুগল টিভি।

আমরা যেমন কমপিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। তেমনি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সাথে  কিছু ইন-বিল্ট এপলিকেশন, গেম, উইজেট রয়েছে। এন্ড্রয়েড SDK (Software Development Kit), যার সাহায্যে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের জন্য এন্ড্রয়েড এপলিকেশন তৈরি করা হয়। এন্ড্রয়েড SDK এর মধ্যে সোর্স কোড সহ স্যাম্পল প্রজেক্ট, ডেভলপমেন্ট টুলস, ইমুলেটর এবং এন্ড্রয়েড প্রজেক্ট  তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি রয়েছে। এন্ড্রয়েড এপলিকেশন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে লেখা হলেও এন্ড্রয়েড SDK সাহায্যে তৈরী করা হয়
এন্ড্রয়েড ফোন কি ?
যেসব মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যেমন - Acer, Alcatel, Dell, Gigabyte, HTC, Huawei, LG, Motorola, Nexus, Samsung, T-Mobile, Toshiba, Vodaphone, ZTE এর মত বড় বড় প্রায় সব কোম্পানি। বর্তমানে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম জনপ্রিয় একটি নাম।

হিতাচি তৈরী করল বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স

Hitachi গ্লোবাল স্টোরেজ প্রযুক্তি তৈরী করল বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র 7mm 2.5 হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (HDD) সঙ্গে 7200rpm গতি এবং 500GB ধারন ক্ষমতা , যাতে একটি মাত্র প্ল্যাটার ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ডিভাইসটি অতি -পাতলা এবং কম বিদ্যুৎ শক্তি খরচ লক্ষ্য পুরন করতে পেরেছে ।

 বিদ্যুৎ শাস্রয়ী এই হার্ড ড্রাইভটি পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ২.১ ওয়াট, আর যখন কোন কাজ করে না তখন ০.৮ ওয়াট এবং standby মোডে 0.2 ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। নতুন এই 7mm হার্ডডিস্ক ড্রাইভ টি 7200rpm গতি, 32MB বাফার, সিরিয়াল ATA 6 Gb/s ইন্টারফেস এবং 1369 Mb/s (171 MB/s) মিডিয়া ট্রান্সফার রেট প্রদান করতে সক্ষম ।



বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা হার্ডডিক্স


বিএসএনএল ও আনতে চলেছে কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার

এবার ভারতীয় টেলিকম অপারেটর বিএসএনএল ও ভারতের বাজারে আনতে চলেছে কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার। বিএসএনএল ও প্যান্টেন টেকনোলজি-র সঙ্গে যৌথউদ্দগে তৈরী হতে চলেছে কম মূল্যের পেনটা টিপ্যাড আই.এস ৭০১ আর ( Penta TPAD IS701R) মডেলের ট্যাবলেট টি। তাদের দাবী অন্যান কম মূল্যের ট্যাবলেট কম্পিউটার গুলির তুলনায় তাদের ট্যাবলেট কম্পিউটার টি আরও অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন । বিএসএনএল জানিয়েছে আগামী পহেলা মার্চ, ২০১২ থেকে রিটেইল স্টোর এবং বিএসএনএল আউটলেটগুলোতে পাওয়া যাবে।

Penta TPAD IS701R বৈশিষ্ট্য:

ওয়েব ব্রাউজ করুন, ইউটিউবে ভিডিও, ইমেইল চেক এবং অ্যান্ড্রয়েড ™ 2.3 সহ আরো অনেক কিছু এবং উচ্চ গতির 1 GHz প্রসেসর এবং DDRII 256MB RAM উপস্থিত. এছারা ইন্টিগ্রেটেড, LCD / LED টিভি সঙ্গে সংযোগ জন্য HDMI পোর্ট । জনপ্রিয় ভিডিও, গান, এবং ছবির বিভিন্ন ফরম্যাটের সাপোর্ট করবে। এবং ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন Andriod Google Apps। উচ্চ গতির নেটওয়ার্কিং (ওয়াই ফাই 802,11 / b g) সাথে সংযুক্ত wirelessly ইন্টারনেট । সহজেই অ্যাক্সেস করুন ইমেল, অফিস প্যাকেজ এবং গেম, ফেসবুক এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং । Seamless ডিজিটাল মিডিয়া অভিজ্ঞতা । E-book রিডার, Rechargeable লিথিয়াম পলিমার-ব্যাটারি । এছাড়াও বিএসএনএল এর ক্রেতাদের জন্য ২ মাসের ৫ গিগাবাইট ফ্রি ডাটা ব্যবহারের সুবিধা।


Penta TPAD IS701R স্পেসিফিকেশন:

CPU - IMAP210 1GHz
O / S - অ্যান্ড্রয়েড 2.3
RAM - DDR2 256MB
ফ্ল্যাশ - 2GB TF
কার্ড - 32G সাপোর্ট WiFi - 802.11b/g/n LCD
রেজল্যুশন - 7 "TFT, 16:9, 800 * 600
টাচ স্ক্রিন - resistive
জি সেন্সর - Rotator screen, 3D গেম
ক্যামেরা - 0.3MP
USB - USB-x 1
ব্যাটারি - li-আয়ন 3000mah 5V2A
ভিডিও - Max.1280 * 720 MKV (H.264 HP) AVI rm / RMVB flv WMV9 MP4
ফ্ল্যাশ সাপোর্ট - Adode ফ্ল্যাশ 10.3
অডিও -MP3/WMA/APE/FLAC/AAC/OGG/AC3/WAV


Penta TPAD IS701R মডেলটির দাম :  3,499 টাকা মধ্যে ।


এছাড়াও বিএসএনএল তৈরী করেছে  ট্যাবলেটে কম্পিউটারের আরও দুইটি সংস্করণ T-Pad WS704C ও T-Pad WS802C । এতে রয়েছে ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন , এটিতে আইএস৭০১আর মডেলটির মতোই স্পেসিফিকেশন, তবে এতে সিম-স্লট সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে থ্রিজি সংযোগ সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। রয়েছে অ্যাক্সেলারেটেড জিপিএস সুবিধাও। রয়েছে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ৫১২ RAM । এগুলির দাম পড়বে প্রায় ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ।

T-Pad WS802C



অগ্রীম বুকিং করতে এখানে ক্লিক করুন ।



 

কম্পিউটারের ড্রাইভ গুলো ওপেন হচ্ছে না ?

কম্পিউটারের ড্রাইভ গুলো ডাবল ক্লিক করে ওপেন হচ্ছে না । ওপেন করতে গেলেই দেখায়  “open with” option আসচ্ছে এরকম একটা বিরক্তকর অবস্থা আমাদের অনেক কেই সন্মুখিন হতে হয় । এটা সাধারণত autorun ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে। তাই আমাদের কম্পিউটারের c,d,e,f বা এই জাতিয় ড্রাইভ গুলো ওপেন করতে ব্যর্থ হয়ে থাকি। খুব সহজেই এই সমস্যার সমাস্যার সমাধান আপনি ও করতে পারবেন।





যা করতে হবে -



১) ‘Run” এ গিয়ে “cmd’  লিখে  কম্যান্ড প্রমট ওপেন করুন।
২) এবার  “cd\”  লিখে তার পরে এন্টার চাপুন। (কোটেশন দিবেন না)
৩) এবার আপনার ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভ এর নাম দিন, যদি সি ড্রাইভ হয় তাহলে  C: লিখে এন্টার দিন।
৪) এবার  “attrib -r -h -s autorun.inf” লিখে এন্টার চাপুন।
৫) শেষে del autorun.inf লিখে এন্টার চাপুন।

কিছু ওপেন সোর্স উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার


ওপেন সোর্সের যুগে উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের ব্যবহার ক্রমেই কমে আসছে। বর্তমানে ওপেন সোর্সের দৌলতে ব্যবহারকারীরা অর্থের বিনিময়ে সফটওয়্যার না ক্রয় করে বরং ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের দিকে ঝুঁকছে বেশি। কারণ এসমস্ত সফটওয়্যার বিনামূল্য পাওয়া যায়। ফটোশপের মত সফটওয়্যারগুলো যেমন চড়া দামে কিনতে হয় সেখানে ফটোশপের মতই বিভিন্ন ওপেন সোর্স এডিটিং সফটওয়্যারগুলো বিনামূল্য পাওয়া যাচ্ছে। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য তাই কিছু ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের কথা তুলে ধরব। এগুলোর অনেকগুলোই হয়ত অনেকে ব্যবহার করেছেন বা ব্যবহার করছেন।


১. 7-zip
7zip7-zip মূলত একটি ফাইল আর্কাইভার প্রোগ্রাম। সফটওয়্যারটি দিয়ে 7z, ZIP, GZIP, BZIP2 এবং TARফরম্যাটের ফাইলগুলো প্যাকিং এবং আন-প্যাক করা সম্ভব। তাছাড়া এটি দিয়ে RAR, CAB, ISO, ARJ, LZH, CHM, Z, CPIO,RPM, DEB এবং NSIS ফরম্যাটের ফাইলগুলোও আন-প্যাক করা যায়। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ফাইল আর্কাইভার। সফটওয়্যারটির কম্প্রেশন রেসিও WinZip এর থেকেও অনেক বেশি। বর্তমানে এটি WinZip এর বিপরীতে প্রচুর ব্যবহার করা হচ্ছে।

২. Audacity:
Audacity
Audacity ওপেন সোর্স ভিত্তিক ফ্রি রেকর্ডিং এবং সাউন্ড এডিটিং সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। সফটওয়্যারটি দিয়ে সরাসরি সাউন্ড রেকর্ডিং, কনভার্টিং ও Ogg Vorbis, MP3 এবং WAV সাউন্ড ফরম্যাট ফাইলগুলোকে সহজে এডিট করা যায়। সাউন্ড জোড়া লাগানো, কাটা, সংকুচিত করা, মিক্সিং প্রভৃতি কাজ গুলো করতে সফটওয়্যারটি পারদর্শী।


৩. Blender:
blender
3D অ্যানিমেশন তৈরীর জন্য Blender একটি মুক্ত সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি মডেলিং, UV আনর‍্যাপিং, টেক্সারিং, স্কিনিং, রিগিং, রেন্ডারিং এবং 3D অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ব্লেন্ডার এতটাই সমৃদ্ব যে একে 3D ম্যাক্স ও মায়ার সাথে তুলনা করা হয়।


৪.ClamWin:
clamwin
ClamWin একটি ফ্রি অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি Windows 98/Me/2000/XP তে ব্যবহার করা যায়। ClamWin কে বিভিন্ন বাণিজ্যিক অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার যেমন- নরটন, ম্যাকাফির বিকল্প হিসেবে গন্য করা হয়। সফটওয়্যারটি তার বহুবিধ ফিচার দিয়ে শক্তিশালী ভাইরাস ও স্পাইওয়্যার ধরতে সক্ষম। এটি সয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয় এবং মাইক্রোসফট আউটলুকে ই-মেইল অ্যাটাচমেন্টে ভাইরাস স্ক্যান করতে সহায়তা করে।


৫. eMule:
emule
eMule ওপেন সোর্স ভিত্তিক সাধারন পিয়ার-টু-পিয়ার(P2P) ফাইল শেয়ারিং টুল।

৬. Feedreader:
feedreader
Feedreader একটি মুক্ত ডেস্কটপ আরএসএস অ্যাগ্রিগেশন টুল। সফটওয়্যারটি ডেস্কটপে আপনার প্রিয় ওয়েবসাইট থেকে সয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট নামাতে সক্ষম। এটি অবিরতভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আর্টিকেল ডেস্কটপে শো করবে।


৭. Filezilla:
filezilla
ফাইলজিলা একটি এফটিপি ক্লায়েন্ট সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি FTP,SFTP,FTPS প্রটৌকলসমূহ সমর্থন করে। এটি ব্যবহার করা বেশ সহজ এবং এটি নিরাপদ এফটিপি প্রটৌকল। এর অন্যতম ফিচার হল সার্ভারে আপলোড অথবা ডাউনলোড চলাকালে রিজিউম সাপোর্ট করে।


৮. Firefox:
firefox
ফায়ারফক্স বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় মুক্ত ওয়েব ব্রাউজিং প্লাটফরম। এর সাথে নতুন করে পরিচয় করে দেওয়ার কছু নেই। বর্তমানে অনেকেই এটি ব্যবহার করছেন। প্রচুর অ্যাড-অনের সমাহার ব্রাউজারটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী করে তুলেছে। ইন্টারনেট এক্সপোলারের চেয়েও এটি অধিক নিরাপদ ব্রাউজিংয়ের সুবিধা দেয়।


৯. GIMP:
GNU ইমেজ ম্যানিপুলেশন প্রোগ্রাম(GIMP) একটি মুক্ত গ্রাফিক্স এডিটিং সফটওয়্যার। এটি অত্যন্ত চমৎকার একটি সফটওয়্যার যা ব্যয়বহুল ফটোশপের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গিম্পে মোটামুটি ফটোশপের মতই কাজ করে এবং এতে অনেক ইমেজ এডিটিং অপশন রয়েছে।



১০. Inkscape:
inkscap
ইঙ্কস্পেস মুক্ত ভেক্টর গ্রাফিক্স এডিটর সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটি এতই সমৃদ্বশালী যে একে বাণিজ্যিক সফটওয়্যার তথা Corel Draw, Adobe Illustrator, Freehand অথবা Xara X এর মত সফটওয়্যারের সাথে তুলনা করা হয়। নিজস্ব ফরম্যাট হিসেবে এরা Scalable Vector Graphics (SVG) এবং XML বেস্‌ড W3C স্টান্ডার্ড ব্যবহার করে থাকে। ওয়েব ২.০ এর বাটন,লোগো,আইকোন,ব্যানার ইত্যাদি তৈরীতেও এটি ব্যবহার করা হয়।


১১. Juice:
juice
জুস একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ভিত্তিক ক্রস-প্লাটফরম পোডকাস্ট রিসিভার অ্যাপ্লিকেশন। এটি ogg ও mp3 এর মত পোডকাস্ট মিডিয়া ফাইল ডাউনলোড করতে ব্যবহৃত হয়। জুস ব্যবহার করে পোডকাস্ট সিডিউল করা যায় এবং জুস আপনাকে নতুন পোডকাস্টের প্রাপ্যতা সম্পর্কে আপনাকে অবগত করবে। ডাউনলোডকৃত মিডিয়া ফাইলগুলো কপি হয়ে একটি ডিজিটাল প্লেয়ারে চলে আসে।


১২. OpenOffice.org:
open office
জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান স্টার অফিস নামক একটি সফটওয়্যার তৈরী করেছিল যা পরবর্তীতে সান মাক্রোসিস্টেম কিনে নেয় এবং ১৯৯৯ সালে বিনামূল্য মুক্ত করে। মাইক্রোসফট অফিসের মতই ফিচারগুলো ওপেন অফিসে বিদ্যমান। বর্তমানে এর বাংলা ইন্টারফেস পাওয়া যাচ্ছে। ওপেন অফিসের ডিফল্ট ফরম্যাট হল ওডিএফ। বর্তমানে এটি এতই বিস্তার লাভ করেছে যে ১১০টির অধিক ভাষায় সফটওয়্যারটি পাওয়া যাচ্ছে।


১৩. Programmers Notepad:
programmer
Programmer’s Notepad হল প্রোগ্রামাদের জন্য একটি সাধারন টেক্সট এডিটর সফটওয়্যার। কোড ফোল্ডিং, আউটলাইনিং, সিএসএস ব্যবহার করে এইচটিএমএলে এক্সপোর্ট, ওয়ার্ড র‍্যাপিং প্রভৃতি এই সফটওয়্যারটি দিয়ে করা যায়।


১৪. Sunbird:
sunbird
সানবার্ড মোজিলা ফাউন্ডেশন কর্তৃক তৈরীকৃত একটি ডেস্কটপ ক্যালেন্ডার অ্যাপ্লিকেশন।






১৫. Thunderbird:
thunderbird
থান্ডারবার্ডও মোজিলা ফাউন্ডেশন কর্তৃক তৈরীকৃত একটি ডেস্কটপ ই-মেইল অ্যাপ্লিকেশন। এটি ই-মেইল ব্যবস্থাপনাকে সহজতর ও গতিশীল করে। থান্ডারবার্ডে সহজে ইনবক্সকে ম্যনেজ করা যায়।





১৬. VLC media player: এ মুহূর্তের সবচেয়ে জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ারের মধ্যে ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার একটি। এটি কেবল সর্বাধিক প্রচলিত ভিডিও ফরম্যাটগুলোকে সাপোর্ট এবং এক ফরম্যাট থেকে অন্য ফরমাটে কনভারশনই করে না, এর মধ্যে বিল্ট ইন আছে একটি ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভারও। এজন্য ব্যবহারকারীর প্রয়োজন হবে ভিডিও ফাইল বা ভিডিও ক্যাপচার ডিভাইস এবং অনলাইনে ভিডিও সম্প্রচার শুরুর করার জন্য কয়েকটা মাউস কিক।

ল্যাপটপ ভালো রাখতে

ল্যাপটপের ভালো রাখার জন্য নিচের ট্রিক্সগুলো ব্যবহার করুনঃ
laptop১। ল্যাপটপের ব্যাটারীর বেস্ট পারফরমেন্সের জন্যঃ
ক) ব্যাটারীতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
খ) দরকার ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন ।
গ) ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন ।
ঘ) হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারন সিডি/ডিভিডি রম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
ঙ) এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস চলাচল করে এমন ভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না ।
চ) সাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
ছ) মাঝে মাঝে ব্যাটারীর কানেক্টর লাইন পরিস্কার করুন।
জ) অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
ঝ) হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ এর মেইনটিনেন্স কোন কাজ করবেন না।
ঞ) ব্যাটারী দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারী থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারী আয়ু কমে যাবে।

২। মেমরী কম ব্যবহারের জন্য অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম/উইন্ডো মিনিমাইজ করে রাখুন।

৩। মাঝে মাঝে মেমরী ক্লিনের জন্য RamCleaner, RamOptimizer, MemMonster, Free Up Ram, SuperRam,
RamSmash, MemZilla, MemoryWasher জাতীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
৪। মজিলা অনেক ফ্রেন্ডলি ব্রাউজার হলেও এটা অনেক মেমরি ব্যবহার করে, এখান থেকে মেমরি ব্যবহার করা কমাতে পারেন।
৫। মজিলার প্লাগইনগুলো আপডেট করুন সবসময়।
৬। আমরা অনেকেই মজিলার অনেক এক্সটেনশন ব্যবহার করি মজিলাকে সাজাতে ও অন্যান্য সুবিধা পেতে। কিছু কিছু এক্সটেনশন আছে যা সমস্যা করে পারফরমেন্সে। এসব ঝামেলাকর এক্সটেনশন পরিহার করুন।
৭। ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। তবে অবশ্যই নরটন এন্টিভাইরাস না, কারন সিস্টেমকে অনেক স্লো করে।
৮। মাঝে মাঝে অনলাইন থেকেও ল্যাপটপ/পিসি স্ক্যান করতে পারেন।
৯। স্পাইওয়ার মুক্ত রাখুন কারন এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে সিস্টেমের পারফরমেন্সে ব্যাঘাত ঘটায়।
১০। পারফরমেন্স বাড়াতে TuneUp Utilities এবং System Mechanic ব্যবহার করুন ।
১১। নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
১২। আপাতত দরকার নাই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।

ফেসবুক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg এর জীবনী

facebook
ফেসবুক এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা,মার্ক Mark Elliot Zuckerberg মে 14, 1984 সালে, নিউ ইয়র্ক এর Dobbs ফেরির, একটি সুখী, সুশিক্ষিত পরিবারের মধ্যে জন্মে ছিলেন. তাঁর পিতা, Edward Zuckerberg,বাড়ির সাথে সংযুক্ত একটি স্থানে দাঁতের চিকিত্সার অনুশীলন করতেন.তাঁর মা, Karen,তার চার শিশু-Mark,Randi,Donna এবং Arielle এর জন্মের আগে একটি মনোচিকিত্সক হিসেবে কাজ করতেন.
Zuckerberg প্রারম্ভিক বয়সে কম্পিউটারের প্রতি অগর্হী ছিলেন;তার বয়স যখন 12 তখন তিনি Atari BASIC ব্যবহার করে "Zucknet" নামে একটি বার্তা প্রোগ্রাম তৈরি করেন.তাঁর পিতা তার দাঁতের অফিসে প্রোগ্রামটি ব্যবহৃত করত, যাতে রিসেপশনিস্ট নতুন রোগীর বিষয়ে তাকে yelling ছাড়াই জানতে পারে.পরিবারের সবাই এ Zucknet গৃহ মধ্যে যোগাযোগ করতে ব্যবহৃত করতো.তিনি শুধু মজার জন্য একট কম্পিউটার গেম তরী করেন.
মার্ক এর কম্পিউটারের দ্রুত বেড়ে উঠা দেখে তার বাবা ডেভিড নিউম্যানকে কম্পিউটারের গৃহশিক্ষক রাখেন, তিনি সপ্তাহে একবার মার্ক এর সথে কাজ করতেন.নিউম্যান পরে জানান যে, এটা কঠিন ছিল এগিয়ে যাওয়া দৈত্য,যে শুরু কাছাকাছি এই একই সময় মার্সি কলেজ স্নাতক কোর্স যাবার কথা বলে.
Zuckerberg পরে প্রথম Exeter একাডেমী, অ্যান এক্সক্লুসিভ নিউ হ্যাম্পশায়ার মধ্যে প্রস্তুতিমূলক স্কুল পড়াশোনা করেন.সেখানে প্রতিভা দেখিয়েছেন, স্কুলের দলের অধিনায়ক হয়ে উঠছে. তিনি সাহিত্যে পারদর্শী হয়ে ওঠেন, ক্লাসিক একটি ডিপ্লোমা অর্জন করেন. তবুও Zuckerberg রয়েছে কম্পিউটার মুগ্ধ, এবং নতুন প্রোগ্রাম উন্নয়নশীলন এর কাজ অব্যাহত করেছেন. যখন তিনি হাই স্কুলে তখন, তিনি একটি সঙ্গীত সফটওয়্যার Pandora তরী করেন, যা Synapse প্রথম সংস্করণ.AOL এবং মাইক্রোসফটসফ্ট ছড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যারটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে,তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন.
2002 Exeter থেকে স্নাতক করার পরে, Zuckerberg হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নথিভুক্ত করেন. তার আইভি লিগের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকর সময়ে তিনি go-to campus software ডেভেলপার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে নিয়েছিলেন. সেই সময় তিনি একটি CourseMatch নামক প্রোগ্রাম বানন,যা সাহায্য ছাত্র তাদের অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কোর্স নির্বাচন ভিত্তিতে ক্লাস নির্বাচন করতে. তিনি Facemashও তৈরী করেন,যেখনে একটি বেশি আকর্ষণীয় ছবিকে ভোট দিতে হত এবং এটা ছিল ক্যাম্পাসে দুটি ছাত্র এবং অনুমোদিত ব্যবহারকারীদের ছবির তুলনা. প্রোগ্রামটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়, কিন্তু পরে স্কুল প্রশাসন বন্ধ করে দেয়.
তার পূর্ববর্তী প্রকল্পের,তিন জন ছাত্র-Divya Narendra, and twins Cameron and Tyler Winklevoss, একটি সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট যারা নাম হার্ভার্ড সংযোগের জন্য একটি ধারণা কাজ করার গুঁজন নির্দেশক. এই সাইটি নকশা করা হয় হার্ভার্ড ছাত্র নেটওয়ার্ক থেকে তথ্য ব্যবহার করে একটি হার্ভার্ড অভিজাত জন্য ডেটিং সাইট নির্মাণ করা. Zuckerberg প্রকল্প সাহায্য করতে রাজী হয়, কিন্তু শীঘ্রই তা ছেড়ে দিয়ে তার বন্ধু Dustin Moskovitz, Chris Hughes and Eduardo Saverin সাথে নিজের সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইট এর জন্য কাজ করেন.
Zuckerberg এবং তার বন্ধুরা একটি সাইট বানায় যা অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যবহারকারীরা তাদের নিজস্ব প্রোফাইল,ছবি আপলোড, এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে. প্রথমে হার্ভার্ড এর একটি dorm কক্ষে The Facebook নামে সইটি জুন 2004 পর্যন্ত চলানো হয়. তার দ্বিতীয় বার্ষিক পর, Zuckerberg কলেজ ছেড়ে চলে যায় Palo Alto, ক্যালিফোর্নিয়া ফেসবুক পূর্ণ সময় দেওয়ার জন্য. 2004 এর শেষে, ফেসবুক ছিল 1 মিলিয়ন ব্যবহারকারী.
2005 সালে, Zuckerberg এর Enterprise উদ্যোগ মূলধন দৃঢ় Accel বয়স থেকে একটি বিশাল অনুমোদন পেয়েছে. Accel নেটওয়ার্ক, যা সময় উন্মুক্ত ছিল কেবল আইভি লিগে ছাত্রদের মধ্যে $ 12.7 মিলিয়ন. Zuckerberg এর কোম্পানি তারপর অন্যান্য কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক স্কুলে অধিকার প্রদান করে, অধিক 5.5 মিলিয়ন ব্যবহারকারীদের ডিসেম্বর 2005 সাইটের সদস্যপদ পায়. অন্যান্য কোম্পানি, যারা জনপ্রিয় সামাজিক হাব সঙ্গে advertize করতে চেয়েছিল তা যোগাযোগ করতে শুরু করে.Zuckerberg বিক্রি করতে চায়নি, তাই সে Yahoo! এবং এমটিভি নেটওয়ার্ক কোম্পানি প্রস্তাব প্রতাখ্যান করেন. বরং, সে সাইট সম্প্রসারণ করার কথা বলেন, এবং projectটি ডেভেলপারগণদের দেন এবং আরও বৈশিষ্ট্য যোগ করেন.
Zuckerberg এর কাজ ভালই হচিছল, কিন্তু 2006 সালে ব্যবসা সে প্রথম বড় বাধার সম্মুখীন হলো. হার্ভার্ড সংযোগ স্রষ্টাদের দাবি Zuckerberg তাদের ধারণা চুরি করে, এবং সফ্টওয়্যার ডেভেলপার তাদের ব্যবসার লোকসান দাবি করে. Zuckerberg রক্ষণাবেক্ষণ যে ধারনা দুই সামাজিক নেটওয়ার্কের খুব বিভিন্ন ধরনের উপর ভিত্তি ছিল কিন্তু, পরে আইনজীবীরা Zuckerberg এর রেকর্ড অনুসন্ধান করে, incriminating তাত্ক্ষণিক বার্তা প্রকাশ যে ইচ্ছাকৃতভাবে Zuckerberg হার্ভার্ড সংযোগের অপহৃত করে এবং তার বন্ধুদের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া.
Zuckerberg পরে incriminating বার্তা জন্য ক্ষমাও চায়, বলছে তাদের regretted. "যদি আপনি উপর থেকে একটি সেবা যা প্রভাবশালী বিল্ড যাচ্ছে এবং যে কিছু মানুষের অনেক আস্থা, তাহলে পূর্ণতাপ্রাপ্ত অধিকার, দরকার?" তিনি নিউ ইয়র্কারের সাক্ষাৎকারে বলেন. "আমি এখন পূর্ণবয়স্ক এবং অনেক কিছু শিখেছি."
Zuckerberg এখন অন্য ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ সম্মুখীন হন যখন 2009 লেখক বেন Mezrich দ্বারা বই The Accidental Billionaires. Mezrich জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত ছিল তার পুনরায় কহন Zuckerberg এর গল্প, যা উদ্ভাবিত দৃশ্য, Re-কাল্পনিক সংলাপ এবং কল্পিত অক্ষর ব্যবহৃত. তথাপি কিভাবে সত্য থেকে জীবনের গল্প ছিল, Mezrich থেকে চিত্রনাট্যকার আরন Sorkin থেকে উপাখ্যান অধিকার বিক্রি পরিচালিত, এবং সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত চলচ্চিত্র আট একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন.
Zuckerberg ফিল্ম এর আখ্যান থেকে দৃঢ় আপত্তি করেন.
ফোর্বস পত্রিকা অনুসারে, Zuckerberg মূল্য প্রায় 6.9 বিলিয়ন হয়. তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় Palo Alto, একটি শালীন ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন চ্যান সঙ্গে,. মার্চ 2011 সালে, অবশেষে দম্পতি ফেসবুক উপর তাদের statuses পরিবর্তিত "In a Relationship."

আমার ব্লগ Copyright © 2011 - 2015 -- Blog Author Kalyan Kundu